স্যার আমাদের ঘুমিয়ে থাকাকে,শক্তিতে জাগ্রত করে দিয়েছে।
বাংলা একাডেমী ২১শে বইমেলা তে ' বৃষ্টি সবার জন্যই পড়ে, তবে ভিজে কেউ কেউ' বইটি স্যারের অটোগ্রাফসহ নেওয়ার সৌভাগ্য হয়।সঙ্গে আমার ছোট মেয়ে ফুল দিয়ে স্যারকে অভ্যর্থনা জানান।
সেই দিনটির কথা আমি কোনদিন ভুলতে পারবো না।সেদিন কাজী হাসান মাহমুদ,সেলিম উদ্দিন ভাই ও আরেকজন ভাই ছিল তাদের আমি চিনতাম না।উনারা আমাকে ভীড় ঠেলে স্যারের কাছে নিয়ে যায়।উনারা আমার পরিচয় পেয়ে যে সাহায্য সহযোগীতা করেছিল সেটা কোনদিন ভুলার না।সুধু আমি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন ৯বম ব্যাচের সদস্য,এই আমার পরিচয় আর কিছু দরকার নাই। এটাই আমার সবচেয়ে বড়ো পরিচয়।
💕তখন গুলশান জোন ছিল না পরে গুলশান জোন হয়েই করোনা শুরু হলো।তবে আমরা নিয়মিত অনলাইনে Zoom এর মাধ্যমে আমাদের সাপ্তাহিক মিটআপের কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো।সেখানে আমরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করতাম। করোনা তে যখন পৃথিবীর চারিদিকে সবকিছু থমকে গিয়েছিল মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছিল তখন আমরা,এই ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে নিয়মিত একটিভ থেকে সামাজিক ও মানবিক কাজ গুলো একের পর এক করে গিয়েছি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে।
এই ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে যুক্ত থেকে যে এতো ভালো ভালো মানুষের দেখা পেয়েছি।সত্যিই অনেক বেশি আমাকে অনুপ্রেরণা জোগায়।
💕এই ফাউন্ডেশনের কিছু মানুষ গুলোকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়।তারা মেয়েদের কতোটা সম্মান দেই, সেটা আমি নিজেই প্রমাণ কারণ,আমি অনেকগুলো সামাজিক ও মানবিক কাজ করেছি প্রত্যক্ষভাবে।আমি প্রথম থেকেই বুঝেছিলাম,এই ফাউন্ডেশন এর মতো,দ্বিতীয় কোথাও নেই,যে মেয়েদের এতোটা নিরাপত্তা দিতে পারে।
💕স্যারের প্রতিটা সেশন গুলো এতটাই মূল্যবান যে,আমরা যদি এগুলো সঠিক ভাবে নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি। তাহলে আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না সাফল্য এসে ধরা দিবেই। আমরা সাহস পর্যন্ত করি কিন্তু আর লেগে থাকতে পারিনা এটাই বড় সমস্যা।
💕তবে আমরা যারা মেয়েরা,স্বামী, সন্তান, সংসার, শশুর বাড়ি, বাবা-মা সবার মন রক্ষা করে চলি তাদের ক্ষেত্রে একটু প্রতিবন্ধকতা আসতেই পারে এটাই স্বাভাবিক।
তবে কাজের শুরুতে অনেক বাধা আসে।ভালো যে কোন কাজ করতে গেলে অনেক বাধা আসে এটা আমরা বাস্তব জীবনে প্রমাণ পাই।
💕ভালো মানুষ হওয়া যেমন কঠিন ঠিকই, কিন্তু অনেক গুলো ভালো মানুষ তৈরী করা, তার থেকেও প্রচন্ড কঠিন একটা কাজ। সেই প্রচন্ড কঠিন কাজই,স্যার চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে।
স্যারের মতো মানুষের অনেক দরকার,না হলে তো আমরা নতুন প্রজন্মকে ধরে রাখতে পারবো না।আমাদের বিনা পয়সায় এতো সুন্দর একটা ফাউন্ডেশন তৈরি করে দিয়েছে। আর আমরা তো হেলায় হারিয়ে ফেলতে পারি না।এখনো আমরা যারা স্যারের ভিডিও সেশন ফলো করি,আমরা সবাই নিজেকে পরিবর্তন করতে পেরেছি এটাই বড় সার্থকতা।
💕স্যার আমাদের ঘুমিয়ে থাকাকে,শক্তিতে জাগ্রত করে দিয়েছে।এখন অনেক সাহস করতে পারি,নিজের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে পারি।
💞আমরা ৯০ দিন সেশনে কি শিখেছি?
অবশ্যই সবার আগে একজন ভালো মানুষ হওয়া।
সততা ও কমিটমেন্ট রক্ষা করা।
মা,বাবার সেবা যত্ন করা।পরিবার,সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করা।জীবনের সবক্ষেত্রে পজিটিভ থাকা।
নিজে ভালো থাকা ও অন্যকে ভালো রাখা।
জীবনে অন্তত একজন মানুষের ভাগ্য বদলাবো।স্বপ্ন দেখবো সাহস করবো শুরু করে লেগে থাকবো, ধৈর্যের সঙ্গে, সাফল্য না আসা পর্যন্ত।
কাউকে ঠকাবো না,খারাপ পণ্য,বা সেবা দিবো না।
একজন সফল উদ্যোক্তা না হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে লেগে থাকবো ও নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করবো।
💕আমি স্বপ্ন দেখি,আমাদের একটি নতুন বাংলাদেশ হবে,সেখানে ভালো মানুষই বেশী থাকবে।আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক,সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবো।গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যাদের সামর্থ্য আছে তারা সবাই এগিয়ে আসবো।গরীবের মুখে হাসি ফুটাতে না পারলে আমরা কোনদিন শান্তি পাব না। অসৎ ব্যবসায়ী,দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করব।নিঃস্বার্থভাবে,সবার প্রতি সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকবে।নেগেটিভিটি বলে কিছু থাকবে না।সবাই কথা দিয়ে,যে কোন মূল্যে কথা রাখবো।
💕আমাদের সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে না পারলে তিরিশ কোটি বাঙালি যে স্বাধীনতার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল সেই স্বাধীনতা ও তাহলে অর্থহীন হয়ে যাবে।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৬২
Date:- ১৫/০২/২০২১
নাজনীন আরা
ব্যাচ ৯বম,রেজিঃ১০৩৬৪
ঢাকা গুলশান জোন
থানা অ্যাম্বাসেডর ভাটারা।