আহ কি সুন্দর তাদের কথা ও বন্ধুত্ব পূর্ণ আচরন
আসসালামুয়ালাইকুম স্যার ও প্রিয় ২ লাখ গ্রুপ মেম্বার। আশা করি সবায় অনেক অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আরো ভালো আছি এ ভেবে যে ৪ জানুয়ারি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পেরে যা বাংলাদেশ এমনকি পৃথীবির ইতিহাসে এতো বড় উদ্যোক্তাদের সম্মেলন হয়েছে বলে আমি সহ কেউই মনে করে না।
চট্টগ্রামে ১৮ অক্টোবর যে ৪০০ জনকে নিয়ে আমরা প্রোগ্রাম করেছে তখন এ প্রোগাম সফল করতে ৪০ জন(আয়োজক কমিটিরা) কতটা কষ্ট ও কত গুলো রাত জাগার বিনিময়ে পেয়েছি সেটা আমি একজন আয়োজক কমিটিতে চিলাম বলে খুব কাছ থেকে দেখেছিলাম।
৪ জানুয়ারি মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম স্যার যে ৪৫০০ মানুষকে নিয়ে এতো বিশাল প্রোগ্রাম করেছে তা আমি ভেবেও অবাক হচ্ছি। সত্যি স্যার সহ এ কমিটির সবায় অনেক দক্ষতার সাথে প্রোগ্রামটি আয়োজন করেছে ও অনেক আন্তরিকতা ও সুপরিকল্পিতভাবে প্রোগ্রামের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাজ করেছে। যার ফলে আমার জীবনের স্মরণ কালে এতো ভালো ও বিশাল প্রোগ্রামে আংশ গ্রহণ করতে পেরেছি ও এমন একটি প্রোগ্রাম উপভোগ করতে সুভাগ্য হলো।
প্রোগ্রামের সকল কমিটি মেম্বার ও স্যারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা এমন সুন্দর ও এতোটা গোছালো একটি প্রোগ্রাম উপহার দেওয়ার জন্য। সাথে এটাও চাওয়া পরের বছর আরো বড় ও এমন সুন্দর প্রোগ্রাম করবেন এবং সে প্রোগ্রাম আমি কমিটিতে কাজ করতে চায় চট্টগ্রাম থেকে।
জীবনে কখনো ভাবিনি মোস্তফা জব্বার স্যার ও ঢাকার উত্তরের মেয়র আতিকুর ইসলাম স্যার কে কখনো স্বশরীরে দেখতে ও তাদের উপদেশ ও তাদের ব্যর্থতার কথা শুনতে পারবো। জব্বার স্যারের বানানো বিজয় সফ্টওয়্যারে দিয়ে প্রতিদিনি লিখালিখি করি কিন্তু ৪ জানুয়ারী স্যারকে সামনা সামনি দেখে ও স্যারে উপদেশ, অনুপেরনার কথা গুলো শুনেতে পেরে নিজেকে অনেক অনেক ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। জব্বার স্যার সত্যি অসাধারণ মানুষ। স্যার এতো সুন্দর করে স্যারের ৩০/৪০ মিনিট সময় কথা বলেছে যে আমি শুধু মুগ্ধের মত শুনেছি। ১ সেকেন্ডের জন্যও অমনযোগী হয়নি যেখানে আমি রিতিমত একজন অমনোযোগী ছাত্র ও শিক্ষক।
আতিকুর রহমান স্যারের ৪০ টা সেলায় মেশিন থেকে ১২ হাজার সেলায় মেশিনে যাওয়ার জার্নিটা আমাকে খুব খুব অনুপ্রাণিত ও আশাবাদী করেছে, কারণ আমি একজন খুব সহজে হতাশায় ভোগা মানুষ। খুব সহজে ও ছোট কারণ আমি জীবনে অনেকটা সময় হতাশাতে চিলাম।
আয়মান সাদিক ভাই, ডন ভাই, সোলায়মান সুখন ভাই সহ দ্বিতীয় সেশনের বক্তাদের কথা কি বলবো এক এক জন্য মনে হচ্ছে আগুন। আহ কি সুন্দর তাদের কথা ও বন্ধুত্ব পূর্ণ আচারন। সত্যি আমি কিন্তু মুগ্ধ থেকে আরো বেশি কিছু থাকলে সেটা হয়েছি।
প্রোগামে খারারের লাইন দেখে আমি ভেবে নিয়েছি যে সেদিন আর খারার খেতে হবে না কিন্তু মাত্র ৫/৭ মিনিটে আমি আমার খাবার হাতে পেয়ে যায়। যা খাওয়ারের দায়িত্ব থাকা ভাইয়া গুলো অনেক সুন্দর করে মেইন্টেন করেছে। ধন্যবাদ আপনাদেরকে।
টি- শাটের লাইনে দাঁড়িয়ে তো আমি ভাবলাম স্টেডিয়ামে ভেতরে যেতো যেতে প্রোগ্রাম হাফ শেষ হয়ে যাবে কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি ভাইয়াও গুলো টি শাট সবার মাঝে দিলো যে ৫ মিনিটে আমি আমার টি শাটটি হাতে পেয়ে যায়৷ আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।
একেবারে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারিনি কারণ আবার চট্টগ্রাম চলে আসবো সে তাড়াতে। না হয় স্যারের সাথে একটা সেল্ফি তুলতে পারতাম। অনেক গুলো প্রাপ্তির মাঝে একটা অপ্রাপ্তি থেকে যাক৷ কারণ সব প্রাপ্তি পূরণ হলে সেটার মজা থাকেনা। অন্য কোনো দিন সেল্ফিটা তুলবো স্যার আপনার সাথে।
শেষে আপনাদের সবাইকে আবারো অনেক অনেক ধন্যবাদ স্যার, আয়োজক কমিটি ও যারা অনেক দূর দূরান্ত থেকে প্রোগামে এসেছেন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ১০৫
Date:- ০৯/০১/২০২০ ইং
নামঃ মোঃ নিজাম উদ্দিন
রেজিঃ ১৯১
ব্যাচঃ ৬ষ্ঠ
জেলাঃ চট্টগ্রাম।