প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার গল্প
আমি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত আছি প্রায় শুরু থেকে।সেই থেকে স্যারের পোস্ট গুলো পড়তে থাকি অসাধারণ সেশন পোস্ট যা আমার জীবন কে পাল্টে দিয়েছে। এই প্লাটফর্মের প্রতি দিন ভালবাসা বাড়তেই লাগলো। স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে এর পোস্ট গুলি পড়ি অসাধারণ সেরা লেখা গুলো। সেখান থেকেও অনেক শিক্ষা পাচ্ছি। এতো সুন্দর একটি প্লাটফর্ম আমার জীবনে আর একটিও দেখিনি। যেখানে বিনামূল্যে শুধু শিক্ষা আর শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। এই প্লাটফর্মে প্রতিটা মানুষেই আমার দেখা সেরা মানবিক এবং ভালো মানুষ। আমি যখন রেজিষ্ট্রেশন করিনি তখন শুধু স্যারের পোস্ট গুলো পড়তাম এবং স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে পোস্ট গুলো পড়তাম।এভাবেই চলছে দিনকাল।২০২০ সালের জুলাই মাসে হটাৎ একদিন বরিশালের সাইফুল৩৯ ভাইয়ার পোস্টে দেখতে পেলাম রেজিষ্ট্রেশন রেজিষ্ট্রেশন রেজিষ্ট্রেশন চলছে।তখন আমি উনাকে নক করি। কিসের রেজিষ্ট্রেশন ভাইয়া। তখন উনি বললো আমাদের এই প্লাটফর্মে আজীবন সদস্য হতে এবং পোস্ট করতে হলে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০২০ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত যুক্ত আছি। কিন্তু তখনো রেজিষ্ট্রেশন করিনি। আর রেজিষ্ট্রেশন করবো কিভাবে আমিতো জানতামেই না রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। যাই হোক সে দিন সাইফুল৩৯ ভাইয়ার কাছ থেকে সব জেনে রেজিষ্ট্রেশন করে নিলাম ১১ তম ব্যাচে। আলহামদুলিল্লাহ। আজ আমি একজন আজীবন গর্বিত সদস্য।আমি তখন ঢাকায় বসবাস করি ধানমন্ডি এলাকায়। কিন্তু কিভাবে মেসেঞ্জারে এড হতে পারি কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এভাবেই চলতে থাকলো বেশ কিছু দিন।
অক্টোবরের শেষের দিকে ময়মনসিংহ আসি কাজিন ছোট বোনের হাত ভাংগার কারনে।তখন প্লাটফর্মে ময়মনসিংহের কিছু আপুর সাথে যোগাযোগ করি। কিন্তু খুবই ভয়ে ছিলাম আপু বা ভাইয়ারা যদি কিছু মনে করে। কিন্তু তারা এতোটা অমায়িক এবং ভালো মানুষ এই প্লাটফর্মে যুক্ত না হলে কখনোই বুঝতে পারতাম না।কিছু দিন পর আমাকে ময়মনসিংহ জেলা মেসেঞ্জারে এড করা হয় ।তখন মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আরও অনেকের সাথে পরিচিত হই।আমার নিজ জেলার কিছু ভালো মানুষের সাথে পরিচিত হলাম।আলহামদুলিল্লাহ। তখন থেকে আরও বেশি ভালো লাগতে শুরু করলো এবং রোজার ঈদের আগে মিটআপ এ অংশগ্রহন করি এবং রোজার সামাজিক কাজে যুক্ত হই। কিন্তু পারিবারিক সমস্যায় ঈদ মিট আপে অংশ নিতে পারিনি।
বর্তমানে স্বামীর কর্মস্থল হবিগঞ্জ জেলায়।এই সুবাদে হবিগঞ্জ সদরে আমাদের বাসা নেওয়া হয়েছে। হবিগঞ্জ এসেছি মাত্র দুই মাস। এসেই হবিগঞ্জের আমাদের প্রিয় প্লাটফর্ম ’নিজের বলার মতো একটি গল্প’ ফাউন্ডেশনের সকলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি।প্লাটফর্ম থেকে খুজে খুজে কয়েকজনকে ম্যাসেজ দেই। কিন্তু খুব ভয়ে ভয়ে থাকি যদি আমাকে ইগনোর করে। অন্য জেলার বলে যদি আমার সাথে যোগাযোগ না করে বা আমাকে ম্যসেঞ্জার গ্রুপে এড না করে। তবে এই নতুন জায়গায় আমি কিভাবে আগাব। কিন্তু আমার ভয়কে ফু দিয়ে উরিয়ে দিয়ে সিংগাপুর প্রবাসী সম্মানিত মডারেটর ইয়াকুব ভাইয়া, এডভোকেট ওয়াহাব ভাই, উজ্জ্বল রায়হান ভাই, মাহবুব মান্নান ভাই আমাকে হবিগঞ্জ মেসেঞ্জারে আপন করে নেয়।আপনাদের সহযোগিতা কখনো ভুলতে পারবো না। আপনাদেরকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাই না।আপনাদের সকলের জন্য অনেক দোয়া এবং শুভ কামনা। তাদের সাথে যোগাযোগ করে নিজের প্রয়োজনীয় মসলাও নিয়েছি। অর্থাৎ উদ্যোক্তা কার্যক্রমও চালু রেখেছি।এই প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে আজ আমিও উদ্যোক্তার পথে হাটছি। একদিন সফল উদ্যোক্তা হবো ইনশাআল্লাহ।
প্রতিটা সম্পর্ক হলো চারাগাছের মতো। একটি গাছের চারা লাগিয়ে ফেলে রাখলে, আপনি কখনোই এর থেকে সুফল পাবেন না। সুফল পেতে হলে আপনাকে গাছটির যত্ন করতে হবে— নিয়মিত পানি ও সার দিতে হবে, পরিচর্যা করতে হবে।
সম্পর্কও তেমন। যেকোন সম্পর্কই অলস ফেলে রাখলে মরিচা ধরে যায়। প্রতিটা সম্পর্কেরই পরিচর্যা প্রয়োজন।
ঠিক তেমনি ভাবে আমাদের স্যারের দেওয়া সেশন গুলো পরিচর্যা করার জন্যই আমাদের সম্মানিত মডারেটর জনাব ইয়াকুব ভাইয়ার উদ্যোগে হবিগঞ্জ জেলা এবং সিংগাপুর কর্তৃক পরিচালিত সেশন চর্চা করা হয়। এটা সকলের জন্যই উন্মুক্ত। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.১৫ মিনিটে শুরু হয় আর সিংগাপুর সময় রাত ৯.১৫ মিনিট। স্যারের ১৫ তম ব্যাচের ২০ নাম্বার সেশনে বলা হয়েছে। 👇👇👇
🌹স্বপ্ন দেখুন
🌹🌹সাহস করুন
🌹🌹🌹শুরু করুন
🌹🌹🌹🌹এবং লেগে থাকুন
🌹🌹🌹🌹🌹সাফল্য আসবেই
👉 ইকবাল বাহার জাহিদ 👈
আমি সেই পথেই হাটছি। ইনশাআল্লাহ একদিন আমিও উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হবো। এবং স্যার ১৫ ব্যাচের ২১ নং সেশনে বলেছেন 👇👇👇
"জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভালো মানুষ হওয়ার"
👉 ইকবাল বাহার জাহিদ 👈
আমিও বুক ফুলিয়ে বলতে পারি আমি একজন ভালো মানুষ।
ভালো মানুষ হিসেবে একজন ভালো উদ্যোক্তা হয়ে উঠবো ইনশাআল্লাহ।
এখন বলবো👇👇👇
একজন সবজি ওয়ালা এবং উদ্যোক্তা হিসেবে আমার শিক্ষা 🌹👇👇👇
দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ হিসেবে খ্যাত সিলেট বিভাগ। আবার বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট বিভাগ হিসেবেও পরিচিত সিলেট বিভাগ। এছাড়াও দেশের বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাতের বেশি বৃষ্টিপাতের অঞ্চল এই সিলেট অঞ্চল। আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় এই সিলেট বিভাগে। আর হবিগঞ্জ সিলেট বিভাগেরই একটি ছোট জেলা। তাই প্রায় প্রতিদিনই এখানে বৃষ্টি হয়। হবিগঞ্জ ছোট একটি শহর বলে এখানে অন্যন্য শহর গুলোর মতো অনেক কিছুই পাওয়া যায় না। আবার স্থানীয় নিজেদের তৈরী অনেক জিনিস পাওয়া যায়। শাক সবজি ঢাকা বা ময়মনসিংহ জেলা শহরের মতো এতো এভেলেবল পাওয়া না গেলেও টাটকা শাক সবজি পাওয়া যায়। এখানকার লোকেরা প্রায় সব সবজি রান্না করে বা র্ভতা করে শুটকি দিয়ে। শুটকির গন্ধ ছাড়া তারা কোন সবজি বা র্ভতায় টেস্ট পায় না। হবিগঞ্জ শহরেই আমার বাসা। ছোট দুইরুমের বাসাতে আমরা চারজনের বসবাস। আমি, আমার স্বামী এবং আল্লাহর মাল দুই ছেলে। তাদের নিয়েই আমার ছোট সংসার।
হবিগঞ্জ শহরের যে এলাকায় আমি থাকি প্রায় প্রতিদিনই সবজি ভ্যান আসে। আমি কোনদিন নেই, কোনদিন নেই না। আজ শুক্রবার। ঘুম থেকে উঠেই দেখলাম মুষলধারে বৃষ্টি। এতো বৃষ্টি যে ইংরেজিতে যাকে বলে কুকুর বিড়াল বৃষ্টি। আর এরকম বৃষ্টির যারা ঘুরে ঘুরে সবজি বিক্রি করে তাদের আশা করা ভুল। কারন ঢাকা বা ময়মনসিংহ জেলা শহরগুলোতে দেখেছি, হালকা বৃষ্টি বা মেঘলাদিনে তাদের খুজে পাওয়া যায় না। কিন্তু আমাকে সর্ম্পুন ভুল প্রমানিত করে দিয়ে এই মুষলধারে বৃষ্টির ভেতর আজ সবজি ভ্যান আসে। সাথে একজন শাকওয়ালাও আসে। বৃষ্টির মধ্যে রেইনকোট পরে ভ্যান চালিয়ে সবজি বিক্রি করছে সবজিওয়ালা। ঢেঢ়স, লেবু কাচামরিচ, লাউ, কুমড়ো, ইলশাকচু, চিচিঙ্গা ইত্যাদি সবজির পরসা সাজিয়ে রেইন কোট পরে সবজি ভ্যান নিয়ে সবজিওয়ালার আগমন। আর শাকওয়ালা পুইশাক, আর কি যেন শাক নিয়ে সে এসেছে। বৃষ্টিতে ভিজে শাক পচে যেতে পারে বলে বড় কচুপাতা দিয়ে শাকগুলো ঢেকে রাখা হয়েছে তার ঝুড়িতে। আমার বাসার জানালা দিয়ে কচুপাতা দেখে কচুশাক নিব চিন্তা করলাম। তাই ঘর থেকে বের হয়ে মেইন গেটে দাড়িয়ে কচুশাক খুজছিলাম শাকওয়ালার কাছে। কিন্তু তার কাছে কচু শাক নেই। আবার সবজিওয়ালার কাছে ইলশা কচু আছে কোন শাক নেই। শাকওয়ালা বৃষ্টির মধ্যে ঘুরে ঘুরে শাক বিক্রি করবে না তাই সবজিওয়ালার কাছে কেনা মুল্যে বাকি শাক গুলো বিক্রি করে দিয়ে চলে গেল। কচুশাক নেই তাই আমিও ঘরে চলে এলাম।
আমার বাসাটা রাস্তার উপর। দুই রুমের ছোট বাসা। ড্রইংরুমের জানালা দিয়ে রাস্তা দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর সবজিওয়ালা হাতে কচুশাক নিয়ে আমাকে ডাক দিল। আমি প্রচন্ড আশ্চর্য হই কারণ একে তো প্রচন্ড বৃষ্টি তার ওপর তার কাছে কচুশাক ছিল না। আশে পাশে কচুশাক আছে কিন্তু আমি তার সাথে এতটা পরিচিত না যে সে মায়ার কারনে বা পরিচিতির কারনে এই বৃষ্টির মধ্যে আমার জন্য কষ্ট করে ঘুরে ঘুরে কচুশাক তুলে এনে দেবে। আমি হবিগঞ্জ এসেছি মাত্র দুই মাস। তার কাছ থেকে সবজি নিয়েছি হয়তো দুইদিন। আমার নিজের ছেলেকে বা ভাইকেও যদি তুলে আনতে বলতাম তবেও সেও যেতনা বা বৃষ্টি কমলে এনে দেবে। অথবা যদি এনেও দিত হয়তো বৃষ্টিতে ভিজে খেলাধুলা করে বৃষ্টি শেষে আমাকে দুটো পাতা তুলে দিত। আর উনাকে বলা আর কলা গাছকে বলা একই কথা। কারন সে বৃষ্টিতে তো ভিজবেই না আর রাস্তা কেন নিজের ক্ষেত থেকেও কচুশাক তুলে এনে দেবে না।
তাই সবজিওয়ালার কাজ আমাকে অবাক করে দিল। তার হাতে মাত্র তুলে আনা কচুশাক। পাতা থেকে বৃষ্টির পানি ঝড়ছে সাথে কচুর কষ। তাই তাকে প্রশ্ন না করে থাকতে পারলাম না। কচুশাক কোথা থেকে তুলেছেন জিজ্ঞাসা করলে বলে, আসে পাশের খালি জায়গা থেকে তুলে এনে দিয়েছে। খালি জায়গা বলতে পতিত জমি যেখানে বাসা বা ক্ষেত নেই। পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকতে থাকতে বৃষ্টির পানিতে কচুশাকসহ আরো আগাছা জন্ম নিয়েছে। তাকে আবারও প্রশ্ন করলাম এই বৃষ্টির মধ্যে কেন সে এ কাজ করল? উত্তরে সে যা বলল তা আমার কাছে উদ্যোক্তা হিসেবে শিক্ষা হয়ে থাকল। দৃঢ় কন্ঠে সে জানাল,’ আমার ব্যবসা আগে, বৃষ্টি না। তাইতো এই বৃষ্টির মধ্যে রেইনকোট পরে ভ্যান নিয়ে বের হয়েছি। এই বৃষ্টি কমতে কমতে দুপুরের খাবার সময় হয়ে যাবে। তার আগে বৃষ্টি থামবে না। আর যারা বাজার যাবে বলে বৃষ্টি কমার অপেক্ষা করছে তারা আমার কাছ থেকে সবজি না নিলে রান্না করবে কি?? আপনি কচুশাক কিনবেন আমার একটু কষ্টের কারণে যদি বিনা খরচায় আমার দুইটাকা আয় হয় তাইলে একটু পরিশ্রম করতে সমস্যা কোথায়? রেইনকোট আছে।
আবারও প্রশ্ন করলাম; বললাম বৃষ্টি কমলেও তো আনতে পারতেন। সবজিওয়ালা বলল বৃষ্টি কমলে, ততক্ষণে আপনি অন্য কোন রান্না করে ফেললে তো আমি কচুশাক বেচতে পারতাম না, তখন যদি আপনি না নিতেন রান্না হয়ে গেছে বলে। যদিও তিনি সব কথা আঞ্চলিক ভাষায় বলেছিলেন, কিন্তু আমি এ অঞ্চলে নতুন দীর্ঘ দুই মাসে কথা বুঝতে পারলেও রপ্ত করতে পারিনি তাই আমার ভাষাতেই তা উপস্থাপন করলাম। আমি মুল্য পরিশোধ করে বাসায় এসে তার বলা কথা গুলো নিয়ে ভাবতে লাগলাম।
ঊদ্যোক্তা হিসেবে আমার শিক্ষা:
আজকের এই সবজিওয়ালা আমাকে কতগুলো শিক্ষা দিয়ে গেল।
১. সঠিক সময়ে ভোক্তার প্রয়োজন মিটানো।
২. ব্যবসা বা কাজের সময় কোন অজুহাত নয়।
৩. পরিশ্রম তার মুল্য আনবেই।
৪. বিনা পুজিতেও ব্যবসা করা যায়
৫. পরিশ্রম করে ব্যবসা করা খুব কঠিন নয়
৬. ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়।
শিক্ষা যে কেউ দিতে পারে। জীবনের প্রতিটি পদে পদে আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্র। একজন ভ্যান সবজিবিক্রেতার কাছ থেকে আমি যে শিক্ষা অর্জন করলাম তা আমার উদ্যোক্তা হয়ে গড়ে উঠার পথে সহায়ক। আর আমি এ শিক্ষা আমার মতো যারা উদ্যোক্তা প্লাটফরমে নতুন তাদেরও হয়তো কাজে লাগবে। তাই আমার এ শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে আমার এ গল্প লেখা।
সময় দিয়ে পড়ার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা এবং দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। ভালবাসা অবিরাম।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬০৩
Date:- ২২/০৮/২০২১ ইং
তানজিদা তারান্নুম লিজা
ব্যাচ নং ১১
রেজিষ্ট্রেশন নং ৩৬৬৯০
জেলা ময়মনসিংহ।
বর্তমানে হবিগঞ্জ সদর।