সব সন্তানেরা বুঝেনা বাবা মার কষ্ট। বড় হবার পর সবাই নিজেদের
স্যারের প্রতিটি সেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অনুপ্রেরণামুলক।স্যারের সেশন থেকে আমি যে উপলব্ধি করেছি সেটা লিখে প্রকাশ করতে আসলাম।ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
পৃথিবীতে সবাই বাবা মাকে ভালোবাসেন। কিন্তু যখন সংসার জীবনে পা রাখেন তখন কি সত্যিকার অর্থে বাবা মাকে ভালোবাসেন?অনেকের সেই বোধটাই হারিয়ে যায়?বাবা মাকে ভালোবাসার বা সম্মান করার। একবার বাবুন একটা সন্তান বড় হওয়ার পেছনে যে শ্রমটা বাবা মা দিয়ে থাকেন। সেটা কতটা কষ্টকর? কতটা ত্যাগের? কিন্তু সব সন্তানেরা সেটা বুঝার চেষ্টাও করে না।
সব সন্তানেরা বুঝেনা বাবা মার কষ্ট। বড় হবার পর সবাই নিজেদের চাহিদা পূরণ নিয়ে busy থাকেবাবা মার কি খেতে পছন্দ? কি পড়তে পছন্দ?অনেক সন্তান সেটা জানার চেষ্টাও করেনা।।
কিন্তু তাদেরও তো ভালো -মন্দ খেতে ইচ্ছে করে!ভালো কাপড় পড়তে ইচ্ছে করে! ঘুরতে ইচ্ছে করে! আনন্দ করতে ইচ্ছে করে! but তাদের হাতে তখন টাকা থাকেনা।যে ওনারা ইচ্ছেমত খরচ করবেঅনেক পিতামাতা আছেন মুখ ফোটে কিছু চাইতে পারেন না সন্তানদের কাছে।
কারন ওনারা চিন্তা করেন সন্তানদের টাকা নষ্ট হবে।।
সেটা ভেবেই অনেক বাবা-মা নিজের চাওয়া -পাওয়াকে বির্সজন দিয়ে থাকেন।।
তাই আমার মনে হয় পিতামাতা যেমন ছেলেমেয়েদের হাত খরচের টাকা দিতেনতেমনি প্রত্যেক সন্তানদের উচিত বৃদ্ধ বয়সে বাবা মার হাত খরচের টাকা দেওয়া। যেনো ওনারা নিজেদের ইচ্ছে মতো খরচ করতে পারেন।।
একজন বাবা হয়ে বৃদ্ধ বয়সে ছেলের কাছ থেকে হাত পেতে টাকা নেওয়াকতটা কষ্টদায়ক, বেদনাদায়ক একমাত্র ওনারাই বুঝেন।অনেক সময় বাধ্য হয়ে হাত পাততে হয়।।
যাদের সরকারি জব আছে,প্যানশন আছে,ছেলেমেয়েদের মন ভালো তাদের তেমন কষ্ট হয় না।।ওনাদের কষ্ট কম হয়।যাদের প্যানশন নেই? ব্যাংক ব্যালেন্স নাই? তাদের কষ্টের সীমা থাকেনা।তখন অনেক বাবা মা বৃদ্ধবয়সেও প্রয়োজনের তাগিদে জীবিকা নির্বাহের জন্য রাস্তায় নেমে পরেন।কেউ সবজির বিক্রি করেন কেউ বা রিকশা চালিয় মানবেতর জীবনযাপন করেন।।
আর সেই অসহায় মূহুর্তের কথা চিন্তা করে In my point of view
প্রত্যেক সন্তানদের উচিত বাবা মার জন্য বীমা করা। ছোটবেলায় যেমন বাবা মা বীমা করেন,সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য।তেমনি প্রত্যেক সন্তানের উচিত বড় হয়ে বাবা-মায়ের ভবিষ্যতে জন্য বীমা করা।যেনো বৃদ্ধ বয়সে ওনারা একটু আরামে দিন কাটাতে পারেন। ছেলের কাছে বা ছেলের বউয়ের কাছে হাত পেতে নিতে না হয়।সর্বশেষ কথা হলো বাবা মাকে ভালোবাসুন, যত্ন করুন- তাহলে দেখবেন পুরো পৃথিবীটাই আপনার হাতে মুঠোয় চলে আসছে
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৭৬
Date:- ০৪/০৩/২০২১
রুনু বেগম
ব্যাচ#১২
রেজি#৪৪৪৮২
জেলা#মৌলভীবাজার।