পেটে ভাতে আর কয়দিন?, না আমাকে কিছু করতে হবে এমন ভাবে চলতে গেলে ভবিষ্যৎ নাই আমার।
আমি অনেক ছোট ছিলাম তখন সবাই কত আদার করতো আমাকে কত না ভালোবাসতো দেখতে দেখতে কত বড় হয়ে গেলাম বুঝতে ও পারিনি কখন যে সেই ছোট আমি বাবার সাথে সংসারে এর কিছু দায়িত্ব নিতে শিখে পেলেছি।
কারন আমাদের পরিবারে অবস্থা খুবই খারাপ বাবার উপার্জন সংসার চলছে না।আমি তখন ছোট পড়ালেখা করতেছি পাশাপাশি কাজ ও শিখতেছি তারপর একটু একটু করে কাজ করতে লাগলাম আর বাবাকে সাপোর্ট করার জন্য সংসারে সহযোগিতা করে যাচ্ছি এক সময় গিয়ে দেখি সত্যি কিছু হলে ও পরিবারের দায়িত্ব নিতে পেরেছি।
সেই দিনের সেই ছোট আমি পরিবারের সহযোগিতা ও স্বচ্ছতা আনতে শুরু করি আর ভগবানের কৃপায় ভালো চলছে। কিন্তু মনের গহীনে কিছু স্বপ্ন রয়েছে আমার।
এই ভাবে চলে যায় বেশকিছু দিন।পেটে ভাতে আর কয়দিন?, না আমাকে কিছু করতে হবে এমন ভাবে চলতে গেলে ভবিষ্যৎ নাই আমার। তাই নিজে নিজে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিজের সাথে নিজের প্রতিজ্ঞা করলাম । আমার স্বপ্ন কে বাস্তবতা রূপায়ন করিবো।
ব্যবসা করবো আমি সবাই সফল হচ্ছে আমি ও পারবো।অনুপ্রাণিত হওলাম পার্শ্ববর্তী কিছু ভাইয়ের ব্যবসার সফলতা দেখে।চুড়ান্ত করে পেলাম ব্যবসা করবো আমি কিছু টাকা জমা ও করলাম।
যখন শুরু করতে যাই তখনি বাধাঁ আসল পরিবার থেকে তারা আমাকে বিশ্বাস করতে পারতেছে না যে আমি ব্যবসা করতে পারবো। তারা বলে তোমাকে দিয়ে ব্যবসা হবে না তোমার জন্য ব্যবসা আসে নাই তুমি পারবে না।
চিন্তায় পেড়েছি এখন কি যে করি,স্বপ্ন টা চোখের সামনে নষ্ট হয়ে যাবে মন খারাপ হয়ে গেল নিজে নিজে ভাবছি পরিবারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কি করে নিয়ে যেই পরিবারে জন্য এতো ত্যাগ করলাম সেই পরিবার যখন বুঝলো না তখন অশান্তি করে লাভ নাই। তখন পরিবারের সিদ্ধান্ত মেনে নিলাম।
কিন্তু সবকিছু কিছু এতো সহজে ভুলা যায়।হতাশা পড়ে গেলাম মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ি। কিছু প্রিয়জন বলে তুমি এই ভাবে ভেঙে গেলে কি হবে।সব সময় সব কিছু নিজের হাতে থাকে না।অপেক্ষা করো হয়তে ভালো কিছু হবে ভগবান সব ভালোর জন্য করে।আমি আমার মত চলছি।
প্রায় সাত আট মাস পরে বাবা বলে তোমাকে বাইরে পাটেনোর চেষ্টা করতেছি। আমি কোনো মতামত দিলাম না মনে মনে ভাবতেছি তারা তো আমার ভালো চায়। তখন বলি যা ভালো মনে হয় তা করেন।আমি বলে কি লাভ আমার কথার মূল্য নাই।
কয়েদিন পরে বাবা বলে তোমার ভিসা এসেছে। খুব কষ্ট লাগলো কাউকে বলতে পাছিনা। সবাই অনেক খুশি। তখন ভাবছি আমি ব্যবসা করতে পারবো না, বিদেশ করতে পারবো? আচ্ছা সবার খুশিতে আমার খুশি কি আর করা মেনে নিলাম।
টাকা কই ভিসা খরচ টিকেট খরচ আমার জমানো টাকা গুলো বাবাকে দিই।বাবা আরো কিছু টাকা ঋণ করে সব ব্যবস্থা করেন।চলে আসি দুবাই সব কিছু নতুন। এক টেনশনে আছি কি করি পারবো তো থাকতে এতো গুলো টাকা ইনভেস্ট করেছে আসলে এটা তো ইনভেস্ট না পানিতে পেলে দেওয়ার মত।আজ ব্যবসায় ইনভেস্ট করলে একটা প্রতিষ্ঠান এর মালিক হইতাম আর এখন চাকর আবার কোনো বিপদ হলে সব যাবে এই কুল ঐ কুল দুই কূল যাব।টাকা তো আর ফিরে আসবে না।নিজে ইনকাম করে ঋণ পরিষদ করতে হবে। সংসার এর জন্য টাকা পাটানো। এই দিকে নতুন মানুষ আমি।
আসলে আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।তাই আর চিন্তা নয় যেমন চলে চলুক।ভগবান কোথায় নেয় আমি দেখি।এই ভাবে চলছে আমার জীবন।ভগবান এর কৃপায় ঋণ পরিশোধ করলাম। স্বপ্নের মৃত্যু হলো প্রবাস জীবনের শুরু হলো।
হঠাৎ দেখি একদদিন ইউটিউবে একটা ভিডিও ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর দেখে অনেক ভালো লাগলো। প্রতিদিন স্যার ভিডিও গুলো দেখা শুরু করি অনেক ভালো লাগে কেমন জানি আমার সপ্নের সাথে সব মিলে যাচ্ছে সব। মনে মনে অনেক খুশি লাগতেছিল মনে হচ্ছে আমার মনে এর কথা গুলো কেও বুঝল চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারতেছি না খুশিতে যেনো সব কষ্ট চলে গেছে।
নতুন করে জীবনকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিলাম''' অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই প্রিয় মানুষ প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে এবং UTV লাইভ কে 'হয়তো এ ভিডিওটা না দেখলে এতো সাহস এত পরিবর্তন আমার জীবনে আসতো না অনেক ধন্যবাদ জীবন বদলে দেওরা জন্য স্যার।
এখন যেই স্বপ্ন মরে গিয়েছে তাকে আবার জাগ্রত করে সাজাতে শুরু করেছি।সবাই আশির্বাদ করনে যেন আমি নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করতে পারি।পাশে থাকবেন সহযোগিতা করবেন।
আমি ও প্রার্থনা করি সবার জীবন যেনো সুন্দর ও সুখের হয়ে।এবং নিজে বলার মতো একটি গল্প সবার যেনো হয়।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৬৫
Date:- ১৮/০২/২০২১
🗿আমি
📌নাম:বিপ্লব কুমার
📌ব্যাচ ষষ্ঠ
📌রেজি :৩৮৮৭
📌জেলা চট্টগ্রাম
📌 দুবাই UAE প্রবাসী