কঠোর পরিশ্রম,সততা, আর নিষ্ঠার সাথে সবসময় নিজের ব্যবসায়িক কাজে কঠোর যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত থাকতেন সবসময়।
**আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী এবং একজন চাষী একজন ভাল মানুষ,একজন উদ্যেক্তা। একজন মানব দরদী ও সমাজ সেবক। কঠোর পরিশ্রম,সততা, আর নিষ্ঠার সাথে সবসময় নিজের ব্যবসায়িক কাজে কঠোর যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত থাকতেন সবসময়।
আমার বাবার জীবন সংগ্রামের অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে যা উপাজর্ন করতেন সব আমাদের পিছনে ব্যয় করে দিতেন। দেখি নাই কখনো নিজের জন্য কোন ভালো ব্রান্ডের কাপড় কাপড় ক্রয় করতে। শুনেছি শুধু আমরা ভালো পরলে নাকি ওনার পরা হয়ে যায় ।কোনদিনই মাছের ভালো টুকরোটা প্লেটে নেননি সব সময় বলতো আমার পেট ভরে যাবে,কখনো দেখিনি নিজে একটু বিরোধিতা করেছে,সময় বেড়েছে আমরা কিভাবে ভাল থাকবো ভালো খাব ভালো পড়ব ____
****জীবন যদ্ধে হার না মানা একজন সৈনিক। জীবনে কত কষ্ট যে করেছেন,যখন মাঠে ফসল হতো না তখন বাবার নিরাশ পণ্য চোখের পানিগুলো দেখলে মনে হতো পৃথিবীর বাবারা কত অসহায় সন্তানদের জন্য,যখন ব্যবসায়িক কাজে যখন ট্রাভেলিং এ যেত কত বেলা যে না খেয়ে ছিলেন তা বলে শেষ করা যাবে না।সারারাত ঘুমাব না উঠে পায়চারি করত জিজ্ঞাসা করলে বলতো ঘুম আসছে না মা,,এখন হয়তো অনেকটাই বুঝতামনা বয়সে অনেক ছোট ছিলাম
মাঝে মাঝে মা বাবা আমাদের প্লেটে ভাত দিয়ে পাতিল ঢেকে রাখতো,,যাদের জিজ্ঞেস করতাম তোমরা খাবেনা?বলত তোরা খা আমরা দুজন পরে খাব, মাঝে মধ্যে শুনতাম বাবা নাকি আজকে দুপুরের খাবার খাওয়ার টাইম পায় নাই। বাবা কখনো কোন কাজে হার মানতেন না, যতক্ষণ পর্যন্ত হাতের কাজ শেষ না হত।এখনো বাবা বাড়িতে অল্পস্বল্প কাজ করেন,যতক্ষণ ওনি জীবিত আছেন ততক্ষন ওনি কাজ করে যাবেন ওনার দৃড় প্রতিজ্ঞা। বাবা আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। অনেক পরিশ্রম করে, আমাদেরকে বড় করেছেন,লেখাপড়া শিখিয়েছেন,অতি যত্নে মানুষ করেছেন, বাবা আমারপৃথিবীর সেরা বাবাদের একজন। ___❤️
***জীবনের সব টুকু সময় বাবা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য করে যাচ্ছেন। বাকী জীবন ও করে যাবেন বলে দিয়েছে।বাবাকে নিয়ে কি লিখবো জানি না! দূর প্রবাসে থাকায় অনেক বেশী মিস করতেছি বাবা তোমাকে। লিখার পূর্ব মূহুর্তে অশ্রু টলমল করতেছে,,বাবাকে নিয়ে লেখা কখনো শেষ হবে কিনা তা ও জানি না,বাবাকে নিয়ে লিখলে সারা পৃথিবীর কাগজ ফুরিয়ে যাবে বাবার প্রশংসা ফুরাবেনা,সুন্দর পৃথিবীতে মানুষের শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো বাবা,আমার বাবা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা,দেশের জন্য রক্ত ঝরিয়েছেন',শুধু আমাদের কথাই ভাবেন নি,দেশের প্রতিটি সন্তানের কথা ভেবে বিয়ে করেছিলেন যুদ্ধে,,অনেক রক্তের বিনিময় ছিনিয়ে এনেছেন স্বাধীনতা,,আমাদেরকে দিয়েছে একটি নিরাপদ জীবন,,আজ দূরপরবাসে বাবা তোমার কথাটাই বেশি মনে পড়ে,,অনেক বেশি ভালবাসি বাবা তোমাকে,,যাদের বাবা নেই তারাই বুঝে বাবা হারানোর কষ্ট যে কতখানি,,___
***বাবা শব্দটা উচ্চারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে কোন সন্তানের হৃদয়ের গভীর থেকে শ্রদ্ধায় ভালবাসার সম্মানে কৃতজ্ঞতা মনের মাঝে জন্ম হয়। বাবা যে কতভাবে আমাদের মাঝে অবদান রেখে যাচ্ছেন তা আমরা কখনো সন্তান হিসেবে, করতে পারবোনা,,আমি বাবা হয়েছি তাই বুঝি আমার বাবার কাছে আমি কতটা প্রিয় ছিলাম পৃথিবীর কোন বাবাদের অবদান কোন সন্তানই হিসাব করে বের করতে পারবো না,,সন্তানের জন্য বাবার বুকটা সব সময় অন্য সবার চেয়ে সেরা হয়। বাবার সন্তানের জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে পারে,এজন্যই বাবা সমাজে,সংসারে, রাষ্টে এতো বেশী দায়িত্ব নিয়ে চলতে হয়। বাবাকে অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশি বোঝা বহন করে দ্রুত চলতে হয় । বাবারা সবসময় ভাবে সন্তানকে কত সুখে রাখা যায় সন্তানের সুখেই বাবার মুখে হাসি ফোটে,,বাবা এই লম্বা পথ অল্প সময়ে কি করে পাড়ি দিতে হবে সবসময় এই চিন্তাই মগ্ন থাকে।__
***বুকের পাঁজর দিয়ে শক্ত করে সব কিছু আগলে রাখেন বাবা,,বাবা নামক বটবৃক্ষটি ভালোবাসার শিকল পরিয়ে রাখে চারো দিকে।বাবা একজন সন্তানের জন্য কত বড় নিয়ামত তা শুধু বাবার বাবা মাকে ছেড়ে দূরে বের হলে বুঝা যাই। বাবার হাত ছেড়ে দূরে থাকলে পৃথিবী টা কত কঠিন তা বুঝা যায়।বাবা আমাদের অজস্রভাবে ভালোবেসে যান তার সামর্থ্যের সর্ব্বচ্ছোটুকু দিয়ে,,উজাড় করে দেন তার হৃদয়ের সবটুকু সঞ্চিত ভালোবাসা,বাবার কাছে সন্তানের আয় সারা পৃথিবী,, সবকিছুই শুধু তার সন্তানের জন্য। তার যা কিছু আছে নিজের জন্য আর অবশিষ্ট রাখেন না কোনোভাবেই। সবকিছু উজাড় করে দেয়ার পরও তাকে কোনোভাবে নিঃস্ব বলে মনে হয় না। মনে হয় তিনি যেন পরম তৃপ্তিতে আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছেন____সন্তানকে সহশিক্ষা দিয়ে মানুষের মত মানুষ করার জন্য, সর্বদা সচেষ্ট বাবা। সর্বদায় দু চোখের পানি ফেলে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন তার সন্তানের মঙ্গলের জন্য।
সন্তান যেন জীবনে বড় হতে পারে সে কামনা করে সবসময়।সন্তানকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য বাবার চোখ থেকে ঘুম হারিয়ে যায়,,সন্তানের জন্য বাবা কখনো কাজে হার মানে না সন্তান , অসুস্থ হলে ও বাবার কলিজায় আগুন লেগে যায়,,কিন্তু জীবনের শেষে বয়সে এসে সংসারের গ্লানি টানতে টানতে বাবা এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন, বয়সের ভার, বিভিন্ন রোগব্যাধি তাকে দুর্বল করে বিপর্যস্ত করে তোলে। এ সময় বাবা চান সন্তান যেন তার পাশে থাকুক।সন্তান যেন থাকে বুক দিয়ে আগলে রাখে,,অধীরের সন্তানকে যেভাবে ভালোবেসেছে সন্তানও যেন সেভাবেই বাবাকে ভালোবাসে।____❤️
***সব বাবারা তাদের সর্বাত্মক দিয়ে সন্তানের জন্য সর্বসুখ বিলি করে দেন।কোন বাবা কখনো কোন সন্তানকে অভিশাপ দেন না,সন্তান যতই অন্যায় করুক এটাই বলে আমার বাচ্চা ছোট, বাবা কখনো সন্তানকে খারাপ শিক্ষা দেন না, কখনো কারো কাছে কোনভাবেই কারো কাছে কোনো ভাবেই ছোট হতে দেন না। বাবা তার জীবন বাজি রেখে হলেও সন্তানের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য চেষ্টা করে যায়।সন্তানের সুখের কথা ভাবতে ভাবতে কখন যে বাবার সাদা হয়ে যায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখার সুযোগ টুকু পায় না।এ পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম বাবারইকরে সন্তানদের জন্য,দুঃখজনক হলেও সত্যি সব বাবারা কিন্তু সন্তানের জন্য সব বিলিয়ে দেন।কিন্তু ঐ জায়গায় সব সন্তানেরা কিন্তু যখন বাবারা বয়স্ক হয়ে পড়ে তখন কেন দিতে পারি না???মেয়েরা বড় হলে অন্যের সংসারে চলে যায়,কিন্তু ছেলেরা যখন বিয়ে করে তখন বৃদ্ধ বাবা-মাকে অবহেলার চোখে দেখে,বাবা তখন তাদের কাছে বোঝা হয়ে যায়,বউয়ের কথা শুনে বাবাকে বলবো সাথে শুরু করে,,একসময় বাবায় পর হয়ে যায় সন্তানের কাছে,,তবুও বাবা হাসিমুখে বলে আমার সন্তান বোঝেনা একদিন বুঝবে।এ কথাগুলো আমার হৃদয়ের কথা,আজ আমি বাবা তাই মর্মে মর্মে অনুভব করছি একজন বাবার অনুভূতি।____
***শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে। স্যার যে কথাটা সবসময় বলে থাকে, আমাদের জীবনে যদি ভাগ্য, চমক,মিরাক্কেল, ঘটে তা হলো বাবা ও মায়ের দোয়া।প্রিয় স্যার বলেছেন বাবা মাকে সবসময় ভালবাসি বলতে,বাবা মাকে সম্মান করতে বাবা মা আমাদের শ্রেষ্ঠ নেয়ামত,আমাদের জীবনে যা কিছু অর্জন সবকিছু বাবা-মার দোয়ার বরকতে,,পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেনঃ সৃষ্টিকর্তার পরে বাবা মার জায়গা, আমার বাবা এখনো বেঁচে আছে অসুস্থ,,প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে প্রিয় মেন্টরের শিক্ষা পেয়ে অনেকবার বাবাকে বলেছি তোমাকে খুব ভালোবাসি বাবা,,আগে ভালোবাসি শব্দটা বলতে অনেক লজ্জা পেতাম,,সেই লজ্জা টা আর নেই,,মন চায় বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলি তোমাকে খুব ভালোবাসি,,দূর প্রবাসে থাকি,এমত অবস্থায় বাবার সেবা করতে পারিনা,,বাবার জন্য একটু ওযুর পানি এনে দিতে পারি না,বাবাকে কোলে নিয়ে আদর করে খাওয়াইয়া দিতে পারিনা,,অনেক সন্তানেরাই আছে বাবা মাকে আগে ভালবাসতে পারত না,আমরা স্যারের শিক্ষা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের বাস্তব জীবন বদলানোর একটা সুযোগ পেয়ে গেলাম। ___❤️❤️
পরিশেষে শুধু বলব আমরা সবাই শুধু মা-নিয়ে লেখালেখি করি,পোস্ট দিই।বাবাকে নিয়ে কখনো লেখার চেষ্টা করি না,মায়ের পাশাপাশি বাবার ভূমিকা আছে অনেক খানি,বাবা ও যে আমাদের জীবনে বড় অর্জন,,বাবা যে দুহাত আমাদেরকে ছায়া দিয়ে বড় করেছে,,সেটা ভুলে গেলে কোন ভাবেই চলবে না।তাই আজ আমার বাবাকে নিয়ে কিছু লেখা,,তবে এটাও চিরন্তর সত্য কথা
মা আমাদের সবসময় আগলে রাখেন,আচল দিয়ে সব সময় আমাদেরকে ঢেকে রাখার চেষ্টা করেন,কিন্তু বাবা বটবৃক্ষের মত ছায়া দিয়েই প্রখর রোদের প্রভাব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেন,পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি রইলো আমার লক্ষ-কোটি স্যালুট,,দিন শেষে একটা কথাই বলবো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি প্রিয় বাবা,তুমি আমার জন্য দোয়া করো দূর প্রবাসে যেন সকল বিপদ-আপদ থেকে যেন নিরাপদ থাকি I love you my dear father _____
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৭০
Date:- ২৪/০২/২০২১
ধন্যবাদান্তে
নুর আলম।
ব্যাচ নাম্বার --13
রেজিঃ নাম্বার 52025
জেলা --ফেনী।
বিভাগ --চট্টগ্রাম।
বর্তমানে আমি লেবানন একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা।
ব্লাড গ্রুপ --বি পজেটিভ।