উদ্যোগের গল্প
তুহিন খোরশেদ
ব্যাচঃ ৮ম
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারঃ ৬৮২৬
জেলাঃ চট্টগ্রাম
উদ্যোগের গল্প | পর্ব:০১
আজকে আমার প্রথম উদ্যোগের গল্প শোনাবো।
তখন ক্লাস এইটের স্টুডেন্ট ছিলাম। গ্রামের বাজারের একটা দোকানে রেগুলার মোবাইল রিচার্জ করার মারফত দোকানদারের সাথে ভালো সম্পর্ক হয়েছিলো।।
একদিন বাজারে আগুণ লাগে। অনেকগুলো দোকানের সাথে সাথে ওই দোকানটা ও পুড়ে যায়। তারপর দোকানদারের কান্না দেখে খুব মন খারাপ হলো।
ভাবলাম কি করা যায়। ওনার সাথে কথা বললাম কদিন পর। উনি আবার শুরু করতে চাচ্ছেন, কিন্তু টাকা নেই।
আমার কাছেও টাকা নেই। তারপর আলোচনা করে ঠিক করলাম দুজন ১০ হাজার করে দিয়ে আবার স্টার্ট করবো। যেই ভাবা সেই কাজ। মা কে বললাম। মায়ের হাতে জমানো টাকা ছিলো ৭৮০০৳ বাকিটা ধার করে আমার হাতে তুলে দিলো। আমিও কোনো কিছু না ভেবে দোকানদারের হাতে দিলম। কদিন ভালোই চলছিলো। কোনো লাভ নিচ্ছিনা আমি।
হঠাৎ একদিন দেখি দোকান বন্ধ। ফোন করলাম আর বললো যে সমস্যা আছে, পরে খুলবে। এভাবে ১০-১২ দিন অফ। তারপর খোঁজ নিয়ে দেখলাম যে সেই ছেলেটা বাটপার ছিলো। আমি ওর বাড়ি চিনতাম না। পরে বাড়িতেও খোঁজ নিয়েছিলাম। অনেক চেষ্টার পর তাকে পেলাম। কিন্তু সে বললো যে, আমি নাকি ৫ হাজার নিয়ে আসছি। বাকি ৫ হাজার পরে দেবে। যেহেতু কোনে প্রমাণ ছিলোনা হাতে, তাই কোনো একশন নিতে পারিনি।
মামা ছিলো সাথে। মামা বললো যে, থাক আর টাকা দিতে হবেনা। তারপর মন খারাপের ঘরে ফেরা। নিম্ন মাধ্যমিক না পেরোনো আমি সেদিন ১০,০০০৳ এর বিনিময়ে যে শিক্ষা পেয়েছিলাম, সেটা আজ পর্যন্ত কোনো ইন্সটিটিউট এ পাইনি।
কিন্তু নিজে কিছু করার বাসনা তখনও জ্বল জ্বল করছিলো। তাই সাময়িক ভাবে চুপ থাকলেও পিছে ফিরে তাকাইনি।
আর এভাবেই আমার প্রথম ব্যাবসায় উদ্যোগ ভেস্তে যায় পুরোপুরি😓।
দ্বিতীয় গল্পটা আরেকদিন শোনাবো।
কাজ করছি বাগান এবং সৌখিন সামগ্রী নিয়ে।
Green Messenger এর আঙ্গিনায়।
মডেল: আমার এসিস্ট্যান্ট ভাগ্নি "আবিদা"😍