✍অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়
মানব মনের ক্ষমতা অদ্ভুত ও অনুভবনিয়!
মানব মনের ওপর আস্থা কিভাবে কাজ করে? আকাঙ্ক্ষার প্রচন্ড প্রভাব কেমন? বাস্তবতার সাথে এইসব অদৃশ্য বিষয়গুলো কীভাবে কাজ করে? কীভাবে আকাঙ্ক্ষা ও আস্থার যোগফলে অসম্ভব কাজও সম্ভব হয়ে ওঠে?হয়ত একদিন বিজ্ঞান আমাদেকে এইসব প্রশ্নেরর উত্তর দিবে।🌅
👀কিন্তু একটা বিষয় খেয়াল করে দেখলাম এবং আমি বিশ্বাস করি কোন কারন ছারাই আমার এই বিশ্বাস নয়। আস্থা দিয়ে মোরানো কোন আকাঙ্ক্ষায় যদি কোন ব্যাক্তি অটল থাকে তবে তা সে পূরণ করবেই।
অসম্ভব বলে সেখানে কিছু নেই।
মার্ক টোয়েন বলেছেন,আপনি যদি পারবেন বলে চিন্তা করেন তবে আপনি অবশ্যই পারবেন।আপনি যদি পারবেন না বলে চিন্তা করেন তবে আপনি পারবেন না।তাহলে বুঝা গেল আমরা যা ভাবি আমাদের সাথে তাই ঘটে।
যেমন একজন রাজা জরুরি অবস্থায় একটি যুদ্ধের ঘোষণা দিল,কিন্তু যাদের সাথে যুদ্ধ করবে তাদের তুলনায় সেনা এবং অস্ত্র খুবই সিমিত ছিল।যুদ্ধ জাহাজ সাজিয়ে তৈরি করে রওনা হলেন শত্রুদেশে। সৈন্য ও যুদ্ধাস্ত্র নামিয়ে তিনি আদেশ দিলেন যে জাহাজগুলো তাদের নিয়ে এসেছিল সেগুলোকে জ্বালিয়ে দিতে।প্রথমে যুদ্ধের পূর্বেই তিনি জ্বলন্ত জাহাজগুলো দেখিয়ে তার সৈন্যদের বললেন,আপনারা দেখতে পাচ্ছেন যে জাহাজগুলো জ্বলে পুরে ভস্ম হয়ে যাচ্ছে।তার মানে আমরা এই সৈকত জীবন্ত ত্যাগ করতে পারবনা যতক্ষন পর্যন্ত না আমরা জয়ী হই।এখন আমাদের ফিরে যাবার কোন পথ নেই।হয় আমরা জিতবো না হয় জীবন হারাবো!সবার ভাবনা ছিল জিততেই হবে।
তারাই জিতেছিল।
কারন ফিরে যাবার সব রাস্তা বন্ধ ছিল। কঠিন মনবল জিততেই হবে না হলে প্রান যাবে।
আমরা প্রবাসীরা সব সময় ছুটিতে যাই আর ভাবি এবার দেশে গিয়ে একটা ব্যাবস্থা করে আসবো যেন আর প্রবাসে থাকতে না হয়।কিন্তু ওইযে ফিরে আসার রাস্তা আমাদের সামনে খোলা থাকে বিধায় কিছুই করে আসা হয় না।আর আমরাও সারাজীবন ছুটিতেই যেতে থাকি।একটা সময় দেখাযায় হায়রে জীবন বয়সত শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন আর শেষ বয়সে দেশে গিয়ে কি করব তার চেয়ে এখানেই থেকে যাই এবং থেকে যাওয়াটাই হয়।
আমরা যতদীন না আমাদের পেছনের সব জাহাজ জ্বালিয়ে দিতে পারব এবং বন্ধ না করে দিতে পারব ফিরে আসার সকল পথ, প্রয়োজনীয় স্থির মানসিক অবস্থা নিশ্চিত না করে জয়ের জ্বলন্ত আকাঙ্ক্ষা যা সাফল্যেরর জন্য অত্যাবশ্যক, নিজের মনে স্থান না করে দিতে পারব এবং যতদীন না নিজের সাথে নিজে ওয়াদাবদ্ধ হতে পারব এই বলে যে,জীবন যুদ্ধে আমাকে জয়ী হতেই হবে।ততদীন আমাদের জয়ী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।
একটি বিজের মাঝেই বিশাল এক বটগাছ ঘুমিয়ে থাকে।আমাদের কাজ নিজের মধ্যে থেকে ঘুমন্ত বটগাছটাকে জাগিয়ে তোলা।
সত্যিই, বিশ্বে এমন কিছু নেই যা জ্বলন্ত আকাঙ্ক্ষা সহকারে বিশ্বাস করলে পাওয়া যায় না। আমাদের মধ্যে যদি একটি জ্বলন্ত আকাঙ্ক্ষা থাকে এবং এটার সাথে বিশ্বাস থাকে আমি এটা অর্জন করতে পারব তাহলে সেখানে এমন কোন কিছু নেই যা আমি আপনি আমরা অর্জন করতে পারব না।দরকার শুদু অদম্য ইচ্ছা ও জ্বলন্ত আকাঙ্ক্ষা এবং চাওয়াটা হবে শুদুই নিজের কাছে আর পাওয়ার জন্য শুরু করতে হবে।লেগে থাকার বিকল্প নাই সবসময় ভাবতে হবে আমি সফলতার মাত্র ৩ ফুট দূরে আর একটু এগিয়ে গেলেই সফলতা।
🌅 একটা সময় ছিল ছিলনা কোন রাস্তা
না ছিল কোন আস্থা।
এখন কিসের ভয়, কেন এত সময়ের ক্ষয়?
সাথে আছে মোদের স্যার,ইকবাল বাহার নাম তাহার।
দিয়েছেন ডাক দেখিয়েছেন রাস্তা
খুজে পেয়েছি প্রবাসীরা হারিয়ে যাওয়া আস্থা।
লক্ষ লোকের সেতু বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন যিনি
প্রবাসীদের গর্ব প্রবাসীদের অহংকার মাথার মুকুট তিনি
🤔কি ভাবছেন কার কথা বলছি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার
তার মত উদ্যোক্তা গরার কারিগর পাওয়া বেজায় ভার।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৯৫
Date:- ২১/১২/২০১৯ ইং
আব্দুস শাকুর ৭ম ব্যাচ
রেজিস্ট্রেশন নং ৮৫৩
পাবনা সৌদী রিয়াদ প্রবাসী