কৃষকের আনন্দ বলে শেষ করা যাবে না।
রাতের শেষ প্রহরে সু মধুর কন্ঠে মসজিদের মুয়াজ্জিন যখন আজান শুনতে পাই। ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে। মসজিদ থেকে বাহির হয়ে পূর্ব দিকে যখন তাকাই পূর্ব আকাশে রক্ত রাঙ্গানো সূর্যটা আস্তে আস্তে উদয় হতে থাকে। গাছে গাছে পাখির কিচিরমিচির শব্দ কানে বাজে দোয়েল কোয়েল ময়না শালিক আরো আরো অনেক নাম জানা পাখি। পাখির আওয়াজ কানে বাজে।
মনটা তখন আনন্দে ভরে যায় চারিদিকে সবুজ ফসল সকালে হাঁটার সময় শীতে দুবার মধ্যে পড়া শিশিরের ঝিকিমিকি করে আলতো ভাবে হাতের নাড়া দিলে মাটির মধ্যে কি সুন্দর ভাবে পড়ে। মাঠে মাঠে কত শাক সবজি কত শস্য যে দিকে তাকাই বিশাল মাঠের মধ্যে ধানক্ষেত আর সমাঠের মধ্যে কৃষক তার সোনার ফসল ফলানোর জন্য চোখের মধ্যে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে চলে আসে মাঠের মধ্যে।
তার সাথে নিয়ে আসে কিছু খাবার। খেতে খেতে শুরু করে মাঠের কাজ হাজির হয়।হাজির হয়ে ফসলকে বলে আমি এসে গেছি তোদের মাঝে তোরা সবাই কেমন আছিস। তোদের কে ভালবাসি বলেই ভোরের সকালে তাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে গেলাম। বাড়ি মধ্যে ঘুমায় কিন্তু আমার মনটা পড়ে থাকে তোদের মাঝে। তোদেরকে নিয়ে যে আমার ভবিষ্যৎ গড়ার পথচলা আলোর দেখা।
তোরা ভালো থাকলে আমার মুখে ফুটে উঠে হাসি। আমি যে তোদেরকে কত ভালোবাসি এই কথা শুনে মাঠের সব সবুজ গাছগুলো মুচকি হেসে বলে এই আমার চর্চা করা দেখাশোনা করা মালিক তুমি তোমাকে সেবা করো দেখাশোনা করো বন্ধু যদি আমি সুস্থ থাকি কোনদিনও তোমাকে ঠকাবো না। তোমার কষ্ট বিফলে যেতে দেব না।
বাংলার কৃষক এই দেশের প্রকৃত বন্ধু।কৃষক এত কষ্ট করে ফসল ফলায় বিদায় আজ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি এই করোনা মহামারীতে মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে সোনার বাংলা চলাফেরা করতে পারতেছি। কৃষক যদি এত কষ্ট করে ফসল না ফলাতেন দেশের অনেক টাকা চলে যেত অন্য দেশে। সাধারণত একটি উদাহরণ দেই পেঁয়াজের কিছু ফসল কম হয়েছে বিধায় এই দেশের মধ্যে পেঁয়াজের দাম হয়ে গেল আকাশ।ছোঁয়া যা কল্পনাও করা যায় না।
বাংলার কৃষক অনেক কষ্ট করে মাঠের মধ্যে যে ফসল ফলায় তার ন্যায্য দাম পায় না।যে টাকা প্রতি ১বিঘা খরচ হয় তার অনুপাতে চারভাগের তিনভাগ পাওয়া যায়। আর একবার কি হয় কৃষকের লছের খাতায়। কিন্তু জে লাওটা ২০ টাকা কিনে নিয়ে শহরে ৭০ টাকায় বিক্রি করে। কৃষকের থেকে কত গুন লাভ করেছে বিক্রি করছে একবার খেয়াল করছেন। এই কৃষক তার জীবনের সবটুকু উজাড় করে তার ফসল শস্য সবগুলো সবকিছুই ফলায়।
কিন্তু বিনিময়ে একটি উপায় লস বাদে আর কোন তারকা থাকেনা আমাদের প্রিয় স্যার বলেছেন প্রকৃতপক্ষে তারাই ছিলেন উদ্যোক্তারা নিজের ফসল নিজেরাই ফলাতেন নিজের খাবার নিজেই তৈরি করতেন। কোন ওপর নির্ভর ছিলেন না তারাই হলেন আমার বাংলার কৃষক আসল উদ্যোক্তা সেই কৃষক আজও আছেন। কিন্তু তাদের মূল্য আজ আর নেই। কৃষক তার মন প্রাণ এই দেশকে ভালোবাসেন সে ভালবাসার মধ্যে না কোন খাদ নাই।
নাই কোন বিন্দু পরিমান ও ঘৃণা মন প্রাণ দিয়ে দেশকে ভালবাসেন তার পরিশ্রম কৃষকের ফসল। কি সুখের কাজ আর একটু বিবরণ দেই প্রথমে নাঙ্গল দিয়ে জমিতে হালচাষ করতে হয়।প্রথমবার হাল চাষ করার পর তাকে তিন চার দিনের জন্য রাখা হয়। দ্বিতীয়বারের মতো আবার হাল চাষ করা হয়। তার পরের জমিতে প্রস্তুত করা হয়।প্রস্তুত করার পর তারা বিভিন্ন ওষুধ বীজ বপনের জন্য তারপর এক এক করে সারিবদ্ধ ভাবে বীজ বোনা হয়।
বীজ বপনের ১৫থেকে ১৬ দিনের মধ্যে চারা অঙ্কুরিত হয় আপনি একবার লক্ষ করে দেখছেন কিভাবে মাটি থেকে মাটিকে ভেদ করে তা অঙ্কুরিত হয়। শুধু একবার চারা অঙ্কুরিত হওয়ার দৃশ্যটা কে আপনি যদি বিশ্লেষণ করেন তা হলে মহান আল্লাহপাকের অশেষ রহমত খুঁজে পাবেন। অঙ্কুরিত মধ্যমিক প্রথমে দুই পাতা ৩ পাতা এভাবে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে ফল ফল আসে গাছের মধ্যে হারভেস্ট বিক্রি করার জন্য সময় লাগে দুই থেকে তিন মাস এ ফসলগুলো যখন ঘরে আসে তখন কৃষকের আনন্দ।
কৃষকের আনন্দ বলে শেষ করা যাবে না। অনুরূপ আপনি উদ্যোক্তার বীজ বপন করতে হবে। যে গাছ বা ব্যবসা শুরু করো আস্তে আস্তে যত্ন করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনার উদ্যোগ সফল না হোন উদ্যোক্তা হওয়া সহজ নয়। হাতের মধ্যে কিছু আগুনের খন্ড রাখা যত কষ্ট একজন সফল উদ্যোক্তা হতে তার চেয়েও বেশি কঠিন বা কষ্ট। প্রথমা আমাকে লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। আমি কি করতে চাই কোথায় যেতে চাই আপনি ধনুক দিয়ে কোন কিছু স্বীকার করবেন
ঐ বস্তুর।
প্রতি সঠিক নিশানা নির্ধারণ করে আপনি তীর ছুটতে হবে এবং এক বিন্দু পরিমাণ এদিক ওদিক হলে সঠিক নিশানা নির্ধারণ হবে না। পূর্ব থেকে আপনার কাজ কে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কি করতে চাচ্ছেন কি করবেন ওই লক্ষ্য নিয়ে আপনি আগাতে হবে। আপনার কাজকে আপনি মনেপ্রাণে ভালবাসতে হবে। প্রতিদিন ১০০ বা ২০০ টাকা সেইভ করা কি খুব কঠিন কাজ? যারা পারেন আরও বেশী টাকা সেইভ করা শুরু করুন। কিভাবে সেভিংস করতে পারেনঃ
১। যারা সিগারেট খান, ছেড়ে দিন এটা আপনার জীবনে কোন কিছু যোগ করবে না বিয়োগ ছাড়া। ঐ টাকাটা সেইভ করুন।
২। আমরা জানি অনেকে প্রেম করে গিফট দিয়ে অনেক টাকা নষ্ট করেন, ৫ টা বছর পরিশ্রম করে নিজের ক্যারিয়ারটা একটা শক্ত অবস্থানে দাড় করান, জীবনে প্রেমের অভাব হবে না। প্রেম আপনাকে খুঁজবে। ঐ সময় ও টাকাটা সেইভ করুন।
৩। বন্ধুদের সাথে আড্ডার দরকার আছে, কিন্তু এমন বন্ধুদের সাথে মিশুন যারা আপনার মনের মত ও যারা আপনার জীবনে ভালো কিছু অ্যাড করতে পারবে। বন্ধু নির্বাচন ক্যারিয়ারে অনেক বড় ভুমিকা রাখে। বন্ধুদের সাথে অকারনে আড্ডা দিয়ে খরচ না করে তা সেইভ করতে পারেন।
৪। যতোটুকু দরকার ততটুকু বলুন, অকারনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মোবাইলে কথা না বলে, ঐ সময় ও অর্থটুকু সেইভ করুন।
৫। ছোট বড় সখের জিনিষটা এখনি না কিনে ক’বছর অপেক্ষা করুন আরও বড় কোন শখ পূরণ করার জন্য, বরং ঐ ফান্ড সেইভ করুন।
৬। বাংলাদেশে সারা বছর নানান দিবস থাকে, ঈদ, বৈশাখ, বাবা/মা দিবস, ভালোবাসা দিবস, বিজয় দিবস, ভাষা দিবস, পূজা, আমের সিজন ইত্যাদি দিবস ও সময়কে মাথায় রেখে আপনি ছোট ছোট বিজনেস প্ল্যান করতে পারেন এবং ব্যবসার হাতে-খড়ি নিতে পারেন। তাতে আপনার বিজনেস শেখা যেমন হবে তেমনি কিছু লাভও আসবে – যা আপনি সেইভ করতে পারেন।
৭। আগামী এক বছর প্রতিদিন ২-৪ ঘণ্টা সময় বের করে একটা টিউশানি বা পার্ট টাইম জব (রেস্টুরেন্ট, ফার্নিচারের দোকান, আইটি ফার্ম, যে কোন মার্কেটিং, ডেলিভারি সার্ভিস ইত্যাদি) শুরু করুন আজ থেকেই। এই টাকাটা সেইভ করুন।
আমি নিশ্চিত ১ বছরে আপনি ছোট করে শুরু করার মত একটা মূলধন জমিয়ে ফেলতে পারবেন সহজেই। খুব ছোট কিছু শুরু করার জন্য এটা হতে পারে আপনার প্রাথমিক মুল্ধন।
ব্যবসা শুরু করতে অনেক টাকা লাগে এই ধারণাটা ভুল! এই ছোট ছোট উদ্যোগ থেকে একদিন হবে অনেক বড় একটা প্রতিষ্ঠান।
গল্পের শুরুটা এখান থেকেই শুরু...তাতেই আপনার সাকসেস হতে পারবেন লেগে থাকতে হবে জীবনে আপনি কোন কিছু একটা করতে হবে না হলে আপনাকে কেউ মূল্য দেবে না।
টাকা ছাড়া এই পৃথিবীতে কেউ কাকে দাম দেয় না মূল্য দেয় না আপনাকে সৎ হতে হবে নিষ্ঠাবান হতে হবে পরিশ্রমই হতে হবে।
আর আপনার এই সফলতা একদিন আসবেই আপনার এই পরিশ্রমের ফল একদিন পাবেন।আপনি আপনার অনেক টাকা আছে দেখবেন আপনার অনেক বন্ধু বান্ধবী সবাই আছে আপনার পিছনে সবাই গুড়গুড় করছে। আপনি একজন উদ্যেক্তা আপনার যদি সফল হন আপনি নিজের সফলা পাশাপাশি আরো দশটা লোকের কাজের ব্যবস্থা করতে পারবেন।
দশটা লোকের ফ্যামিলির দায়িত্ব আপনি জেনে নিতে পারবেন
তখন আপনার ঐ ফ্যামিলির মন থেকে ভালোবাসার দোয়া আসবে আপনার জন্য এর থেকে বড় প্রাপ্তি আর কি আছে জীবনে।যে অন্যের জন্য ভালো কাজ করে তার বিপদে মহান আল্লাহতালার সহায় হোন।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৬৪
Date:- ১৭/০২/২০২১
নামঃমোঃআল -মাসুদ
কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
ব্যাচঃ ১০তম
রেজিষ্ট্রেশনঃ১৬০৪২
জেলাঃ কুমিল্লা
উপজেলাঃব্রাক্ষণ পাড়া
ব্লাড গ্রুপঃ(এ বি নেগেটিভ)