See More Post

আমি জয় করেছি... একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না কে... আমি শিখেছি কিভাবে ঘুরে দারাতে হয়

#একটি_দূর্ঘটনাকে_জয়_করে_ঘুরে_দারানোর_গল্প..

------------------------------------

সে দিনে ছিলো......

জুন মাসের ১ তারিখ  হ্যা...

 জুন মাসের এক তারিখ, আজ থেকে ঠিক ৮ বছর আগে 1/6/2012ইং  আজকের এই দিনে আমার জীবনে ঘটে যার এক বড় র্দূঘটনা। থেমে যাই রঙ্গীন দুনিয়ার আনন্দ ময় পথ চলা। জীবন আঁকাশ ছেয়ে যায় কালো মেঘে, যে মেঘ এখনো পর্যন্ত কাটেনি আমার জীবন থেকে।কুরে কুরে খাচ্ছে আমায় গত আট বছর দরে......


>>আমি মোঃ জহির ইসলাম.... 

ছাত্র জীবনের ইতি টেনে...

লেখাপরা শেষ না করেই কপাল এর গুনে কর্ম জীবনে আসতে হয় লেখা পরা বাদ দিয়ে....

২০০৯সালে আসি কর্ম জীবনে....


বাবা পেশায় একজন ড্রাইভার ছিল... আল্লাহ তালার ইচ্ছায়, পরিস্থতি আমাকে বাবার পেশা কেই নিজের পেশায় রুপান্তর করে , শুরু হয়ে গেলো কর্ম জীবনে পথচলা.....


আমার পরিচয় এখন একজন ড্রাইভার..... 

কপাল কে মেনে নিয়ে পিছন ফিরে না তাকিয়ে,, 

কর্মকে ভালবেসে নতুন করে তৈরী করতে চেষ্টায় আছি যেনো একজন ভাল ড্রাইভার বলে আমাকে সবাই জানে....

এক বছর রেন্টেকার গাড়ি চালানোর পর .... 

ডাক পেলাম এক ইটভাটা ব্যাবসাই তার পার্সনাল প্রাইভেট কার ড্রাইভার হিসেবে.... 

ভালো বেতন নতুন গাড়ি  জেলা শহর টাংগাইল চলে আসলাম শুরু হলো শহরে জীবন..... শহরে থাকলেও প্রতি দিন গ্রামে আসতাম, কারন এখানে বস এর ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান..... 


ভালই রঙ্গীন হতে শুরু করল জীবন.... 

বস এর পার্সনাল ড্রাইভার হিসেবে ব্যাবসাইক অনেক ছোট ছোট কাজই আমাকে করতে হতো....

সেখান থেকে তাকে ফলো করে একজন ব্যাবসায়ি হওয়ার ইচ্ছ তৈরী  হয়...... 


চাকরি জীবন তেমন একটা ভালো না যেমন সুন্দর একজন ব্যাবসায়ির জীবন...


 সপ্ন দেখছি বেতনের কিছু সেভিং করছি আর কিছু সংসারের খরচ দিচ্ছি..... 

সংসারের বড় ছেলে আমি... 

নিম্ন মধ্যবিত্ব সংসার ছোট ভাই বোন এর লেখাপরা বাবার পাশাপাশি সংসারে হেল্প করা.....

কর্ম জীবন / চাকরি যেনো একটা সস্থী এনে দিয়েছে জীবনে....


ফেলে আসা ছাত্র জীবন এর জন্য যে কষ্ট তা আস্তে আস্তে সয়ে গেছে এখন কর্ম ব্যাস্ততাই.......


যাচ্ছে জীবন যাচ্ছে সুন্দর.... 

এই কম্পানীতে ২ বছরের বেশী সময় কেটে গেলো..


#হঠাৎ_একদিন....... 

১/৬/২০১২ তারিখ শুক্রবার আমার আজকে ছুটি... 

বস আর আমি টাংগাইল শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে আসছি.... 

বাড়ি এসেই আমি ছুটিতে যাবো....


হাইওয়ে ফাকা.....

সকাল ১০ টার দিকে হঠাৎ বিপরিত মুখি একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমার গাড়িকে একদম দুমরে মুচরে দিয়ে যায়....


#STOP......................

 স্টপ হেয়ে যায় আমার চলাচলের খমতা....

বস ও গুরুতর আহত হয়, আমার পা ভেংগে যায়......

 আল্লাহ্ তালার রহমতে আমরা দুজনি বেচে যাই তবে গাড়িটি একদম শেষ হয়ে যায়......


>> থেমে যায় জীবনের আনন্দ ময় পথ চলা.....

শুরু হয় দূর্বিসহ জীবন....

স্কুল জীবনের সৃতি গুলো সবে যখন ভুলতে যাচ্ছিলাম... ঠিক তখনি...


হসপিটালের ভেডে বন্ধি হয়ে গেলাম তিন মাসের জন্য.....


#শুধু_পা_ভাংলো_কি....? 

ভেংগে গেলো আমার সপ্ন, ভেংগে গেলো আমার সংসার, ছোট ভাই বোন এর লেখা পড়া....


এক মহুর্তে যেনো স্তব্ধ হয়ে গেলো পাচ জন সদস্যে একটি সাজানো গোছানো সংসার......


জমানো জত টাকা,বাবার গরু,মায়ের সেলাই মেসিনে উপার্জিত টাকা, বাড়িতে বড় বড় গাছ ছিল সব কিছু নিয়ে নিলো একটি মহুর্ত....


১ বছরে পর পর তিনটি অপারেশন... 

প্রাই ৪ লক্ষ টাকা আর তিন টি বছর আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেলো....

হারিয়ে গেলো ভাই বোন মা বাবা সকলের মুখের হাসিঁ....


মুছেগেলো জীবনের সকল সপ্ন,  কোন দিন আবার আমি হাটঁতে পারবো তাও আর ভিষ্যাস হয়নি সেই সময়....


বিছানায় শুয়ে শুয়ে মনে পরতো সেই ছাত্র জীবনের কথা আর চোখ বেয়ে অজরে পানি পরতো....


>> #মা_বাবার দোয়া, ভাই বোনের সেবা আমাকে বাচতে শিখিয়েছিল নতুন করে... আমি তখন দেখেছি..

মা-বাবা ভাই বোন কি জিনিস... আমি বিছানাই শুধু বিছানাই ছিলাম ১ বছরেরও বেশী  সময়..

খাওয়া দাওয়া গোসল, পেসাব, পাইখানা সবিছিলো বিছানা-ই...

আমি তাদের ঋণ কোন দিন সুদ করতে পারবোনা.......


যখন একটু সুস্থ হলাম স্কার্চ দিয়ে হাটতে পারি  তখন বাড়ির পাশেই বাসস্টান্ডে আমাদের একটা দোকান আছে সেখানে একটা দোকান শুরু করি.... 

মনস্থির করলাম এখানেই বাকি জীবন টা কাটিয়ে দিবো দোকান করে...


কিন্তুু ব্যাবসার তেমন টেকনিক যানা না থাকার কারনে আমি ব্যাবসাই লস করে বসি....

এদিকে আস্তে আস্তে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠি লাঠি ছারা হাটতে পারি....

এক-এ তো দোকানে লচ,সংসারের বেহাল অবস্তা,  আবার গত তিন বছর আমি পা ভেংগে বসে আছি বাবা একা আর পারছেনা আর...

একটা ডিপ্রেশনে পরে গেলাম..... 


যানা আছে শুধু একটি মাত্র কাজ তা হলো গাড়ি চালানো....


কি আর করার জীবন ও জিবিকার তাগিদে আবার সেই আগের পেশা ড্রাইভারি শুরু করা ছারা আর কোন পথ নেই 

মা- বাবা কোন মতেই আর গাড়ি চালাতে দিবে না কিন্তুু করার কিছুই নেই..........


আবার শুরু হলো ড্রাইভারি জীবন.... 

আবার শুর হলো পথ চলা তবে এবার একটু আলাদা... 

আগের মত আর এখন বারতি খরচ নেই.... 

নেই বারতি কোন আনন্দ আড্ডা শুধু কাজ আর কাজ....

চাকরির পাশাপাশি ছোট খাটো ব্যাবসা....

থাকি ঢাকাই উত্তরা বস এর ভাটায় থেকে কিছু কিছু ইট বিক্রয় করে চালান ছারা চাকরির পাশা পাশি আলাদা কিছু ইনকাম....


#লেগে থাকা শিখে গেলাম,, 

পরিস্থিতি আমাকে লেগে থাকতে শিখিয়ে দিলো....

লেগে রইলাম শক্ত আঠার মত... 

একটানা আবার পাঁচ বছর...২০১৫ থেকে ২০২০ইং...


#ইনশাল্লাহ  আমি এখন গুরে দারিয়েছি....

এই  পাচঁ বছরে আমি 

আবার বাবার গরু কিনে দিয়েছি,  বোন বিয়ে দিয়েছি বর্তমানে সে অনার্স তৃতীয় বর্সে, ছোট ভাই এবার sscপাশ করলো...  এর মধ্যে আল্লাহ্ তালার রহমতে আমি বিয়ে করেছি...

এক খন্ড জমি কিনেছি যার মুল্য ৪ লক্ষ টাকা এখানে এখন  একটি সবজি খামার গড়ে তুলেছি.. যা বাবা পরিচালনা করছে...

একটি দোকান ঘড় দিয়েছি...

এখন আমি আমার চাকরির  পাশাপাশি সংসার থেকে প্রতি মাসে আয় করতে পারি সংসারের চাহিদা মিটিয়ে... ৭-৮ হাজার টাকা আগামী এক বছর পর তা দুই গুন হবে ইনশাল্লাহ.... 

চাকরি করে টাকা সেভিং করছি আমার সপ্ন বাস্তবায়ন করতে.....


একটা সময় সব হারিয়ে হতাশ হয়ে পরেছিলাম... 

এখন আবার সব ইনশাল্লাহ... 

ফিরে পেয়েছি আত্তভিষ্যাস ও লেগে ছিলাম শক্ত আঠার মত.... 


এখন এই প্লাটফর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার দোকান চালু করেছি বাবা সবজী খেতের পাশাপাশি দোকান করে...

এখন আর লস হচ্ছে না.... 


এখন আবার নতুন করে সপ্ন  দেখছি নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরী  করার.... 


আমি গুরে দারাতে পেরেছি  ইনশাল্লাহ..... 

২০১২ সালে যদি এই প্লাটফর্ম পেতাম হয়তো আজ আমি একজন সফল উদ্দোক্তা থাকতাম.....


ইনশাল্লাহ  অতি তারাতারি আমার সফলতার গল্প হবে আমি ভিশ্যাস করি....


আমি জয় করেছি...

একটি দূর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না কে...


আমি শিখেছি কিভাবে ঘুরে দারাতে হয়....



স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -২৭৩

০৮-০৭-২০২০



>মোঃজহির ইসলাম... 

>>কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার..

>>টাংগাইল ডিষ্টিক.... 

>>ব্যাচঃ৭ম/ রেজিঃ৩৩৬১..... 

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।