জীবনে সফলতা আনতে কমিটমেন্ট একটি বড় হাতিয়ার,
আমি _একজন_ ছোট্ট _উদ্যোক্তা।
️আমাদের প্রত্যকের জিবনে, অনেক দুঃখ আছে,কষ্টবেধনা সব কিছুই আছে, প্রিয় স্যার বলেছেন,যে দুঃখ, কষ্ট নিয়েই জিবন, তবে দুঃখ আছে বলে, আপনি এটা মনে করবেননা যে দুঃখটা সারাজীবন থাকবে,, দুঃখ না থাকলে সুখের মজা পাওয়া যায় না, কর্মহীন অবস্থায় এক মাস কেটে গেল,আমার ঘরে একটা চাল ডাল বাজার ঘাট নাই ,ক্ষুধার তাড়নায় বাধা কফি সেদ্ধ,করে রুটিদিয়ে খাই।এদিকে আমার শরীরটা এত বেশি খারাপ, ওষুধ কেনার মতো সামর্থ্য আমার নেই,,আর একদিকে কাজ নেই।অন্যদিকে ঘরে খাবার নেই আমি নিরুপায় হয়ে গেলাম মনে মনে ভাবলাম কি করা যায,কিভাবে ঘরে বসে দুইটা টাকা ইনকাম করা যায়।
হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো।এই লেবাননের গার্ডেন নার্সারিতে হরেক রকম,ফুল ও ফলের গাছ বেচাকেনা হয়,যদি আমি এমন কিছু ফুল চাষ করতে পারি,গার্ডেন নার্সারিতে সাপ্লাই দিতে পারব,এতে করে হয়ত আমার ঘরের খাবারের টাকাটা আসবে,তাছাড়া লেবাননের অধিবাসীরা ফুলকে অনেক ভালোবাসে।অভাবে থাকুক না কেন তাদের ঘরে ফুলের টপ থাকবেই।আমার বাসার সামনে একটা বিশাল বড় বাগান।সে বাগানে হরেক রকম ফুল ফুটে থাকতো।ফুলের টপ কিনে নিয়ে আসলাম তাতে মাটি,বড়লাম, এবং বাগান থেকে কিছু ফুল গাছ এনে লাগালাম একটু যত্ন শুরু করে দিলাম।
অল্প কয়দিনের ভিতরে আমার গাছগুলো বেশ বড় হয়ে গেল।একটি ফুলের টপ নিয়ে এক দোকানের সামনে গেলাম এবং দোকানদারকে বললাম এরকম ফুল আছে আপনাদের লাগবে কি?সে আমার ফুলগুলো দেখে মুগ্ধ হলো এবং আমাকে জিজ্ঞাস করলো কত টাকা দাম।আমার ঘরে খাবার নেই টাকা যাই হোক না কেন আমি বিক্রি করে দিব।ও মনে মনে একটু পলিটিস খাটালাম।বললাম লেবাননের 30 টাকা।সে খুশি হয়ে আমাকে 40 টাকা দিল।এবং বলল আরও যা ফুল গাছ আছে তুমি নিয়ে এসো আমি ভালো দাম দিয়ে কিনব।আমিতো খুশিতে বাকবাকুম।50 টাকা দিয়ে চাল ডাল যার কিনে নিয়ে আসলাম বাসায় সাথে একটু ঔষুধো।
পরের দিন সকাল বেলা ফজরের নামাজ পড়ে বোনকে সাথে নিয়ে।সব ফুলের টপ গুলো দোকানে নিয়ে গেলাম।দোকান ওয়ালা আমার সব ফুলের টব গুলো কিনে নিল।এবং লেবাননের আড়াইশো লিরা আমাকে দিলো।আমি 50 লিরা দিয়ে আবারও কয়েকটি ফুলের টব কিনে নিয়ে আসলাম।বাসায় এনে মাটি ভরাট করলাম।কয়েকটি টবে এলোভেরা চাষ করলাম।এবং সে অ্যালোভেরা গুলো পরের সপ্তাহে ডেলিভারি দিলাম।
একটা সময় অামি খুব হতাশ হয়ে যেতাম বারংবার। মনে ভিতরে প্রায়ই বাসা বাঁধতো হাজারো নেগেটিভিটির ছায়া।
নেগেটিভ শুধু নেগেটিভের জন্ম দেয়! অামি যত নেগেটিভ ভাববো ততবেশি নেগেটিভ জিনিস অামার সামনে এসে দাঁড়াবে বারবার"!
এই শিক্ষাটা যখন অামি স্যারের কাছ থেকে পেলাম তখন থেকেই অামার পজিটিভিটির চর্চা শুরু।
এই পজিটিভ থিকিং একদিনে তৈরি হয়নি অামার, দীর্ঘদিন চেষ্টা-সাধনা করার পরই তৈরি হয়েছে। কেননা পজিটিভ থিংকিং একটা চর্চার বিষয়।
অার এখন অামি স্যারের এই উক্তিটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এবং লালন করি যে,," জীবনে বড়, সফল ও সুখী হবার জন্য পজিটিভিটির কোন বিকল্প নেই"।
জীবন মানে নিরন্তর ছুটে চলা.. পদে পদে বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূলতায় রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত হওয়া, সে ক্ষত মুছে আবার প্রবল আগ্রাসে ঝাঁপিয়ে পড়া.. সংগ্রাম-পরিশ্রম যুদ্ধ এবং সাফল্য – এই হতাশা, ব্যর্থতা, গ্লানির তিক্ত অনুভূতিগুলো যখন ঘিরে ধরে তখন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সম্বল হয় একটু আশা, একটুখানি সম্ভাবনার হাতছানি।জীবনের কঠিন সময়গুলোতে আমাদের মনোবল ধরে রাখতে হৃদয়ে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাবে আমাদের মনের শক্তি।দুঃখ ব্যর্থতা কে ভুলে গিয়ে জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য, চাই মনোবল, সাহস - সৎসাহস চেষ্টা কঠোর পরিশ্রম, মেধা বুদ্ধি দৃয়স্থীর আমাদেরকে সফলতা এনে দিবে। একজন মানুষের জীবনের সহজে সফলতা আসে না।সফল হতে হলে আগে লক্ষ্য ঠিক করে নিতে হয়, তারপর জীবনের সমস্ত শক্তি দিয়ে চেষ্টা করতে হয়এবং সেটা বার বার করতে হয়।
জীবনে সফলতা আনতে কমিটমেন্ট একটি বড় হাতিয়ার, যারা পরিশ্রমের সাথে নিজের কমিটমেন্ট ঠিক রাখে ন্যায়ের পথে চলে নিজের কর্ম এবং পাওয়ার এর সদ্ব্যব্যহার করে, চোখ কান খোলা রেখে সফলতার পেছনে ছুটতে থাকে, ওই মানুষগুলো কখনো হেরে যায় না।
তাদের জীবনে সফলতা আসবেই আজ কিম্বা কালছোটবেলায় ফুটবল খেলতে গেলে বৃষ্টি না হলে মজা হতো না তেমনি বৃষ্টি শেষে নীলাকাশ না দেখেআমি ও হাল ছারছীনা।
প্রিয় _শিক্ষকের _প্রতি_ আমার_ কৃতজ্ঞতা
অন্তরের অন্তস্থল থেকে প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে শ্রদ্ধা জানাই।প্রিয় স্যারের শিক্ষা বুকে ধারণ করে।হাজার সমস্যার মোকাবেলা করে ও আমি আমার রিজিকের ব্যবস্থা করতে পেরেছিলাম।নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন যদি খুঁজে না পেতাম।হয়তোবা এত সমস্যার ভিতরে কোন সম্ভাবনা খুঁজে পাওয়ার পথ থাকত না।নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে আমি শিখেছি হাজারো কষ্টের মাঝে কিভাবে নিজেকে দাঁড় করাতে হবে।পৃথিবীতে কোন কাজই ছোট নয়।যেখানে সারা পৃথিবী কর্মহীন হয়ে পড়েছে।রেড লকডাউনে মানুষ ঘরে বসে না খেয়ে আত্মহত্যা করছে।ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিয়েছে।ডাস্টবিন থেকে ময়লা উঠিয়ে খেয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে।এমন একটা খারাপ পরিস্থিতির মাঝে থেকে আমি।স্যারের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করার জন্য লড়াই করে যাচ্ছি সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন,
আমি এই ফাউন্ডেশন থেকে যে শিক্ষা নিচ্ছি তা আমার জীবনে প্রতিনিয়তো কাজে লাগাতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
একজন সৎ-এবং নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে দুনিয়াতে বেঁচে থাকবো। আমি অতি শীগ্রই এই কষ্টের প্রবাস জীবন ত্যাগ করে দেশে চলে যাবো এবং একটা ছোট্ট মিনি গার্মেন্টস চালু করব।সেইসাথে অপি এগ্রো ফার্ম,আরো বড়ো আকারে,
শুরু করবো ইনশাআল্লাহ,,, কিছু মানুষের কর্মসংস্থান ব্যাবস্তা করবো সেই লক্ষ্যে কাজ করবো, কষ্ট কাকে বলে তা আমি জানি তাই কষ্টে থাকা অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বদা চেষ্টা করে যাবো। এবং স্যারের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে সর্বদা কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৫৭
Date:- ০৮/০২/২০২১
সাবিনা অপি
কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর-- লেবানন
ব্যাচ- নং-১১
রেজিস্ট্রেশন নং -২৮৭৭৪
উপজেলা -কাঠালিয়া
জেলা - ঝালকাঠি
বিভাগঃ বরিশাল
ব্লাড গ্রুপ বি প্লাস
বর্তমানে লেবানন বৈরুত