আমি_প্রবাসীনির_জীবনের_গল্প
#পড়ার_অনুরুদ্ধ_রইলো।
🌹#বিসমিল্লাহির_রাহমানির_রাহিম 🌹
🌹আসসালামু_আলাইকুম🌹
রাহমাতুল্লাহি_ওয়া_বারাকাতুল্লাহ
আমি সর্বপ্রথম শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
✍️মহান রব্বুল আলামীনের প্রতি যিনি এই বিশ্ব জগতের মালিক যিনি মহান করুণাময় ও দয়াময় রিজিকদাতা যিনি আমাকে আমার পরিবারের সকলকে
এই মহামারী তাণ্ডবের ভিতরে ভালো রেখেছেন সুস্থ রেখেছেন #আলহামদুলিল্লাহি। 🤲
✍️লাখ কোটি দরুদ ও সালাম পেরন করছি মানবতার দূত নূরের আলো আলোকিত করেছে দিশেহারা মানুষের পথ প্রদর্শক"হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি,যার উম্মত হতে পারছি যার সুপারিশ ছারা আমরা কেউ কিয়ামতের দিন পার হতে পারবোনা।
✍️আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর " জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ " স্যারের প্রতি, কোটি কোটি সালাম, শ্রদ্ধা,সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি,যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের জন্য নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন আমাদের জন্য তৈরি করেছেন যেখান আমি হাজার হাজার ভাই বোনের ভালোবাসা পাচ্ছি।
🌹 আমার জন্ম আমার ১৯৮৭ সালে 🌹
আমার শৈশব যেটা ঘিরে ছিল শুধু মমতাময়ী মা
✍️আমার জন্ম হওয়ার ছয় মাস পর থেকেই শুরু হয় আমার মায়ের অভিশপ্ত জীবন, কারণ বাবা আমাকে আর মাকে রেখে আর একটা বিয়ে করে সংসার করেন আমাদের কোন দ্বায়িত্ব নিতে সে রাজি না, তারপর একদিন মা আমাকে নিয়ে নানা বাড়ি চলে আসে,নানা বাড়ি কিছু দিন ভালো ছিলাম,
কথায় বলেনা অভাগিনী যে দিকে যায় নদীও
শুখিয়ে যায়, এটা আমার মা আর আমার সাথেও হয়েছে, পরিবার সমাজ আত্মীয় স্বজনরা নানান ধরনের কথা অপবাদ মাকে দিয়েছেন,এই সমাজ একটা মেয়েকে স্বামী ছারা তাকে ভালো চোখে দেখে না আমার মায়ের সাথেও সেটা হয়েছে, তারপরও মা হার মানেনি সব কিছু চুপচাপ সয়ে যেতেন রাতদিন মা কাজ করতেন হাতের কাজ, মাঠের কাজ, করে খাবার যোগাতেন আমি একটু বড় হলাম আর মায়ের চিন্তা বেরে গেলো কিভাবে আমাকে মানুষ করবে বিয়ে দিবে পড়াশোনা বেশি একটা করতে পারিনি আবার শুরু হল মানুষের নানান কথা মেয়েকে পড়িয়ে কি জজ ব্যারিসস্টার বানাবে বাবা না থাকলে যা হয় তাই হয়েছ আমার সাথে।পড়াশোনা আর হলোনা, স্বপ্ন দেখার আগেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল।
🌹বৈবাহিক জীবন 🌹
খুব কম বয়সে বিয়ে দেন আমায় ১৯৯৯সালের জুন মাসের ১৮ তারিখে বিয়ে হয়।
ছেলে ভালো শিক্ষিত পরিবার ভালো সব কিছু
ভালো আলহামদুলিল্লাহ কিন্তু ছেলে বেকার তাকে চাকরি দিতে হবে এটা আমার মামারা দিবে ওয়াদা করেন কিন্তু তারা কোন ভালো কোন চাকরি দেননি। তার মাশুল দিতে হয় আমাকে শশুর বাড়ির মানুষ নানান কথা বলতো আমার স্বামী সত চরিত্রবান একটা ভালো মানুষ,
তার ছিল সৎ মা তাকে অনেক কষ্টো করতে হয়েছে।তার সৎ মায়ের জন্য আমার শশুর আমার স্বামীকে সব কিছু থেকে বঞ্চিত করেছেন, এরপর শুরু হল আমাদের দুজনের সংসার, গ্রাম ছেড়ে দুজনে চলে আসি শহরে শুরু হল আমাদের কর্ম জিবন দুজনেই কাজ করতাম একি অফিসে কিছুদিন পর জানতে পারলাম আমি মা হব সেদিন আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম যে এবার আমার ভ্যাগ বদলে যাবে তা আর হলন সন্তান গর্বে নিয়েও আট মাস পযন্ত কাজ করেছি একটু করে টাকা জমিয়েছি ডাক্তার খরচ যে আসছে তার খরচ,
কে দিবে আমাদের খরচ আমার স্বামী অল্প টাকা বেতন পেতো তা দিয়ে আমি সন্তান নিয়ে বসে খেতে পারতামনা,
🌹আমার মাতৃত্ব জীবন🌹
✍️কোল আলো করে আসলো এক কন্যা সন্তান আমরা দুজনেই অনেক খুশি হলাম আলহামদুলিল্লাহ ভালই চলছিল কিছু দিন হঠাৎ করে আমার স্বামীর অফিসে লোক সাটাই করে তার মধ্যে আমার স্বামীও বাদ পরেন।
আবার আমার সংসারে অভাব শুরু হল আবার আমাকে কর্ম জীবন ফিরতে হল ছোট সন্তানকে রেখে এই কর্ম জীবন শুরু হল এখনও ঘরে ফিরতে পারিনি।
🌹প্রবাস জীবন 🌹
২০১৫ সালে বাহিরে আসি আসার পর কিছু দিন অনেক কষ্টো হয়েছে তারপর আস্তে আস্তে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি প্রথম দুই বছর ভালো ছিলাম ২০১৮ অনেক অসুস্থ হয়ে পরলাম চলে গেলাম বাংলাদেশ গিয়ে চিগিৎসা করলাম সুস্থ হলাম কিছু দিন বাসায় থাকলাম,
নগদ টাকা ভাংতে থাকলাম এক সময় আবার হতাশ হয়ে পরলাম নগদ টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে কি করব কোন পথ খুজে পাচ্ছিলামনা আবার জিবিকার তাগিদে ছুটে আসলাম প্রবাসে দ্বিতীয় বার আবার শুরু হল প্রবাস জিবন ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর এসেছি।
✍️এবার এসে এক বছর ভালো উপার্জন করেছি তা দিয়ে স্বামীকে ছোট মুদি দোকান করে দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ এখন আর প্রবাসে থাকতে ইচ্ছে করছেনা আমি দেশে ফিরতে চাই কথাগুলো আমার এক ছোট বোনের কাছে বলি তখন সে আমাকে বলে আপনাকে একটা কথা বলবো রাখবেন আমি বললাম রাখারমতো হলে রাখবো।
তখন সে আমাকে এতো সুন্দর একটা পরিবারের কথা বললো যা শুনে সত্যি আমি মুগ্ধ যেখান থেকে আমি পাচ্ছি বাবার মতো একটি মানুষ জনাব ইকবাল বাহজর জাহিদ,
যার দিক নির্দেশনায় আমি বাবার ছায়া,আদর, ভালোবাসা, সাশন খুঁজে পাচ্ছি যা একটা সন্তানের জন্য প্রয়োজন।
#কৃতজ্ঞতা প্রকাশ #
আফরোজা আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনার জন্য আমি এতো সুন্দর একটা পরিবার পেয়েছি আশা করছি এখানে সকল ভাইয়া আপুদের দেখে নিজের ভিতরে যদি কোন সুপ্ত প্রতিভা থাকে তাহলে তাদেরকে দেখে জেগে উঠিয়ে যেন নতুন কোন বিজনেস দাড় করাতে পারি এই বলে আমি আজ আমার সংক্ষিপ্ত লেখা ষেশ করলাম,
প্লাটর্ফমের সকল ভাইয়া আপুদের দোয়া চাই।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৭৪
তারিখ-২৮/০৩/২০২২
রোজিনা পারভীন
ব্যাচ নং১৭
রেজিষ্ট্রেশন নং ৮২৪০৪
জেলা সিরাজগঞ্জ
উপজেলা শাহজাদপুর
বর্তমান অবস্থান জর্ডান একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা
ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥
আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।