ভালবাসা নিরন্তর সকল ভালমানুষের তরে
***মহা উদ্যোক্তা সম্মেলন ২০২০ এর
৪ এই জানুয়ারী নিজের বলার মত একটা গল্প এর দিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্সিক এর মহা মিলন মেলায়, টাংগাইল জেলা সেরা জেলার এওয়ার্ড নিজ হাতে তুলে নিয়া যে অনুভুতি ছিলো তা আজ গুরুপে সকলের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমি.............
>> ক্ষন গুননা চলছে....
৪-এই জানুয়ারী কবে আসবে টিকিট কিনার পর থেকে মনে হচ্ছিলো এই কদিন মনে হয় আর শেষ হবেনা.....
কোন কোন...কাপর পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবো তা আগে থেকেই আইরন করে যতনে তুলে রাখা......
টিম টাংগাইলের সবাই এক সাথে যাওয়ার জন্যে গাড়ী ভাড়া করা, আগেভাগেই অফিস থেকে ছুটি কনফ্রাম করা.... ঐ দিনের খরচের জন্য আলাদা করে কিছু টাকা মানি ব্যাগের এক কোনে যতনে জমিয়ে রাখা....
এসব-ই ছিলো শুধু সম্মেলন কে গিরে-ই প্রস্তুতি.....
যাহোক.....
ঐসব দিন গুলি ছিল আলাদা একটা ব্যাস্ততার সময়.....
অবশেষে সেই অতি প্রত্যাশিত দিন.....
>> ভোর রাতে ওঠে ফ্রেশ হয়ে বাবা,মা আর আমার ১বছরের ছেলের কপালে চুম্মন করে দোয়া নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে পরলাম.....
>>ভোর রাতেই হাইওয়ের পাশে থাকতে হবে আমায় টাংগাইল শহর থেকে ভোর ৫টায় আমাদের মাইক্রো ঢাকার উদ্যেশে রওয়ানা হবে,...
আমি মির্জাপুরের ঘোড়াই দারাবো বাস স্টপিজ এ....
আগের দিন একটা মোটরসাইকেল ভারা করে রেখেছি ঠিক ৫ টায় এসে হাইওয়ে দরে বসে রইলাম...
আমাদের টিম টাংগাইল এর সকল ভালো মনের ভালমানুষের অপেক্ষ্যাই, এক জনের পর আর এক জন কে ফোন দিতেই আছি আসেনা কেনো, গাড়ী ছারছে কিনা....? আর কতক্ষন, গাড়ী কোন পর্যন্ত... আমার তো আর তর সইছে না.....
যাহোক দীর্ঘ ৪০ মিনিট পর গাড়ী আসলো আমার কাছে সবাইকে সালাম দিয়ে উঠলাম গাড়ীতে....
গাড়ীতে ওঠে সবাইকে দেখে মন টা বরেগেলো.... আনন্দ, মজা, নানারকম প্লান পরিকল্পনা করতে করতে ২ঘন্টা৩০ মিনিট সময়েই ৯:৩০ এ পৌছে গেলাম সেই মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে দেখি গেটে শতশত ভালো মানুষের দল লাইন করে ভিতরে ঢুকতেছে...
গাড়ীতে বসে প্লান ছিলো পৌছে নাস্তা করবো....
কিন্তুু এখানে সবার উৎসাহ দেখে নাস্তার কথা ভুলে গিয়ে ঢুকে পরলাম ভিতরে.....
ঢুকেই সামনে পরলো আমাদের ডিষ্টিক এ্যাম্বাসিডর, আশিক ভাই ও ইবনে সাইম রানা ভাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে দীর্ঘ সময় দরেই...
তাদের সাথে কুলা কুলি সেরেই.... সামনে এগোতেই দেখি নরসিংদী জেলা এ্যাম্বাসিডর আমাদের নিখাদ বাংলা প্রিয় ভাই ইসমাইল ভাই দৌরে ছুটছে ভিতরে....
ইসারাই ঢাকতেই বললো তারা আছে কোরান তিলাওয়া করতে হবে তার...
বোঝলাম অনুষ্ঠান শুরু হতে যাচ্ছে... ঢুকে পরতে হবে ভিতরে....
সামনে এগোতেই অসংখ্য বাহারি রকমের বিভিন্ন এলাকার সব ঐতিহ্য বাহি ও খুদ্র, মাজারি ও বড় বড় উদ্যোক্তা দের স্টল স্টল দেখতে পরে আসবো ভেবেই....
গেট থেকে টি-র্শাট নিয়েই ভিতরে ডুকে গেলাম.. আমরা কয়েক জন, আবার কয়েক জন বাহিরে থেকে গেলো...... প্লান ছিলো টাংগাইলের সবাই এক সাথে বসবো তা বসা না হলেও আশেপাশে সবাই যেনো ছিলো পরিচিত... একি সুতাই গাথা। অনেক পগ্রামে গেছি এর আগে কিন্তুু এরকম হয়নি কখনো....
>>এক রং এ পাচঁ হাজার এরকম হয়নি আর.......
ঘন্টা খানেক অনুষ্ঠান উপভোগ করলাম স্যার আসলো সবার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় হলো..... মূল্যবান দিক নির্দেশা দিলো....
একটু বাইরে আসলাম আমরা কয়েক জন পেট চুইচুই করতাছে বাহিরে স্টল গুলা গুরতে গুরতে কিছু রকমারি বাহারি, খাবার দিয়ে টিফিন সেরে নিলাম....
আমাদের টাংগাইল এর স্টল ছিলো... ইবনে সাইম রানা ভাই এর টাংগাইল এর চমচম, সেলিম ভাইএর নিজ তাতে বুনানো তাতের শাড়ী, আর আমাদের সেই ঐতিহ্য, ও ইতিহাস তৈরী করা আনারস আলামীন ভাই....
>> কত শত মানুষ যত সবি যেনো পরিচিত...
তারপর দুপুর বেলা লান্চ এর সময়... >>বুকের সাথে পিঠ লাগিয়ে খাবার খেলাম লম্বা লাইনে....
এ এক বিশাল আনন্দ ছিলো....
আবার ভিতরে চলে গেলাম।
>> দামি দামি অতিথী ছিলো মূল্যবান সব কথা বললো.....
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য হলো গুনি মানুষ দের কথা শুনতে শুনতে কখন যে বিকেল গরিয়ে সন্ধা হয়ে গেছে টের-ই পাইনি....
অনেকেই তখন নিচে নেমে যাচ্ছে আবার অনেকে বাইরে বের হচ্ছে....
যাহোক নিচে নামার একটা ঘটনা শিয়ার করি সবার সাথে....>> আমাদের রানা ভাই ও আশিক ভাই দেখি নিচে স্টেজ এর আশেপাসে আছে আছে আরো অনেকেই ছবি তুলছে অনেকের সাথেই তো ওনাদের সাথে বড় ভাইদের পরিচয় আছে ওনাদের ঢুকতে দিয়েছে ইচ্ছে হলো নিচে স্টেজের কাছে যেতে কিন্তুু আমাদের ঢুকতে দিচ্ছে না...
ইচ্ছে করলাম ঢুকতে হবেই স্যারকে একটু কাছথেকে দেখবো আরো আছে আমার প্রিয় আইমান সাদিক....
তো আমার সাথে মনির ভাই আমরা খুজতে লাগলাম কোন দিক দিয়ে ভিতরে যাওয়া যাই, খুজতে খুজতে পেলাম একটা জায়গা পশ্চিম পাশে একটা তিন ফুট ওয়াল টপকালেই ভিতরে ঢুকা যায় আমরা ওয়াল টপকে ভিতরে ঢুকলাম....
ঢুকে বসলাম আহ্ এখন অনেক ভাল লাগতাছে সবাইকে কাছ থেকে দেখতাছি..... অনেক আনন্দিত আমি.........
কিছু দিতে পারার না,বা অনেক কিছু-ই শিখার আনন্দ.......
>> কষ্টও ছিলো এতো আনন্দের মাঝে কাওকে কিন্তুু বোঝতে দেইনি সেই দিন.....
বাড়ী থেকে যখন বের হই তখন একদিকে আনন্দ আরএক দিকে কষ্ট কারন আমি নিজে কোন সেলফি তুলতে পারবোনা কারন আমার ফোনের ক্যামেরা নষ্ট এবং ফোনটা ভাংগা কোন রকম তালি যোরার মধ্যে আছে সেট টি, কিছু দিন আগে ভেংগে গেছে....
তো আমি টার্গেট রাখতেছি একটাই নিজে তো তোলতেই পারবোনা কোন ছবি। অন্যরা যখন ছবি তুলবে তখন তাদের পিছনে গিয়ে দারাবো....
তো তাই করেছি সারাদিন...
কত ভালমানুষে দেখা পেয়েছি স্যার, সহ সকল অথিতি কারো সাথেই একটা সেলফি হয়নি আমার, খুব কষ্ট হচ্ছিলো তখন......
>>সামনে বসে আছি স্যার যখন ৬৪ ডিষ্টিকের সকল এ্যাম্বাসিডর দের ডাকলো তখন আর পারছিলাম না মনির ভাইকে বললাম ভাই.....
আমিতো তেমন কারো সাথে কোন ছবি তুলতে পারিনাই, এখন সকল জেলার সাথে একটা ছবি আমি তুলতে চাই..... সাক্ষ্যি হতে চাই এই অনুষ্ঠানের মনির ভাই বললো ঠিক আছে ভাই আপনি জান আপনা মনের আশা পোরন করেন। দৌরে গেলাম স্টেজে সবার সাথে এক ফ্রেমে বন্ধি হয়ে গর্বে বুকটা বরে গেলো..... নেমে আসলাম ...
এসে রানা ভাই কে বললাম অনেক জেলা থেকে ভিবিন্ন কেটাঘড়িতে বিভিন্ন এওয়ার্ড পাচ্ছে, আমরা টিম টাংগাইল তো তেমন কিছু করতেও পারি নাই এওয়ার্ড ও পাচ্ছিনা তাইনা ভাই...?
রানা ভাই বললো ভালকিছু করলে অবশ্য-ই ফল ভাল হয় হাল ছারেন কেনো.....
( একটু পরেই যখন স্যার বললো এখন কিছু জেলা কে সেরা জেলা এওয়ার্ড দিয়া হবে...
>>আমার ভিতরে কেমন যেনো চমকে উঠলো...৷
আর তখনি স্যার বলে উঠলো আমি জানিনা জাইগা দিতে পারবকিনা সবাইকে, তো সবাই আসার চেষ্টা করবেন... (আমরা টাংগাইল সবচেয়ে বেশি টিকিট সেল করেছি.....) স্যার যখন বললো প্রথমেই আসবে টাংগাইল....
আমি... মানে...মনে হচ্ছিলো যেনো আকাঁশ থেকে পরলাম একটা দৌর দিলাম ( #আমার-একটা-পা-ভাংগা-দীর্ঘ-৭-বছর আমি দৌর দিতে পারিনা বিশ্যাস করবেন না, সেদিন আমি দৌর দিয়ে স্টেজে উঠে গেছিলাম এবং মুখ দিয়ে চিৎকার করে বলে উঠলাম আইলাভ ইউ...
স্যারকে সালাম করলাম স্যার রানা ভই ও আমাকে বুকে জরিয়ে দরলো আবেগে চুখের পানি দরে রাখতে পারিনি আমরা কেওই, রানা ভাই তো অঝরে তার আবেগ মাখা চুখের পানি ঝরিয়ে শিক্ত করে দিলেন সবাইকে সে এক অন্যরকম পাওয়া তারপর তো আমার জীবনে এক নতুন ইতিহাস....
যাহোক ভেবে ছিলাম নিজের ক্যামেরা নষ্ট তেমন কোন ছবিই হবেনা আমার পরে দেখলাম আমার ছবি-ই একটা সেরা ছবি হয়েছে...
যতখন স্টেজে ছিলাম, তখন ছিলো এই অনুষ্ঠানের সেরা মোমেন্ট সময়....
>> আমি হয়তো আমার প্রিয় মানুষদের সাথে সেল্ফী নিতে পারিনি... তবে আমি তাদের কাছ থেকে তাদের হাত থেকে এওয়ার্ড নিয়েছি এটা ছিলো আমার জন্য একটা বিশাল পাওয়া.....
>> আমি ভোর বেলা আমার বাবা, মা,ও আমার এক বছরের ছেলের কপালে চুমু খেয়ে এসেছিলাম তাদের দোয়া আর সহধর্মীনির হাসিঁ মাখা বিদা-ই ভালবাসা ছিলো সারাদিন আমার সাথে.....
>> ভালবাসা নিরন্তর সকল ভালমানুষের তরে.....
সবার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রেখে.. আমার জন্য দোয়া চাই..........
যেনো একজন ভালো মানুষ হয়ে থাকতে পারি দেশের সকল ভালমানুষের কাতারে.....সেবা করতে পারি মা,মাটি দেশ ও দেশের মানুষের.........
>>সপ্ন দেখি একজন সফল উদ্যোক্তা হবার...
......... ধন্যবাদ সবাইকে.....
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- 132
Date: 06.02.2020
>> মোঃজহির ইসলাম...
>>ব্যাচঃ৭ম/রেজিঃ৩৩৬১
>>টাংগাইল ডিষ্টিক
>> #নিজের-বলার মত-একটা-গল্প প্লাটফর্ম