#মাত্র_৩০০_টাকার_পুঁজই_দিয়ে_উদ্যোক্তার_জীবনের_শুরু।
#মাত্র_৩০০_টাকার_পুঁজই_দিয়ে_উদ্যোক্তার_জীবনের_শুরু।
ছোটবেলায় উদ্যোক্তা হওয়ার কথা ভাবিনি।
তবে ছোটবেলা থেকে খুব ভালো গান করতে পারতাম।
স্কুলের টিচার্সদের কাছে ভাইবা পরিক্ষায় ২৫ নম্বর অটো পেয়ে যেতাম ফ্রিতে।
কোনো পেশ্ন না করে একটা গান করতে বলতেন আর তাতেই ২৫ নম্বর পেয়েযেতাম।
ফ্রেন্ডস, ফ্যামিলি, রিলেটিভস সবার কাছে গানের জন্য এক্সট্রা কদর ছিলো আমার।
আর নিজেও জানতাম আমি একটু ভালোই গান গাই।
আর এই সব কারনেই মনের লুকায়িত ইচ্ছে ছিল একজন বড়ো গাইকা হব।
আর এই স্বপ্ন নিয়েই ক্লাস ৫থেকে ১০পর্যন্ত কাটিয়েছিলাম।
অন্যদিকে মা-বাবার চাপ ছিল আমি ভালো লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হবো।
কারন আমার পরিবার ইসলামের দিক দিয়ে খুবই কঠোর।
সেখানে আমি এমন একটা পরিবারের মেয়ে হয়েও গাইকা হওয়ার স্বপ্ন বুনে গেছি দিনের পর দিন।
পরিবার, সমাজ এটাই চায় সন্তান পড়াশোনা করে ভালো একটা নিরাপদ চাকরি করুক
এটিই হচ্ছে আমাদের দেশের মূল সমস্যা।
কিন্তু কেউ ভাবে না যদি সবাই অন্যের চাকরি করে তবে চাকরিদাতা হবে কে?
কম্পানি তৈরি করবে কে?
আমি এটা ভেবেছি।
তবে কেউ এই ভাবনা আমার মনে ডুকায়নি কিন্তু।
আমি নিজেই এই ভাবনা ভেবেছি।
এবং কিভাবে ভেবেছি সেই গল্প না হয় অন্য একদিন বলবো।
এই সল্প লিখনিতে তা বুঝিয়ে বলা বা লেখা সম্ভব না।
তবে আমি একজন গাইকা হওয়ার স্বপ্ন বাদ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি ২০১৭ থেকে।
কারন আমি তখন বুঝতে শুরু করলাম আমি যে পরিবারে বড়ে উঠেছি তাতে আমার এজীবনে আর গাইকা হওয়া হবেনা।
আর হলেও তা পরিবার পরিজন সব্বার ভালোবাসার মায়া ত্যাগ করে তারপর করতে হবে।
তবে স্বপ্ন আমার অনেক বড়ো ছিলো, যে আমার নিজ যোগ্যতায় কিছু একটা করতেই হবে।
যাতে আমার ইসলাম ও রক্ষা হবে এবং আমাকে ও মানুষ চিনবে।
আবার আমি অন্য কারো অধিনেও থাকবোনা।
আমি নিজে কাউকে চাকরি দিবো, বা কারো রিজিকের ব্যাবস্থা করতে পারবো, আমি কম্পানি বানাবো,
আমিই আমার কাজের যায়গার মালকিন হবো।
আর এই সব ভাবনা দিয়েই আমি আমার উদ্যোগ শুরু করি ২০১৭ সালের ২৩শে জুন।
#এবং_আমি_আমার_উদ্যোগ_শুরু_করি_মাত্র_৩০০_টাকা_দিয়ে।
স্বাধীনতার পর উদ্যোক্তা উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের পথচলা খুব বেশি গতিময় না হলেও দেশের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছেন বেশ কিছু প্রতিভাবান উদ্যোক্তা।
যাঁরা স্বপ্ন দেখেছেন এবং সেই স্বপ্ন পূরণে ঝুঁকিও নিয়েছেন।
তাঁদেরই প্রচেষ্টার ফল আজকের স্বনামধন্য অনেক বড়ো বড়ো প্রতিষ্ঠান হয়েছে।
বলা যায়, ধনী পরিবার থেকে উদ্যোক্তা হলে কিছু আর্থিক সুবিধা পাওয়ার পাশাপাশি কোন ঝুঁকিতে পড়লে তা কাটিয়ে উঠার সুযোগ থাকে।
কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে এ সুযোগ পাওয়া যথেষ্ট কঠিন।
প্রতিটি পদক্ষেপেই তাকে একেকটি বাধা মোকাবিলা করতে হয়।
যা শুরু হয় অর্থনৈতিক দৈন্যতা থেকেই।
নিজের পরিবারের সমর্থন কিংবা পরিচিতদের মধ্যে যদি বড় কেউ না থাকে এবং পুঁজির যদি স্বল্পতা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সাহস নিয়েই এগোতে হবে
আপনার লক্ষ্য স্থির থাকতে হবে, আপনি কী অর্জন করতে চান এবং কোন পথে তা অর্জন করবেন।
আর এ জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানও অর্জন করতে হব।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হচ্ছে ধৈর্য, যা একজন উদ্যোক্তার জন্য খুব বেশি প্রয়োজন।
উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম প্রক্রিয়ায় সাফল্যের চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি আসে।
কিন্তু আপনাকে অত্যন্ত ধৈর্যসহকারে সে সময়টুকু অতিবাহিত করতে হবে।
এ জন্য ফোকাস রাখতে হবে লক্ষ্যবস্তুতে।
আপনাকে সীমিত অর্থের যথাযথ ও প্রত্যাশিত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, একটি মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আপনি এসেছেন, সুতরাং অন্য কোনো সহায়তার চিন্তা করার সুযোগ নেই।
ঝুঁকি যারা নিতে পারে তারাই উদ্যোক্তা এবং তাদের তৈরি সেবা, পণ্য কিংবা উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে সমাজের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তিত হয়।
কিন্তু যারা জুয়া খেলার মতো কোনো ব্যবসা দিয়ে অনেক অর্থ উপার্জন করে, অথচ সমাজের পরিবর্তনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না, তারা পুঁজিবাদী।
তারা শুধু অর্থই কামাবে, কিন্তু সমাজের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনবে না।
✨ যখন একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমি যাত্রা শুরু করি, তখন নিজেও কোনো সাহায্যকারী পাইনি এবং শিখতে হয়েছে অনেক কষ্টে।
সত্যিকার অর্থে আমি চলতে চলতেই শিখেছি। এগিয়েছি, বাধা পেয়েছি,আঘাত পেয়েছি এবং সেখান থেকে শিখেছি।
আশা করছি নিজের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা ও বাধাবিপত্তি নিয়ে একটি বই লিখব।
একজন নতুন উদ্যোক্তাকে বলব, হয়তো কয়েক বছরই আপনার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ থাকবে না।
আপনি হয়তো ১০০টি বৈঠক করবেন, কিন্তু ফলাফল আসবে তার দুই-একটি থেকে।
হয়তো বা আপনি আশপাশে এমন অনেক মানুষ দেখবেন যারা আপনাকে হারাতে অনৈতিক পথ বআ পারিবারিক সুখ শান্তি ভাঙ্গনেরবেছে নেয়।
উদ্যেক্তা কখনোই হারে না, সে কোন না কোন পথ বের করে-ই নেই।
আপনাকে আপনার মতো করেই এগিয়ে যেতে হবে। তার মধ্যে পরাজয় মেনে নেওয়ারও সক্ষমতা থাকতে হবে।
যদি আপনার মধ্যে সততা এবং পরিশ্রম থাকে তবে একদিন না একদিন আপনি কাজের স্বীকৃতি পাবেন। সেই সঙ্গে মানুষও আপনাকে মনে রাখবে অনেক দিন।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৭০
Date:- ২৪/০২/২০২১
Maria Riya.
ব্যাচঃ ১২
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারঃ ৪৮১৩০
জেলাঃ পিরোজপুর।
বর্তমান ঠিকানাঃ উওরা।
স্বত্বাধিকারীঃ বাঙালিয়ানা ।