৩.৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়িতে আসার পরে কয়টা ভাত খাওয়ার
# আমার শিক্ষা জীবন **
১৯৮৮ সালে পূর্ব ভাওতিতা সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয় দিয়ে শুরু। ১৯৯২ সালে ঝালকাঠি ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হই। আমার বাড়ি থেকে মাদ্রাসার দূরত্ব ৩.৫ কিলোমিটার। পথিমধ্যে বিশাল এক সুগন্ধা নদি।আমার শিক্ষা জীবনের শুরু খুব সহজ ছিল না,আমার দারিদ্রতা এতোটাই ছিলো যে ঐ খেয়া পারাপারের পয়শা ও ছিলোনা। মা কোন দিন একটা মুরগির ডিম দিত যা ১.৫ টাকা বিক্রি করতাম এবং তিন দিন খেয়া পার হতাম। যে দিন ঐ ডিম টা ভেঙে যেতো নৌকার দাড় টেনে খেয়া পার হতাম, যদি কোন দিন ৪ টা ডিম দিতো ৬ টাকা বিক্রী করে ২টাকার সিংগারা খেতাম, আর টাকা দিয়ে একসপ্তাহ খেয়া পার হতাম। আমার ক্লাস ফ্রেন্ডরা ছিল সব ধনীর দুলালি,কারো বাবা ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার/আমরিকা, অস্ট্রলিয়া। আমি ছিলাম গরিব তাই ওরা কিছু খেতে ডাকলে যেতাম না।
#৫ টাকা দিয়ে ইনকাম শুরু*
সালটা সম্ভবত 1993 আমার দরিদ্র সংসারে, নুন আনতে যখন পান্তা ফুরায়, আমার মেজো কাকা, কাঞ্চন আলি সাহেবের ধানক্ষেতে বদলা দিতে শুরু করলাম, একদিন কাজ করালে দুবেলা খাওয়াতো আর পাঁচ টাকা দিত। শুরু হল আমার জীবনের ইনকাম আমি তখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। বাহ! কি অপরুপ সুন্দর কাজের বিনিময় দুবেলা খাবার , আবার 5 টাকা চমৎকার। কিন্তু সারাদিন কাজ করার শেষে ক্লান্তি এসে যখন বাধা দেয় বই পড়তে। মা তখন বলে খোকা আয় ঘুমিয়ে পর,আগামীকাল শনিবার ক্লাসে যে তোমার যেতে হবে, পড়া কমপ্লিট করে না গেলে তো স্যারের পিটুনী খেতে হবে। এভাবে করেই জীবন চলতে লাগলো। ১৯৯৪ সালে আমার ইউনিয়নের বর্ণাঢ্য ধনী ব্যক্তি ইয়াসিন আলি খান সাহেবের ধান ক্ষেতে কাজ করতে গেলাম। বেতন টা একটু বাড়ালো উনার ওখানে খাবার নেই ১০ টাকা বেতন দিতে লাগলো। এভাবে করে করেই আমার জীবন সংগ্রাম শুরু হলো। ১৯৯৫/৯৬ সালে আমরা একটি মুদি দোকান দিলাম। বড় ভাই বসতেন। মাদ্রাসা ছুটির পরে আমিও দোকানে বসতাম। আমাদের ছিল কয়েকটি গরু ও কৃষিকাজ। মাদ্রাসা ছুটি শেষে ৩.৫ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়িতে আসার পরে কয়টা ভাত খাওয়ার পর, মা যখন বলতেন খোকা গরুর জন্য কয়টা গাস কেটে নিয়ে আয়। মনের কষ্টে তখন আত্বহত্যা করতে যেতাম। একদিন বড় ভাইয়ের দোকানের সদায়ের ২০ টাকা দিয়ে বিষ কিনতে গিয়েছিলাম খেয়ে মরে যাব বলে। কিন্তু মহান রবের অশেষ কৃপায় দোকানদার আমি ছোট বলে বিষ বিক্রি করেনি বলেই তাই হয়তো এ পৃথিবীতে আজও বেঁচে আছি।
আলহামদুলিল্লাহ চুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টের বৎসর
সালটা 1999, আমি তখন ক্লাস নবম শ্রেণীতে পড়ি, রোল নং ৩, বড় ভাই বিবাহ করিলেন।২০০০ সালে সংসার থেকে আলাদা হয়ে গেলেন। মনে হলো আমার পৃথিবীর অন্ধকারের জীবন শুরু হয়ে গেল। মাথার তাজ বড় ভাই আলাদা সংসার হওয়ার পরে আমার পড়া লেখা বন্ধ হওয়ার পথে।আমি কি খাব মাকে কি খাওয়াবো আরো নানা সমস্যর ফলে।চলে গেলাম ঢাকায়। ছোট বোনের বাসা ছিল বেগুনবাড়ি তেজগাঁও। কত আত্মীয় কত স্বজনের কাছে চাকরির জন্য গুড়েছি। আমি ছোট বলে কেউ একটি চাকরি যোগাড় করে দেয় নি। পরিশেষে আমার সম্মানিত দুলাভাই হাবিব সাহেব সকালে বাসা থেকে নিয়ে গেলেন কিছুই না বলে। ফারমগেইট খ্রিষ্টান বাড়ি আমার প্রথমে রাজের কাজ শুরু।২৪ দিন কাজের পরে আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মাওলানা মোখতার আহম্মেদ সাহেব খবর পেলেন আমার পড়া লেখা বন্ধ। ওনি আমার ক্লাস ফ্রেন্ড আব্দুর রহমান এর কাছে খবর দিলেন মাদ্রাসায় আসতে, আমি ঢাকা থেকে দুলাভাই এর দেওয়া ২০০০ টাকা নিয়া ঝালকাঠি চলে আসলাম, আমার সেই মহান শিক্ষক যার দয়ায় মাদ্রাসার বোডিং থেকে পড়া শুনার সুযোগ পেলাম।
It's time my life for difficult moment
আমি ১২০০ টাকা দিয়ে ১ মে হিলফুল ফুযুল সমাজ কল্যাণে একাউন্ট খুল্লাম ২০০০ সালে।
ঐ বছরই ইসলামি ব্যাংকে ৫০০ টাকা দিয়ে একাউন্ট খুল্লাম যা ২১ বছরে পদার্পণ করেছে।
#(কি যাতোনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে ,
কবু সর্পে ধংশেনি যারে)
২০০২ সালে আমার দাখিল/ এস এস সি পরীক্ষা শুরু , আমার জিবনে ৩ মাাস প্রাইভেট টিউটর পেয়েছি মাএ। সাইন্স বিভাগের স্টুডেন্ট ছিলাম রোল নং ছিল ২,শরু হলো পরীক্ষা তখনকার শিক্ষা মন্ত্রী ছিলেন এহসানুল হল মিলন,কি য়া মাদ্রাসায় ২০০৫ সালে আলিম পাশ করে ফাজেল / ডিগ্রীতে ভর্তি হলাম।পড়ালেখার ফাকে ফাকে বিভিন্ন চাকরি করলাম কখোন গ্যাসের দোকানে, মষলার সেলসম্যানে হিসাবে, হোটেল ম্যানেজার হিসাবে, পপুলার লাইফ ইনসুরেন্সের ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র ম্যানেজার হিসাবে দু বছর দায়িত্ব পালন করলাম, জখন দেখলাম এটা মানুষের সাথে প্রতরানা করে চাকরি ছেরে দিলাম, কারন আমি সব সময় সৎ ও হালাল খাবার চেস্টা করেছি।
আলহামদুলিল্লাহ মহান রাব্বুল আলামীন আমাকে নিরাশ করেন নি!
#সপ্ন ছিল কোটিপতি হবো কিন্তু কি ভাবে হবো,তাই বিদেশ যাবার পরিকল্পনা করলাম লাখটাকা কামানোর সপ্নে কুয়েতে পাড়ি জমালাম ২০০৭ সালে।
I could not completet my gragution,becous my Bisa is gone12/ 2006. I was came in kuwait 6/2/2007.;
কুয়েতের লাইফটা আমার জন্য মোটোই সহজ ছিলনা। আমি (আবরাজ নামক কম্পানিতে) আসলাম কুয়েত,কি করুণ অবস্থা মানুষের কাজ নেই হাজার হাজার মানুষ বেকার, খেতে পারেনা বাড়িতে টাকা দিতে পারেনা, যদিও আমার মহান বড় ভাই ছিলেন বিদায় থাকা খাবার সমস্যা হয়নি আলহামদুলিল্লাহ। একমাস পরে কাজের জন্য বের হলাম কাজ করতে লাগলাম ২ দিনার করে বেতনে ডেলি।তাও আবার বাকি ২২ দিন কাজ করলাম তাও আাবার বেতন দিলোনা,
কম্পানির চাকরি শুরু হলো, রোড জারুদার হিসাবে ৩ দিন ১৬ ঘণ্টা ৪ দিন ৮ ঘণ্টা একটা সালের বিতরে ৪ টি রোড আমার জনযুদ্ধ??? ৩৫ দিনার বেতন মাসে, চাকরী করবোনা বলে অনেক চেস্টাকরেও ব্যার্থ হলাম
পরিশেষ২০০৯ সালে বাংলাদেশী দের আন্দলনের পরে যাদের রক্তের বিনিময় ৪০ দিনার স্যালারী হয়েছিলো তাদের কে জানাই সেলুট।দীর্ঘ জিবি হউন আপনারা।
আমার চাকরি পরিবর্তন করা ও সপ্মের সিঁড়িটা ছোয়া
Jabriya co op supper market, kuwait
২০০৯ সালে আমার টলিবয় হিসাবে যোগদান, আবরাজ কম্পানি ৭ মাসের বেতন পাইনি বরং ৬০০ দিনার খরচ করে অন্য কম্পানিতে আকামা লাগোনো, এটা আমার জিবনে বড় সফলতা।
তিন মাস আকামা না থাকার কারনে ইট ছিল আমার মাথার বালিশ, কার্টুন ছিল আমার জাজিম, সিঁড়িটার নিচে ছিল আমার থাকার রুম আলহামদুলিল্লাহ দিন পরিবর্তন হতে লাগলো,
আমার ৫ টাকার শুরুথেকে কোটিপতি হওয়া
আজ মহান রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় ঝালকাঠি জেলা শহরের পৌরসভায় ১৬ শতাংশ জমির উপরে একটি বাড়ি ও ১ টি মার্কেট আমার, আর এই বাড়ি করতে আমার জিবনে অনেক কস্টের রচিত হয়েছে,আমি রাতের ঘুম হারাম করে শরীরের ঘাম জরীয়ে টাকা রেজগার করে তৈরী করেছি
এখানে নেই কোন ঘুষের টাকা
নেই কোন হারম টাকা, সব আমার ঘাম জড়ানে পয়শা
ও #আমার মায়ের দোয়া।
আমি ২০১৮ সালে যখন মার্কেটর কাজ শুরু করী, আমার কাচে আছে ১০০০০০ টাকা মাএ। কিন্তু তিন তলা ফাউন্ডেশন দিতে প্লান পাশ করিয়া ১৮ লাখের উপরে শেষ কিন্তু কাজ সেষ হয়নি এখোনো।
নিজের বলার মতন একটা গল্প ফাউন্ডেশন জরিত হওয়া
#২০১৮ সালে আমি যখন বাড়ি করতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে জাই আমার বুকের মাঝে পেইন শুরু হয়ে যায়,
তখন ইউটিউব দেখতে গিয়ে# ইকবাল বাহার স্যার এর ভিডিওগুলি আমাকে মুগ্ধ করে। আমি সব গুলো ভিডিও দেখার চেস্টাকরি। এবং ৮ ম ব্যাচে রেজিস্টার করে নেই আমার নাম,
৯০ দিনের ক্লাস শেষ করি এবং ওনার দেখানো পথ দরে ব্যাবসায় উদ্দোগি হই, আজ ছোট্ট করে আমার ওয়াইফের নাম অনুযায়ী
shimul fashion &tailros
নামে আমাদের ক্লোথ নিয়ে ব্যাবসার যাএা শুরু।
আমার সপ্ন /My future bisnes plan
২০২১ আমার ব্যাবসার যাএা শুর,আমি কম্পানি আকারে ২০৩০ সালের মধ্যে রেডিমেড পোষাক ও লেদার আইটাম কসমেটিক্স নিয়ে সারা বাংলাদেশ ব্যাপি মিনি ফ্যাশন হাউজ তৈরীকরা।
২০৩৫ সালে গ্লোবাল মার্কেটিং আসা,
পরকালের জন্য কিছু করা,আমার মহৎ কাজ
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৮২
Date:- ১২/০৩/২০২১
Mr: hummayun kabir
Batch no 8
Reg:no:8002
Blood group B+
Jhalokati sador
live in kuwait