কিছুদিন আগে আমি বলেছিলাম। অতি শীঘ্রই আমার প্রাণপ্রিয় গ্রুপ
#নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন এ অনলাইন বিজনেস জড়িত হবো, ইনশাআল্লাহ হাজির হয়ে গেলাম আজ, একজন লেখক হিসেবে যতটুকু দায়িত্ব লেখালেখি করি,।
তার পাশাপাশি কিছুটা বিজনেস করার খুব আগ্রহ,। তাই আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম,
#বুটিকস্ এর রেডিমেড থ্রি পিছ, আপনি আমার কাছে পাচ্ছে কালার রং এর হানডেট পারসেন্ট গ্যারান্টি, এবং সব সাইজ, যেমন, বডি সাইজ ৩৬,৩৮,৪০,৪২,৪৪,৪৬, আর লম্বা ফ্রী সাইজ। হানডেট পারসেন্ট সুতি কাপর, পড়ে খুব আরাম দায়ক।,
,
এবার আসুন একটু গল্পে গল্পে সেল করি,

আলহামদুলিল্লাহ এই তিনটা জিনিস আমায় অনেক হেল্প করে,।
আসুন মূল গল্পে যাই।, পড়াশোনা শেষ করে যখন বিদেশ গেলাম, বিদেশ মূলত পড়াশোনা করার জন্যই যাওয়া, কিন্তু কোন একটা ঘটনা ক্রমে পড়াশোনা করা হয়নি, কিছু দিন বড় একটা কোম্পানিতে কাজ করলাম, বেতন বেশ ভালোই ছিলো, কিন্তু আমি ছোট বেলা থেকেই অনেক লাজুক, ছিলাম৷ বলতে পারেন অনেক বড় বলদা৷ আসলে জীবনের মানেটা বুঝতাম না, যাই হোক, কাজ শুরু করলাম, বেতন যা পেতাম, মানুষ কে দিয়ে দিতাম, শুধু নিজের হাত খরছ রেখে, কারন বাড়িতে আমার খরচ দিতে হতোনা, কেউ আসতো বিপদে পড়ে, দিতাম, কেউ আসতো তার বেতন দেয়না, বাড়ি টাকা পাঠাতে হবে, দিয়ে দিলাম, আবার কেউ মিথ্যা বলেও হাওলাত নিতো। ভাবতাম, তো একদিন দিবেই,।

কিন্তু সে টাকা আর কেউ দেয়নি, আমিও একটু নরম থাকায় টাকা চাইতে পারতাম না, তখনও জীবনের মানে বুঝিনি, কিছুদিন পড় বিদেশ আর ভালো লাগেনা, সবাই ঠকায়,

বাড়িতে কিছু না জানিয়ে চলে আসলাম আমার প্রিয় বাংলাদেশে, দেশে আসার পড়, কি করবো বুঝতে পারছিলাম না, এক হতাশায় কাটতে লাগলো দিন, আস্তে আস্তে জীবনের মানে বুঝতে পারলাম, কিন্তু অনেক টা লেট হয়ে গেছে,। বিদেশে যা ইনকাম করতাম, তা তো মানুষ কেই দিয়ে দিতাম, তাই কোনো কেশ টাকা নিয়ে আসতে পারিনি।

।

সবার চেষ্টায় একটা বিজনেস শুরু করলাম, সবাই বলে টাকা পয়সা দিয়ে আমায় বড় একটা বিজনেস দিয়ে দিলো কাপড়ের, আলহামদুলিল্লাহ ভালোই চিলতেছিলো,। বিজনেস এর পাশাপাশি, কিছু লেখা লেখি করতাম পত্রিকায়, ভালো লাগতো। যখন আমার বিজনেসটা আরো ঘুরে দারাতে লাগলো, তখন কিছু মানুষ নামক, অমানুষের চোখে পড়ে গেলাম,।

, তারা আমার খুব আপন ছিলো বটে, আমার আপন মানুষ ছারাও কিছু মানুষ আছে, যেমন আমার দোকানে এসে ড্রেস বাকি নিয়ে যেতো, আমি দিয়ে দিতাম, অনেকেই আস্তে আস্তে অনেক বাকি নেয়া শুরু করলো, কেউ আর টাকা দেয়না, চাইলে দেই দিচ্ছি বলে কাটিয়ে দিতো কথা, এভাবে অনেক টাকা বাকি পড়ে গেলো, আবার অনেক মানুষ আসতো তার বিপদ তারা টাকা লাগবে, আমি দিতাম হাওলাত, আবার কেউ বলতো তার ভাই হসপিটাল ভর্তি, টাকা লাগবে৷ আমি দোকানে যা বিক্রি করতাম, দিয়ে দিতাম,

আমি সবসময় ভাবতাম, আমি তো মানুষ, তারাও তো মানুষ, দিয়ে দিবে, কারন আমার
#বিশ্বাস যে অনেক বড়,।

আমি মানুষ কে নিজের চাইতে বেশি বিশ্বাস করি, এখনো, আমি সবসময়
#পজিটিভ , ভাবতাম আল্লাহ মানুষ বানিয়েছে এতো সুন্দর করে৷ সে কি করে বাটপারি করতে পারে, মিথ্যা বলতে পারে মুখ দিয়ে,।


তারপর কি আর করবো, খুব কষ্ট করে একটা হাই স্কুলের পার্ট টাইম জব নিলাম, আর সাথেই লেখা লেখি করা শুরু করালাম, কিছু টিউশনি, এভাবেই কষ্ট করে একটু একটু করে, আমি যাদের থেকে মাল আনতাম, তাদের ঋণগুলো পরিশোধ করে দিলাম। কারো একটি টাকাও মেরে খেলাম না।, কিন্তু দুঃখ এবং পরিতাপের ব্যাপার হচ্ছে, যারা আমাকে ঠকালো, যারা আমার কাছ থেকে টাকা গুলো নিয়ে আমায় নিঃস্ব করে দিল, তাদের কাছ থেকে একটি টাকাও আমি আর উঠাতে পারলামনা, এখন পর্যন্ত উঠাতে পারলামনা। কিন্তু আমার মনে কোন কষ্ট নেই।



তখন থেকেই মাথায় আবার ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্নটা কিলবিল করতে শুরু করলো, জয়েন্ট হলাম আমার প্রান প্রিয় গ্রুপ
#নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন এ। এখান থেকে শিখলাম অনেক কিছু৷ আআলহামদুলিল্লাহ, আমি বুঝতে শিখলাম জীবনের মানে। আমি এই গ্রুপ থেকে বুঝতে শিখলাম কিভাবে শক্ত হতে হয়। কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়।।
এই গ্রুপ আমায় অনেক কিছু দিয়েছে। আমি চাই এই গ্রুপ থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে।
স্যার আপনাকে হাজারো সালাম।
এই গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্য কে, আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে বলতে চাই, সবাই এই গ্রুপটার সাথে লেগে থাকুন, ইনশাআল্লাহ এখান থেকে অনেক বড় স্বপ্ন পুরন হয়ে বের পারবেন।