অনেক সপ্ন বুকে নিয়ে প্রবাসী হলাম
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওরহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
সকল প্রশংসা জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহ পাকের প্রতি, যিনি আমাকে দয়া করে মায়া করে আপনাদের সকলের ভালোবাসার সান্নিধ্য পেয়ে ভালো মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করেছেন।
আমি আজীবনের কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও নিরন্তর ও দোয়া কামনা করছি আমার প্রিয় মেন্টর -- জনাব-- ইকবাল-- বাহার জাহিদ-- স্যার এর প্রতি। যিনি আমাকে নিজ পরিবারের পরেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও বৃহৎ পরিবার একটি পরিবার উপহার দিয়েছেন।
একজন ইকবাল__ বাহার জাহিদ__ স্যারের প্রতিটি কথা, প্রতিটি বানী যেন প্রতি মুহুর্তে অন্তরের নাড়া দিয়ে যায়।নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন _পেয়ে আমি খুবই গর্বিত এবং আনন্দিত।প্রতিনিয়ত এখান থেকে আমি শিক্ষা নিচ্ছি। স্যার এর প্রতিটা সেশন স্যারের মনের কথা,যেটা স্যার আমাদের সেশন আকারে দিয়ে থাকেন,দিক নির্দেশনা এবং অনুপ্ররেণা হিসাবে।স্যারের কথাগুলো শুনলে মনে সাহস পাই।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার অনূভুতি আমার___
......৬00_তম _দিনের_ স্ট্যাটাস_ অব_ দ্যা_ ডে_ এর_ অনুভূতি।........
এই প্ল্যাটফর্মের ভাই ও আপুরা আমাকে একটি নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন,কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হিসাবে। অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় ভাই,আপুদের।আমার দায়িত্ব আমি সততার সাথে পালন করবো ইনশাআল্লাহ্।আমার অনূভুতি প্রকাশ করার মতো নয়।আমি খুবই আনন্দিত আমি চির কৃতজ্ঞ সকলের কাছে।ভালবাসার বন্ধনে সারাজীবন সকলের সাথে থাকতে চাই সকলের দোয়া চাই।আরো ভালো কিছু করতে পারবো সকলের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।আর সকলে আমার পাশে থেকে আমাকে সাহায্য করবেন সেই আশা করি সকলের কাছে।
___কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হওয়ার স্বপ্ন---
আস্তে আস্তে জানতে পারলাম গ্রুপের নিয়ম নীতি সম্বন্ধে। ভাইয়া আপুদের নামের পাশে বিভিন্ন পদবী দেখে আমারও আগ্রহ জাগতো আমাকেও কোনো একটা পদবী পেতে হবে।কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হতে হবে আমাকে। খোঁজ করতে লাগলাম,কিভাবে কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হওয়া যায়।একদিন দেখলাম স্যারের ৫ টি, সেশন ভিত্তিক কুইজের সঠিক উত্তরদাতাদের মধ্য থেকে লটারীর মাধ্যমে তিনজনকে কমিউনিটি ভলান্টিয়ার করা হয়।কুইজে অংশ নিলাম। ভাবলাম এটাতো ভাগ্যের ব্যাপার! দেখি, বিকল্প কোনো পথ আছে কিনা দুর্ভাগ্য হলো না,আবার নতুন ভাবনার অনুসন্ধান,কিভাবে কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হওয়া যায় কি কি মাধ্যম,শুরু হলো সন্ধান মিশন,প্রতিদিনের লিখতে লাগলাম একটি দুইটি করে পোস্ট,
এরপর শুরু হলো নতুন পথ চলা কমিউনিটি ভলান্টিয়ার মানেই আমাদের স্যার বলেন গ্রুপের প্রাণ এবং কমিউনিটি ভলেন্টিয়ারদের স্যার মাঝমাঠের খেলোয়ার বলেও আখ্যায়িত করেন। ভলেন্টিয়ারী কাজ করতে বরাবরই আমার খুবই ভালো লাগে। এভাবে আস্তে আস্তে গ্রুপের প্রতি আরো বেশি ভালোলাগা তৈরি হয় লেখার অভ্যাস টা অব্যাহত রাখি,,আপনারা অনেকেই অনেক বার হয়ত হয়েছেন।আবার কেউ কেউ হওয়ার জন্য লেখার চেষ্টা করছেন। আসলে আমাদের স্যারের লক্ষ্য আমাদের ভেতরের প্রতিভাকে বের করে নিয়ে আসা।এখান থেকে কেউ কেউ হবেন পেশাদার কনটেন্ট রাইটার,,তাই এই অসাধারণ সুযোগ আমি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। আপনারা সব সময় আমার লেখা গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন উৎসাহ দিয়েছেন সেই জন্য আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
আমার লেখাগুলো থেকে কেউ যদি একটুও অনুপ্রাণিত হয়ে থাকে উপকৃত হয়ে থাকে বা কোন শিক্ষনীয় কিছু গ্রহণ করে থাকে তাহলে আমার লেখাগুলো সার্থকতা খুঁজে পাবে।সেইসাথে আমি আমার সুখ দুঃখ কষ্ট বেদনা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরেছি এবং এখনো পাচ্ছি এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।সব সময় হতাশা দুঃখ কষ্ট নিয়ে পড়ে থাকা আমি একজন মানুষ।আপনাদের সাথে হাসিখুশি আনন্দে কাটাতে পারছি এটা আমার কাছে অনেক বড় প্রাপ্তি।
প্রথমবার স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে
হওয়া কতটা যে আনন্দের তা বাসায় লিখে কাউকে বোঝানো যাবে না কিছু কিছু অনুভূতি আছে শুধু অনুভব করা যায়।কিছু কিছু অনুভূতি সেই খুশির মুহূর্ত গুলো কোন লেখার ভাষায় তুলে ধরা যায়না যারা যারা স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে হয়েছে তারাই বুঝবেন এই অনুভূতিগুলো কতটা আনন্দ ময় মুহূর্ত স্ট্যাটাস লেখার জন্য পুরোনো দিনের অনেক স্মৃতি কে সামনে তুলে ধরতে হয়। কখন যে মনের অজান্তে দু চোখের অশ্রুস্রোত বেয়ে বেয়ে পড়তে থাকে লিখতে গিয়ে কতো যে কেদেছি তা কাউকে বোঝাতে পারবো না।যখন লেখি মনে মনে ভাবি আসলে জীবনে অনেক কথায় অপ্রকাশিত,ছিল যা কখনো কাউকে বলতে পারিনি আমার লেখাগুলো আপনারা নিয়মিত কষ্ট করে পড়েছেন,আমাদেরকে স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে নির্বাচন করেছেন। নির্বাচন কমিটি যাদের অক্লান্ত পরিশ্রম দ্বারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন
তাদের প্রতি আমরা চির কৃতজ্ঞ।
সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে এটা ভেবে ৬৪ জেলার লোক আমার লেখাটা পড়ে শুধু তাই নয় বিশ্বে ৫০ টি দেশের হাজার হাজার প্রবাসী ভাই ও বোনেরা আমার লেখা পড়ে অনেকটা অনুভূতি প্রকাশ করে, আমাকে উৎসাহ আনন্দ দেয়।দিন শেষে যখন স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে প্রকাশিত হয় এটা যে কত আনন্দের কত অনুভূতিময় সেটা বলার ভাষা রাখে না।
ইনশাআল্লাহ ৬০০ দিন যারা কষ্টউদযাপন করেছেন কে জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা।
ঠিক তেমনটাই মনে আজ ৬০০ তম দিনে অন্যের কিছু অনুভূতি শেয়ার করবো যারা আমার আবেগে স্পর্শ করেছে।কেউ কেউ যখন প্রথমবারের মতো স্ট্যাটাস দ্যা ডে
নির্বাচিত হয় তারপরে ফোন করে বলে ভাইয়া আমার আজকের বিজয়ের খবরটা শুনেছেন?
আজকে আমি অনেক হ্যাপি অনেক আনন্দিত অনেক এক্সাইটেড কারণ আমি আজকে স্টাটাস অফ দ্যা ডে নির্বাচিত হয়েছি সেই সাথে সাথে আমি একজন কমিউনিটি ভলান্টিয়ার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছি।আবার অনেকে মাসে আপডেট করে প্রিয় ভাই আমি তো আজকে এই মাসের সেরা স্ট্যাটাস অফ দ্য ডে হোল্ডার নির্বাচিত হয়েছি আসলে আমার ভিতরে লুকিয়ে থাকা যে প্রতিভা আছে তাকে আমি বের করতে সক্ষম হয়েছি আমার সক্ষমতা দেখে আমি এত বেশি আনন্দিত যে আমি মুখে বলে বোঝানোর ভাষা নাই
শুধুমাত্র যদি কলমের কালিতে লিখতে গেলেও একটি ছোট্ট বই রচিত হবে তবে মনের আবেগ প্রকাশ করা যাবে না।
সপ্ন এবং ভাবনা গুলো__
সপ্নতো সবসময় দেখেছি এবং দেখছি আর এটা সকলেই দেখে।কিন্তু সপ্ন গুলো পুরন করার সাহস টা আমার ছিলোনা।ভাবতাম কি করে সপ্ন গুলো পুরন করবো। অনেক কিছুই ভেবেছিলাম কিন্তুু ভয় ছিলো পারবো কিনা?হবেকিনা?সপ্নগুলো সবসময় ভাবনা হয়ে মনের মাঝে ছিলো।
অনেক সপ্ন বুকে নিয়ে প্রবাসী হলাম কিন্তুু একটার পর একটা বিপদের সম্মুখিন হয়ে নিজেকে একজন ব্যর্থ মানুষ ভেবে নিয়েছিলাম।হতাশা নিয়ে রাতের পর রাত পার করে দিয়েছি।পরিবারের দায়িত্ব আমার উপর থাকার কারনে তবুও চেষ্টা প্রতিনিয়ত পরিবার কে ভালোরাখার তাইতো সপ্ন এখনো দেখি আর পথ খুজি এগিয়ে যাওয়ার।
প্রিয় ফাউন্ডেশন এর কারণে আমি বাংলায় লেখালেখি করার অভ্যাস জাগ্রত করি নিজের মনের ভেতর একটা সময় ছিল প্রতিদিন একটা করে মন খুলে মনের আবেগ জড়িয়ে স্টাটাস না লিখলে মনে হতো যেন আজকের দিনে আমি কিছুই করিনি আজও মনে হয় এমন কিছু করা আমার খুব দরকার কিন্তু বাস্তবতার কাছে হেরে যায় প্রতিদিন আমি। বর্তমানে বিভিন্ন চারপাশে কাজকর্মের ভরা ডুবিতে আমি তেমন করে লেখার সুযোগ করে নিতে পারিনা কিন্তু এতে নিজের মনের ভিতর এক প্রকার চাপা কষ্টের জন্ম নেয় যার কারণে কেন আমি পারিনা?
তারপরও সবার স্ট্যাটাস গুলো পড়ে নিজের মনটাকে ফ্রেশ করি আর যখনই সময় পাই একটু একটু করে লেখা লিখতে চেষ্টা করি।
প্রবাস জীবনে বসে মানুষ পড়ার সময় পাই না সেখানে লেখালেখি অনেক দূরের কথা থাকে আর এই হাজার ব্যস্ততার মধ্যে লেখালেখির অভ্যাস গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে শুধুমাত্র এই স্ট্যাটাস দ্যা ডে পদক্ষেপের মাধ্যমে। নিজেকে ব্রান্ডিং করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে.......
একজন ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার সেই মানুষ যিনি আমাদের সপ্ন পূরনের পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন।প্রিয় পরিবারে যুক্ত হয়ে আমি খুবই আনন্দিত।আমার অসম্পূর্ন সপ্নগুলো পূরন করতে শুরু করেছি।স্যারের অনুপ্ররেণা নিয়ে আমি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।এইপ্লাট ফর্মের সকল ভাই বোনেরা খুবই ভালো মানুষ।ভালো মানুষের প্লাট ফর্ম থেকে ভালো শিক্ষা নিচ্ছি
ধন্যবাদন্তে
মোহাম্মদ মেহেদী হাসান
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার /টপ টেন ক্লাব সদস্য
১২তম/৪৮১১৯
মানিকগঞ্জের মানিক
লেবানন প্রবাসী
ফাউন্ডারঃএমএফ ফ্যাশন স্টোর এন্ড টেলিকম
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন