See More Post

তখন মাথায় একটা আইডিয়া এলো


  🌹  আমার পরিচয়   🌹

 

💞💞আমি তাজ নাহার 

  আমার জন্মহচেছ  নোয়াখালী  কোম্পানি গন্জ   ২ নং চরপারবতী এলাকা,  আমার  জন্ম হচ্ছে  ।  আমি মা ও বাবার একমাত্র  কন্যা সন্তান আমার আর কোন ভাই ও  বোন নেই। 💞💞


 🌹 আমার বাবা 🌹🌹


🌹🌹আমার  বাবা ছিলেন একজন চাকুরী  জীবি    খুব  সহজ সরল  ও সাদা মনের একজন মানুষ  ছিলো আমার বাবা, বাবা অনেক  সাদা মনের মানুষ  ছিল  কাউকে খুব  সহজে বিশ্বাস  করে ফেলতো আর ঠকতো ও অনেক  বেশি,,  বাবারা তিনভাই ও দুই  বোন ছিল  বাবা ছিল সব ভাই বোনদের ছোট,    বাবা নামক শব্দ টি আমি মনে আনতে ও আমার অনেক  কষ্ট  হয়, । বাবা মানে কি তা আমাদের  কারো অজানা  নয় । বাবা নামক শব্দটি ছোট হলেও এর   ব্যাখা দেয়া  কারো সন্বব না  বাবা মানি এক জন ব্যক্তি বা মানুষ নন, বা কোন সন্পকের নাম ও নন,  বাবা মানি বিশালতা  , বাবা মানি বটগাছ , যা সন্তানকে সারাজীবন  ছায়া দিয়ে যায়  প্রখর রোদ থেকে  বাচায়, ঝড  বৃষ্টি  থেকে  রক্ষ  করে। বাবা  নামটা শুনলে বুকের ভিতর  শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা  আর ভালো বাসা মনটা ভরে উঠে । বাবা শব্দ টি সামনে এলে ভেসে উঠে  এবং  মন বলে উঠে   বাবা মানে হাজার  বিকেল আমার  ছোট বেলা , বাবা মানে  রোজ সকালে পুতুল পুতুল খেলা । বাবা মানে চিরদিন তোমার  কাছে রিনি , বাবা আমি তোমাকে  অনেক অনেক  ভালো বাসি  বলতে পারিনি একথাগুলো  কখনও , তার কারন আমার বয়স যখন  এক বসর তকন আমার  বাবা এই পৃথিবীর মায়া  ত্যাগ করে মহান রাব্বুল আলামিনের ডাকে সাডা দিয়ে চলে যান,  না ফেরার দেশে  আমার  বাবাকে আল্লাহ তালা  জান্নাতুল ফেরদৌসের দান করুন  আমিন,  চুম্মাআমিন,বাবা তিনভাই দুই  বোনের মধ্যে  সবাইর ছোট , আমার বাবা বিয়ে করার অনেক  আগে আমার দুই জেঠা ও দুই  ফুফুর বিয়ে হয়ে যায়,  আর আমার দাদা ও দাদু আমার বাবা বিয়ে করার আগেই মারা যায় তাই আমার  বাবা প্রতি   আমার জেঠাদের এত দায়িত্ব  বা ভালো বাসা  ছিলনা ছিল নাকি কোন রকম হেলাপেলা করে,  আমার জন্মের এক বসর পর বাবা যখন  মারা যায়  তার ৬ মাস পর পরই সবাই আলাদা  আলাদ  বা ভিন্ন হয়ে যায়  তকন আমার জেঠি মায়েরা ও জেঠা রা বলে দুজন কে পালন করবে   এটা বলে আলাদা করে দেয়, 

তখন অনেকে অনেক  কথা বলছে আমার জেডাদেরকে সুপারিশ  করচে চোট একটা মেয়ে নিয়ে   আমার মা কি চলবে কি করে খাবে,  তখন জেঠাদের কথা ছিল এটার দায়ভার  তো আমাদের  না  মেয়ের নানারা দেখবে, কি আর করবে মা সব ভাগ ভানোয়াট করে ভিন্ন করে দিল ,  🌹🌹


🌹আমার মায়ের কথা 🌹


💥💥মা ছিল একজন গৃহিনী  সরল ও সহজ,  কি করবে  মা বুঝে উঠতে পারছেনা ছোট একটা  মেয়েকে নিয়ে কি ভাবে খাবে কি ভাবে চলবে দুই চার মাস যেতে না যেতে মা হিমসিম খাচেচ  আমার  নানু ছিল নানা ছিলনা দুই মামা ছিল দুই খালা ছিল, ওরা সবাই  খোজ খবর নিত এবং  আসা যাওয়া  ও করে সহযোগিতা করতো,   যখন আমার  ৩   বসর বয়স হল তখন      

মামারা আমাকে  ও মাকে নানার বাডিতে নিয়ে যায় নানার বাডি তে আছি খুব ভালো  ভাবে , এর মধ্যে  মাকে ২য় বার বিয়ে করার প্রস্তাব  দেয় মামারা ও নানু তখন মা আমার কথা চিন্তা  করে২য় বার  বিয়ে করবে এটা চিন্তা  ও করতে পারেনা উল্টো মামাদের কে ভুল  বুঝে আমাকে নিয়ে চলে আসতে চাইলো  , তখন মামারা  আসতে দেয়নি, যখন  আমার বয়স ৩ বসর তখন মায়ের বয়স মাএ ২১ বসর তাই মামারা ও নানু মায়ের কথা  চিন্তা করে  বিয়ে করতে বলচে কিন্তু  আমার মা আমার কথা চিন্তা করে বিয়ের কথা  চিন্তা ও করেনি,💥💥


,🌹🌹এবার শুরু হলো আমার প্রাইমারীস্কুল  জীবন, ইয়াকুব পুর  এতিমখানা  বাজার প্রাইমারীস্কুল  শুরু  হলো, ,ছাএী হিসেবে খুব ভালো  ছিলাম  আর আমার মায়ের চাচা  মানে আমার  নানা হয় উনি ছিল প্রাইমারী স্কুলে  হেডমাস্টার   উনি ও অনেক  আদর করতো এবং  সব স্যারদের কে বলেছে আমার বাবা নেই আমি এতিম তাই সব স্যার আমাকে মেয়ের মতো আদর করতো এমনি  করে শেষ হলো প্রাইমারী 🌹🌹


💥💥💥এর পর শুরু  দেবরাম পুর  গার্লস  স্কুলে  ভতি হলাম । নানার বাডি  থেকে  প্রায়  দেড কিলোমিটার  হেটে যেতাম সকালে আবার  ছুটির পরও হেটে আসতাম  আস্তে  আস্তে বুঝতে শুরু  করলাম আমার তো বাবা নেই আমাকে সব বুঝতে হবে  মানতে হবে মামারা দুই জনই  দেশের বাহিরে  থাকতো  , ৭ম শ্রেনী শেষ করে ৮ম শ্রেনীতে উঠলাম , দেখতে খুব সুন্দর  ও মায়াবী  ছিলাম,  এর মধ্যে  চোখে পডলাম দুরসন্পকের এক ফুফাতো  ভাইয়ের  চোখে,  ফুফু ও ফুফা এসে আমার মাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়  মা নিশেদ করে দেয় বলে মেয়ে এখনও অনেক  চোট  পডালেখা শেস হলে এসব চিন্তা করব, এরা এসব কথা মানতে রাজি না মামারা আমার গাডিয়ান  তাও দেশের বাহিরে থাকতো  মা জেঠা দের কাচে  গিয়ে ফুফাতো ভাই দের কথা জানালো ওরা যে জোরাজোরি  করতেচে বিয়ে না দিলে তুলে নিয়ে যাবে এমন কতা ও বলচে,  তখন জেঠারা সব শুনে বলে তোমার মেয়ে সেটা তুমি জানো কি করবে, 💥💥


 🌹🌹এরপর মা মায়ের  কথা  আর  আটকাতে পারেনি  গাডিয়ান হীন একটা মা ও মেয়ের অমতে বিয়ে হলো      

বিবাহিত জীবন  শুরু  হলো 🌹🌹


🌹🌹সংসার  শুরু  হলো এভার । ১৪ বসর বয়সে   শুরু  করতে হলো আমাকে  সংসার , তবে আলহামদুলিল্লাহ  বাবা ছিল না আমার তবে আমি আমার  শুশুর থেকে  বাবা চেয়ে ও 

বেশি  আদর ভালো বাসা  পেয়েছি, শাশুড়ি ও অনেক অনেক  ভালো ছিল, যা আমি কল্পনাও  করতে পারিনি,  সব কিছু  মেনে আমাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে সব শিখিয়ে দিতেন,,  তবে দুরভাগ্য বশত আমি আমার শুশুর ও শাশুড়ি কে ৩ বসরের মাথা হারিয়ে ফেলি,  মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে  না ফেরার দেশে  চলে যান দুই  জনই,।  আমি দোয়া করি আল্লাহ  পাক কবুল আলামিন যেন আমার শুশুর ও শাশুড়ি কে  জান্নাতুল ফেরদৌসের দান করুন  আমিন,,আমার স্বামী   কথা আসি অসাধারণ  একজন ভালো মানুষ  যা আমার ভাগ্য গুণে পেয়েচি  এমন একজন স্বামী   খুব ভালো  মনের একজন মানুষ  সহজ ও সরল ও সাদা  মনের একজন, আমার স্বামী , আল্লাহ  কাছে  হাজার  কুঠি শুকরিয়া  আদায় করি এমন স্বামী  পাওয়ার জন্য , আলহামদুলিল্লাহ   আমার দুই ননদ ও দুই দেবর ওরা আমাকে খুব ভালো ভাসে ও সন্মান  করে, আমি ও তাদের  কে অনেক অনেক  ভালোবাসি ও খেয়াল রাখি   কারন আমার শুশুর বা শাশুডি বেছে নেই তাই আমিই ওদের সব, আলহামদুলিল্লাহআমার এক ছেলে দুই মেয়ে আলহামদুলিল্লাহ , সবাই  আমার ছেলে মেয়েদের জন্য  দোয়া করবেন ছেলে এম বি এ শেষ করে জব করে, বড মেয়ে অনার্স   করচে, আর ছোট মেয়ে  ক্লাস টেন  এ পডচে  আলহামদুলিল্লাহ আমার স্বামীর চাকরির  সুবাদে  আমাকে ২০০২ সালে চট্টগ্রাম  নিয়ে আসে,   এবং ছেলে ও  বড মেয়েকে ইস্কুলে  ভর্তি  করিয়ে দেয়  সব মিলে একটু হিমসিম খেয়ে যাচিচ, আমার স্বামীর একজনের আয়,  তখন কি করি না করি বুঝে উঠতে  কষ্ট  হচেচ ,  আস্তে আস্তে   যেন  অনেক  টানাটানির মধ্যে  পডছি, তখন পাশের বাসায় ভাবির সাহায্য  আমি সেলাইয়ের কাজ  শিখি এবং একটা মেশিন ও কিনে নিই,  শুরু করলাম  কাজ আলহামদুলিল্লাহ  দুই মাসে আমি পরিচিত  হয়ে উঠলাম আমার কাজের মাধ্যমে  আলহামদুলিল্লাহ  খুব মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি খুব ভালো  সাডাও পাচিচ, এবার চিন্তা করলাম আর কি শিখাযায়,  এটা ভাবতে ভাবতে খবর পেলাম বক্ল, বাটিক, ও কারচুপির  কাজের কোর্স  করাচেচ একটা ইস্কুলে   তখন চোট মেয়ের বয়স মাএ ১ বসর । মেয়েকে নিয়ে অনেক  কষ্ট  করে এগুলো ও শিখলাম, আলহামদুলিল্লাহ   আমাকে আল্লাহ তালা অন্য রকম একটা গ্যান দান করেচেন সেটা হলো যে কোন কিছু  অল্পতে শিখে নিতে পারি খুব সহজে ও তাড়াতাড়ি  করে,   সব মিলে ছোট ছোট  ছেলে মেয়ে  নিয়ে অনেক কষ্ট করে  কাজ গুলো করে যাচিচ,  অনেক  কষ্টে  ও অভাব অনটনে দিন কাটছি 

এবার আবার চিন্তা  করতেছি আরও কিছু  করব কি করা যায় তখন  মাথায় একটা আইডিয়া এলো আমি ফোজেনফুড নিয়ে  কাজ করতে পারি, এরা ভাবতে শুরু  করি,,। 🌹🌹


🌹🌹এর মধ্যে  চোখে পডলো আমাদের সকলের  প্রান প্রিয়  জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ  স্যারের  নিজের বলার মত একটা  গল্প ফাউন্ডেশন    তখন আমি  এটা দেখতে শুরু  করলাম কিন্তু  তখন  রেজিষ্ট্রেশন  করিনি,  তখন  চিন্তা  করছি নিজের বলার মত  একটা গল্প মানি নিজের গল্প আরেক জনকে জানাতে হবে, এটা আবার কেমন গুরুপ,  কিন্তু  সব পোস্ট  পডি আর স্যারের ভিডিও ও গুলো দেখি  তখন  খুব ভালো  লাগলো, স্যার কে দেখে স্যারের সব কথা শুনে তখন বল্লাম  আলহামদুলিল্লাহ  🌹🌹


🌿🌿আলহামদুলিল্লাহ   পেয়ে গেলাম আমার স্বপ্নের ও বিশ্বাসের  একটা প্লাটফর্ম 🌿🌿


🌿🌿,সব দেখতে দেখতে    খুব মায়াময়ী ও ভালবাসা  ভরা একজন আপুকে পেলাম, আপুকে নক করার সাথে সাথে  আপি রিপ্লাই,, এত সুন্দর  করে বুঝিয়ে বলেচেন আমাকে তখন  আমি  আপুর সাহায্য  সাথে সাথে  রেজিষ্ট্রেশন  করি ১৪ তম ব্যাচ এ আর সেই আপুটা  হচেচ চট্টগ্রাম  খুলশি জোনের  শিরিন সুলতানা  আপু  ,। এবার আমি আমার  ফোজেনফুড  নিয়ে কাজ শুরু করলাম , প্রথমে আমার রেলিটিভ ও প্রতিবেশি  দের কে দিয়ে শুরু  করি  আস্তে  আলহামদুলিল্লাহ  খুব সাডা পেলাম ও অনেক  প্রসাংশা ও পাচ্চি,  এখন আমি আমার  ফোজেনফুড  মার্কেট  এ ৮/১০ টা দোকানে আমার  ফোজেনফুড  দিয়ে যাছিচ আলহামদুলিল্লাহ  সবাই  দোয়া করবেন  যেন আমি আমার প্রিয় সারের শিক্ষা নিয়ে  আরও এগিয়ে যেতে  পারি   🌿🌿


🌿🌿পাশাপাশি আমি  থ্রি পিজ ও  বেটসীট নিয়ে কাজ করছি   আর এইসব আগ্রহ ও  কনফিডেন্সে  পেয়েচি আমাদের সকলের প্রিয়  জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ  স্যারের জন্য   আল্লাহ তালার কাছে  দোয়া করি   আল্লাহ পাক যেন  আমাদের সকলের  মাঝে   প্রিয় স্যারকে হাজার বসর বাচিয়ে রাখুন  আমিন 🌿🌿


🌹🌹সবশের্ষ আমাদের প্রিয় ফাউন্ডেশনের সকলের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ যারা সব সময় একটিভিটির মধ্যেই এই প্ল্যাটফর্মকে জাগিয়ে রেখেছেন এবং আমাদের সকলের শিক্ষকের জন্য অনেক অনেক বেশি দোয়া ও ভালোবাসা আজীবন করে যাব আল্লাহ যেন স্যারকে আমাদের মাঝে হাজার বছর বাঁচিয়ে  রাখে🌹


🌹🌹পরিশেষ   সবাইকে  অসংখ্য অসংখ্য  অগ্রিম  ধন্যবাদ  ও কৃতজ্ঞতা  আমার জীবনের গল্প  পডে আশা করি ভালো বেসে লাইক কমেন্ট করার জন্য  🌹🌹



📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৯৫

Date:- ০৯-১০/১২/২০২১ইং

💥💥আমি তাজ নাহার 💥💥

ব্যাচ ১৪ 

রেজিষ্ট্রেশন নং  ৬৪৫৮৮

উপজেলা দাগনভুইয়া  

জেলা ফেনী 

অবস্থান চট্টগ্রাম  আগ্রবাদ 💥💥

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।