৪-৫ তলা সবার বাসায় দৈনন্দিন খাবার বাজার সহ প্রয়োজনীয় সকল পন্য ঔষধ মানুষের বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।
এই গ্রুফে ৩য় ব্যাচ থেকে এড হই কত গ্রুপেই তো এড আছি ঠিক তেমন ভাবে এখানেও ছিলাম,, বুঝতাম যে এখানে এতো আবেগ, ভালোবাসা, বিশ্বাস, শিক্ষা সব কিছু জড়িয়ে আছে,, বুঝে শুরু করলাম যে এখানে কিছু একটা আছে না হলে আমাকে এতো টানে কেনো ৫ম ব্যাচ শেষ করি।
এর পর এবং মাঝে আইডি অনেক গুলো নষ্ট হওয়াতে মাঝখানে একটু সমস্যা হয়েছিলো।
আমার স্বপ্ন গুলো আপনাদের মাঝে পোষ্ট দিয়ে শেয়ার করেছিলাম,,আমার শুরু কিভাবে তাও পোষ্ট দিয়ে শুরু করেছিলাম,,এর পর কখন কি করতাম তাও আপনাদের সাথে পোষ্টের মাধ্যমে শেয়ার করতাম কিন্তু ১ বছর আগের আমি আর পরের আমি এখন অনেকটাই পরিবর্তন শুরুর দিকে ২০০/৫০০ সেল পরে ১০০০/৫০০০,, ১০০ টাকা সেল হলে কেমন অনুভব হতো তা বুঝানো যাবে না,, যাদের নতুন বিজনেস তারা বুঝবে এ অনুভুতি,, কখন কল্পনা করিনি যে করেনা নামক কিছু দেশে আসবে খুবি ভয় পেয়ে গেছিলাম কিন্তু থেমে থাকিনি আমি আর এই থেমে না থাকাটাই আমার জীবনের একটা ট্রানিং পয়েন্ট ছিলো।এমন দুর্যোগের সময় মানুষের অনেক কাছে যেতে পেরেছি ভালোবাসার পাত্র হয়ে উঠেছি বিশ্বাসী হয়েছি,, তখন শুধু ব্যবসা নয় সেবা দিয়েছিলাম।
৪-৫ তলা সবার বাসায় দৈনন্দিন খাবার বাজার সহ প্রয়োজনীয় সকল পন্য ঔষধ মানুষের বাসায় পৌঁছে দিয়েছি। তখন প্রতিদিন সেল -২০-৪০ হাজার টাকা,, ৯-৫ টা নয় কাজ করেছি সকাল ৬ থেকে রাত ২-৩ টা পর্যন্ত,, একদিন তো ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা সেল দেখে আমি পুরা অবাক বয়স একটু কম ছিলো বাবা ও খুব ভয়ে ছিলো আমি এ ভার সহ্য করতে পারবো কি না। কিন্তু আমার রক্তের সাথে যে মিশে আছে ব্যবসা তাও খেয়াল করেনি,, ছোট বেলায় বাড়ির সামনে প্রতি বছর দুই দিনের মাহফিল হতো তখন আমার দোকান থাকতো মাস্ট,, দুই দিনে ১০০০-১৫০০ প্রপিট করতাম আবার ২-৩ দিনে প্রপিট খেয়েও পেলতাম। ইন্টারে থাকতে যখন স্যারের সেশন দেখি পড়ালেখার পাশা পাশি কিছু করতে হবে তখন আমি ফুটপাতে দুই বন্ধু মিলে কসমেটিস এর দোকান দিয়েছিলাম,, অনলাইনে ও সেল করতাম নিচে ছবি দিবো,, জার্সি সেল করে ছিলাম গ্রামে বসে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার, তখন প্রপিট হয়েছিলো ভালোই কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়েছিল সবচেয়ে বেশি। আরে অভিজ্ঞতা গুলো এই এক বছরে কাজে লাগিয়ে ছিলাম। আমাকে এখন কেউ ছিনে না নগদবাজার ছিনে আমার চাঁদপুরে রাস্তার কেউ দেখলে ডাক দিয়ে উঠে এই নগদবাজার কি অবস্থা,? এটাই আমার সার্থকতা আমার প্রাপ্তি,, শহরের ৩০ টির মতো দোকান এখন আমার কন্ট্রাক্টে,, তিন জন রাইডার কাজ করে আমার সাথে,, একজন স্টাফ,, আমি,, আমার দুই ছোট ভাই,,, একটা সার্ভিস এ থেমে থাকিনি রাইডিং চালু করেছি যাতে করে নতুন উদ্যোক্তাদের ডেলিভারি দিতে সমস্যা না হয়, আর পাশাপাশি আমার ও একটা ভালো প্রপিট হয়। প্রতিদিন প্রায় ৩০ টা পার্সেল ডেলিভারি করি শহরে নতুন উদ্যোক্তাদের। এতে করে শহরের যারাই অনলাইন বিজনেস করছে তারা সবাই আমার সাথে কাজ করছে,, নগদবাজার কে এখন মার্কেটপ্লেসে তৈরি করছি আপনাদের সকলের দোয়া প্রার্থী,, ২০২২ সালের মধ্যে ২০০ জনের কর্ম সংস্থান করার ইচ্ছা রয়েছে ইনশাআল্লাহ,, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বর্তমানে ব্যবসা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আশা করি এ ক্ষতি বেশিদিন থাকবেনা,,ইনশাআল্লাহ,,
অনেক কিছুই লিখে শেষ করা যায়না অন্য একদিন পুরো জীবনের গল্প লিখবো,,
সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পরিশেষে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে,, এমন পরিবর্তনের উদাহরণ হতে সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৫৫
Date:- ০৩/০২/২০২১
ইসমাইল খাঁন ইমতিয়াজ
জেলাঃ চাঁদপুর
ব্যাচঃ ৫ম
রেজিট্রেশন ৪৫৯৩
প্রতিষ্ঠাতাঃ নগদবাজার.কম