ভোলা জেলার ইমন ইসলামের জীবনের গল্প।
মিল্লাহির রাহমানির
রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
সকল প্রশংসা করুনাময় মহান রব্বুল আলামীনের যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত করে সৃষ্টি করেছেন ও সুস্থতার সাথে ইবাদত করার সুযোগ দিয়েছেন।
সালাম আমাদের প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর প্রতি। যার উম্মত হবার পরম সৌভাগ্য হয়েছে আমাদের।
শুরু করার আগে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সাথে স্মরণ করছি আমার মা ও বাবাকে। যাদের নিঃস্বার্থ মায়া মমতা ও ত্যাগের ঝণ কখনো শোধ করা সম্ভব না।
সাথেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত প্রচেষ্টার এই বিশাল পরিবার আমরা পেয়েছি।সময়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, লক্ষ্য তরুন তরুণীর হৃদয়ের স্পন্দন ও যার পরিকল্পনা,প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি এই সুন্দর প্ল্যাটফর্ম।
পেয়েছি লক্ষ্য লক্ষ্য ভাই- বোন।
পেয়েছি বিশাল একটা পরিবার।
যার শিক্ষা বুকে ধারণ করে লক্ষ লক্ষ শিক্ষিত বেকার তরুণ তরুণীরাও সাহস করে, বাস্তব জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতার গল্প অনায়াসে লিখতে পারে।
যিনি আমাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়তে,
দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, এবং বাংলাদেশে বেকার দূর করনের মহৎ উদ্যোক্তা, তিনি
জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।স্যারকে স্যালুট জানাই।
ভালোবাসা রইলো
নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এর সকল দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের প্রতি। সকলের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আশা করি সবাই ধৈর্য সহকারে পাশে থাকবেন।
জীবনের গল্প
আজকে নিজেকে নিয়ে কিছু গল্প বা কথা তুলে ধরবো।
ভুলত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
প্রতিটি মানুষের জীবনে একটা পদ্ম পাতার জলের মতো দেখতে স্বচ্ছ কিন্তু লুকিয়ে থাকে নানান গল্পকথা।
যেখানে
সুখ -দুঃখ, আনন্দ -বেদনা, ব্যর্থতা -সফলতার বাঁধা থাকে প্রতিটি সুর ও ছন্দ। যেন এক একটা রূপকথা। আমি তার ব্যতিক্রমী নয়।
সংক্ষিপ্ত আকারে কিছু অংশ ভালোবাসার মানুষের সাথে শেয়ার করব................
জন্ম : ০৫/০৪/২০০০দ্বীপ জেলা ভোলা সদর আলিনগর ইউনিয়নে আমার জন্ম। বাবা-মায়ের সব পূরণ করতে আল্লাহ আমাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আমার যখন জন্ম হয় তখন আমরা যৌথ ফ্যামিলিতে থাকি। তখন সবার আদর ও ভালোবাসা নিয়ে আমি বড় হই। আমার দাদা ও নানা বাড়ি ফ্যামিলিতে ছেলেদের ভিতর আমি সবার বড়। তারা সবাই আমাকে খুব আদর করত
।যৌথ ফ্যামিলিতে আমার বেড়ে ওঠা।
শৈশব জীবন :
শৈশব জীবন গ্রামেই কাটে, ৮-১০গ্রামের অন্য ছেলেদের মতই।সারাদিন শুধু খেলাধুলা নিয়েই নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম।খুব দুষ্ট ছিলাম,এবং আমাদের অনেক সুপারি গাছ ছিল সারাদিন সুপারি গাছে উঠতাম। এবং সুপার বিক্রি করে শুধু সাইকেল ভাড়া নিয়ে চালাতাম। একবার সাইকেল চালাতে গিয়ে পরে হাত ভাঙ্গে,তারপর বাবা খুব রাগারাগি করে।এরপর থেকে আমি আর বারায় সাইকেল চালাতাম না । আর কিছুদিন পর বাবা আমাকে একটা সাইকেল কিনে দেয়।তখন যে কত আনন্দ ছিল তা বলে বোঝানো যাবে না। তখনকার সময় ছিল কত ভালোবাসা কত আদর কত মায়া,কত আবদার, কত অভিমান, কত রাগ, এভাবেই চলে গেল শৈশব জীবন। তারপর মাঝে মাঝে বাবা মায়ের কাজে হেল্প করতাম ইত্যাদি।
শিক্ষা জীবন
শিক্ষাজীবন শুরু :-শিক্ষা জীবন শুরু হয় স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে।আমাকে মাদ্রাসায় নিয়ে আমার ছোট কাকা ভর্তি করায়। ঐ মাদ্রাসা টা আমার বাড়ি থেকে ২০ মিনিটের দূরত্ব। তখন আমার সাথে আরও আমার প্রতিবেশীরা ছিল। সবাই মিলে মাদ্রাসায় প্রতিদিন যেতাম। পড়ালেখায় মোটামুটি ভালোই
ছিলা।তারপর ওই মাদ্রাসা থেকে S. S.C ৩.৫৫ পয়েন্ট নিয়ে পাস করি। তারপরে কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় হয়ে যায়।
কলেজ জীবন :- আমার বাড়ি থেকে কলেজে যেতে ২৫ মিনিটের মতো সময় লাগতো। তারপরে শুরু হলো কলেজ জীবন।কলেজ জীবনটা খুব আনন্দের। প্রথম বছরের বন্ধুদের সাথে অনেক আড্ডা কত গল্প। এভাবেই চলে গেল একটি বছর। তারপর শুরু হয় ফার্স্ট ইয়ারে পরীক্ষা দিয়ে পাস করি।সেকেন্ড ইয়ারে উঠে আবার। মোটামুটি পড়ালেখা করি।তারপরে বন্ধুদের সাথে আবারো আড্ডা দেওয়া ঘুরতে যাওয়া। এভাবেই চলতে চলতে আবার চলে আসলো বিদায় এর ঘন্টা তারপর আসে H.S.C পরীক্ষা। পরীক্ষা দিয়ে বাস করি। কিন্তু হারিয়ে গেল সেই বন্ধু এগুলো। শেষ হয়ে গেল সেই আড্ডা।
স্নাতক :স্নাতক এ ভর্তি হই। কলেজটা ছিল আমার বাড়ি থেকে 4 থেকে ৫ কিলো দূরে। তারপর পড়ালেখার পাশাপাশি আমি একটি চাকরি নেই। তার ভিতরে শুরু হয়ে যায় করোনা। পরে ফার্স্ট ইয়ারের পরীক্ষা শুরু হয়, ফাস্ট ইয়ারের পরীক্ষা দিয়ে সেকেন্ড ইয়ারে উঠি। তারপরে হঠাৎ পড়াশোনাটা অফ করে দেই। কারণ আমার বাবা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে, সংসার চালানোর মতো আমি শুধু একা ছিলাম। তখন আমরা যৌথ পরিবার থেকে আলাদা থাকি। আমার বাবা একজন কৃষক ছিল, জমানো যা টাকা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে, তখন আমাদের খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল, চাকরিটা খুব দরকার ছিল তার জন্য চাকরিটা কন্টিনিউ করি পড়ালেখা বাদ হয়ে গেল।
চাকরি জীবন :-
এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর বন্ধুর হাত ধরে ঢাকাতে আসা সেখানেই শুরু হয় চাকরি জীবন। চাকরি করা অবস্থায় খুঁজে পাই আমাদের প্রিয় স্যারের কিছু ভিডিও কনটেন্ট, তারপরে অনেকদিন ধরে স্যারের ভিডিও গুলো দেখি, তারপর ফাউন্ডেশন কিভাবে ভর্তি হব অনেক খোঁজাখুঁজি করার পরে, তারপরে হঠাৎ ফেসবুকে খোঁজাখুঁজি করার পরে এক ভাইয়ের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করি,
উদ্যোক্ত জীবন
আমি এখনো কোনো উদ্যোগের সাথে জড়িত হতে পারিনি। কিন্তু ২০২১সালে S P C নামে অনলাইন প্লাটফর্ম ১০,০০০ টাকা ইনভেস্ট করি, তার কিছুদিন পরেই কোম্পানিটা বন্ধ হয়ে যায়, আর আমার টাকাটা আর পাইনি, তারপর আমি প্রতারিত হই।তারপরে মনে হলো নিজের টাকা দিয়ে নিজে কিছু করব আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন স্যারের পরামর্শ এবং আপনাদের সহযোগিতায় উদ্যোক্তা হতে পারি। আমি খুব শীঘ্রই উদ্যোগটা জীবন শুরু করব ইনশাআল্লাহ।
আমার স্বপ্ন
আমার স্বপ্ন :আমার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হলো। আমি একদিন বড় উদ্যোক্তা হব। বাবা মায়ের দোয়া ও ভালোবাসা আমার সাথে সব সময় আছে। এবং প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার স্যারের পরামর্শ নিয়ে অনেক বড় উদ্যোক্তা হবো ইনশাল্লাহ। সে আশা নিয়ে খুব শীঘ্রই উদ্যোক্ত জীবন শুরু করব।আল্লাহ যেন আমার মনের আশা পূর্ণ করেন।
ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা :
চাকরি করব না চাকরি দিব। স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন, সাফল্য আসবোই। কেবল একটা চাকুরির জন্যই আপনার জন্ম হয় নি। আপনি আরো অনেক বেশি দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।আবার বললেন প্রত্যেকের নিজের বলার মত একটা গল্প থাকতে হয়।
কাথাগুলো বেশ দিলে গেঁথেছে।
মনে হচ্ছে স্যারের কাথাগুলো কেবল আমার জন্যই বলা।
এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমার জীবনের গল্প পরার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রীতি ও ভালোবাসা সেই সঙ্গে আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
আল্লাহ আপনাদেরকে নেক হায়াত দান করুক আমিন।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে -৯৭১
তারিখ -০৮/১২/২০২৩ ইং
শুভেচ্ছান্তে
নাম মোঃ ইমন ইসলাম
ব্যাচ নং :-২২
রেজিস্টেশন :-১২১০০৮
জেলা :- ভোলা সদর
বর্তমান ঠিকানা :-আশুলিয়া
জিরাবো সাভার ঢাকা