আমার কলেজ লাইফের যখন শুরু হয় তখন আমার থেকে এক বছরের সিনিয়র একজনের সাথে



















অবহেলা করে দেখে সন্তানকে অন্যদিকে পরিচালিত হতে বাধ্য না করি। যাই হোক আমার লেখাটা শেষ পর্যন্ত আপনারা পড়লে আশা করি আপনারা আমার সাথে একমত হবেন কেন আমাদের সঠিক প্যারেন্টিং বর্তমান সময়ের দাবি।






সেই থেকে আর আমার ভুল হয়নি যদিও ঘটনাটা খুব ছোট্ট একটা ঘটনা।






#কলেজ জীবন ও জীবনের ছন্দপতনঃ-
যাইহোক আমি আমার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করে আমি ভর্তি হলাম একটি কলেজে আর এ সময়টা মুরুব্বিরা বলে অনেকটা আবেগি সময় বয়সন্ধিকাল।



আমার জীবনে তাই ঘটেছিল আর আমি আগেই বলেছি আমি সদা একজন চঞ্চল সরল প্রকৃতির সহজে বিশ্বাসী একটা মেয়ে ছিলাম।অতি অল্পতেই অনেককে বিশ্বাস করা আমার একটা স্বভাবজাত ধর্ম ছিল।








যাইহোক প্রেমের জ্বরে আক্রান্ত আমি পরিবারের এ সিদ্ধান্ত কোনভাবেই মেনে নিতে পারি নাই।কারন আমার শয়নে স্বপনে পুরো অস্তিত্ব জুড়েই তো তাকেই অনুভব করি।আর আমার এ মানুষিক অবস্হা খুলে বলার মত সাহস বা সঙ্গী কোনটাই পাইনি।আমার মাকে আমি ভীষন ভয় পেতাম।এতোটাই ভয় পেতাম যে মা আমার সব জেনেও কিছু বলার সাহস করিনি,,,,
যাইহোক একা একা কি করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। আবার কারও সাথে মন খুলে বলার সাহস ও পাচ্ছি না। সবমিলিয়ে জীবনের ভয়াবহ আত্ম-বিধ্বংসী চরম ভুল সিদ্ধান্তটাই নিয়ে ফেলি নিজেকে শেষ করার মত কঠিন কাজ।
কিন্তুু







আমার সাজানো গুছানো জীবন,বাবা মার মায়া,মমতা আত্মীয় স্বজনের সান্যিধ্য শিক্ষাজীবন,পরিবারের সহায়তা, সামাজিক আত্মসম্মানবোধ সবমিলিয়ে আমার ভুল যেন আমাকে এ অঘোষিত কারাগারে নিক্ষেপ করে।।
লোহার অদৃশ্য ডান্ডাবেরী আমার হাতে পায়ে বেধে দেওয়া হয়।আমাকে তো দুরের কথা আমার ছায়া ও যেন পরিবারের জন্য অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে,,,যার ফলশ্রুতিতে নিজের ঘরে ঠাঁই না হয়ে আমাকে স্থানান্তর হতে হয় আমার চাচার ঘরে,, সেখান থেকে আবার আমার এক বোনের পরিবারে।






তবুও আমি আমার মা বাবা, ভাই বোনকে নিজের চাইতে বেশি ভালোবাসি,,কিন্তু সেটা আজও বোঝাতে পারেনি



যাই হোক প্রতিনিয়ত কষ্ট সংগ্রামের কাছে নিজেকে একটা সময় খাপ খাইয়ে নিতে শিখে যাই। সংসার জীবনের পাশাপাশি আমি একটি স্কুলে শিক্ষকতা করি এবং আমার চাকরির অর্থ দিয়ে নিজেকে পুনরায় গুছিয়ে নিয়ে ডিগ্রী পাস করি। এর পাশাপাশি আমি আর একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করে,, সেখানে প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং সহকারী শিক্ষীকা হিসেবে যোগদান করি। স্কুলে যখন নিষ্পাপ বাচ্চাগুলির মাঝে থাকি অনেক আনন্দ খুঁজে পাই,,, কেননা এই শিশুগুলোর মাঝে নেই কোন পাপ,, নেই কারো অবহেলা,একটু সহযোগিতা ও ভালবাসা পেলে এক একজন সোনার মানুষে পরিনত হবে।



,,,,,,পরিসমাপ্তিতে বলতে চাই,,,,





যারা দীর্ঘসময় ব্যয় করে আমার লেখাটা পরলেন।আপনাদের সকলের জন্য আন্তরিক ভালবাসা ও দোয়া রইলো।আর আবেদন রইল ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার।আর আপনাদের দোয়া থেকে বন্ছিত করবেন না আমাকে। এ কামনায়
আপনাদের বোন
আমি চাই আমার মতো আর কারো জীবন এমন না হয়,,,সবাই মা বাবার সাথে ভালো আচরণ করবেন এবং আমার মতো ভয় না পেয়ে সব কিছু শেয়ার করবেন,, তাহলে তারাও তাদের সন্তানকে সঠিক সময়ে সঠিক কথার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করতে পারবে,,তাই সকল মা বাবার পতি সালাম জানিয়ে শেষ করলাম,,,,

"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৮৩
Date:- ১৩/০৩/২০২১
আমেনা আক্তার
জেলা ঃ চাঁদপুর
উপজেলা ঃ মতলব দঃ
ব্যাচ নং 12
রেজিষ্ট্রেশন নম্বর - ৪৩৭৬৮
পেইজ - খেয়া ফ্যাশন হাউজ