অনেক চেষ্টা করেছি বলার জন্য কিন্তু কখনো বলতে পারিনি,আমি তোমাকে ভালোবাসি মা-বাবা,
কিন্তু মা বাবা জানে আমি তাদের কতটা ভালোবাসি,তবে ইনশাল্লাহ আমি একদিন বলব মা বাবাকে জড়িয়ে ধরে আমি তোমাদেরকে অনেক ভালোবাসি,
এত দুইদিন আগে মায়ের সাথে কথা হল,
মা বলতেছে তোদেরকে ছাড়া একদম ভালো লাগেনা,
নিজেকে এতিম এতিম লাগে, সবার ছেলেরা সন্ধ্যা হলে বাড়িতে আসে সবার মা বাবাকে ডাকে খুঁজে তোদেরকে দেখতে পাই না, নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একা লাগে, আমার মায়ের একথাটাই কতটা ভালোবাসা আছে সেটা শুধু আমি অনুভব করতে পারি,
আমি যখন দেশে ছিলাম, বিকেলবেলা খেলতে মাঠে যেতাম, মাঠ থেকে ফিরে এসে আমার খাবার খেতে হতো, কোন কোন দিন দুপুরের খাবার পরে সব খাবার শেষ হয়ে যেত, কিন্তু অদ্ভুত একটা ব্যাপার যখন আমি মাঠ থেকে সন্ধ্যার সময় ফিরে আসতাম অথবা আসরের সময় ফিরে আসতাম খাবারের জন্য আমার জন্য খাবার রেডি থাকতো, কোন কোন দিন তো অনেকে বলত ছেলেগুলোকে লাইক দিয়ে দিয়ে মাথায় তুলতেছে, বাবার সেই বকুনি মায়ের সেই আদর আদর খুব মিস করি,
এটা শুধু আমার টাইম ছিল যে আমি সন্ধ্যার সময় খাবার খাই,
কিন্তু আমার আর ভাইদের তাদের টাইম কিন্তু ব্যতিক্রম ছিল, কেউ দশটা বাজে কেউ বারোটা বাজে খাবে কেউ তিনটা বাজে খাবে, যে যে সময়ে খাবার চাইতো সেই সময় রেডি থাকত খাবার,
সেই মা-বাবার এখন তিন ছেলে প্রবাসী এক ছেলে তাও শহরে থাকে,
মা বলে টাকার দরকার নাই বাবা তোরা দেশে চলে আয়, খুব মিস করি মাকে খুব মিস করি বাবাকে, যা কিছুই হত, রাতের বেলা সবাই একসাথে খাবার খেতাম, আমাদের প্লেটে বড় বড় মাছের পিস সত্ত্বেও বাবার প্লেট থেকে আমাদের ভাগ থাকতো,
বাবা বাবার প্লেট থেকে মাছ হোক বা মাংস হোক যাই হোক না কেন সমান ভাগে ছোট ছোট করে ভাগ করত আর আমাদের প্লেটে দিয়ে দিত,
যদিও আমি আমারটা খেতে পারতাম না কিন্তু বাবার দেওয়া ভাগটা টিকি খেতাম,
আমি সবার ছোট হওয়ার কারণে, আমি চেয়ে দেখতাম আমার কোন ভাইয়ের প্লেটে বড় ভাই চলে গেল নাকি,
খুব মিস করি সেই সময় গুলো,
আমরা মধ্যবিত্ত হওয়ার কারণে কখনও বাবার কাছে বড় কিছু চাইবার সাহসই পায়নি, কারণ আমরা আমাদের বাবা লিমিট জানতাম,
তবে জীবনে যা কিছু চেয়েছি কখনো না শুনিনি বাবার মুখ থেকে, আমি পৃথিবীকে বলতে পারি অনেক ভালোবাসি মা-বাবা তোমাদেরকে,
কিন্তু তাদেরকে বলতে পারিনা,
একদিন বলব ইনশাল্লাহ,
বাবা মা সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত। বাবা মার সন্তুষ্টিতেই একটা সন্তানের জীবন আলোকিত হতে পারে আবার তাদের অসন্তুষ্টিতেই জীবন অন্ধকার হয়ে যেতে পারেন।
আমাদের জীবনদানকারী মহান আল্লাহ,
তারপরই বাবা মায়ের মাধ্যমে এত সুন্দর পৃথিবীতে আমাদের আগমন হয়।
আমাদের এত কস্ট করে তারা বড় করে তোলেন।
নিজেরা কস্ট করেও আমাদের চাহিদাগুলো তারা সর্বদাই মেটানোর জন্য আকুল থাকে।সেই মা বাবার প্রতি তো আমাদের সম্মান আর ভালবাসার এতটুকুও কমতি রাখা উচিত নয়।
আমাদের একটু ভালবাসায়ই তারা অনেকটা খুশি।
তাহলে সেই ভালবাসাটুকু আমরা কেন তাদের প্রদর্শন করবোনা।
ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার একটা কথা বলেছিলেন"আমাদের জীবনের মিরাকলগুলো মা বাবার সন্তুষ্টির কারনেই আসে"
তাই দেরী না করে সময় থাকতে এখন থেকেই বাবা মাকে সঠিক সম্মান ও মর্যাদা দিয়ে ভালবাসুন।তাদের প্রয়োজনগুলোকে মূল্যায়ন করুন। একটু সময় দিন তাদেরও।
আর যারা এই বড় নিয়ামতটুকু হারিয়ে ফেলেছেন তারা নামাজ পরে দোয়া করুন তারা যেন কবরে শান্তিতে থাকে ও পরবর্তীতে জান্নাতে যেতে পারে।
পৃথিবীর সমস্ত মা বাবাকে সালাম ও ভালবাসা জানাই।তারা যেন সর্বদা সুখ ও শান্তিতে থাকে।
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৭৬
Date:- ০৪/০৩/২০২১
আনোয়ারুল জুয়েল
ব্যাচ 12
রেজিস্ট্রেশন 37168
থানা মাধবপুর
জেলা হবিগঞ্জ
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার