ছোটবেলা থেকেই গ্রামের স্কুলে দেখেছি একুশে ফেব্রুয়ারি এলে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নানা আয়োজন।
আমার শৈশবের একুশ । 🟡🟣🔵🟢
🖊️🇧🇩
অমর একুশে ভোলার নয়। মাতৃভাষা দিবসের মাস ফেব্রুয়ারি এলেই আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি সেই ভাষা সংগ্রামীদের, যাদের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ১৯৫২ সালের ঢাকার শান্ত রাজপথ। বাঙালির জীবনে যা অবিস্মরণীয় ও চিরভাস্বর দিন।
এ যুগের সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার অনুপ্রেরণা দেয় একুশ।
সর্বপ্রথম শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট।
🇧🇩🇧🇩🇧🇩
ছোটবেলা থেকেই গ্রামের স্কুলে দেখেছি একুশে ফেব্রুয়ারি এলে প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় নানা আয়োজন।
বয়স টা তখন অনেক ছোট। বড় বাড়ি আমাদের এক সাথে প্রায় চাচাতো-জেঠাতো ভাই বোন মিলে ১০/১২ জন সহপাঠী পড়াশোনা করতাম একি সাথে বলতে পারি বিশাল একটা দল আরো পিচ্ছি গুলো মিলে ১৬/১৭ জন ও হয়ে যেত। একুশের প্রথম প্রহরে দল বেধে খুব ভোরে ভোরে পুকুরের ঘাটে সবাই গোসল করতে এসে গপ্পো শুরু করে দেই পানিতে নামার আগে, তারপর নতুন জামা পরে আম্মার হাতে সেলামি নিয়ে দল রওয়ানা বিদ্যালয় -প্রাংগণ, আগের দিন বিকেল থেকে প্রাংগণ 🔴🟢🔵🟣🟡লাল, নীল,হলুদ এবং সবুজ রঙের কাগজ দিয়ে পুরো মাঠ এরপর কাচা ফুল দিয়ে সাজিয়ে ফেলত আমাদের শহীদ মিনার। এই একটি দিনের জন্য।
আর সারারাত শুনতে বেশ ভালো লাগে দেশাত্মবোধক গান গুলো আর অগ্নিঝরা ভাষণ।
সবাই মাঠে পৌছে যাবার পর এক অন্যরকম সাজানো বিদ্যালয়! হরেক রকম দোকানের পসরা কি সুন্দর ই না লাগতো!
এরপর আমাদের একে একে লাইনে দাড় করিয়ে হাতে একটা করে( বাশের+বেড়া) দিয়ে তৈরি পেষ্টুন দিয়ে দিত।বেজ এবং মাথায় একটা কাপড়ে লিখা থাকতো🇧🇩 "আমার ভাইয়ের রক্তে রাংগানো একুশে ফেব্রুয়ারি -আমি কি ভুলিতে পারি"🇧🇩
আমরা শিক্ষকের চোখ এড়িয়ে দেখতাম কারটায় কি লিখা থাকতো।
শুরু হয়ে যায় পেষ্টুন পাল্টাপাল্টি 😃
তারপর শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে আমাদের শ্রেণির শিক্ষক এর মাধ্যমে ! এর পর জাতীয় সংগীত শপথ, পি টি শেষ করে আমাদের সবাই মিলে শুরু হয় আনন্দ র্যালি! প্রায় ২০০০+ছাত্র-ছাত্রীদের মিলনমেলা যারা স্কুলে নিয়মিত আসতো না তারাও সেইদিন প্রস্তুতি নিয়ে চলে আসতো।
আর বাড়ির সামনে চাচী-জেঠি দাদু আপু সবাই বাড়ির দরজায় দাড়িয়ে থাকতো দেখত কত সুন্দর গ্রাম-বাংলার অপরুপ অমর একুশের দিন উদযাপন।
এরপরে ঘুরে আবার স্কুল প্রাংগণ তারপর আমাদের খাবার বিতরণ করতো সারিবদ্ধভাবে কখনো কখনো (বিস্কিট/মিষ্টি/সিংগারা)এগুলো ই থাকতো।
তারপর আমাদের মূল প্রতিযোগিতা সংস্কৃতি আয়োজন খেলাধুলা প্রতিযোগিতা বস্তা খেলা,বিস্কিট খেলা, বালতি খেলা আরো কত রকমের খেলা একে একে শুরু হয়ে যায়।
সারাটাদিন ছিল আমাদের জন্য বিশেষ একটি দিন।
যাদের জন্য আজ মন খুলে নিজের ভাষায় কথা বলতে পারি, সুখ দুঃখ আবেগ অনুভূতি প্রকাশ করতে পারছি তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করি। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই ভাষা শহীদের প্রতি। একুশ আমাদের প্রেরণায়, একুশ আমাদের চেতনায়।
আজ যে সবাই একত্রিত হয়েছি শৈশবের কথা গুলো প্রকাশ করতে পেরেছি তাদের অবদান কখনো ভুলবো না।
আসুন দেশকে ভালবাসি দেশের মানুষকে ভালবাসি।বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদদের আত্মত্যাগের উজ্জ্বল একটি দিন। এই দিনটির মাধ্যমেই বাঙালি জাতিকে বিশেষভাবে পরিচিত করে দেয় ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে।
অমর একুশের ভাষা শহীদের প্রতি রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৬৭
Date:- ২১/০২/২০২১
-------------------🖊️
মোঃ জাহিদুল ইসলাম ইমন
সেচ্ছাসেবী নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।
জেলা ফেনি,,বর্তমান ওমান প্রবাসী।
ব্যাচ ৬/নিবন্ধন নং ২৯৩.
ওমান প্রতিনিধি & মডারেটর, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।