ড্রাগনের আর এক নাম পিতায়া
ড্রাগন ফল। নামটার মধ্যেই কেমন বিদেশি গন্ধ। এত দিন চিন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনামে রমরমা চাহিদা ছিল ড্রাগন ফলের। দেশ-কালের বেড়াজাল ভেঙে সেই ফল এখন চাষ হচ্ছে দুই বাংলার বেশ কিছু জায়গায়। খাদ্যগুণেও অতুলনীয় এই ফল। চাহিদাও বাড়ছে উত্তরোত্তর। খাদ্যগুণের কারণে এই ফলকে ‘রাজা’ বলে অভিহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ড্রাগনের আর এক নাম পিতায়া। কোনও কোনও দেশে একে বলা হয় ‘ফায়ার ড্রাগন ফ্রুট’ বা ‘সুইট ড্রাগন’। এক সময় আমেরিকা জুড়ে এই ফলের রমরমা থাকলেও এখন এটি পাওয়া যায় তাইওয়ান, ফিলিপিন্স, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডেও। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম ড্রাগন ফলে ৫৫ গ্রাম খাওয়ার যোগ্য। পরিমিত প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন-সি থাকে। ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীরা অনায়াসে এটা খেতে পারেন। চিকিৎসকদের দাবি, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও লিভারের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
গতানুগতিক চাষের বাইরে কেন ড্রাগন ফল? কারণ এই ফল চাষ লাভজনক। একবার গাছ বসালে টানা ২০-২৫ বছর ফল মেলে। ফলের দামও প্রচুর। এখন এক কেজি ফল ৪০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। এই ফল ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ করে।
ড্রাগন গাছ অনেকটা ক্যাকটাসের মতো। বালি মাটিতে এর বৃদ্ধি ভালো হয়। চারটি গাছের মাঝে একটি করে লোহার খুঁটি বসিয়ে তার মাথায় জিআই পাইপের লোহার রিং বা সাইকেলের চাকার রিং লাগানো হয়। গাছগুলি মাটি থেকে পাঁচ ফুট উচ্চতায় লোহার খুঁটি দিয়ে উপরে উঠে রিংয়ের চারপাশে ফোয়ারার মত ঝুলতে থাকে। গাছ বসানোর ১৮ মাসের মধ্যে ফুল ধরে। সেই ফুল থেকে একমাসের মধ্যে ছোট ছোট ফল হয়। সাদা, লাল ও হলুদ--- তিন প্রজাতির ফুল ও ফল হয়। তবে লাল ফলের চাহিদা বেশি। ফল পাড়ার দশ-বারো দিন পরেও তাজা থাকে।
চারটি গাছ পিছু ৬০০ টাকার আশপাশে খরচ হলেও আয় হয় কয়েক হাজার টাকা। এই বাগানে পেঁয়াজ, রসুন, ফুলকপি, বাঁধাকপিও বসানো যায়। একই মাটি ও সারে এক সঙ্গে ৩-৪টি ফসলের চাষ করা যাবে। তিন বছর পর গাছগুলি গড়ে ১৫ থেকে ২০ কেজি ফল দিতে পারে। আর ৫ বছর পর ফল ধারণ ক্ষমতা বেড়ে হয় ৪০ থেকে ৫০ কেজি। ড্রাগন ফলের চাষ অত্যন্ত লাভজনক।
কোথায় পাবেন ড্রাগন ফল বা ড্রাগনের চারা? এই বিষয়ে জানতে পড়ুন আমার পরবর্তী পোস্টটি
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ১১৪
Date:- ১৮/০১/২০২০ ইং
সাইমুম সালেহীন
রেজিষ্ট্রেশন : ৬৮৪৪
ব্যাচ : ৮ম
জেলা : ঝিনাইদহ
বর্তমান : ধানমন্ডি জোন
ঝিনাইদহ