যদি মিষ্টি খেতে মিষ্টি না হয়ে অন্য কোন স্বাদের হতো, সেক্ষেত্রে মিষ্টির নাম কি হতো ?
গল্পের শুরুটা হোক মিষ্টিমুখ করে....................
কিন্তুু মিস্টি মুখ ছারা কি আর গল্প জমে ? চলুন সেই মিস্টির গল্প শুনি আমরা....
যদি মিষ্টি খেতে মিষ্টি না হয়ে অন্য কোন স্বাদের হতো, সেক্ষেত্রে মিষ্টির নাম কি হতো ? মিষ্টি একাধারে যেমন একটি স্বাদের নাম, ঠিক তেমনি মিষ্টি একটি বিশেষ মিষ্টান্ন জাতীয় খাদ্য প্রকার। চা’য়ে চিনি দিলে বলা হয় মিষ্টি চা। চিনি দিয়ে তৈরী বিস্কুটকে বলা হয় মিষ্টি বিস্কিট। শরবতে লবনের পরিবর্তে চিনি দিলে বলা হয় মিষ্টি শরবত। তাহলে মিষ্টিতে চিনি দিলে সেটাকে কি বলা হবে? মিষ্টি চিনি?
মিষ্টি নিয়ে যতসব মিষ্টি মিষ্টি কথা না বাড়িয়ে, চলুন শুনি কিছু মিষ্টি কাহিনী। মিষ্টি হলো চিনির বা গুড়ের রসে ভেজানো ময়দার গোলা কিংবা দুধ- চিনি মিশিয়ে তৈরি বিভিন্ন আকৃতির ছানার/ময়দার টুকরো করা খাবার। বাঙ্গালির খাওয়া-দাওয়ায় মিষ্টি একটি অতি জনপ্রিয় উপকরণ। বাঙ্গালির কোন উপলক্ষ-অনুষ্ঠানই মিষ্টি ছাড়া পূর্ণতা পায় না।
বঙ্গ দেশে মিষ্টিকে আশ্রয় করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য নামী-দামী মিষ্টির দোকান। সেই আদিযুগের লাড্ডু থেকে শুরু করে সন্দেশ, কালোজাম পেরিয়ে আজ মিষ্টির প্রকারভেদ শিল্পের সমপর্যায়ে চলে গেছে। বিভিন্ন রকমের মিষ্টি, স্বাদ ও আকারে এমনকি নামকরণের ভিন্নতা নিয়ে স্বতন্ত্র সত্তায় জনপ্রিয়।
মিষ্টির প্রকারভেদ বাংলার মিষ্টিকে দুভাগে ভাগ করেছেন সুকুমার সেন।
প্রথম ভাগে আছে একক উপাদানে তৈরী মিষ্টি।
এ ধরণের মিষ্টিতে গুড় বা চিনির সাথে আর কিছু মিশ্রিত থাকে না। যেমন গুড় বা চিনির নাড়ু ও চাকতি, পাটালি, বাতাসা, খাজা, ছাঁচ ইত্যাদি।
দ্বিতীয় ভাগে মিষ্টিকে আরো দু’ রকমে ভাগ করা চলে। গুড় বা চিনির সাথে দুগ্ধজাত কোন উপকরণ ছাড়া অন্য দ্রব্য সহযোগে তৈরীকৃত মিষ্টান্ন। যেমনঃ নারকেল, তিল এসবের নাড়ু, চিঁড়ে, মুড়ি, খৈ-এর মোয়া ইত্যাদি।
এবং চিনির সাথে দুগ্ধজাত দ্রব্যযোগে তৈরী হয় নানান ধরণের মিষ্টি যেমনঃ চমচম, রসগোল্লা, কালোজাম, রসমালাই ইত্যাদি।
মিস্টির কথা আসলে প্রথমেই যে নামটি উঠে আসে সেটা হচ্ছে টাংগাইল জেলার ঐতিহ্য টাংগাইলের গর্ব টাংগাইল এর চমচম।
চমচমের নাম শুনলেই জীবে জল চলে আসে। মিষ্টির রাজা বলে খ্যাত পোড়াবাড়ির চমচমের স্বাদ আর স্বাতন্ত্রের ও এর জুড়ি মেলাভার। এই সুস্বাদু ও লোভনীয় চমচম টাঙ্গাইলের অন্যতম একটি ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য প্রায় ২শ’ বছরের প্রাচীন। অর্থাৎ বৃটিশ আমল থেকে অবিভক্ত ভারতবর্ষসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোড়াবাড়ির চমচম টাঙ্গাইলকে ব্যাপক পরিচিতি দিয়েছে।
দেখতে অনেকটা লম্বাটে আকৃতি আর শরীরে মাওয়া জড়ানো মিষ্টির নাম চমচম। হালকা আঁচে পোড় খাওয়া এই মিষ্টির রঙ গাঢ় বাদামি বা লালচে। বাহিরটা একটু শক্ত হলেও এর ভেতরটা কিন্তু একদম রসে ভরপুর। একেবারে মাত্রা মতো মিষ্টি, ঘন রস আর টাটকা ছানার গন্ধমাখা পোড়াবাড়ির এই মিষ্টির স্বাদ সত্যি অতুলনীয়। কেউ কেউ তাই মজা করে বলেন- এটি এমন জিনিস, যে না খাবে সেই পস্তাবে! স্বাতন্ত্রেও এর জুড়ি মেলে না।
এর সুনাম রয়েছে বাংলা, বিহার ছাড়িয়ে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে। গাঢ় বাদামি বা লালচে রঙের এই সুস্বাদু চমচমের উপরিভাগে চিনির গুঁড়ো আর মাওয়া জড়ানো থাকে। এর ভেতরের অংশ বিশেষ কায়দায় করা হয় ফাঁপা ও রসাল নরম। চমচম সম্পর্কে ইতিহাস ঘেঁটে যতটা জানা যায়- বৃটিশ শাসন আমলে দশরথ গৌড় নামের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর তীরবর্তী পোড়াবাড়িতে এসে বসতি গড়েন।
আসাম থেকে এসে দশরথ গৌড় যমুনার সুস্বাদু মৃদু পানি ও এখানকার গরুর খাঁটি দুধ দিয়ে প্রথম তৈরি করেন এক ধরনের বিশেষ মিষ্টি। লম্বাটে আকৃতির এ মিষ্টির নাম দেন তিনি চমচম।
এর রয়েছে একটি আলাদা সাদ ও গন্ধ যা অন্য কোন মিষ্টিতে পাওয়া যায় না। প্যাকেট খুলেই প্রথমেই যে গন্ধ আপনাকে স্বাগত জানাবে।
তাহলে আর দেরী কেন? প্রিয়জনকে মিষ্টিমুখ করাতে অর্ডার করতেই হবে টাঙ্গাইলের বিখ্যাত চমচম। না হলে পস্তাবেন।
দাম মাছ ৩২০ টাকা, নো ভেলিভারি চার্জ। অর্ডার করত কল করুন 01705763209 অথবা মেসেজ করুন m.me/tangailchomchom01
ছবিতে যে চমচম দেখতে পাচ্ছেন ওটা মাএ ৮০০ গ্রাম, অর্ডারের মাধ্যমে আমরা আরও বড় সাইজের চমচম ডেলিভারি দেই।
গ্রাজুয়েট ছেলে আমি চমচম ব্যবসায়ী।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৫৪
Date:- ০২/০২/২০২১
ইবনে সাইম রানা
মডারেটর ও এম্বাসেডর টাংগাইল জেলা
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন
চতুর্থ ব্যাচ এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ১৩৭৩
ব্যবসাঃ Tangail Chomchom টাংগাইল চমচম
ফাউন্ডারঃ Shopping Network শপিং নেটওয়ার্ক