ধৈর্য্যের সাথে লেগে থাকা
পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখা মানুষের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া,আমি নিজে ও স্বপ্ন দেখি, একদিন অনেক ভালো একজন উদ্যেক্তা হব, দেশ ও দশের সেবা করব।গরিব দুঃখীর পাশে দাঁড়াবো, বেকারত্বের ভারে যারা নুয়ে পড়েছে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস যোগাবো, তাদের কর্ম প্রতিষ্ঠান করে দেবো। একজন মানুষের বড় অর্জন হল তার ব্যক্তিত্ব।আমরা সবাই চাই আমাদের ব্যক্তিত্ব সুন্দর হোক উজ্জ্বল থোক। সুন্দর ব্যক্তিত্ব অর্জন করার জন্য আমাদেরকে শিখতে হবে নানাবিক অত্যাধুনিক কলাকৌশল।
আর কলা কৌশল শিখতে হলে আমাদেরকে. নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধৈর্যের সাথে শিক্ষা অর্জন করতে হবে।ধৈর্য্য মহত্ত্বের গুণ, যে কোন কাজ করার আগে আমাদেরকে ধৈর্য্য অর্জন করতে হবে। ধৈর্য্য না থাকলে আমরা কোন কাজেই কখনোই সফল হতে পারব না সফলতার প্রধান চাবিকাঠি হল ধৈর্য্য, যে কাজের ভিতর যত বেশি ধৈর্য্য ধরবেন সে কাজের সফলতা অতি সুনিশ্চিত।
ধৈর্য্য সহকারে সময়ের সাথে লেগে থাকতে হবে।
আমরা সব সময় সব কাজে তাড়াহুড়া করি।
অল্পতেই অধৈর্য্য হয়ে পড়ি।তাই আমরা কোন কাজ শুরু করার আগেই 80%হেরে যাই।
আবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়. আমরা অন্যের উপরে নিজের চেয়ে বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ি, এটার প্রধান কারণ হলো, আমরা নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবে বিশ্বাস করতে পারিনা, নিজের উপরে আস্থা রাখি না, সব সময় হেরে যাওয়ার ভয় নিজেকে লুকিয়ে রাখি।
"নিজের বলার মতো একটা গল্প" ফাউন্ডেশন এর উদ্যোক্তা ও সদস্য অনেকেরই জীবন প্রবাহিত ছিল বিভিন্ন প্রতিকূলতায় অনিশ্চয়তায়। অনেকের আবার ব্যর্থ হতে হতে সফলতার স্বপ্নগুলো মাটিচাপা হয়ে রয়েছিলো।এই অনলাইন ভার্চুয়াল জগতে হঠাৎ আবির্ভাব হলো " ব্যর্থতা থেকে সফলতা" পাওয়া আরেক ব্যক্তি শ্রদ্ধেয় জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার, যিনি এই "নিজের বলার মতো একটা গল্প" প্লাটফর্ম তৈরি করে বিনামূল্যে টানা ৯০ দিন অনলাইনে প্রশিক্ষণ দিয়ে উজ্জীবিত করে সৃষ্টি করেছেন "ব্যর্থতা থেকে সফলতা" পাওয়া আরো অনেক উদ্যোক্তা তিনি জীবনমুখী অনেককিছুই শিখিয়েছেন, যা আমরা হয়তো পাঠ্য বইয়ে পাইনি,তাই সফলতা পাওয়ার জন্য হাল ছেড়ো যাবেনা সফলতার জন্য উদ্যমী ও একরোখা হতে হবে, কখনো ঝুঁকি ও অনিশ্চিয়তা নিয়ে চিন্তা করবোন না,সমস্যা নিয়ে চিন্তা নয় বরং এর সমাধানের দিকে ফোকাস করতে হবে, কাজে ব্যর্থতা থাকবেই তাই বলে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া চলবে না। সামনের পথে এগুতে হবে সাহসের সঙ্গে।
বড় বড় উদ্যোক্তা জ্ঞানীরা বলেছেন “একজন মানুষের সফল বা ব্যর্থ হওয়া তার ক্ষমতার ওপর যতটা না নির্ভর করে, তারচেয়ে বেশি তার দৃষ্টিভঙ্গীর ওপর নির্ভর করে। যারা সফল হয়, তারা সফল হওয়ার আগে থেকেই সফল মানুষের মত আচরণ করে। এই বিশ্বাসই একদিন সত্যিতে পরিনত হয়, আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আপনি অবশ্যই সফল হবেন, তবে আপনার ব্যবহারেও তা প্রকাশ পাবে। এবং আপনি নিজেই নিজের এই দৃষ্টিভঙ্গীর সুফল দেখে অবাক হয়ে যাবেন” যারা ব্যর্থ হওয়ার সাহস করে শুধু তারাই বড় সফলতা অর্জন করতে পারে।
সুতরাং "স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং লেগে থাকুন …… সাফল্য আসবেই" #_ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারের এই উক্তি সব সময় মনে রাখি।
কিছু কষ্ট মানুষকে সব সময় কাঁদায়
প্রত্যেকটি সংসারে ভাঙ্গা গড়ার খেলা।ভাঙ্গা গড়া নিয়ে আমাদের জীবন গড়া।এক জীবনে সব সুখ হয়না। ২০০১সাল মে মাসে আমার মা আমাদেরকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য অচিনপুরে চলে যায়।২০০২সালে।আমার আব্বু দ্বিতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।বেশ ভালো মোটামুটি তাদের সংসার চলছিল।চার ভাইবোন আমরা, তিন বোন এক ভাই, তখন আমরা সবাই ছোট ছিলাম।আমি বড় মেয়ে। আমার মেজ বোন। আমরা দুবোন মোটামুটি বুঝি।আর ভাই বোন দুটো অনেক ছোট ছিল।
আমি লেখাপড়া করার জন্য চট্টগ্রামের চলে আসি।লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি কয়েকটা টিউশনি নিলাম।কোনমতে চলছিল আমার লেখা পড়া, এভাবে কয়েকটা বছর পার হলো,দুঃখ নিয়েই চলছিল সময়গুলো,হঠাৎ করে আমাদের সংসারে নেমে আসে এক কালবৈশাখী ঝড়।আব্বু অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।অর্থনৈতিক চাপে।মানসিক চাপে।সাংসারিক দায়বদ্ধতার দায়-দায়িত্বের চাপে,আমার আব্বু অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন।বাবা নামে বটগাছটি যখন নড়েচড়ে ওঠে হালকা বাতাসে যখন ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।অসহায় সন্তানদের তখন কি অবস্থা হয়ে যায়,
#এই ব্যাপার নিয়ে- আমি আপনাদের -সাথে একটু- আলোচনা -করবো আশা করি সবাই পড়বেন।
আমি যখন নবম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলাম তখন আমারপরিবারে অনেক বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটে।হঠাৎ করে আমার আব্বা অনেক অসুস্থ হয়ে যায়।ডাক্তার বলে ওনার দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওনার অপারেশনের করতে হবে।আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম।এত টাকা পয়সার ব্যাপার কোথায় থেকে ব্যবস্থা করবো।আত্মীয়-স্বজন যত ছিল সবার দারাস্থও হলাম কিছু টাকার জন্য,সবাই কুকুরের মতো দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলো কেউ টাকা পয়সা দিলো না।এদিকে আব্বুর অবস্থা আরো বেশি খারাপ হতে লাগল,আব্বুকে নিয়ে আমি বড় মেডিকেলে গেলাম ।ডাক্তারের সাথে এ ব্যাপার নিয়ে,অনেক আলোচনা হল।ডাক্তার বারবার একটা কথাই বলেছিলেন দুইটা কিডনি সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেভাবেই হোক তার একটা কিডনি অপারেশন করাতে হবে।তা না হলে রোগীকে বাঁচানো যাবে না। একটা কিডনি দিয়ে মানুষ বাঁচতে পারে, যদি সম্ভব হয় একটা কিডনির ব্যবস্থা করো।
আমি আশাহীন হয়ে গেলাম।একটা কিডনি আমি কোথায় পাব।কিনতে গেলে অনেক টাকা।এত টাকা আমি কোথায় পাব।টাকা যেভাবেই হোক ম্যানেজ করতে হবে জীবনের চেয়ে টাকার মূল্য কখনোই বেশি হতে পারে না।আমার আব্বু বেঁচে থাকলে জীবনে অনেক টাকা হবে।কিন্তু আজ যদি বেঁচে না থাকে টাকা দিয়ে হয়তো কখনোই আব্বুকে কিনে আনতে পারব না।
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য। "স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৫০
Date:- ২৮/০১/২০২১
আমি সাবিনা অপি
কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর,লেবানন
ব্যাচ- নং-১১
রেজিস্ট্রেশন নং -২৮৭৭৪
উপজেলা -কাঠালিয়া
জেলা - ঝালকাঠি
বিভাগঃ বরিশাল
ব্লাড গ্রুপ বি প্লাস
বর্তমানে লেবানন বৈরুত