গল্পের জীবন নয় জীবনের গল্প তৈরি করতে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম।
আমি একজন ভিন্নধর্মী উদ্দোগতা,
*গল্পের জীবন নয় জীবনের গল্প তৈরি করতে চাই*
প্রান প্রিয় ভাই বোন বন্ধু সহকর্মী শুভাকাঙ্ক্ষী
আশা করি আপনারা সবাই অনেক বেশি ভালো আছেন।
শুরুতেই মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। এই করোনা পরিস্থিতিতে আমাকে ভালো রেখেছেন এবং আমার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আমার প্রতিষ্ঠান Sk multimedia পক্ষে থেকে সবাইকে প্রীতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা প্রকাশ করছি।
আমাদের জীবন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা শব্দ সফলতা এই সফলতা নামের সোনার হরিণ আমরা সবাই অর্জন করতে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়। শেষ হাসি তারাই হাসে যারা ধৈর্যের সাথে কঠোর পরিশ্রম করে এবং সততার সাথে লেগে থাকে।
আজ আমার প্রতিষ্ঠান sk multimedia প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই। একটু একটু করে sk multimedia এগিয়ে চলছে সফলতার স্বাদ পেতে এই চলতি পথে যারা শুরু থেকে আমার সাথে কাজ করে আসছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আপনারা অনেকেই জানেন আমি একজন ভিন্নধর্মী উদ্যোক্তা। আমি কাজ করি ইউটিউব মিডিয়া নিয়ে জীবনে স্বপ্ন দেখি একজন প্রতিষ্ঠিত ডিরেক্টর হওয়ার সাথে, কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
মানুষের জীবন কখনো কখনো নাটকের থেকে ও নাটকীয়, জীবনে কিছু ঘটনা থাকে যেটা নাটক সিনেমা কে ও হার মানায়। আমি আজ আমার জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি-
এস এ সি পাশ করে বাবা - মায়ের সপ্ন পূরণ এর জন্য শহর মুখি হই। আব্বু - আম্মুর ইচ্ছা পলিটেকনিক থেকে পাশ করে আমি একজন পলিটেকনিক ইন্জিনিয়ার হই, কিন্তু আমার উদ্যোক্তা মন ছুটে চলে ভিন্ন পথে, জড়িয়ে পড়ি মিডিয়ার সাথে - কিন্তু অনেকে আমাকে বাকা চোখে দেখতো।
বন্ধুর কাছ থেকে শিখেছিলাম ক্যামেরা কি ভাবে অন - অফ করতে হয়, সেদিন শখ করে ফেসবুকে ক্যামেরা হাতে ফটো তুলে আপলোড করি - সেটাই ছিল মূলত আমার মিডিয়াতে আসার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ক্যামেরা হাতে ঔ ছবি দেখে ১ জন - আমাকে ১ টা মিউজিক ভিডিওর কাজ দেয় - ১ জন ক্যামেরা ম্যান সহ প্রথম শুটে যাই ক্যামেরা যে চালিয়েছিল সে আর কেউ না আমারই এক জন বন্ধু, শুটিং স্পটে ও আমাকে বলে লিটন আমি যখন ভিডিও করব আমার সাথে কথা বলবি না আমার সম্মানে লাগে,
কথাটা সত্যি সেদিন আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করিয়েছিল। আরো বেস কিছু কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে যাই - মানুষ এতটা অহংকারী হতে পারে যাই হোক - ছোট কাল থেকে শেখা বা নতুন কিছু করার আগ্রহী বেশি ছিলাম - লেগে পড়ি নিজেই ক্যামেরা ম্যান হওয়ার যুদ্ধে ২য় বার আরো ১টি মিউজিক ভিডিওর কাজ পাই সেদিন কারো সাপোর্ট ছারা নিজের উপর ভরসা রেখে ক্যামেরা নিয়ে ছুটে যাই, ভয় লাগাটা স্বাভাবিক।
প্রথমবার কাজ করতে এসেছি তবে মনে ছিল পাহাড় সমান বিশ্বাস হ্যা আমি পারব আমাকে পারতে হবে - সত্যি বলতে কাজ শেষে নিজের ভিডিও দেখে নিজেই এই কাজের প্রেম এ পড়ে হয়ে গিয়েছিলাম এত সুন্দর ফুটেজ তাও প্রথম ক্যামেরা চালিয়ে - দেখা দিল ২য় বিপদ এডিট করতে পারি না - সারাদিন কস্ট করে এসে এডিট এর জন্য আরেক বন্ধুকে বললাম বড় একটি এমাউন্ট দাবি করে বসল তবু ও রাজি হলাম।
তারপর ও বেকে বসল সে সরাসরি পারব না বলে দিল - যাদের শুটিং করেছি তারা বেশ দূর থেকে আমার সাথে শহরে যায় - সেদিন এতটা অসহায় আর লজ্জা বোধ করেছি যেটা বলে বুঝানো সম্ভব না - পরের দিন এক ভাইয়া আমাকে বললো লিটন তুমি কেন?আরেক জনের পিছনে ঘুরছো ১টা কম্পিউটার কিনে এডিটিং এর একটা কোর্স করো ১৫ দিনের ভিতরে আমার বিশ্বাস ভালো কিছু তুমি করতে পারবে।
আব্বুর কাছ থেকে প্রথমে দশ হাজার টাকা নিয়েছিলাম যেটা আমার জীবনে আব্বুর হাত থেকে নেওয়া অর্থের বড় এমাউন্ট। যাই হোক আমার কিছু টাকা ছিল সব মিলিয়ে কিনে নিলাম পিসি - ১ সপ্তাহ এডিট কোর্স শেষ করলাম তখন ভাইয়া বললো এবার যারা সেদিন তোমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে - আশা করি তাদের নিয়ে ১ টেবিলে বসলে তোমাকে কোনো দিক থেকে পিছনে ফেলতে পারবে না - তখন বন্ধুর ক্যামেরা ভাড়া নিয়ে কাজ করি বেশ ভালোই চলছে সব কিছু। কিন্ত হুট করে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করে বসে ক্যামেরার মালিক সেই বন্ধু বাসা থেকে জেনে গিয়ে - আমার সেই বন্ধুকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে ক্যামেরা তার বাবা তালা মেরে রাখে পড়ে গেলাম বিপদে - তখনই আরো ১ টা ভিডিওর কাজ আসে।
অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে ডাবল ভাড়া দিয়ে বন্ধুর বাবার থেকে ক্যামেরা নিয়ে আসি, শুটিং এর কাজটা ছিল নিজ জেলা বাগেরহাটে।
বাসায় ক্যামেরা নিয়ে আসি শুরু হলো নতুন বিপদ পাড়া-প্রতিবেশী কিছু মানুষ আব্বু কে কান পড়া দিতে শুরু করল - এলাকায় তোমার কত নাম ডাক আর তোমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হতে গিয়ে পড়া লেখা বাদ দিয়ে ক্যামেরা নিয়ে ঘোরে লজ্জাজনক।
আজই ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলবে - সেদিন বাসায় ফেরার পর আব্বুর কথা শুনে বুজেছিলাম এই হয় তো শেষ বার আর কোনোদিন ক্যামেরা চালানো হবে না, আব্বু বাসায় এসে বললো এসব ক্যামেরা মিডিয়া নিয়ে আমার বাড়ি জায়গা হবে না এখনই এসব ফেলে দিয়ে আসো অথবা আমার বাড়ি ছেড়ে চলে যাও! কথাটি শুনে চোখে পানি ধরে রাখতে পারলাম না,
কান্না করছি আর ভাবছি কি করবো এতো স্বপ্ন, কষ্ট করা সবই কি শেষ হয়ে যাবে, আমার কান্না দেখে আম্মু বুকে টেনে নিয়েছিল বলেছিল মন খারাপ করিস না এসব করবি কর কিন্তু পড়াশোনা টা ঠিক রাখিস বাবা!
মাকে জড়িয়ে ধরে সেদিন খুব কেঁদে ছিলাম আর কথা দিয়েছিলাম পড়া শোনা ঠিক রাখবো, আল্লাহর রহমতে ও মায়ের দোয়ায় পলিটেকনিক ইঞ্জিনিয়ারিং কমপ্লিট করেছি।কিন্তু ওই দিনের পর শহরে গিয়ে যে আরো ভয়ানক বিপদের মুখে পড়বো তা আমার জানা ছিল না - আংকেল আর ক্যামেরাটা রাখতে চান না সেল করে দিবে শুনে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল - সেল করার জন্য এক জন কে দেখাতে নিয়ে গেল সাথে আমাকে ও ফেরার পথে বল্লাম আংকেল প্লিজ এটাকে সেল করবেন না!
আমি এটার মায়ায় পড়ে গেছি - সে জবাবে বললো তাহলে টাকাটা তাহলে তুমি দাও - পড়ে গেলাম চিন্তায় বাসায় বললে কোন ভাবেই টাকা দিবে না।ভাবলাম কি করে টাকা জোগাড় করা যায় তখন চলছিল নির্বাচন কাজ পেলাম প্রতিদিন বিকালে প্রচারনার ভিডিও করতে হবে।
নিজের জমানো কিছু টাকা ছিল আংকেল কে বললাম আংকেল এটা রাখেন আর আমাকে মাস খানেক সময় দেন - শুরু হল নির্বাচনী ভিডিও ধারন এক টানা ২-৩ ঘন্টা পিছন দিক ঘাড়ে ক্যামেরা নিয়ে দৌড়েছি সম্মানির দিতো মাত্র ৩০০ টাকা - ওই সময় গুলোতে এতটা কস্ট হত বুঝাতে পারব না - অনেক কস্টে টাকা গোছাই একদিন আংকেল কে টাকা দিতে গিয়ে দেখি আমি তখন মেসে থাকতাম টাকা গুলা উধাও চুরি হয়ে গেছে - আমার চোখ অন্ধকার দেখতে লাগলাম,
বুকটা যেন কষ্ট ফেটে যাচ্ছে যে আমার এতো কষ্টের কোন মূল্য নাই কিন্তু তবু ও হাল ছাড়ি নাই।
কারণ সপ্ন পূরনের জিদ তখন আমাকে পেয়ে বসেছে, একটা সময় আংকেল কে সব টাকা বুঝিয়ে দিয়ে ক্যামেরা টি নিজের করে নিয়েছি কিন্তু এর মাঝে আমার জীবন এ আসে আরো বড় ধাক্কা, আমার ইউটিউব চ্যানেল Sk multimedia ইউটিউব কতৃপক্ষ বন্ধ কর দেয় মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো! পায়ের তলার মাঠি যেন সরে যাচ্ছে কিন্তু আমার হার না মানা মনের সাহস ও মায়ের দোয়াতে আবার সপ্ন দেখা শুরু করি।আমার ২য় চ্যানেল Sk multimedia নিয়ে।আবার নতুন সপ্ন নিয়ে জিরো থেকে একটা নতুন চ্যানেল এর যাত্রা শুরু হলো।
কিন্তু দেখা দিল নতুন প্রলয় কম্পিউটার কেনার ১ মাস যেতে না যেতে পিসি নস্ট হয়ে গেলো - এবার? মনে হচ্ছিল চার পাশটা অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে - মিডিয়ার কাজের জন্য বাসা থেকে কোনো সহায়তা পাবো না সেই ভয়ে বাসায় কিছু বলি না!
রাত হলে একা একা রাত জেগে কেদে বালিস ভিজে এভাবেই চলছিলো কিছু দিন - হুট করে কলেজের এক জন স্যার জিনি আমার ডিপার্টমেন্ট এর ছিলেন না তবে সম্পক ভালো ছিল তিনি কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট এর - তিনি বললো বাসায় কম্পিউটার নিয়ে এসো দেখি কি করা যায় - সব কিছু চেক করে বললো লিটন পৃথিবীর মানুষ গুলো বরং স্বার্থপর তোমাকে পুরা ঠকিয়েছে গেলো ২০ হাজার টাকার পিসি - বললো আমার এখান থেকে পিসি নিয়ে যাও - প্রতিষ্ঠিত হও তারপর কিনে আমাকে ব্যাক দিও - স্যারের কথায় ভরসা পেলাম।
লেগে পড়লাম কাজে - পৃথিবীর সেই ছাত্র বড় ভাগ্যবান যার পড়াশোনার পরে ও শিক্ষক কে স্বপ্ন পূরনে পাশে পায় - গল্পটা এখানে শেষ হলে ভালো হতো কলেজে এক জনের সাথে পরিচয় হয় তিনি পত্রিকা সাংবাদিক তবে বন্ধু বলে ডাকত তার মাধ্যমে পরিচয় হয় এক ভাইয়ের সাথে অন লাইন নিউজ সাইড নিয়ে কাজ করবে কথা শুনে ভালো মানুষ মনে হতো - ১ দিন কল করে বললো লিটন অফিস নিয়েছি ক্যামেরা নাই স্টুডিও করেছি কিছু বিজ্ঞাপন এর কাজ পেয়েছি তো তারা আসবে তোমার তো ক্যামেরা লাগতেছে না! এখানে থাকলে কাজ হতো আর সামনের মাস থেকে তুই এই অফিস জব করবি - দিয়ে আসলাম ক্যামেরা তখন ক্যামেরাতে ১ টু সমস্যা দেখা দেয়!
সেই সুযোগটা তিনি কাজে লাগান বলে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঠিক করিয়েছি মাদারবোর্ড নস্ট হয়ে গেছে আরো অনেক কিছু - তার আগে তার প্রায় নগদ ৩ লাখ টাকা আরো লাখ ২ এর মাল জিনিস আমি বাঁচিয়ে দেই সে যে অন লাইন সাইড কেনে সেটা অন্য কারো নামে ছিল তার নামে বদল হয়নি ২ দিন পরে অফিসের মাল জিনিস ও আগের অন লাইন চ্যানেল এর মালিক নিয়ে নিত আমি তাকে বলার পরে সে খোজ নিয়ে দেখল, সত্যি চ্যানেল তার নামে নাই অফিস ও না পরে সব ঠিক করল -
কিন্তু বিনিমেয় সে আমার ৭০ হাজার টাকার ক্যামেরা সার্ভিস এর কথা বলে নিজের করে নিল বললো ২০ হাজার খরচ করছি - সেদিন বুজেছিলাম উপকার করলে তার প্রতিদান মানুষ সুযোগ পেলে এই ভাবে দেয় - মাস খানিক তার ওখানে জব করলাম তার ভিতর বসের বউয়ের কাছ থেকে জানতে পারলাম সে এক জন বাজে লোক ঠকিয়ে বেরায়! সবাই কে
আমাকে ও ফাদে ফেলার চেস্টা করছে ক্যামেরা সার্ভিস করতে মাত্র ৩ হাজার খরচ হয়েছে - সেদিন সিদ্ধান নেই এখানে আর এক মূহুর্ত থাকব না - তবে ক্যামেরা নিয়ে তারপর যাবো মাস শেষে - কোনো এক কাজের কথা বলে ক্যামেরা নিয়ে বাসায় চলে যাই।
১ মাস ১৫ দিন হয়ে গেছে বেতন দিল না - পরবতীতে ১ জনের মাধ্যমে সমাধানে আসেন তিনি সে আমার বেতন কেটে নিবে আমি ও আর তার ওখানে যাবো না বা ক্যামেরা দিব না - ক্যামেরা টা বড় সাংবাদিকরা যে ক্যামেরা ব্যবহার করে সেই ধরনের ক্যামেরা তবে সব সময় মানুষের বিপদে পাশে থাকার চেস্টা করেছি বা করে যাচ্ছি - জীবনে বাধা বিপত্তি খারাপ সময় আসবে তার মানে এই না হার মানতে হবে মনে মনে একটা কথাই ভেবেছি পড়ে গেলে নিজেকেই আবার উঠে দাড়াতে হবে - লেগে থাকতে হবে তবেই সফলতা আসবে - যদি কখনো প্রচুর খারাপ লাগে বা কস্ট হতো রাতে আধারে কাদতাম প্রকাশ্যে কাউকে বুঝতে দিতাম না!
এভাবে ছোট ছোট কাজ করে যাচ্ছি মিডিয়াতে পাশাপাশি অন লাইনে কাজ করি তার ভিতর ডিপ্লোমা শেষ করি - youtube নিয়ে কাজ শুরু করি পাশাপাশি জরিয়ে পড়ি সেচ্ছাসেবী হিসাবে সামাজিক কাজে - রক্তদান- সহ সকল ধরনের প্রশিক্ষণ নেই কাজ ও করি - মিডিয়া নিয়ে কাজ করার সুবাদে অনেক মানুষের উপকার করার সুযোগ হয় একদিন এক অপরিচিত ভাই এর বাচ্চা হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারতেছিল না খুবই পেরেশানী দেখেছিলাম পরে তার কথা শুনলাম ঠিক তখনই ঔ হাসপাতাল এর একজন ডাক্তার এর জন্মদিন ভিডিও শুট করছিলাম! তাকে রিকোয়েস্ট করে ভর্তি এবং বেড এর ব্যবস্তা করে দিয়েছি মনে মনে খুবই ভালো লেগেছিলো মিডিয়ার কাজ তখন না করলে হয়তো এই কাজটা করার সুযোগ হতো না!
এমনো হয়েছে গ্রাম থেকে কেউ শহরে গেলে ব্লাড লাগলে মেনেজ করে দিতাম- তারপর থেকে কি হলো জানি না আব্বু আর ক্যামেরা হাতে দেখলে কিছু বলে না - তবে সব থেকে বড় ঘটনা বলতে ভুলে গেছি যারা মিডিয়া নিয়ে কাজ করতাম বলে অপমান করত - তারা এখন বলে লিটন ভাই আমি অভিয়ন করতে চাই তবে মেইন ক্যারেক্টারে - আমি ও মুচকি হাসি দিয়ে মাথা নাড়াই আর বলি হ্যা অবশ্যই। আমার youtube চ্যানেলটা আজ ২২ হাজার + সাবস্কাইব ক্যামেরা ১ টা থেকে ২ টা হয়েছে শূন্য হাতে শুরু করেছিলাম লাখ লাখ টাকার ডিভাইস আমার কম্পিউটার সেই ১ টা কিন্তু আজও রেখে দিয়েছি নতুন ১ টা কিনেছি তবে সেই পুরানো ক্যামেরার আর কম্পিউটার আজ ও রেখে দিয়েছি।
আমি ১টা বিষয় খুবই মানি খারাপ সময় যে আমার পাশে থাকবে সু-সময় তাদের পাশে রাখা আমার দায়িত্ব - সেই ক্যামেরাটা আমার কেনা দামের ডাবল দিয়ে অনেকে নিতে এখন ও চায় প্রতিবারই ১ টাই শব্দ সরি সেল করব না- নিজের থেকে বেসি যত্ন ওদের করি ওরা আমার ভালো থাকা না থাকার কারন - তবে হ্যা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ কিন্তু করেছি তবে জবের পিছনে ছুটি নাই - স্বপ্ন উদ্যোক্তা হবো।
এক ভাই এর মাধ্যমে জয়েন্ট করি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এ এখানে জয়েন্ট করে দেখতে পেয়েছিলাম সেই সব ভাই বোন দের যারা প্রকিত পক্ষে ভালো মানুষ তারা সপ্নের পিছনে ছুটে তাদের অনেক কে দেখে আমি আরো অনুপ্রাণিত হই এই সুবিশাল পরিবার পেয়ে আমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার চেষ্টা চালিয়ে যাই এবং ১২ তম ব্যাচ এর প্রতিটা সেশন নিজের জীবনে লালন করি। পরবর্তীতে ১৩ তম ব্যাচ ও ধারাবাহিক ভাবে সেশন চর্চা করি এবং আলহামদুলিল্লাহ। আমার ভিতরে অনেক পরিবর্তন উপলব্ধি করতে পারি নিজের পিছনের ভুল গুলো শুর্ধে প্রচন্ড ভাবে লেগে থাকা শিখে গিয়েছি। এবং আমার কাজ এর প্রেম এ পড়ে গিয়েছি পরবর্তীতে বাগেরহাট জেলা টিমের সাথে পরিচয় হয় সবাই খুবই আন্তরিক আমার কাজ এর কথা শুনে সবাই খুবই খুশি হয়েছিলো। এবং তাদের অনুপ্রেরণায় তৈরি করি #_সফলতা নামের নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন নিয়ে একটা সর্টফ্লিম যা দেখে নাকি আমাদের সবার প্রিয় অভিভাবক প্রিয় মেন্টর
#__ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যার মুচকি হেসে বলেছেন একদিন আমাদের ফাউন্ডেশন থেকে বড় বড় ডিরেক্টর ও তৈরি হবে #__পুতুল_পাঠক দাদার মুখে শোনা, স্যার এর এই মুচকি হাসি ও ডিরেক্টর হবো বলা কথাটি আমার জীবন চলার পথে অন্যতম অনুপ্রেরণা যোগায় সফলতা সর্টফ্লিম টি Sk multimedia তে পাওয়া পাওয়া যাচ্ছে।
আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন আব্বু - আম্মুর সাথে যেন থাকতে পারি সারা জীবন তাই গ্রামেই সেটেল হয়েছি - চাকরি করব না চাকরি দিব - ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের অনুপ্রাণায় ভালো মানুষ হওয়ার চেস্টা করে যাচ্ছি - বাগেরহাট জেলার দায়িত্বে থাকা ২ সফল এম্বাসেডর দেবাশিষ প্রিতম & শেখ আমিন ভাই সহো উপোজেলা এম্বাসেডর নজরুল ভাই ছাড়া ও অনেক ভালো মানুষের ছায়া তলে আছি - মিজান ভাই,জাহিদ ভাই, পলাস ভাই, রিম্পা আপু, রেশমা আপু, মেঘলা সুলতানা গাজী রতনা আপুর শুভ সকাল মেসেজে মন আমার খুশিতে ভড়ে ওঠে - ত্রিপ্তি দিদির গহনার শব্দে মন আমার আনচান করে - সবাই দোয়া করবেন আমাদের এই ভালোবাসার পরিবার এর জন্য - নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন বাগেরহাট জেলা পরিবারের জন্য।
♥️সবশেষে বলতে চাই জীবনের উত্থান পতনের গল্প টি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম কারণ আমার নিজের পরিবারের পাশাপাশি আপনারা আমার অন্য একটা পরিবার, নিজের বলার মতো গল্প পরিবার। আমার লিখায় কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন এবং আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, যেন একজন ভালো মানুষ হয়ে, আব্বু আম্মুর সেবা করতে পারি, দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু করতে পারি,সর্বোপারি একজন সফল ও ভালো মানুষ যেন হতে পারি।♥️
মোঃ লিটন শেখ
ব্যাচঃ ১২
রেজিঃ ৩৯১৯৬
জেলাঃ বাগেরহাট