ছোট বেলা থেকে ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা
আমি সাহিদ আফ্রিদি।বর্তমানে ক্যারিগরি শিক্ষায় দ্বাদশ শ্রেণির একজন ছাত্র।ওয়েল্ডিং ডিপার্টমেন্ট এ আছি।আসুন আপনাদেরকে জীবনের কিছু অংশ শেয়ার করি।
যখন ১৯৯৯ সালে ১২ই জুন (পাকিস্তানে করাচি শহরে) জন্মগ্রহণ করি।মধ্যবিত্ত পরিবারে থেকে উঠে আসা আমি।ছোট বেলা খুবই কালো ছিলাম বলে কেউ আদর করত না তেমন, পরিবারের পাশাপাশি ২ জন ব্যক্তি অনেক বেশি আদর করত ১.কাকা ২.আজম বাবা। পাকিস্তান থাকা অবস্থায় আব্বু আম্মু দুজনি অনেক কষ্ট করত আমাদের তিন ভাই বোন এর জন্য, পরিবারের মেঝো ছেলে আমি।ছোট বেলা থেকে ইসলাম শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার চেষ্টা করিয়েছেন আব্বু আম্মু।পাকিস্তান থাকা অবস্থায় অনেক ভালো ভাবে জীবন-যাপন হচ্ছিল,খেয়ে পড়ে ভালোই ছিলাম আমরা,।তারপর আব্বু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাই-রোদে আল্লাহ রহমতে গ্রিস পৌছালো।গ্রিস থাকা অবস্থায় সংসার খুবই ভালো কেটে যাচ্ছিল।কিন্তু আব্বুর ইচ্ছে আমাদের দাদুর বাড়ি বাংলাদেশ,সেখানেই নিয়ে আসবে আমাদের,
তারপর আমাদের কে নিয়ে আসলো দাদুর বাসা মুন্সিগঞ্জ।বাংলাদেশ আমার কাছে পুরো নতুন একটি জগতের মতো লাগছিল।আব্বু যখন গ্রিস থেকে বাংলাদেশ আসে কিছু মানুষ আব্বুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।টাকা পয়সা মেরে দেয় অনেকেই,দেখা দিলো অভাব সংসারে,খেয়ে না খেয়ে চলছিলো আমাদের সংসার,আমরাও ছোট ছিলাম,তাই একমাত্র ভরসা বাবাই ছিলো আমাদের,
আমাদের অভাব ও কষ্ট কমাতে বাবা আবারো সিদ্ধান্ত নিল সে গ্রীস চলে যাবে,তারপর চলে যায় গ্রিস,সেখানে কিছুদিন থেকে, যেভাবে হোক গ্রিস থেকে ইতালি চলে যায়,ওইখানে যাওয়ার পর পরিবারে আরো দূর্যোগ নেমে আসে।এভাবে চলতে থাকে কয়েকটি বছর,,খেয়ে না খেয়ে কাটিয়েছি আমরা পুরো পরিবার,,খুব কষ্ট করে করেছি লেখাপড়া,মা বাবা শুধু বলতেন কষ্ট করে হলেও লেখাপড়া করতে হবে,একমাত্র এই লেখাপড়াই থাকবে আমার সাথী হয়ে,,আমার সাপোর্টার হয়ে,,কয়েক বছর কষ্টের পর আব্বুর সেখানে ভালো একটা চাকরী হলো,আমাদের কষ্ট দূর হতে শুরু করলো, এখন আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ রহমতে খুবই সুন্দর ভাবে জীবন-যাপন করার আল্লাহ তৌফিক দিয়েছে।
২১ টি বছরে নিজের সাহস অনেক গুলো সেক্টরের সাথে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করা হয়েছে।বর্তমানে অনলাইন একটি কম্পানীর সাথে সম্পৃক্ত আছি।খুব ইচ্ছে বিজনেস করবো,নিজের প্রতিষ্ঠান বড় থেকে আরো বড় করবো,তাই সেই পরিকল্পনায় এগিয়ে নিচ্ছি নিজেকে সামনের দিকে,ছোট বেলায়,করা কষ্ট গুলো ভীষন মনে পড়ে,না খেয়ে যখন পরিক্ষার হলে গিয়েছিলাম,না খেয়েই যখন ক্লাস করেছিলাম,ক্লাস এ ক্ষুদায় মনই বসতোনা,তার উপরে অন্যজন যখন নানান খাবার খেতো,তখন তো আরো ক্ষুদা বেড়ে যেতো,তবুও মনের জোর দিয়ে নিজেকে ধৈর্যের সাথে এনেছি এই পর্যন্ত, কখনো এমন কোন কাজ করিনি যাতে বাবা মা কে কেউ কটু কথা বলতে পাড়ে,
নিজের গল্প টা এত্ত ছোট নয়,যদি কখনো সুযোগ হয়, নিজের সাথে লড়ে আসা ব্যস্তবিক গল্প গুলো কোন এক বিজয়ের মঞ্চে বলতে চাই।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি আবারোও #জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে,এই প্লাটফর্ম টা আমার খুবই ভালো লাগে,তাই তার এত সুন্দর করে গড়ে তোলা প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে নিজেকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিতে পারবো সে আসাই করছি।
সবাইকে ধন্যবাদ আমার এই লেখাটা আপনাদের মূল্যবান সময় ব্যয় করে পড়ার জন্য।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৭৭
Date:- ০৭/০৩/২০২১
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারঃ ৩৮৫০৪
ব্যাচ নংঃ ১২
জেলাঃ মুন্সিগঞ্জ সদর