আসলে স্কুল লাইফে এই দিবস গুলো নিয়ে অনেক অনুভূতি আছে
বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম।
"আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
"সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে,
আমার ভায়ের রক্তে রাঙ্গানো ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি...
শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি সেই সব
ভাষা শহিদদের যাদের রক্তের
বিনিময়ে আজ আমরা বাংলা
ভাষায় কথা বলতে পারছি....
সকল ভাষা শহীদের প্রতি আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি....
১৯৫২ সালের এই দিনে রফিক, জব্বার, শফিউল, সালাম, বরকত সহ অনেকের তাজা রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি আমাদের এই বাংলা ভাষা।।
#২১_শে_ফেব্রুয়ারি_উদ্যাপ: ১৯৫২ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় শহিদ দিবস হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাদিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এ সময় আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানের করুণ সুর বাজতে থাকে।
#আজ_আমি_আমার স্কুল লাইফের ২১ শে ফেব্রুয়ারি নিয়ে কিছু অনুভূতি আমার প্রিয় পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে শেয়ার করবো :
————————————————————————
আমার অনেক ভাল করে মনে পরে আমি যখন ক্লাস থ্রি তে পড়ি তখন একটু একটু বুঝি ,আমাদের ক্লাসে ছেলে মেয়ে মিলে আমরা প্রাই ২০ থেকে ২৫ জনের একটা টিম ছিলাম ,
তো যখন এই দিবস গুলো আসত বিশেষ করে একুশে ফেব্রুয়ারি,স্বাধীনতা দিবস,বিজয় দিবস ,২৬ শে মার্চ এই বিশেষ দিবস গুলো তে আমাদের স্কুলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকতো ,তো একটা বিষয় থাকে যে সকালে শিশির ভেজা ঘাসে খালি পায়ে ফুল নিয়ে স্কুলে যেতে হবে ,এর পর রেলি করে শহীদ মিনারে ফুল দিতে হবে ,
আমাদের এই কথা গুলো আগে থেকে হেডমাস্টার জানিয়ে দিতেন, আর জানিয়ে দিয়ার সময় বলতেন তোমরা যারা সে দিন স্কুলে আসবে না তাদেরকে কিন্তু পরের দিন স্কুলে ছুটির পরে মাঠের মাঝখানে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখবো,এর সাথে আরো বলতো যারা কিনা স্কুল ইউনিফর্ম ও হাতেফুল না নিয়ে আসবে তাদের কে ক্লাসের সকল মেয়েদের সামনে কান ধরিয়ে বেঞ্চের উপরে দার করিয়ে রাখবো, যখন কিনা এই কথাগুলো ক্লাসে এসে বলে যেতো এরপর থেকেই মনের ভিতরে ভয় কাজ করা শুরু করতো, আরেকটা কথা বলে রাখি আমাদের হেডমাস্টার কে দেখে সবাই অনেক ভয় পেতো ,সবাই বলতো তার চোঁখ বলে বাঘের মত দেখতে ,সে দিন বাড়ি ফেরার পর মাকে বললাম আমাদের স্কুলে অনুষ্ঠান হবে আমাকে ফুল নিয়ে যেতে হবে আর আমার স্কুল ইউনিফর্ম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে তা না হলে আমাদের হেডমাস্টার বলেছে ক্লাসের সকল মেয়েদের সামনে কান ধরিয়ে বেঞ্চের উপরে দার করিয়ে রাখবে,মা বললো আমি তোমার জন্য ফুলের ব্যবস্থা আর তোমার স্কুল ইউনিফর্ম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখবো,এর পর ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিন সকালে স্কুলে যেয়ে রেলিতে অংশগ্রহণ করতাম, রেলি চলা কালিন আমরা বন্ধুরা অনেক দুষ্টামি করতাম রেলির লাইন থেকে একবার সামনে যেতাম আবার পিছে যেতাম একবার ওর সাথে ধাক্কা খেতাম আবার দেখা যেতো ও আবার অন্য একজনের সাথে ধাক্কা খেতো এ ভাবেই পুরা রেলিতে দুষ্টামি করতাম , আবার এমনও হয়েছে এ দুষ্টুমি করতে গিয়ে স্যারদের হাতে ধরা পরেছি এবং কী কতো যে স্যারের হাতের বেতের বারি খেয়েছি তা গুনে শেষ করা যাবে না,
এটা তো গেলো ছোটবেলার কথা,
যখন আরেকটু বড় হলাম ক্লাস ফাইভ সিক্সে পড়ি তখন এই ভয়গুলি ভালোলাগা শুরু করল অপেক্ষায় থাকতাম কবে আবার এই দিবস গুলো আসবে কবে আবার রেলিতে যাব দুষ্টুমি করবো , তখন একটা মজার বিষয় ছিলো কি এই ফুলের জন্য আমরা বন্ধুরা কতো যে দরনী খেয়েছি ,
আমরা যখন ফুল ম্যানেজ করতে পারতাম না তখন যে বাসায় ফুল গাছ আছে সে বাড়িতে আমরা রাতে যেয়ে ফুল চুরি করে আনতাম, দেখা যাচ্ছে অনেক সময় সে বাসার মানুষের কাছে ধরা খেয়ে গিয়েছি, তো যখন ফুল আনতে পারতাম না তো কি করতাম অনেক ভোরে শহীদ মিনারে গিয়ে সেখান থেকে ফুল নিয়ে সেই ফুল আবার রেলিতে গিয়ে শহীদ মিনারে দিতাম ,
আসলে স্কুল লাইফে এই দিবস গুলো নিয়ে অনেক অনুভূতি আছে আজকের সময়ের স্বল্পতার কারণে সব কথা শেয়ার করতে পারলাম না ,ইনশাল্লাহ আবার কোন একদিন সময় পেলে আমার বাকি কথাগুলো শেয়ার করব এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন......
সর্বোপরি বলতে চাই আমি গর্বিত আমি বাংলা মায়ের সন্তান ,
বাংলা ভাষায় কথা বলি মায়ের ভাষা বাংলা ভাষা।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৬৭
Date:- ২১/০২/২০২১
রাজিব ইসলাম
সেচ্ছাসেবক
রেজিস্ট্রেশন টিম মেম্বার ও
ব্লাড ডোনেশন টিম মেম্বার
ব্যাচঃ ৯ম
রেজি নাম্বারঃ ৯৭৪৪
জেলা: ফরিদপুর
বর্তমান অবস্থান: বাহারাইন
Gmail-rajibislam705@gmail.com