মায়ের মতো আপন কেহো নায়। মা জননী নায়রে যাহার ত্রিভুবনে তাহার কেহো নায়
আজ আমি আম্মাকে নিয়ে কিছু বলতে চাই. যাদের বাবা মা বেচে আছেন তারা বুঝতে পারবেন না যে, বাবা মা না থাকলে কেমন লাগে। মাকে নিয়ে কতো শুন্দর শুন্দর গান কবিতা রচিত হয়েছে। " মায়ের মতো আপন কেহো নায়। মা জননী নায়রে যাহার ত্রিভুবনে তাহার কেহো নায়"।কতো শুন্দর কথা গুলা।
👉 আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি অনেক ছোট বেলায়। আম্মা এখনো আছেন। আমার আম্মার স্ট্রোক করেছিলো।আজ আমি আপঅনাদের কাছে সেই ভয়াবহ দিনের কথা আপনাদের সাথে বলতে চাই। যাদের বাবা মা আছেন দয়া করে তাদের প্রতি যত্নবান হোন। কারণ একবার হারালে বুঝবেন তিনারা আপনার জীবনের কতো জায়গা দখল কররে আছেন। স্যারের কথাটা বারবার মনে পড়ে। প্রতিদিন না পারলেও একবার অন্তত তদের বলে যে তোমাদের অনেক ভালোবাসি। এমন না হয় যে এই সামান্য কথাটা হয়তো বলার সময় পাবেন না।
👉 আমি খুব ভালো ভাবে বুঝেছি। আম্মাকে নিয়ে যখন ঢাকা মেডিক্যাল এ ছিলাম। এমন কোনো দিন যায়নি যে আম্মার জন্য কান্না করেছি। রাতের পর রার আম্মার বেডের পাশে দাড়িয়ে থেকেছি। আর কোনো রিপোর্ট ডাক্তারজে দেকাতে ভয় পেতাম। না জানি ডাক্তার কি বলবেন। আম্মার হাতের শিরা পাওয়া যাচ্ছিলো না।কাধে অপারেশন করে চ্যানেল করে দিয়ও হয়েছিল ব্লাড আর ইঞ্জেকশন দেওয়াত জন্য। সারা রাত আসারা দিন আম্মার হাত ধরে বেডের পাশে দাড়িয়ে থেকেছি। কতো রাত যে না খেয়ে কেটেছে সেইটা শুধু আমিই জানি। আম্মা ১৪ দিন অজ্ঞান ছিলেন। যেদিন কাশির সাথে রক্ত বের হতে লাগলো আমি ভেবেছিলাম আর বোধহয় আম্মাকে ফেরাতে পারবো না। উপরে একজন আছেন।তিনার রহমতে কথা। সুকরিয়া যতো বলা যায় ততো কম মনে হয়। তিন মাস যুদ্ধ করে আল্লাহর রহমতে আম্মাকে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি।
👉 আম্মা ছাড়া আমার আর কেও নায়। আম্মা যখন বাথরুম করেন আমি ডান হাত দিয়ে পরিস্কার করি। আমার কোনো কিছুই মনে হয় না বা ঘেন্নাও লাগে না। কেনো করবো না বলেন। আমরা যখন ছোট ছিলাম আম্মা তো এই ভাবেই আমাদের বড়ো করেছেন।তখন কি আম্মা ঘেন্না করে আমাদের ফেলে রেখেছেন। তাইলে আমরা কেনো তাদের এই অশাহায় অবস্থা তাদেরকে দূরে সরিয়ে রাখবো।
👉 আমার খুব করুনা হয় সেই সব সন্তাদের জন্য। যাদের বাবা মা থাকতেও ব্রদ্ধাস্রমে ফেলে রেখে আসে। একবার খোঁজও নেয় না। আবার অনেক সুসন্তান আছে যারা রাস্তায় বাবা মাকে ফেলে চলে যায়।
👉 তাই বলি দাত থাকতে দাতের মর্ম বোঝা উচিৎ। আজ আপনি আপনার বাবা মায়ের জন্য করবেন। কাল আপনার সন্তানেরা আপনাকে দেখে শিখবে। তখন আর আমাদের দেশে বৃদ্ধা আশ্রমের দরকার পড়বে না।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৬৪ Date:- ১৭/০২/২০২১
নামঃ- জোয়ার্দার বাবলী
ব্যাচ নাম্বার ঃ- ৮ম
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারঃ- ১০৫১৬
ডিস্ট্রিক্ট এম্বাসেডর, ঝিনাইদহ
জেলাঃ- ঝিনাইদহ
প্রতিষ্ঠান ঃ- বাবলী ক্রাফটস
https://www.facebook.com/bableecrafts/