চাঁদপুর জেলার ফারুক হোসেন ভাইয়ের জীবনের গল্প।
****আমার জীবনের গল্প ****
সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালা র । যিনি আমাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এখন ও বেঁচে আছি।
প্রশংসা আমার মা বাবা র প্রতি উনাদের মাধ্যমে আমি সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে দুনিয়া য় এসেছি।
তার পর প্রশংসা করি আমাদের ফাউন্ডেশনের মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারে জন্য। যিনি এমন একটি পরিবার উপহার দেওয়া জন্য।
আমাদের ফাউন্ডেশনের দেশ এবং বিদেশে সকল দায়িত্ব শীল ও আজীবন সদস্য কে আমার সালাম আসসালামুআলাইকুম
**** আমার পরিবার ****
আমার দাদা ও দাদী র ছেলে মেয়ে সহ ৮ জন তিন ছেলে এবং ৫ মেয়ে বড় পরিবার ছিল। আমার বাবা ও চাচা তিন জনের মধ্যে আমার বাবা মেঝ।
আমার সব ফুফু ও বাবা চাচা সহ সবাই বিবাহিত। কিন্তু সংসার ছিল এক সাথে। অনেক বড় পরিবার ছিল।
******এবার আসি আমাদের সংসার ****
আমরা তিন ভাই আমি সবার বড়।আমাদের কোন বোন নেই। আমার বাবা একজন কাতার প্রবাসী। দীর্ঘ ৪০ বছর প্রবাসে ছিল
*****আমার শৈশব *****
শৈশবে ছিলাম অনেক দুস্ট। অনেক দুস্টমি করেছি৷ বড় পরিবার ছিল সবার সাথে ই দুস্টমি করেই শৈশব কেটেছে।
**** আমার স্কুল জীবন *****
আমাদের গ্রামে ই কড়ৈতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সেখানে ই ওয়ান থেকে পঞ্চম শ্রেনি পযন্ত পড়া শুনা করি। এবং আমার গ্রামেই একটি হাই স্কুল আছে ফাইভ পাশ করে ম্যধমিক স্কুলে ভর্তি হই এং কড়ৈতলী হাই স্কুল থেকে SSC পরিক্ষায় দেই এবং পাশ করি। তার পর আর পড়া লেখা করা হয়নি ফরিদ গঞ্জ কলেজে ভর্তি হই বেশি দুর যেতে পারি নি শিক্ষা জীবনের সম্পাতি হয়।
***** জীবন ও জীবিকা র তাগিদে ****
পড়া লেখা শেষ করে ছোট একটি দোকান দেই আমাদের কড়ৈতলী বাজারে। ৩ বছর ছিল দোকান টি। ওই দোকান ছিল কাপড় ও জুতার এবং কসমেটিকস ওই ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে ২০০৮ সালে র ৮ ই আগস্ট জীবন ও জীবিকার তাগিদে কাতারে চলে আসি। কাতারে এসেছি একটি কোম্পানি তে। তাও লেভার ভিসায়। বেতন ছিল ৮০০ রিয়াল বাংলাদেশের টাকায় ১৬ হাজার টাকা। লেভারে কোন দাম নেই সেই বেপারটা বুঝতে পেরেছি কাতারে আসার পর। যদি হাতের কোন কাজ জানা থাকতো তাহলে জীবন আরও সুন্দর হতো। আস্তে আস্তে জীবনের ভুল গুলো হিসাব নিকাশ করে নিজেকে একটি জাগায় নিতে পেরেছি লেভার টেড এখন নেই। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর প্রবাস জীবন থেকে ছুটি তে দেশে যাই
*****বিবাহিত জীবন ****
২০১১ সালের ২ রা ডিসেম্বর আমি বিয়ে করি। বিয়েতে নিজের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করি। যা পরে বুঝতে পেরেছি। বাবা মা ও ভাই সহ একই সাথে বসবাস করি ৫ বছর। তার পর চিরকাল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে যেটা চলে আসতেছে সেই টাই হলো। আমি আমার বাবা র সংসার থেকে আলাদা হতে হলো। বিবাহিত জীবনে আমার দুই ছেলে এবং স্ত্রী রয়েছে। সুন্দর কাটছে আমাদের জীবন আল্লাহ তালার কাছে দোয়া করি যেন এভাবে বাকী দিন গুলো চলে যায়।
এখনো আছি কাতারে ১৬ বছর রানিং চলছে। জানি না আর কত দিন থাকবো তা আল্লাহ ভালো জানে।
প্রবাস জীবনে অনেক কস্ট করতে হয়েছে শুরু দিকে। প্রবাস মানেই কস্ট যারা প্রবাসে আছে তারা জানে।প্রবাসী জীবনে তিন টি বড় ভুল করে ফেলেছি। প্রথম ভুল অনেক টাকা খরচ করে বিয়ে করা। আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। অনেক জাঁকজমকপূর্ণ বিয়ের অনুস্টান করে ফেলি প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়। ওই টাকা পরিশোধ করতে আমার আর ও দুই টি বছর লেগে যায়
২ য় ভুল ছিল অাপন মানুষ কে বিশাস করে ছিলাম। তার পরিনাম এত ভয়ানক হবে বুঝতে পারিনি।
৩ য় ভুল ছিল ব্যবসা বা সঞ্চয় না করে একটি বাড়ী একটি বিলিং তৈরি করা। সেখানে আমার ২৫ লাখ + লেগে যায়। সেটা আমার সবচেয়ে আরও একটি ভুল । কারণ বাড়ী আপনাকে ইনকাম দিবে না যদি সঠিক জায়গায় না করেন।
*** এবার আসি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের খোঁজ কোথায় পেলাম ***
একদিন ইউটিউব ভিডিও দেখছি হঠাৎ করে আমাদের মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটি ভিডিও। দেখি। লেখা আছে সপ্ন দেখুন সাহস করুন লেগে থাকুন সফলতা আসবে ই।এরকম একটি কথা লিখা রয়েছে। আমি ২০০৯ সালের শেষ দিক থেকে ই একটু অনলাইনে ঘুরা ফেরা করি
স্যারের ভিডিও টি দেখছি তখন ১০ তম ব্যাচ চলমান। তো সেই ভিডিও দেখে অনেক কিছু মাথায় চলে আসে। ১০ তম ব্যাচ শেষ ১১ তম ব্যাচ চালু এভাবে ফেসবুক ও ইউটিউব ভিডিও গুলো দেখতেছি। আর স্যারের দেওযা শেসন গুলো পড়ছি। এভাবে কেটে গেল ১১ তম ব্যাচ। শুরু হলো বার তম ব্যাচ আবার ও দেখা শুরু করি কিন্তু রেজিষ্ট্রেশন করিনি। একদিন সিদ্ধান্ত নিলাম রেজিষ্ট্রেশন করবো তখন ১২ শেষ এর পথে। এবং ১৩ তম ব্যাচ এ রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলি।
রেজিষ্ট্রেশন করে বুজতে পারলাম যে ভুল আগে করেছি। আবার ও আরেক টি ভুল করেছি দেরি করে।
এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে জীবন পাল্টে গেছে। ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আমার জীবন টা কে পাল্টে দিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি পেয়েছি আমি জীবনে করে যাওয়া ভুল গুলো ধরতে পেরেছি। স্যারের শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি এখন
আমার অনলাইনে দুই টি ব্যবসা আছে। যা আগে কখনো কল্পনা ও ছিল না। ফাউন্ডেশন নিয়ে লিখলে আজ ২ দিনে লিখে ও শেষ করা যাবে না। এই ফাউন্ডেশন এর সকল সদস্য জন্য দোয়া রইলো। আজ শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে-৯৭১
তারিখ- ০৮/১২/২০২৩ ইং
আমি মোঃ ফারুক হোসেন
ব্যাচ নং ১৩
রেজিষ্ট্রেশন নং ৬১২৪৩
জেলা ইলিশ এর বাড়ী চাঁদ পুর
উপজেলা ফরিদগঞ্জ
জীবিকার তাগিদে কাতারে আছি