আমি ক্লাস সেভেনে পরা অবস্থায় বাবা একদিন স্কুলে আসে আমাকে খোঁজ করার জন্য কিন্তু
আমি যখন খুব ছোট ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন স্কুলে থাকা অবস্থায় একদিন নাস্তা না করে স্কুলে যাই। আব্বু মাঠ থেকে ফিরে এসে শুনে যে আমি না খেয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম।

তখন আমি অনেক খুশি হইয়া বাবাকে জড়িয়ে ধরি। বাবাও জড়িয়ে ধরে আমাকে ওই কথা মনে হলে এখনো আমার বাবার প্রতি ভালোবাসা এবং মায়া কখনো ভুলতে পারিনা।


একা কোথাও যেতে দিত না।
তাই স্কুলের বন্ধুর সাথে স্কুলের নাম করে পিকনিকে গিয়েছিলাম।
আমি বুঝতে পারিনি এমনটা হবে।

প্রথম থেকেই সক্রিয়ভাবে আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তখন ভারতে ট্রেনিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন ওখান থেকে এসে যখন যে এলাকায় যুদ্ধের জন্য ডাকত সেখানেই যাইতো ঢাকায়, চাঁদপুরে, এবং কুমিল্লা, ওখানে চলে যেত। যুদ্ধ অবস্থায় দুই মাস পরে একবারে বাড়ি থেকে চলে যায় যুদ্ধ করার জন্য। এভাবে অনেকদিন হয়ে যায় পাঁচ মাস যোগাযোগের কোন ব্যবস্থা ছিল না। এমন অবস্থায় আমার দাদা এবং কাকারা সবাই জানতেন হয়তো আমার বাবা মারা গেছেন। এটা নিয়ে আমাদের ফ্যামিলিতে সুকের ছায়া নেমে আসছিল। অনেক মুক্তিযুদ্ধের মৃত্যুর সংবাদ শুনে। সবাই কান্নাকাটি করছিল। পরবর্তীতে দুই নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেন। অনেক সফলতার সাথে নয় মাস যুদ্ধ করে আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ অবস্থায় আব্বু বাড়িতে ফিরে আসে। আব্বুকে কেউ চিনতে পারে না এবং সবাই এলাকার ভিতরে একটা বিড় সৃষ্টি হয় । মানুষ দেখার জন্য আসে কারণ আমাদের এলাকা থেকে মাত্র তিনজন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তার মধ্যে ছিল আমার বাবা একজন।

আমি সুনতাম কিছু বুঝতে পারতাম না।
আমি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক কিছু বুঝতাম না।
১৯৯৬ ইং থেকে আমি যখন মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ের উপর কিছু বই পড়ি, ঘাটাঘাটি করি তখন আমি বুঝতে পারি। আব্বুর মুখে থেকে মুক্তিযুদ্ধের অনেক বিষয়ের উপর জানতাম। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান কি আমি বুঝতে পারি বাংলাদেশ অনেকের কোটি টাকা থাকবে, অনেকেই শিক্ষিত হবে, সুশিক্ষিত হবে, অনেক সম্মানী ব্যক্তি থাকবে, কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়া আর সম্ভব হবে না। আমার মাঝেমধ্যে গর্বে বুক ভরে যায় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আলহামদুলিল্লাহ।




পাঁচ বছর পর দুবাই থেকে দেশে ফিরে আসে। অনেক দিন প্রবাস থাকার কারণে দেশের পরিস্থিতি সমাজ ব্যবস্থা এবং ভিলেজ পলিটিক্স বলতে একটা কথা আছে। আমার আব্বু কোন কিছুই
বুঝতো না। আমার বাবার কাছে ছিল অনেক টাকা সমাজের সবাই আমার বাবার টাকার জন্য।
ভালোবাসতো আমার বাবাকে।
আমার বাবা ছিল অনেক উদার মনের টাকা পয়সা খরচ করার সময় কোন হিসেব করত না।

আমার আব্বু ভাবছিল উনাকে হয়তো ভালোবেসে সবাই চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য বলতেছে। আমার বাবা বুঝে পারে নেই।
যে উনার টাকার জন্য উনাকে চেয়ারম্যানি নির্বাচন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। চেয়ারম্যানি নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করল।
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৫২
Date:- ৩০/০১/২০২১
মোহাম্মদ মাহবুব আলম
ব্যাচ 12
রেজিস্ট্রেশন 38385
জেলাঃ চাঁদপুর
upazilaশাহরাস্তি
বর্তমানে ঢাকা ধানমন্ডি জোন
ব্লাড গ্রুপ বি পজেটিভ
ব্লাড ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার