আমরা সেই আগের দিন গুলো ফিরে পাব না,মন চাইলেই আর এখন একসাথে পার্কে চলে গিয়ে চা খেতে পারবো না
গল্পে গল্পে সেল পোস্ট
ঘুরতে যাওয়ার যে মজা সেটা মনে হয় আর কিছুতে নেই।সারাদিন হৈ হৈ করা,ছুটে বেড়ানো কি অসাধারণ মূহুর্ত।একদিন হঠাৎ করে কোন প্ল্যান ছাড়াই ঘুরতে চলে গেলাম আমরা কিছু বন্ধু বান্ধবী।কলেজ লাইফের পর সেইরকম ভাবে আর দেখা হয়নি কারো।সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ, কথা সব কিছুই কমে গিয়েছিল।কলেজ জীবনের সেই অসাধারণ মুহূর্ত গুলো মিস করতাম খুব।কত দুষ্টুমি ছিল।কোচিং এর ভাইয়া দের কে নিয়ে কি দুষ্টামি ।মনে পরলে এখনো হাসি পায়।সবাই কত ভালো ছিলাম।কিন্তু ভালো সময় মনে হয় সত্যি বেশিদিন থাকে না।আমাদের সময়টাও খুব তাড়াতাড়ি কেটে গেল।বড় হয়ে গেলাম আমরা।এক এক জন পড়াশোনার জন্য এক এক জায়গায় চলে গেলাম।
তবুও জীবন কখনো কখনো অনেক কিছু অপ্রত্যাশিত ভাবে দিয়ে দেয়।আমরা সেই আগের দিন গুলো ফিরে পাব না,মন চাইলেই আর এখন একসাথে পার্কে চলে গিয়ে চা খেতে পারবো না,চা এর ৩০/৪০টাকা বিল নিয়ে কেউ আর বলবো না আজকের বিল তুই দিবি,আমি দিব না।রিকশা থেকে সবার আগে কে নামে তার প্রতিযোগিতা হতো কারন যে লাস্টে নামবে তার রিকশার বিল অবধারিত ।কি সুন্দর সময় গুলো আমরা কাটিয়েছি।পড়াশোনা তেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আমাকে বেশি পেতে হবে,আবার বেশি পেলেও ট্রিট দিতে হবে।।সব কিছু মধুর ছিল।সময় টা অসাধারণ ছিল।
সেই দিন গুলোকে আবার ফিরে পেতে,স্মৃতি গুলো কে আবার মনে করতে আমরা হঠাৎ করে কয়েকজন অল্প কিছুক্ষণের নোটিশে একসাথে হয়ে চলে গেলাম আমাদের শহর থেকে দূরে অন্য এক শহরে।সবাই মিলে একটা গাড়ি নিয়ে যাওয়া যেখানে শুধুই আমরা থাকবো আর কেউ না,কারন আমাদের এতো গল্প জমা আছে,এতো কথা বলার আছে যেটা আর কেউ শুনলে বিরক্ত হয়ে উঠবে কিন্তু এগুলোই আমাদের আনন্দ, আমরা ফেলে এসেছি সেরা কিছু মুহূর্ত
আগের মতোই হৈ হৈ করতে করতে আমরা চলে গেলাম আমাদের গন্তব্যে।কি মজাই হলো গাড়িতে।ভাঙা রাস্তার ঝাঁকিতে একজন আরেকজন কে ধরে বসে থাকা,আবার অনাকাঙ্ক্ষিত ঝাঁকিতে ব্যথা পেয়ে উফ বলে উঠা সেটা নিয়ে মজা করা যেন আমরা আগের দিন গুলোতে ফিরে গিয়েছিলাম।
গাড়ি ভাড়া নিয়ে এবারো আমাদের মাঝে লড়াই, তুই দিবি আমি দিব না।আমরা ফিরে গিয়েছিলাম ফেলে আসা দিন গুলোতে।আগের দিন গুলোর কথা মনে করা ই যেন ছিল মূল উদ্দেশ্য
তারপর আসতে আসতে আমরা নিজেদের বর্তমান কথা গুলো বলা শুরু করলাম।এক এক জন এক এক জায়গায়।কতো দিন হয়ে গেল কত কথা বলার আছে প্রানের সাথীদের।সেগুলোই আমরা শুনছি।সবার কতো রঙিন রঙিন স্বপ্ন খুব ভালো লাগছে শুনতে।আবার একজনের স্বপ্ন সারা দেশ ঘুরে বেড়াবে,আমি তখন বললাম আমাকে যেন নিয়ে যায় সাথে আমারো তো স্বপ্ন পৃথিবীর সব সৌন্দর্য দেখার।এক বন্ধু বললো সে বড় হয়ে জব করলেও সে একটা রেস্টুরেন্ট দিবে এটা তার অন্য একটা স্বপ্ন।সবাই মিলে বললাম আমরা ফ্রিতে খেতে যাবযা হয় আরকি।কিন্তু সে বেশ সিরিয়াস।তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম কোন প্ল্যান করেছে নাকি,বা কিছু? বললো তার কোন আইডিয়া নেই বিজনেস নিয়ে কিন্তু সে জব করলেও পাশাপাশি এটা করবে স্বপ্ন তার।ইন্জিনিয়ার এর স্বপ্ন রেস্টুরেন্ট দেওয়া!!!এটা নিয়ে কেউ কেউ মজা করলো কেউ কেউ সাহস দিল।আর আমি টুক করে তাকে বললাম স্বপ্ন পূরনের গন্তব্যের পূর্ব রাস্তা টা আমি তাকে দেখিয়ে দিতে পারবো।সেই রাস্তার সন্ধান তাকে দিলাম।আর সেটা হলো #নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প।
এরপর আসলো আমার পালা।পড়াশোনা, টিউশন সবাই করি আমরা কিন্তু করোনায় সব বন্ধ।তখন সবাই যখন কি করবে না করবে ভেবেছে তখন আমি প্রিয় স্যারের শিক্ষায় নিজের ভালোবাসার কাজ শুরু করি,নতুন পথের যাত্রা শুরু করি,সেটা বললাম।আমার @প্রিয়ণিকার কথা বললাম।গহনা বানানো শুনে কেউ কেউ যেন মনে মনে ব্যথিত হলো।পড়াশোনা করছি আর এই কাজ!!!কিন্তু আবার অনেক ভালো ও হলো।আমার বান্ধবী গুলো কিছু কিছু জিনিস অর্ডার করলো।বান্ধবী দের জন্য বানাবো এটা যেন অন্য এক আনন্দ ।আমরা এইভাবে গল্প করতে করতে কখন যে বিকেল হয়ে গিয়েছিল আমরা বুঝতেই পারিনি।খাওয়ার কথাও ভুলে গিয়েছিলাম সবাই একসাথে গল্প করতে করতে।বন্ধু দের সাথে সময়টা মনে হয় এমন ই কাটে
তারপর আমরা আবার কিছু খেয়ে বিল নিয়ে কাড়াকাড়ি করে আবার নিজেদের গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করি।ফিরে আসি আপন নীড়ে।সবাইকে ছেড়ে আসার মুহূর্ত টা খুব কঠিন ছিল।সবাই নিরব হয়ে গিয়েছিলাম। যেন আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে চাচ্ছি না,মন টা যেন বলছে আমরা এইভাবেই একটা জীবন কাটিয়ে দেয়, আমরা সবাই আলাদা না হয়,কিন্তু বাস্তবতা বড় নির্মম।একবুক হাহাকার নিয়ে সবাই সবার পথ ধরলাম।কিন্তু সারাদিনের এই পাওয়া,এই একটা দিন রঙিন হয়ে স্মৃতির পাতায় থাকবে আজীবন।মাঝে মাঝে এই দিনের কথা মনে করেই আবার হাসবো একা একা।
তারপর আবার কেটে গেল কয়েকটা দিন।কাল এক বন্ধু মেসেজ করলো তার প্রিয়তমার জন্য সে গহনা কিনবে।আবার নাকি শাড়ি ও দেখবে,পছন্দ হলে শাড়ি ও নিবে।।আমি যেহেতু গহনা নিয়ে কাজ করছি সে আমার থেকে গহনা নিবে।শুনে খুব খুশি হলাম।বন্ধু আমাকে বলছে তার প্রিয়জনের জন্য গহনা রেডি করতে।কিছু সেট দেখালাম তার মাঝে ওর পছন্দ হলো একদম লাল টুকটুকে সেট "" বধূয়া"""। অসম্ভব সুন্দর একটি সেট।কড়া মেজেন্টা কালার গ্লাস বিডস,ঝুলোড়ি,গোল্ডেন মেটালে তৈরি, সাথে গর্জিয়াস কানের দুল ও টিকলি। বিডস কালার গ্যারান্টি।তারপর তাকে বললাম আমি রেডি করে দিব।এখন সে শাড়ির জন্য ও আমাকে বললো,আমার পরিচিত কেউ আছে নাকি,বা কোন পছন্দের থাকলে তাকে দেখাতাম আমি। তখন তাকে বললাম আমাদের একটা প্লাটফর্ম আছে কাল সেখানে হাট, সব কিছু পাওয়া যায় চাইলে সেখানে ঘুরে ঘুরে সে পছন্দ করে কিনতে পারবে।তার ইন্টারেস্ট দেখে আমাদের প্লাটফর্ম এর বিস্তারিত বললাম।সে কাল ই জয়েন করলো।
আর আজকে হাটের দিন।আজ সকালে সে আমাকে সুন্দর একটা মেসেজ করলো।একটা চিরকুট।তার প্রিয়তমার গহনার সাথে সেটা যেন আমি লিখে দেয় ।খুব ভালো লাগছিল এমন একটা মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে।এতো ভালোবাসার অংশীদার হতে পেরে।
তুমি ফিরবে কোন একদিন হয়তো নীলিমায় হারানো কোন এক নিষ্প্রভ বেলায়। নতুবা কোন এক নবীন হেমন্তে, এক নতুন দিনের নির্মল খোলা হাওয়ায়। অথবা কোন এক শ্রাবণের দিনে অহরহ ঝরা ঘন কাল মেঘ বৃষ্টির মুহুর্মুহু নির্ঝর খেলায়। তুমি ফিরবে কোন এক রাতে পূর্ণিমার ভরা জোছনায়। তুমি ফিরবে জানি বহুদিন পরে হয়তো বা হাজার বছর পরে। কোন এক নিঃস্ব হৃদয়ে, লক্ষ্য প্রাণের ভিড়ে, তুমি ফিরবে। বহুরুপে সেই প্রাণে, অনেক নবীনের ভিড়ে, তোমার আমার গড়া ভালবাসার নীড়ে!
!!!ভালোবাসা নিও প্রিয়!!!
"ভালোবাসা এটা বয়স কিংবা ছোট বড় খুঁজেনা ভালোবাসা খুঁজে দুটি মনকে শুধু আর খুঁজে তার প্রিয় মানুষটিকে।"
আমি হিজাব ইমতিয়াজ সায়মা
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
ব্যাচ-১২
রেজি-৩৮২৮২
জেলা-ময়মনসিংহ
কাজ করছি হাতের তৈরি গহনা নিয়ে।
ঘুরতে যাওয়ার যে মজা সেটা মনে হয় আর কিছুতে নেই।সারাদিন হৈ হৈ করা,ছুটে বেড়ানো কি অসাধারণ মূহুর্ত।একদিন হঠাৎ করে কোন প্ল্যান ছাড়াই ঘুরতে চলে গেলাম আমরা কিছু বন্ধু বান্ধবী।কলেজ লাইফের পর সেইরকম ভাবে আর দেখা হয়নি কারো।সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ, কথা সব কিছুই কমে গিয়েছিল।কলেজ জীবনের সেই অসাধারণ মুহূর্ত গুলো মিস করতাম খুব।কত দুষ্টুমি ছিল।কোচিং এর ভাইয়া দের কে নিয়ে কি দুষ্টামি ।মনে পরলে এখনো হাসি পায়।সবাই কত ভালো ছিলাম।কিন্তু ভালো সময় মনে হয় সত্যি বেশিদিন থাকে না।আমাদের সময়টাও খুব তাড়াতাড়ি কেটে গেল।বড় হয়ে গেলাম আমরা।এক এক জন পড়াশোনার জন্য এক এক জায়গায় চলে গেলাম।
তবুও জীবন কখনো কখনো অনেক কিছু অপ্রত্যাশিত ভাবে দিয়ে দেয়।আমরা সেই আগের দিন গুলো ফিরে পাব না,মন চাইলেই আর এখন একসাথে পার্কে চলে গিয়ে চা খেতে পারবো না,চা এর ৩০/৪০টাকা বিল নিয়ে কেউ আর বলবো না আজকের বিল তুই দিবি,আমি দিব না।রিকশা থেকে সবার আগে কে নামে তার প্রতিযোগিতা হতো কারন যে লাস্টে নামবে তার রিকশার বিল অবধারিত ।কি সুন্দর সময় গুলো আমরা কাটিয়েছি।পড়াশোনা তেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আমাকে বেশি পেতে হবে,আবার বেশি পেলেও ট্রিট দিতে হবে।।সব কিছু মধুর ছিল।সময় টা অসাধারণ ছিল।
সেই দিন গুলোকে আবার ফিরে পেতে,স্মৃতি গুলো কে আবার মনে করতে আমরা হঠাৎ করে কয়েকজন অল্প কিছুক্ষণের নোটিশে একসাথে হয়ে চলে গেলাম আমাদের শহর থেকে দূরে অন্য এক শহরে।সবাই মিলে একটা গাড়ি নিয়ে যাওয়া যেখানে শুধুই আমরা থাকবো আর কেউ না,কারন আমাদের এতো গল্প জমা আছে,এতো কথা বলার আছে যেটা আর কেউ শুনলে বিরক্ত হয়ে উঠবে কিন্তু এগুলোই আমাদের আনন্দ, আমরা ফেলে এসেছি সেরা কিছু মুহূর্ত
আগের মতোই হৈ হৈ করতে করতে আমরা চলে গেলাম আমাদের গন্তব্যে।কি মজাই হলো গাড়িতে।ভাঙা রাস্তার ঝাঁকিতে একজন আরেকজন কে ধরে বসে থাকা,আবার অনাকাঙ্ক্ষিত ঝাঁকিতে ব্যথা পেয়ে উফ বলে উঠা সেটা নিয়ে মজা করা যেন আমরা আগের দিন গুলোতে ফিরে গিয়েছিলাম।
গাড়ি ভাড়া নিয়ে এবারো আমাদের মাঝে লড়াই, তুই দিবি আমি দিব না।আমরা ফিরে গিয়েছিলাম ফেলে আসা দিন গুলোতে।আগের দিন গুলোর কথা মনে করা ই যেন ছিল মূল উদ্দেশ্য
তারপর আসতে আসতে আমরা নিজেদের বর্তমান কথা গুলো বলা শুরু করলাম।এক এক জন এক এক জায়গায়।কতো দিন হয়ে গেল কত কথা বলার আছে প্রানের সাথীদের।সেগুলোই আমরা শুনছি।সবার কতো রঙিন রঙিন স্বপ্ন খুব ভালো লাগছে শুনতে।আবার একজনের স্বপ্ন সারা দেশ ঘুরে বেড়াবে,আমি তখন বললাম আমাকে যেন নিয়ে যায় সাথে আমারো তো স্বপ্ন পৃথিবীর সব সৌন্দর্য দেখার।এক বন্ধু বললো সে বড় হয়ে জব করলেও সে একটা রেস্টুরেন্ট দিবে এটা তার অন্য একটা স্বপ্ন।সবাই মিলে বললাম আমরা ফ্রিতে খেতে যাবযা হয় আরকি।কিন্তু সে বেশ সিরিয়াস।তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম কোন প্ল্যান করেছে নাকি,বা কিছু? বললো তার কোন আইডিয়া নেই বিজনেস নিয়ে কিন্তু সে জব করলেও পাশাপাশি এটা করবে স্বপ্ন তার।ইন্জিনিয়ার এর স্বপ্ন রেস্টুরেন্ট দেওয়া!!!এটা নিয়ে কেউ কেউ মজা করলো কেউ কেউ সাহস দিল।আর আমি টুক করে তাকে বললাম স্বপ্ন পূরনের গন্তব্যের পূর্ব রাস্তা টা আমি তাকে দেখিয়ে দিতে পারবো।সেই রাস্তার সন্ধান তাকে দিলাম।আর সেটা হলো #নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প।
এরপর আসলো আমার পালা।পড়াশোনা, টিউশন সবাই করি আমরা কিন্তু করোনায় সব বন্ধ।তখন সবাই যখন কি করবে না করবে ভেবেছে তখন আমি প্রিয় স্যারের শিক্ষায় নিজের ভালোবাসার কাজ শুরু করি,নতুন পথের যাত্রা শুরু করি,সেটা বললাম।আমার @প্রিয়ণিকার কথা বললাম।গহনা বানানো শুনে কেউ কেউ যেন মনে মনে ব্যথিত হলো।পড়াশোনা করছি আর এই কাজ!!!কিন্তু আবার অনেক ভালো ও হলো।আমার বান্ধবী গুলো কিছু কিছু জিনিস অর্ডার করলো।বান্ধবী দের জন্য বানাবো এটা যেন অন্য এক আনন্দ ।আমরা এইভাবে গল্প করতে করতে কখন যে বিকেল হয়ে গিয়েছিল আমরা বুঝতেই পারিনি।খাওয়ার কথাও ভুলে গিয়েছিলাম সবাই একসাথে গল্প করতে করতে।বন্ধু দের সাথে সময়টা মনে হয় এমন ই কাটে
তারপর আমরা আবার কিছু খেয়ে বিল নিয়ে কাড়াকাড়ি করে আবার নিজেদের গন্তব্যের পথে যাত্রা শুরু করি।ফিরে আসি আপন নীড়ে।সবাইকে ছেড়ে আসার মুহূর্ত টা খুব কঠিন ছিল।সবাই নিরব হয়ে গিয়েছিলাম। যেন আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে চাচ্ছি না,মন টা যেন বলছে আমরা এইভাবেই একটা জীবন কাটিয়ে দেয়, আমরা সবাই আলাদা না হয়,কিন্তু বাস্তবতা বড় নির্মম।একবুক হাহাকার নিয়ে সবাই সবার পথ ধরলাম।কিন্তু সারাদিনের এই পাওয়া,এই একটা দিন রঙিন হয়ে স্মৃতির পাতায় থাকবে আজীবন।মাঝে মাঝে এই দিনের কথা মনে করেই আবার হাসবো একা একা।
তারপর আবার কেটে গেল কয়েকটা দিন।কাল এক বন্ধু মেসেজ করলো তার প্রিয়তমার জন্য সে গহনা কিনবে।আবার নাকি শাড়ি ও দেখবে,পছন্দ হলে শাড়ি ও নিবে।।আমি যেহেতু গহনা নিয়ে কাজ করছি সে আমার থেকে গহনা নিবে।শুনে খুব খুশি হলাম।বন্ধু আমাকে বলছে তার প্রিয়জনের জন্য গহনা রেডি করতে।কিছু সেট দেখালাম তার মাঝে ওর পছন্দ হলো একদম লাল টুকটুকে সেট "" বধূয়া"""। অসম্ভব সুন্দর একটি সেট।কড়া মেজেন্টা কালার গ্লাস বিডস,ঝুলোড়ি,গোল্ডেন মেটালে তৈরি, সাথে গর্জিয়াস কানের দুল ও টিকলি। বিডস কালার গ্যারান্টি।তারপর তাকে বললাম আমি রেডি করে দিব।এখন সে শাড়ির জন্য ও আমাকে বললো,আমার পরিচিত কেউ আছে নাকি,বা কোন পছন্দের থাকলে তাকে দেখাতাম আমি। তখন তাকে বললাম আমাদের একটা প্লাটফর্ম আছে কাল সেখানে হাট, সব কিছু পাওয়া যায় চাইলে সেখানে ঘুরে ঘুরে সে পছন্দ করে কিনতে পারবে।তার ইন্টারেস্ট দেখে আমাদের প্লাটফর্ম এর বিস্তারিত বললাম।সে কাল ই জয়েন করলো।
আর আজকে হাটের দিন।আজ সকালে সে আমাকে সুন্দর একটা মেসেজ করলো।একটা চিরকুট।তার প্রিয়তমার গহনার সাথে সেটা যেন আমি লিখে দেয় ।খুব ভালো লাগছিল এমন একটা মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে।এতো ভালোবাসার অংশীদার হতে পেরে।
তুমি ফিরবে কোন একদিন হয়তো নীলিমায় হারানো কোন এক নিষ্প্রভ বেলায়। নতুবা কোন এক নবীন হেমন্তে, এক নতুন দিনের নির্মল খোলা হাওয়ায়। অথবা কোন এক শ্রাবণের দিনে অহরহ ঝরা ঘন কাল মেঘ বৃষ্টির মুহুর্মুহু নির্ঝর খেলায়। তুমি ফিরবে কোন এক রাতে পূর্ণিমার ভরা জোছনায়। তুমি ফিরবে জানি বহুদিন পরে হয়তো বা হাজার বছর পরে। কোন এক নিঃস্ব হৃদয়ে, লক্ষ্য প্রাণের ভিড়ে, তুমি ফিরবে। বহুরুপে সেই প্রাণে, অনেক নবীনের ভিড়ে, তোমার আমার গড়া ভালবাসার নীড়ে!
!!!ভালোবাসা নিও প্রিয়!!!
"ভালোবাসা এটা বয়স কিংবা ছোট বড় খুঁজেনা ভালোবাসা খুঁজে দুটি মনকে শুধু আর খুঁজে তার প্রিয় মানুষটিকে।"
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৫৪
Date:- ০২/০২/২০২১
আমি হিজাব ইমতিয়াজ সায়মা
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
ব্যাচ-১২
রেজি-৩৮২৮২
জেলা-ময়মনসিংহ
কাজ করছি হাতের তৈরি গহনা নিয়ে।
ReplyForward |