অল্প বয়সে সংসারের হাল ধরতে যেয়ে নিজের অনেক চাওয়া পাওয়া গুলোকে একদমই হারিয়ে
অতিতে আমি জীবনে যা চেয়েছি তা হয়তো ওই ভাবে পায়নি।অল্প বয়সে সংসারের হাল ধরতে যেয়ে নিজের অনেক চাওয়া পাওয়া গুলোকে একদমই হারিয়ে ফেলেছিলাম।জীবনের সবরকম বড় পরীক্ষাগুলো আমি আমার সংসার জীবন থেকেই শুরু করি।
আগের পোষ্ট গুলোতে অনেক কষ্টের কথা গুলোই লিখেছিলাম।তখন লেখালেখির চর্চাটা কম ছিল তাই হয়তো ওটোতা গুছিয়ে লিখতে পারিনি।আমি যেহেতু লিখতে ভালবাসি, তাই লেখার প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমার এই ফাউন্ডেশনে আসা।
শুধু আফসোস করি যদি আগে স্যারের গাইডলাইন গুলো পেতাম তাহলে হয়তো এতদিনে আমি নিজেকে সেই ভাবে তৈরী করতে পারতাম।তবে,ভবিষ্যতে আমার একটা বড়ো পরিকল্পনা আছে।যা কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি।
জীবনে টাকা পয়সার প্রয়োজন আছে, তবে খুব বেশী প্রয়োজন নেই। আমি অনেক ঐশ্বর্য্যের মধ্যেই বড় হয়েছি। শ্বশুরবাড়ি ও সেম, কিন্ত আমি ভালবাসার কাঙ্গাল। আমি যা চিন্তা করি আমার সঙ্গে কারো মিলেনা। সহজ সরলতা হয়তো আমার অনেক কষ্টের কারণ।
আমি আসলে মানুষের ভালোবাসা নিয়েই বেচে থাকতে চাই!সম্মান ও ভালোবাসা আমার মাথার মুকুট। আমি বিশ্বাস করি,মানুষ যে যা কল্পনা করে তাই তার সামনে এসে ধরা দেয়। আমরা যেই,যে রকম মেন্টালিটি চিন্তা করব সেই রকম মানুষের সাথেই আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক।
এই ১,বছরে করোনা নামক অভিশপ্ত এই ভাইরাস আমাদের জীবনের অনেক কিছুই শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে।আমরা কি কোনদিন কল্পনা করতে পেরেছি? এরকম পরিস্থিতির মধ্যে আমাদের চলতে হবে?মানুষের থেকে মানুষের দূরে থাকতে হবে?
আজ স্কুল,কলেজ সব বন্ধ অলস জীবন কাটাচ্ছে এখনকার জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা।আমরা মায়েরা ও ফেসবুক ইউটিউবে অনেকটা সময় পার করছি। হয়তো আমাদের অনেক শিক্ষায় সঠিক না।আমাদের হয়তো সবকিছু নতুন করে আবার ভাবতে হবে।
স্কুলে যেমন ভালো নাম্বার পাওয়ার প্রতিযোগিতা এ প্লাস পাওয়া,রোল নং নিয়ে মায়েদের টেনশন গাদা গাদা বই চাপিয়ে দেওয়া স্টুডেন্টদের, অনেক গুলো টিচার দিয়ে পড়ানো রীতিমতো কম্পিটিশন করে চলাটা আমাদের সমাজের একটা রীতি হয়ে দাড়িয়েছিল।
স্যার যেমন বলেন,এস,এস,সির পর কারিগরী শিক্ষা নিতে স্যারের সঙ্গে ১০০% সহমত পোষণ করছি। আমি বাস্তব জীবনে নিজেদের মধ্যেই দেখেছি অনেক শিক্ষিত মানুষের মাঝে জগতের অনেক ভালো মন্দ বুঝার ও প্যাকটিক্যাল জ্ঞানের অভাব। তারা সুধু চাকরী করা ও মাস গেলে বেতন এটাই বেশী বোঝে।মানবিক ও সামাজিক কোন কাজগুলোকেই তারা ততোটা গুরুত্ব দেয় না।
মানুষ সাধারণতঃ কোন রকম পরিবেশ পরিস্থিতি ও ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকে না।আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম না। জীবন মানেই সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা। আর্থিক কষ্ট ছাড়াও মানুষের জীবনে অনেক রকম পরিস্থিতির শিকার হতে হয় যার জন্য মানুষ কখনই প্রস্তুত থাকে।
বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অনেক কঠিন লড়াই করে চলেছি আমি একাই। বিপদের সময়গুলোতে খুব কম মানুষগুলোকেই কাছে পেয়েছিলাম।আমার চিন্তা ভাবনা যেহেতু আলাদা তাই লড়াই গুলো নিজেকেই লড়তে হয়েছে।আপন মানুষগুলেকে কিভাবে ভালো রাখা যায়, সুস্থ রাখা যায়, সেটাই সুধু মাথায় চিন্তা কাজ করতো।
সংসারে একজন স্ত্রীর ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।সাংসারিক না হলে অনেক কঠিন সময় গুলো পার করাটা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। কারণ আল্লাহর রহমত থাকা লাগে একটা পরিবারের মধ্যে।মা বাবার দোয়া গুরজনদের দোয়া থাকাটা খুব জরুরী।
ধনসম্পত্তি আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত,সেটাকে সঠিকভাবে ব্যবহারের মাধ্যমেই অনেক কিছু নির্ভর করে। অনেককেই দেখেছি রাতারাতি প্রচুর সম্পত্তি করে,হঠাৎই রাস্তার ভিখারি হতে। তবে সম্পত্তি কম হোক বা বেশি হোক সেটা বড় কথা নয়,সেটাকে যে যেভাবে ব্যবহার করবে,সেটার উপর নির্ভর করে। আমি সেটাকে ভালো কাজে ব্যবহার করবো, না বিলাসিতা করে উড়িয়ে দিবো। সবকিছু দিয়েই আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা করেন।
একজন ভালো মানুষের জীবনটা অনেক কঠিন হয়,এটা আমাদের মেনে নিতে হবে,সবার আগে।ভালো যে কোন কিছু পেতে গেলে অবশ্যই আমাদের কষ্ট করতে হবে ও ধৈর্য ধরতে হবে।
মানুষকে ভালোবাসাটা অনেক বেশী জরুরী। আমরা প্রত্যেকের জায়গা থেকে যদি মানুষকে ভালোবাসি, তাহলে আমিও মানুষের ভালোবাসা পাবো। সামর্থ্য আছে তারা যদি সবাই ব্যক্তিগতভাবে এগিয়ে আসি।গরীবের মুখে হাসি ফুটাতে পারি,তাহলে আমরা ও ভালো থাকবো।আমাদের ভালো থাকতে হলে অবশ্যই গরীবের পাশে দাড়াতে হবে।
আমাদের দেশের আইন ব্যবস্থাপনা নিয়ে ও আমাদের সবাইকে ভাবতে হবে।আমাদের সবসময় কিছু দেওয়ার বিনিময়ে যদি পাওয়ার আসা করি তাহলে,তো সেই করার মধ্যে কোন আত্মতৃপ্তি থাকলো না।
আমরা যা কিছু করিনা কেন?প্রতিদান আশা না করে সে কাজটি করতে হবে নিঃস্বার্থভাবে তাহলে সত্যিকারের কিছু করা হবে।স্যারের গাইডলাইন ফলো করে সামনে দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পিছনের দিকে ফেরার আর প্রয়োজন নেই। সুধু দরকার সৎ হওয়া ও ধৈর্যের সাথে এগিয়ে যাওয়া।
যত বাধাই আসুক না কেন সফলতা এসে ধরা দিবেই। মানুষ কেউ চায় অর্থ, কেউ চায় শক্তি, কেউ চাই সম্পদ, কেউ চাই মানুষের ভালোবাসা।আমি চাই মানুষের ভালোবাসা।মানুষকে ভালোবাসতে হলে ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে।মনে রাখতে হবে ত্যাগেই আমাদের প্রকৃত সুখ, ভোগে কোন সুখ নেই। কারো জন্য কিছু করতে পারাটা যে আত্মতৃপ্তি, সেটা যে করে সেই বোঝে।
নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস, ভরসা, আস্থা, রাখা টা অনেক বেশী জরুরি। সুন্দর সমাজ গড়তে হলে সকলের সমবেত সাহায্য ও সহানুভূতি একান্ত কাম্য।
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
Date:- ০৩/০৩/২০২১
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৭৫
আমি নাজনীন আরা
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন
ব্যাচ ৯বম,রেজীঃ ১০৩৬৪
ঢাকা গুলশান জোন
থানা, অ্যাম্বাসেডর ভাটারা