"বট বৃক্ষের মনুষত্ব"
আমি আমার লেখনিটার নাম দিয়েছি --
"বট বৃক্ষের মনুষত্ব"
🙏 আমি কখনো এমন ভাবে লেখালেখি করিনি তাই আমার লেখার ভিতরে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন কারণ ক্ষমাই হচ্ছে মহত্বের মূল।
🌳🌳আমি তালগাছ না বটগাছ হতে চাই ।
গাছ মাত্রই উপকারী-তা সে তালগাছই হোক,আর বটগাছই হোক।তবু কিছু বাহ্যিক ও গুণগত বৈশিষ্ট্যের নিরিখে আমরা তাদের বিচার করি।ঠিক সেরকমই কিছু বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে আমরা তাদের বিচার করব।
🌴তালগাছের কথা উঠলে প্রথমেই আমাদের মনে পড়ে যায় বিশ্বকবির সেই তালগাছ কবিতার কথা-
“তালগাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে
সবগাছ ছাড়িয়ে,
উঁকি মারে আকাশে।”
তালগাছ সব কিছুকে ছাড়িয়ে আকাশ ছুঁতে চায়।আশেপাশের সব গাছপালাকে ছাড়িয়ে সে মাথা উঁচু করে বিরাজ করে।অন্যান্য গাছপালার মনেও এরকম সাধ জেগে ওঠে।কিন্তু সে সুযোগ তারা পায় না।
আত্ম-অহংকার আর গর্বিত বুক নিয়ে সে সকলের কাছে নিজেকে জাহির করতে চায়।তালগাছ আত্ম-অহংকারী বলেই ছায়া বিস্তার করতে পারে না।কিম্বা শাখা-প্রশাখা বিস্তার করার ক্ষমতাও তার নেই।পথিকেরা তার তলাতেও আশ্রয় নিতেও পারে না।
কিন্তু বটগাছের কথা যদি আমরা ভাবি,তাহলে দেখতে পাবো,সে মহীরুহের মত চারিদিক থেকে ঝুরি নামিয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে সকলের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করে আত্ম সমর্পণ করে সকলের কাছে সকলের কাছে নিজেকে বিলিয়ে দেয়।সকলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।চারিদিক থেকে আসা অগণিত পক্ষীকূল বটবৃক্ষ ডালে বাসা বেধে থাকে।তারা বটের সুমিষ্ট ফল খেয়েই বাঁচে।কিন্তু শত অত্যাচার বটগাছ মুখ বুজে নীরবে সহ্য করে তার বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করে না।
তাকে আশ্রয় করে বেড়ে ওঠে কিছু লতানো গাছ তাদের সে সাদরে গ্রহণ করে।প্রখর সূর্যের তাপে পৃথিবী যখন দগ্ধ,ক্লান্ত ও শ্রান্ত পথিকের একমাত্র সুখশান্তি ও নিরাপত্তার আশ্রয়স্থল হল এই সুশীতল বটবৃক্ষতল।সে চিরজীবী। এভাবেই বটগাছ আমাদের নিমিত্ত সেবা করে যায়।আমাদের সমাজেও এরকম দুই শ্রেণীর মানুষ দেখা যায়।এক শ্রেণীর মানুষ তালগাছের মতই আত্ম-অহংকারী।তারা নিজের স্বার্থকেই দেখে।নিজেকে বড়ো বলে জাহির করে পৃথিবীর কাছে।তারা সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।সমাজের বৃহত্তর অংশের মানুষ তাদের দ্বারা কোন উপকৃত হয় না।বর্তমান আকাশচুম্বী স্বপ্নে মশগুল মানুষ নিজেকে ছাড়া আর কাউকে ভাবে না।তারা ঠিক তালগাছের মতই মাথা উঁচু করে অহংকার প্রকাশ করে।বৃহৎ জগৎ হতে সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।
কিন্তু আর এক শ্রেণীর মানুষ রয়েছেন, যাঁরা মানুষের সেবায় সর্বদায় নিবেদিত প্রাণ।নিজের স্বার্থ না দেখে সকলের স্বার্থে সে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।
###জীবন্ত উদাহরণ ও বাস্তবতা:-
বট গাছের উপকারী মনোভাবের সাথে আমাদের সকলের প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের অনেক মিল নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশনটি মাত্র গুটিকয়েক সদস্য নিয়ে বীজের মতো রোপন করেছেন আর আজ সঠিক পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণ এর মাধ্যমে সেই বীজ থেকে চারা আর চারা থেকে বৃহৎ বটবৃক্ষের রূপান্তরিত হয়েছে যেখানে আজ লক্ষ লক্ষ যোদ্ধা আশ্রয় নিয়েছেন যে সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে । আছে যারা প্রতিনিয়ত নিজের সাথে যুদ্ধ করে স্যারের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা গুলোর সাথে নিজেকে মিলিয়ে নিজের ভুলগুলো সংশোধন করে নতুন করে নিজেকে আবিস্কার করার চেষ্টা করতেছেন। ইতোমধ্যে তার ফল মিলতে শুরু করেছে দেশে ও দেশের বাইরে থেকে আজ অনেক উদ্যোক্তা হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। নিজেদেরকে সফল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ও অন্যের মধ্যেও সেই আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আজ আমাদের সকলের এই স্বপ্নের ফাউন্ডেশন সারাবিশ্বে উজ্জ্বল ইতোমধ্যে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে স্যারের এই প্রিয় প্রতিষ্ঠান জায়গা করে নিয়েছে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাহেব আমাদের স্যার কে সম্মানিত করেছেন। এতকিছুর পরেও দেখেন মানুষটার মনে কোন অহংকার নেই। সেই মন কাড়া এক মিষ্টি হাসি নিয়ে আমাদের মাঝে প্রতিটা সেশন সেখানোর জন্য উপস্থিত হওয়া। নতুন কিছু শেখানোর জন্য ভেতরে জমে থাকা সুপ্ত প্রতিভা কে জাগ্রত করে আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য আরো কত কি। তাই বলতেই হয় কামিনী রায়ের সেই বিখ্যাত কবিতার সার্থকতা হয়তো আজ এখানেই-
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন মন সকলি দাও
তার মত সুখ কোথাও কি আছে
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।।
স্যারের এই ভালোবাসা আর মূল্যবোধ আমরা যারা
ফাউন্ডেশন এর সাথে যুক্ত আছি তাদের মধ্যে কতটা প্রতিফলিত হয়েছে সেটাও একটু জানাই আপনাদেরকে
গত 14 ও 15 ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে খুব জ্বর হয় আমার প্রাথমিকভাবে আমার কাছে যে ঔষধ গুলো ছিল সেগুলো সেবন করি কিন্তু আমার জ্বর কিছুতেই কমেনি অপরদিকে আমি এমন এক পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম যে বাইরে কোন ক্লিনিক বা ডাক্তারের কাছে যাব সেই সুযোগ ছিল না 16 ই ফেব্রুয়ারি আমি আরো বেশি অসুস্থ হলে রাতে ছোটমামা কুয়েত প্রবাসী জিয়াউর রহমানকে জানাই তিনি আমাকে সাধ্যমত অতীতের মতো পরামর্শ ও মালয়েশিয়াতে অবস্থিত তার পরিচিত লোকদের মাধ্যমে আমাকে সহযোগিতার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি তিনি আমাকে বলেন "নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন" এর মালোশিয়া মেসেঞ্জার গ্রুপে একটি মেসেজ দেয়ার জন্য আমি ম্যাসেজ সেন্ড করার সাথে সাথে এক মিনিটের মধ্যে আমার ইনবক্সে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে একজন আমার বর্তমান অবস্থান ও সমস্যা জানতে চান । আমি তাকে আমার বর্তমান অবস্থান ও সমস্যা সম্পর্কে বলি। তিনি আমাকে সঠিক পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় ঔষধ সমুহ আমার নিকট পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে দেয় আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন সুস্থ তবে আপনাদের সাথে গল্পটা একটু দেরি হয়ে গেছে শেয়ার করতে। যে ডাক্তার ভাই আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন তিনাৱ নাম ডঃ শফিকুল ইসলাম অপু ভাই উনি নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশনের একজন সুপার একটিভ গর্বিত সদস্য তাছাড়া বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গের বাংলাদেশ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট এন্ড রিসার্চ এর চেয়ারম্যান বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়া জহুরবারু , ফৱেস্ট সিটি আছেন উনার সহযোগিতাও আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ আসলে মন থেকে আমি ওনাকে ধন্যবাদ জানাই সেই সাথে মালয়েশিয়া টিমের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার এ এস জে আকরাম ভাই আমাকে স্নেহ ও ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখেন তাই ধন্যবাদ জানাই আপনি সহ গোটা মালয়েশিয়া টিমকে।
🤔🤔###শিক্ষা
আমরা কেউ বটগাছ নই। আমরা সাধারণ মানুষ । কিন্তু এই বটগাছটির নিকট থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে। তাই আসুন সবাই মিলে নিজের জন্য স্বার্থপরের মতো না বেঁচে থেকে একজন ভাল মানুষ হিসেবে সমাজের জন্য বাঁচি। আর সেটা হলে একদিন আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের সকল স্বপ্ন পূরণ হবে। আর ঠিক যেমনটা চান আমাদের প্রিয় জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। কারণ তিনি সবসময় আমাদেরকে একটা মেসেজ দেয়ার চেষ্টা করে , সেটা হলো সবার আগে নিজেকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে।
🍃🍃পরিশেষে আবারও বলি আমার লেখার ভিতরে কোন ভুল হয়ে থাকলে দয়া করে ক্ষমা করে দিবেন এবং সেই ভুলগুলো আমাকে ধরিয়ে দিবেন যাতে পরবর্তী সময়ে এই ভুলগুলো পুনরায় না হয়।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৭০
Date:- ২৪/০২/২০২১
💁ধন্যবাদ
🙋নামঃ শিমুল আহমেদ
🏢জেলাঃ যশোর
📖 রেজিস্ট্রেশন নম্বরঃ ৫৪০৩২
🗞 ব্যাচ নম্বরঃ ১৩
✈ বর্তমান মালয়েশিয়া প্রবাসী