See More Post

সেখান থেকেই স্বপ্ন বুনে নিলাম নিজের সেরা লিখা গুলো দিয়ে একটা

স্বপ্নের পথে হাটছি, স্বপ্ন তো অনেক, সকল স্বপ্ন আমার চোখে ছোট কিন্তু পথ অনেক লম্বা, পাড়ি তো দিতেই হবে।

হোক না একটা একটা!!

কোন এক সময় লিখতে পারতাম না, বিশেষ করে বাংলায়।। নড়বড় করা মোবাইল কিবোর্ড দিয়ে এই ফাউন্ডেশনে কমেন্টস করার মাধ্যমে ধারাবাহিক লেখার শুরু। হঠাৎ স্যারের পোস্ট এলো স্ট্যাটাস অফ দা ডে ঘোষণা হবে। লেখার ক্যাটাগরিটা দেয়াই ছিলো, দিনের সেরা পোষ্টটি সিলেক্ট করা হবে। নিজের প্রতি একটা চ্যালেঞ্জ চলে আসলো। চিন্তাই করে নিয়েছি আমি হবো সেরা।। 

বাংলিশ লিখতাম, জানতাম না সরাসরি মোবাইলে বাংলা লেখাটা। (বাংলিশ গল্প লিখতাম 😀 মনে পড়লে হাসি আসে), ফাউন্ডেশনে কয়েকদিন বাংলিশ লেখার পর পুরোপুরি বাংলা টাও মোবাইলে লেখা শিখে নিয়েছি, (উল্লেখ্য বাংলিশ লিখেও "স্ট্যাটাস অফ দা ডে" এর আশা করতাম 😀) ।।। নিজের এতো গল্প জমা পড়ে আছে, দ্বিতীয়বার একই গল্প লেখার দরকার হয়নি। মোবাইল টা তেমন ব্যবহার করতাম না বেশি বেশি, নিজের কর্মক্ষেত্রের এতো এতো কল রিসিভ করে নিজেও বিরক্ত বোধ করতাম, যাইহোক আলাদা একটা মোবাইল নেট চালানোর জন্য ব্যবহার করতাম যার অবস্থা ছিলো বেশি করুন 😂।।। গল্পতো লিখতেই হবে, প্রতিদিন ৫/৭ লাইন করে লিখে ই-মেইলে জমা করতাম নিজের লেখাটা, এরপর অনেক লম্বা লিখে ৭ দিনে শেষ করতাম একটি গল্প.. এরপর পোস্ট দিতাম। দিনশেষে পোস্টটি সেরা হতো না। তখন মাত্র এই "স্ট্যাটাস অফ দা ডে" এর শুরু।। সিলেকশন গ্রুপের চোখে পড়তাম না, ওই সময় নিজের এতো পরিচিতি ছিলো না। নিজেকে ব্র্যান্ডিং করানোর যথেষ্ট চেষ্টা করছিলাম এটা বললে ভুল হবে।। তখনতো বুঝতামই না ব্র্যান্ডিং কি? যাইহোক তারপরেও মিশন চলমান। আমার লেখাটা সেরা হোক আর না হোক লিখে যাবো কোন এক সময় চোখে পড়লে সেরা পোস্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। পাহাড় সমান দুঃখের সুখের ব্যর্থতা ও সফলতার গল্প নিয়ে লিখতে শুরু করলাম সাত দিনে এক গল্প লিখা - সহসা এইভাবে ১৭টা গল্প হারিয়ে গেলো শুধু নিজেকে ব্র্যান্ডিং না করার কারণে। এর মাঝে অনেকবারই দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে লেখা বাদ দিয়ে দিবো চিন্তা করেছিলাম, কিন্তু স্যারের লাইনগুলো অন্তরে শক্তি দিচ্ছিলো - থেমে যাওয়া যাবেনা, লেগে থাকতে হবে, রিয়েক্ট করা যাবে না ইত্যাদি। সব মিলিয়ে কন্টিনিউ করে যেতাম। চিন্তা করতাম শিখছিতো! এটাই তো সফলতা।।। কিছু না কিছু পাচ্ছি, এটাই ছিলো আমার সেরা পাওয়া। যাই হোক নিজেকে যখন পরিচিত করে ফেললাম বিভিন্ন পারফর্মেন্স এর মাধ্যমে, ঠিক ঐ সময় ধরা দিলো এই "স্ট্যাটাস অব দা ডে" টিও পরিচিতির মাধ্যমে। তখন আমার অনুভূতিটা ছিলো শূন্য, কিন্তু প্রাপ্তিটা ছিলো বিশাল।। ততক্ষণে আমি নিজেকে বেশ গুছিয়ে ও ব্র্যান্ডিং করে ফেলেছিলাম, গ্রুপ কেন্দ্রিক ফাউন্ডেশন এর পারফর্মেন্স ও সাংগঠনিক ভাবে। তবে আমি লিখতাম আলহামদুলিল্লাহ নির্বাচক কমিটিও ফেলতে পারতো না তাদের চোখে পড়তোই।। "স্ট্যাটাস অফ দা ডে" নিয়ে স্যারের পোস্ট দেয়া, লেখার পয়েন্ট ও মান ঠিক রাখা লেখা পেলে, বিচক্ষণ ও ধৈর্যশীল নির্বাচক কমিটি কখনো ফেলতো না। আমিও কন্টিনিউ করে গেলাম এবং পাশাপাশি অন্যদের জন্যেও সিক্রেট কাজে মনোনিবেশ করলাম।। 

"নিজে একা পাওয়ার মাঝে যে আনন্দ থাকে, অন্যদের মাঝে নিজেকে পাওয়া বেশি আনন্দ, এইটা আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।। এগুলোই স্যারের শিক্ষা।।। 

এই ফাউন্ডেশন এর সেরা লেখক যারা তাদের অনুভূতি লেখায় বা তাদের মূখে কোন না কোনভাবে আমার নামটি স্থান পায় এটাই ছিলো জীবনের বড় পাওয়ার একাংশ। এভাবেই চলতে চলতে ফাউন্ডেশনে নিজের লেখায় অজানা সেরা হয়ে উঠলাম - যা অন্যের মুখ থেকে শুনি🤔।। 

👇
সেখান থেকেই স্বপ্ন বুনে নিলাম নিজের সেরা লিখা গুলো দিয়ে একটা 📘"বই" লিখবো, স্যারের সাথে করা তৃতীয় লাইভেও বলেছিলাম। বলেছিলাম অনেক প্রিয়জনদেরও, কিন্তু পারিপার্শ্বিকতা এবং সময়ের অভাবে বইটি সম্পন্ন করতে পারছিনা।। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।। ফাউন্ডেশনের কয়েকজন লেখকদের সাথেও কথা বলি, কথা বলি কিছু প্রকাশনীর সাথে কিন্তু সেখানেও তাদের সময় কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।। সেইখান থেকে আবার নিজের পিছুটান, তারপরেও জোরপূর্বক চেষ্টা, এরপরে তো না চাইলেও ব্যস্ততা!!! - আমার নিজের সময়টাও কেমন জানি ম্যাচ হচ্ছে না, এদিকে নিজের প্রবাস থেকে ছুটিতে দেশে প্রদার্পন, পরিবার দেখা, নিজের ব্যবসা খাত দেখা এবং নতুন কিছু শুরু করা, সবকিছু মিলিয়ে, বুকে ধারণ করা অনেকগুলো স্বপ্নকে জলাঞ্জলি দিতে হচ্ছে।। 

সত্যি কি তাই? যতই চাই তা হবে না। স্বপ্নকে বুকে ধারন করেছি তার সফলতা দেখবো বলে, হঠাৎ হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায়, স্বপ্নের কি হবে? চেষ্টা দিতেই হবে। প্রায় এরকমই চলছে। আর সেখান থেকেই আবারো নতুন পথ চলা, সকল ঘুম কেড়ে নেয়া স্বপ্নকে রুপ রেখা দিতে লম্বা লম্বা পথ পাড়ি দেয়ার চেষ্টায় অনবরত- সবগুলো না হলেও কিছু তো হবে।

তবে আমি পারবো ইনশাআল্লাহ।। 

অন্তরের অন্তরস্থল থেকে দোয়া ও স্যালুট প্রাণপ্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার আপনার জন্য।। আমার লেখায় প্রতিটি শব্দ স্যার আপনার লাইনগুলো কথা বলছে এটাও আমার একটা বড় সফলতা, একজন ছাত্র হিসেবে। রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে যাওয়া প্রতিটি লাইন আমাকে শক্তি যোগায়।। তাইতো এখনও লেগে আছি প্রতিটি ব্যাচের প্রতিটি সেশানে নিজেকে ঝালাই করতে।

নিত্যনতুন, নতুন নতুন, ভিন্ন ভিন্ন স্বপ্ন বুনি। আর অন্তরে গতানুগতিক নয়, ভিন্নতা নিয়ে চলি।।

সবাই দোয়া করবেন, লেখায় ভুল থাকলে মাফ করবেন।

"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৬৮
Date:- ০৭/০৭/২০২১


ধন্যবাদ
মোঃ ইফতেখার আলম মজুমদার
কোর ভলান্টিয়ার/সপ্তম ব্যাচ/১৩৭৮
সৌদি আরব প্রবাসী
ব্যবসা চট্টগ্রাম - IMAM Trade Limited 
জেলা ফেনী

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।