প্রতিটা মেয়েই তার পরিবারে রাজকন্যা হয়ে থাকে। কিন্তু হঠাৎ কোন একদিন সেই রাজকন্যা রাজ্য হারিয়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতার সাথে লড়াইয়ে নামতে হয়
প্রতিটা মেয়েই তার পরিবারে রাজকন্যা হয়ে থাকে। কিন্তু হঠাৎ কোন একদিন সেই রাজকন্যা রাজ্য হারিয়ে জীবনের কঠিন বাস্তবতার সাথে লড়াইয়ে নামতে হয় সেই গল্পই করতে এসেছি।

আব্বু ভাইয়া সবাই অনেক সাহায্য করত। আর আম্মু সব সময় কাঁদত আমাকে দেখে। তবে আমি শুকরিয়া আদায় করতাম যে আনার জান্নাত তো আমার কাছেই আছে। একটু হলেও সেবা করার সুযোগটা পাচ্ছি যেটা হয়ত অনেকেই পাই না।

চাকরি করে। তাই ব্যবসা কি সেটা জানা ছিল না। চাকরি পেয়েও গেলাম ১ টা। শুরু হলো নতুন অধ্যায়। ভোরে নামাজ শেষে রান্না করা, সংসারের সব কাজ, মায়ের কাজ সেরে অফিসে যেতাম। রাতে বাসায় ফিরে আবার সংসার। পড়ার সময় পেতাম না। প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনরা এমনকি বন্ধুরাও বলত যে মেয়ে ভাত মাখিয়ে খেতে পারে না সে পড়াশোনা, সংসার, অসুস্থ মা, সব সামলে চাকরি করতে পারবে না। দেখবে ২ দিন পর বাসায় ফিরে আসবে।

করছিলাম। বসের উন্নতি ঠিকই হচ্ছিল। আমি যেখানে ছিলাম সেখানেই থেকে গেলাম। তাছাড়া মেয়েদের চাকরির ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যখন দেখলাম আমার স্হানের পরিবর্তন হয়নি এবং অন্য কিছু কারনে চাকরিটাও ছাড়তে হয়। তখন খুব ভেঙে
পড়েছিলাম। জব ছেড়ে নিজেকে শুন্য মনে হচ্ছিল।
অনেক খোঁজ চেষ্টা করার পর সন্ধান পেলাম
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের
এটা যেন মেঘ না চাইতেই জল এর মত মনে হলো। আমার হতাশাগ্রস্ত জীবনে আলোর প্রদীপ এর মতো।



জানতাম না। কার কাছে সাহায্য নিব তাও বুঝছিলাম না। একটা পোস্টে কমেন্ট করলাম আমি রেজিষ্ট্রেশন করতে চাই। হঠাৎ মেসেন্জার এ সাড়া পেলাম।
খাইরুল আমিন ভাইয়া
যিনি নিজ দায়িত্বে অত্যন্ত যত্নসহকারে রেজিষ্ট্রেশন করে দিলেন। তারপর সাড়া পেলাম





সাথে ছিল লিটন ভাইয়া, ফারুক ভাই, রাসেল ভাই, রুবেল ভাই, ইউনুস ভাই, রোজ আপু আরো অনেকে। অনলাইন অফলাইন সব মিটআপে থাকতে লাগলাম আর শিখতে লাগলাম। ভাল মানুষের সাথে থাকলে নিজেও ভাল কিছু করা যায় এটার প্রমান পেলাম। তবে পথটা সহজ
ছিলনা। অনেকে অনেক বাজে মন্তব্য করেছে, ঠকিয়েছে। তবে একটা কথা মনে গেথে নিয়েছি
লোহা যত পোড়ে তত খাটি হয়



আমি বর্তমানে কাজ করছি হাতের কাজের ড্রেস, ঘড়ি ও জুয়েলারি নিয়ে।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন
আমাকে আজ এখানে আসতে সবথেকে বড় অবদান রাখে। সকলের সহযোগিতা কাম্য।


তবে আফসোস হয় আরো আগে যদি এখানে আসতাম তাহলে জীবনের গল্পটা ভিন্ন হতো। এখান থেকে যা শিখেছি তা হলো.......





নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে পজিটিভিটি এর সাথে সাথে আমরা তৈরি করছি সারা পৃথিবী জুড়ে অসাধারণ একটি নেটওয়ার্ক। প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে আমাদের বিভিন্ন নতুন নতুন দক্ষতা, আর এই সমস্ত দক্ষতা গুলো আমরা আমাদের
প্ল্যাটফর্ম থেকে শিখছি। সারা পৃথিবী জুড়ে নেটওয়ার্ক তৈরি করা সহজ নয়। আর এই কঠিনতম কাজটি একেবারে সহজ করে দিয়েছে আমাদের এ প্রিয়
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন
প্রানপ্রিয় মেন্টর ইকাবাল বাহার জাহিদ স্যার।



"সফলতার চার "স" সুশিক্ষা, সুসাস্থ, সুখ ও সম্পদ।"
"স্বপ্ন দেখুন,সাহস করুন,শুরু করুন লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই।"


এই গ্রুপ থেকে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা। সকলের জন্য দোয়া রইল। ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দিবেন। সকলের দোয়া নিয়ে, স্যারের শিক্ষা নিয়ে উদ্যোক্তা জীবনে এগিয়ে যেতে চাই।
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৫৬
Date:- ০৬/০২/২০২১
সৈয়দা শাহনাজ সুলতানা
জেলা যশোর
ব্যাচ ১২
রেজিষ্ট্রেশন ৪৪৮১৮