অফিস থেকে বেড় হয়ে আমি বাসার জন্য রউনা হলাম, হঠাৎ মাঝ পথে
একটি প্রবাদ আছে রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন, আজ আমি আমার রাগ নিয়ে ছোট করে গল্প বলবো।সফল হতে গিয়ে, রাগের কারনে পরে গিয়ে উঠে দাড়ানোর চেষ্টা।
আমার বাস্তব জীবনে আমি অনেক কঠিন খারাপ সময়ের মধ্যে
কাটিয়েছি কাটাচ্ছি, রাগের মাথায় অনেক কিছু হারিয়েছি।
ক্যারিয়ার এর যখন পিক আওয়ার চলছিল
সময় টি হচ্ছে
সাল = ২০১২ থেকে ২০১৫ এই ৪ টি বছর আমার ক্যারিয়ার এর
পিক-আওয়ার এর সময় ছিল, সাফল্যর সময় ও ছিল, খুবই ভালো একটি সময় কাটাচ্ছিলাম।
যেমন : আমি একটি স্বনামধন্য পোশাক শোরুম এ ২০১২ সালের
রমজান মাসের জন্য ৪০ দিনের জন্য প্যাকেজ এ সেলসম্যান হিসেবে জয়েন্ট করলাম।
খুব অল্প সময়ে একজন সাধারণ স্যালসম্যান থেকে কাজের দক্ষতা দেখে আমাকে আমাকে কন্টিনিউ জব করার অফার দিলেন।
তখন আমি প্রস্তুত ছিলাম না, পারমানেন্ট করার মতো, প্যাকেজ শেষ করার মতো ভালো কোন জব পাচ্ছিলাম না, আমার খুব কাছের বন্ধু ও বললো বসে থেকে লাভ নেই জব টি কর,
ওর কথা মতো রাজি হলাম একটি CV তৈরি করলাম, চলেও গেলাম শো-রুম এর হেড অফিসে
শো-রুম উনার আমার খুব প্রশংসা করলেন,
শো-রুম উর্নার স্যার : বললেন তোমার কাজ এবং তোমার এক্টিভিটি খুবই ভালো আমারা তোমাকে লংটাইম এর জন্য চাচ্ছি।
আমি: বললাম স্যার অবশ্যই আমি চাই লংটাইম কাজ করার জন্য, সব ঠিকঠাক এখন বেতন নিয়ে আলোচনা করছেন,
স্যার : আমাকে বললেন আমরা ফাস্ট টাইম সেলারী ৮ হাজার এর উপরের ধরিনা, কিন্তু তোমার অনেক সুনাম ও এক্টিভিটি আছে বলে সাড়ে ৮ হাজার ফিক্সড করলাম।
আমি : বললাম স্যার আমার মনের মতো হয়নি সরি, সাড়ে ৯ হাজার হলে আমি এই জব করতে পারবো। এই বলে স্যার কে সুন্দর করে বুঝিয়ে বলে আসলাম।
শো-রুম স্যার : বললেন পরে জানাবেন,
অফিস থেকে বেড় হয়ে আমি বাসার জন্য রউনা হলাম, হঠাৎ মাঝ পথে শো-রুম এর হেড অফিস থেকে ফোন আসলো, বলল আগামীকাল থেকে জয়েন্ট করেন।
সন -- ২০১৩ থেকে ২০১৪ লাস্ট মাস।
এই দুটি বছর আমার স্যালসম্যান এবং আমার সম্মান এর জায়গা ছিল, আমি জানি না স্যালসম্যান জব অন্যরা কিভাবে নেন, কিন্তু আমি গর্ব করে বলি এই স্যালসম্যান জব আমার কাছে এবং আমার জীবনের একটি অংশ হিসেবে থাকবে। এই জব আমাকে অনেক কিছু দিয়েছেন,
প্রথমতঃ কাস্টোমারের সাথে আন্তরিকতা,
দ্বিতীয়ত: একটি কাস্টমারের মনের ভিতর প্রবেশ করে সেল আদায় করে নিয়ে আসা।
তৃতীয়: কমিটমেন্ট রেখে একটি প্রোডাক্ট সেল করা।
চতুর্থ: প্রোডাক্ট ও কাচামাল সম্পর্কে আইডিয়া নেওয়া। ইত্যাদি।
আমার শেষ সফলতা: সন -- ২০১৫/
অনেক অনেক সম্মানের একটি বছর যা আমি চিরজীবন মনে রাখবো, এতো অল্প দিনে সফলতা পেয়েছিলাম। একটি ব্র্যন্ড এর ক্যাশিয়ার ও স্যালস পারসোন হয়ে।
এই সূখ ও এই দায়িত্ব বেশিদিন ধরে রাখতে পারিনি আমার রাগের কাছে।
শুধু মাএ আমার #রাগের কারণে, আমি হেরে গেছি।
#ব্যর্থতা_সময়
--আজ আমি........
আমার সোনালী সময় হারাতে হলো।
দিশেহারা হয়ে পরলাম! পরিবারের একটু ভালোর জন্য একটু বেশি
টাকা ইনকাম করার লক্ষ্যে প্রবাস জীবন বেছে নিতে হলো।
জীবন সংগ্রাম এর সাথে এবং ভলো কোন ক্যারিয়ার লক্ষ্য দেখতে, পারছিলাম না।
এই প্রবাসে এসে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো আমাকে শিক্ষা, দিয়ে যাচ্ছেন, প্রতিনিয়ত প্রবাসের বাতাস আমাকে ভাবাচ্ছে
বাস্তব জীবন শিখতে পারছি।
২০১৫ মাঝামাঝি আমি এই প্রবাসের মাটিতে পারা দিলাম,
কোন লাভ হচ্ছে না, ব্যর্থতার বিত্তে ঘুরপাক খাচ্ছি আর কতোদিন
এই ঘুরপাক খাবো জানি না!
#_নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প_ফাউ
#প্লাটফর্ম_খুজে_পাওয়া :
প্রিয় স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে আমি ফলো করি টেন মিনিট স্কুল
থেকে তখন শুধু স্যার এর কথা গুলো শুনতাম ও মোটিভেশন ও শিক্ষামূলক ভিডিও গুলো আমি প্রচুর পরিমাণে ফলো করতে থাকলাম।
প্রিয় স্যার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর জীবন কাহিনী যখন শুনছিলাম একটি রাঙা সকাল প্রোগ্রাম দেখি আমার মনের ভিতর নাড়া দিতে শুরু করলো।
তখন জানতে পারলাম, ফেসবুক এ সাচ করলাম
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন
- তারিখ সময় হচ্ছে
সময়টি হচ্ছে ২০১৯ শেষের দিকে দেখতে পেলাম
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন নামটি একটি ইউনিক,
আইডিয়া ইউনিক তারপর থেকে ফলো করা,.....
এই প্লাটফর্ম পেজ এর বিষয়ে টানা ২০১৯ শেষ থেকে দেখা শেখা
নিজেই নিজের রেজিট্রেশন সম্পুর্ন করেছি। আলহামদুলিল্লাহ
এখন শুধু লেগে থাকা, লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই
প্রিয় স্যার কথা মত লেগে থাকা।
কিন্তু আজ আমি আশার আলো দেখতে পাচ্ছি √
এবং স্বপ্ন দেখছি।
প্রিয় স্যার অনুপ্রেরণা নিয়ে আজ একটি গল্প লেখার চেষ্টা করছি।
:একটি জনপ্রিয় একটি প্রবাদ আছে:
আপনি রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন:
# এমনই _ এক_গল্প আজ বলার চেষ্টা করবো!
রতন নামের একটি এক লোক তার Brand New গাড়ি পরিষ্কার করছিলেন।
এই সময় তার ছয় বছরের মেয়ে পাথর হাতে গাড়িটির কাছে যায় এবং গাড়ির একপাশে পাথর দিয়ে খ কিছু লেখে।
লোকটি যখন দেখতে পায় তার মেয়ে গাড়ির গায়ে আঁচড় কাট ছে তখন সে রাগে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে এবং মেয়েটির হাতে আঘাত করে। পরে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন যে তার মেয়ের হাতে একধিক ফ্র্যাকচার হয়েছে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে মেয়েটি যখন প্রচণ্ড ব্যথায় তার বাবাকে জিজ্ঞেস করে, “বাবা, আমার হাত কবে ঠিক হবে?”, তখন লোকটি নির্বাক হয়ে পড়ে। সে তার গাড়িটির কাছে ফিরে যায় এবং রাগে গাড়িটিকে অসংখ্যবার লাথি মারে।
সে তার মেয়েকে কতটা নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করেছে তা ভেবে সে অত্যন্ত কষ্ট পায় এবং গাড়িটির সামনেই মাটিতে বসে পড়ে। এসময় তার চোখ যায় গাড়িটির যেখানে তার মেয়ে পাথর দিয়ে আঁচড় কেটেছিল সেখানে।
সেখানে লেখা ছিল, “বাবা, আমি তোমাকে ভালবাসি মা তোমাকে মিস করি।
** ক্রোধ এবং ভালবাসার কোন সীমা নেই। রাগের মাথায় কিছু করা যাবে না, কখনও, আজ এই রাগের কারনে আমি আমার জীবনের সামনের ভবিষ্যৎ বুঝতে পারছি না।**
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৭৬
Date:- ০৪/০৩/২০২১
সুমন রায়হান
গর্বিত সেচ্ছাসেবী
কান্ট্রি এম্বাসেডর {লেবানন}
রেজিস্ট্রেশন টিম মেম্বার
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন
ব্যাচ : নবম
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার : ১৯৭২৭
জেলা : মিরপুর, ঢাকা
রক্তের Group A+
বর্তমান অবস্থান : লেবানন