দিনশেষে রক্তের বন্ধনই স্পষ্ট
যার একজন ছোট ভাই আছে সে অনেক সুখী
আমি “উচ্চাকাঙ্ক্ষী, ইতিবাচক, সহায়ক, অসাধারণ নির্ভরযোগ্য।” কারণ তার একজন ভাই আছে
السلام عليكم و رحمةالله.
আলহামদুলিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার।
সন্মানিত প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন।
আমি অন্তরের অন্তস্তল থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর প্রতি।
আমার একজন ছোট ভাই আছে আমিও অনেক হেফি
আমি “উচ্চাকাঙ্ক্ষী, ইতিবাচক, সহায়ক, অসাধারণ নির্ভরযোগ্য।” কারণ আমারো একজন ভাই আছে
ভাইয়া কি মধুর ডাক সেটা তো আমি জানি
ভাইয়া কি মধুর সুর জীবনটা সুন্দর হবে যদি একে অপরের পাশে থাকে সারা জীবন।
নশ্বর এই পৃথিবীতে ভাই ভাইয়ের একে অপরের।
আজ আমি আমার ছোট ভাইকে নিয়ে কিছু বলতে চাই
আমার ভাইকে আমি খুব ভালোবাসি আজ খুব মিছ করছি। কারন আমার ভাই আমার থেকে অনেক দুরে চলে গেছে।
আমরা দুই ভাই কত দুষ্টুমি করতাম ছোট বেলায়
আমরা দুই ভাই মাদ্রাসায় পড়তাম এক সাথে যেতাম
আমার ভাই যখন মাদ্রাসায় যেতোনা আমি তখন কত দিন
আমি তাকে মার ও দিয়েছি। কিন্তু আমার ভাই ছোট বেলায় যদিও আমার থেকে একটু বেশি রাগি ছিলো।
তবু আমি সব সময় চেষ্টা করতাম আমার ভাইকে শাসন করতে, ভাই যদি ভুল কিছু করলে ফিরিয়ে আনার জন্যে।
এখন ভুল করলে আগের মত হয়তে শাসন করতে পারিনা কারন ভাইটা আমার এখন আমার চেয়েও বড় হয়ে গেছে। তবু ভুল দেখলে নিষেধ করার চেষ্টা করি।
আমাদের দুই ভাইয়ের অনেক সৃতি আছে
আমরা ছোট বেলায় যখন গ্রামে বিয়ে হতো তখন গ্রামের বিয়ে গুলাতে সাদা কালো অথবা ছিডি টিভি সারা রাত মানুষ দেখতো। আমাদের কে আমার আম্মু যেতে দিতোনা যেহেতু আমরা মাদ্রাসায় পড়তাম আর আমরা ছোট ছিলাম তাই। আমরা দুই ভাই যুক্তি করে আম্মু যখন গুমাতেন তখন আস্তে করে ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যেতাম।
গিয়ে টিভি দেখে আবার এসে ঘুমাতাম।
আবার আমাদের দুই ভাইয়ের প্রায় সময় ঝগড়াও হতো
তবে এই ঝগড়া হিংসের ছিলোনা কখনো,, অবুঝ ছিলাম তাই হইতো সবারি কম বেশ হয়,,যদিও আমি একটু বেশিই করে পেলতাম মাঝে মাঝে,,এখন বুঝি ভাই আমার রক্তের বাধন,
আমাদের দুই ভাইয়ের সম্পর্কে ভালোবাসার যতটা না বহিঃপ্রকাশ, তার থেকে অনেক বেশি দৃশ্যমান ঝগড়া-ঝাটি, খুনসুটি, পরস্পরের প্রতি অভিযোগ আর খেলনাপাতির দখলদারিত্ব নিয়ে মৌন যুদ্ধ! বাড়ীতে থাকলে ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া-ঝাটি লেগে থাকতেই পারে।
কিন্তু দিনশেষে রক্তের বন্ধনই স্পষ্ট। একই বিছানা ভাগাভাগি করে ঘুমাতে হইতো। ভাই পাশে না থাকলে ঘুমাতে গিয়েও ভয় ভয় লাগতো আমার,, পাশে থাকলে টানটা বোঝা না গেলেও, দূরে গেলে একা আর কিছু ভালো লাগে না। এমন সব দৃশ্য পরিচিত মনে হচ্ছে? যেসব বাড়িতে শৈশবের গণ্ডিতে থাকা বা সদ্য শৈশব পেরোনো দুটি ভাই রয়েছে, সেখানে এমন দৃশ্য প্রায় প্রতিদিনই দেখা যায়।
ভাই এমন দুটি অক্ষর দিয়ে তৈরি।
এটা দেখতে দুটি অক্ষর হলেও কিন্তু এই অক্ষর দুটি অনেক মধুর ও শক্তিশালী। ভাইরা একে অপরকে কখনো অন্ধকারে রেখে যায় না। ভাই এমন একটা জায়গা অন্তরে দখল করে যেইটা কোনো বেস্ট ফ্রেন্ড অথবা ক্লোজ ফ্রেন্ড
ও কখনো দখল করতে পারে না ।
যখন ছিলাম ভাবতাম আমি আছি যেহেতু আমার ভাইয়ের কোনো চিন্তা নাই। কিন্তু যখন আমি আজ থেকে প্রায়
সাড়ে ৪বছর আগে প্রবাস নামের জেল খানাতে বন্দি হতে
প্রিয় বাংলাদেশ কে ছেড়ে বিদেশে চলে আসি।
ঠিক তখনি আমার চিন্তাটা একটু বেড়ে যায় বিশেষ করে
আমার ছোট ভাইয়ের জন্যে, কারন আমার ভাইয়ের এখন যদি কোনো ভুল করে পেলে তাহলে সে হয়তো ভুলের কারনে বিপদে পড়ে যেতে পারে। আগে আমি ভুল দেখলেই আমি বলতাম ও ভয় না পেলেও সেই কাজ করার চেষ্টা দ্বিতীয় বার কর্তনা।
আমার ভাই যদি রাতে ঘরে আসতে ঘড়ির কাটা ১০টা পার হতো তখনি আমি সাথে সাথে কল দিতাম কই তুই।
কখনো যদি রাগারাগি হতো তাহলে আম্মুকে দিয়ে কল দিয়ে জিগাইতাম কই তুই। এখন তো আমি বিদেশে চলে এসেছি কে তার খোজ খবর রাখবে। আম্মুর কথা তো শুনতোইনা খুব চিন্তায় ছিলাম।
আমার মনে আছে আমি বিদেশে আশার পরেও যখন বাড়ীতে আসতে দেরি হতো তখনি আমার মা আমাকে
কল দিয়ে বলতো ও কোথায় একটু কল দিয়ে দেখ।
আমি কল দিতাম কই আছে জানার পরে বলতাম তাড়াতাড়ি বাড়ীতে চলে যা। ভাই আমার তাই করতো
আমি সব সময় আমার যেই জিনিষটি পছন্দ হতো
আমি আমার ভাইয়ের জন্যে তার থেকে ও ভালো কিছু পছন্দ করার চেষ্টা করতাম। এবং আমি আমাদের এই
#নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে রেজিস্ট্রেশন করার পরে আমি ফাউন্ডেশনের বিষয়ে সব কিছু বুজার পরে আমার ভাইয়ের কথা চিন্তা করলাম
আমি ১৩তম ব্যাচে থাকবো আমার ভাই পরের ব্যাচে থাকবে এইটা হতে পারেনা। আমার ভাই পিছে পড়ে যাবে
তাই আমার ভাই কে বললাম ফাউন্ডেশন নিয়ে পরে তাকে
আমি ১৩তম ব্যাচে রেজিস্ট্রেশন করে দিলাম।
এবং আমি চাই সারা জীবন চাইবো আল্লাহ যেনো আমার ছোট ভাই কে আমার চাইতে একটু হলে ও বেশি ভালো রাখে সকল খেতরে।
আমার ভাই বিদেশ আসবে এক বারে পাগল দিওয়ানার মতো হয়ে গেছে। আমি ও মনে মনে চাইতাম আমার ভাই টাকে কবে নিয়ে আসবো বিদেশে। আমার ভাই যদি আসে আমার ভাই এবং আমি দুই জনের ইনকামে আমাদের পরিবার একটু বেশি ভালো থাকবে।
যদিও আমার ভাইয়ের ভালোর জন্যে একবার বলেছিলাম
তুই বিদেশ না এসে দেশে কিছু করলে ভালো হবে।
আমি তোকে ৫০হাজার টাকা দিবো ঐ টাকা দিয়ে তুই নেপাল অথবা ভুটান ভ্রমন করে আয় টুরিস্টে। তারপর দেশে কিছু কর যেমন ছোট করে একটা খামার ও করা যেতে পারে। কিন্তু ওর একটাই ইচ্ছে বিদেশ যাবে।
আমিও আর বেশি কিছু বল্লামনা কারন বল্লে হয়তো দেখা গেছে আমার ভাইটা আমায় ভুল বুঝে বসে থাকবে
যে আমি চাইছিনা আমার ভাই বিদেশ আসুক।
এইটা আমার ধারনা ছিলো।
যাইহোক ঋন করে এবং নিজের জমানো টাকা দিয়ে
একটা ভিসা নিলাম দেশে পাঠালাম। কিন্তু আমার ভাই মেডিকেল আনপিট খুব চিন্তা হচ্ছিলো নামাজ পড়ে আল্লার কাছে শুধু এটাই কইতাম আল্লাহ তুমি রহম করো
আল্লাহ তুমি আমার ভাইকে নৈরাশ কইরোনা।
যাইহোক অনেক ঝামেলার পরে গত ১৫মাস আগে আলহামদুলিল্লাহ নিয়ে আসলাম।
এবার তার আকামা বানিয়ে দিচ্ছে দিচ্ছেনা টাকা দেওয়া পরেও। আমার তো ভিতোরে সব কষ্টে পেটে যাইতো ভাইটার জন্যে কবে সব ঝামেলা শেষ হবে। তবে কখনোই কাউকে বুঝতে দিতামনা যে আমার ভিতরের অবস্থা। আবারো নামাজ পড়ে শুধু আল্লার কাছে কইতাম আল্লাহ সব কিছুইতো করে দিলে আমার ভাইয়ের জন্যে এইবার আকামা টা তুমি ব্যবস্থা করে দাও আল্লাহ। দেড় মাস পর আকামা পেলাম আলহামদুলিল্লাহ। এইবার ভাইকে কোথাও কাজে দেওয়ার ইচ্ছে আমার নেই কারন আমার ভাই আমার সাথেই থাকবে আমার সাথেই কাজ করবে এইটা আমার চাওয়া। তাহলে আমি নিশ্চিন্ত থাকতে পারবো।
কিন্তু আমার ভাই আমার সাথে কাজ করবেনা বলে
তখন আমার খুবি খারাপ লাগে। এর পরেও আমার সাথে প্রায় দুই মাসের মত ছিলো। তারপর আমার থেকে একটু দুরে ইলেক্ট্রিক এর কাজের অপার পেয়ে ভাই কে ওর পছন্দের কাজে দিলাম কারন বেশি দুরে নয় আমার থেকে একটু দুরে। চিন্তা নাই
তারপর গত ৬মাস আগে সৌদিআরবে আইনগত সমস্যার কারনে ঐ কাজ থেকে আমার কাছে আমি আবারো নিয়ে আসি। কারন পরিস্থিতি খারাপ ছিলো। আর আমি কোনো ভাবেই আমার ভাইকে খারাপ পরিস্থিতিতে কাজ করতে দিতে পারিনা। আমার কাছে আনার পরে ভাই আমাকে বলে ওর খেজুর পেকেটিং এর কাজ ভালো লাগেনা,,যেহেতু আমি খেজুর পেকেটিং এর কাজ করি।
সেও এইটা করতে হবে।
তো কি করবি এখন শুনি। বলে আমি আমার কফিলের এলাকয় চলে যাবো, গিয়ে ঐখানে কাজ করবো
বললাম ওকে তোর ইচ্ছে যেতে চাইলে যা। কারন আমার ভাইয়ের ও স্বাধীনতা বলে কিছু আছে। আমি ভালোবাসি
বলেতো আর তাকে সব সময় আগলে রাখতে পারবোনা
যাক আমার থেকে ৬৫ কিঃ দুরে চলে গেলো তবু ভাবলাম কাছেই আছে।
ছিলো ৩মাস এরপর বলে ঐ খানে ভালো লাগছেনা আবারো নিয়ে আসলাম গত সপ্তাহে আমার কাছে
আমার সাথে একদিন কাজ করেই বলে আমি আর করবোনা। পরের দিন চলে গেলো আমার থেকে প্রায় ৪৫০কিঃ দুরে আমার এক খালাতো ভাইয়ের কাছে রিয়দ শহরে। আমি নিষেধ করার পরেও। যদিও দূরত্ব কখনো রক্তের সম্বন্ধ ভাঙতে পারে না -তাই ভাই সব সময় ভাই-ই থাকে ”
আজ দুইদিন চিন্তায় মন মানুষিকতা টোটালি ভালো নেই
আমার ভাইয়ের ঐ খানে যদি সমস্যা হয় কে দেখবে।
মনের মাঝে যে কত কিছু আসে আর যায় বলেও কাউকে
বুঝানো যাবেনা। তবু বলি ভাই আমার ভালো থাকুক
দোওয়া করি সদা সর্বদা আমার ভাইকে আল্লাহ ভালো রাখুক।
আমার ছোট ভাই আছে বলে আজ আমি বড় ভাই
আমার ভাইয়ের জন্যে আপনাদের কাছেও
দোওয়া চাই। দোওয়া করবেন ওর জন্যে
এই খানে শুধু আমারি কথা গুলা লেখা আছে
আমার ভাই ও আমায় খুব সম্মান এবং ভালোবাসে
অনিঃশেষ ভালোবাসা স্নেহের ছোট ভাই আমার
এর মাঝে যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা স্বরুপ দেখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে
অবশেষে আমি আবারো
ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই
আমি যার কথা শুনে মুগ্ধ হই প্রতি নিয়ত
আমি যাকে হৃদয়ের গহীনে বসিয়েছি
আমি যার মাধ্যমে সুশিক্ষা শিক্ষিত হয়ে
উদ্দ্যেক্তা হওয়ার স্বপ্ন বুনি
আমার সেই মহানায়ক প্রান প্রিয় শিক্ষক
প্রিয় মেন্টর জনাব #Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি
আমার অফুরন্ত ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"-৫০৬
তারিখ :- ১০.০৪.২০২১
-------ধন্যবাদান্তে------
★নাম: সোহেল রাজ
★জেলা: ফেনী
★ব্যাচ:১৩
★রেজিস্ট্রেশন :৫৭০৭৭
★কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
★এসো কুরআন শিখি-রোল ৬
★বর্তমান সৌদিআরব