কাছের মানুষদের থেকে বাধা পাওয়া আমার বড় ভাই বলল তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না
👉👉উদ্যোক্তার বীজবপন ও পথচলা
আমার বয়স যখন চৌদ্দ বৎসর তখন থেকেই আমার একটাই কল্পনা ছিল যে আমি উদ্যোক্তা হব আমি ইউনিক কিছু কাজ করব আমার গ্রামে যেখান থেকে আমি ভালো কিছু করব ও ভালো সফলতা অর্জন করতে পারব আমি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা নিজ গ্রামে করি নিজ গ্রামে পূর্ব ধলাইতলী জনতা উচ্চ বিদ্যালয়সেখান থেকেই আমার চিন্তা ছিল যে আমি পড়ালেখার পাশাপাশি একটি বিজনেস করবো যেন আমি আমার ফ্যামিলির পাশে দাঁড়াতে পারি ফ্যামিলির কাছে আমি যখন বললাম আমি একটা ব্যবসা শুরু করব আমার মাথার মধ্যে একটি নতুন বিজনেস আইডিয়া এসেছে তখন আমি আমার বাবা এবং মা এবং আমার বড় ভাইয়ের সাথে শেয়ার করলাম।
👉👉কাছের মানুষদের থেকে বাধা পাওয়া
আমার বড় ভাই বলল তোমাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না তোমার পড়ালেখা ভালো না তুমি বিদেশে চলে যাও তোমার পিছনে এখানে কোন একটি টাকা আমরা ব্যয় করতে রাজী না কারন তুমি যে কাজগুলো করো যেগুলো মানুষ করে না।
👉👉আমার সফলতার প্রথম ছোয়া
বাংলাদেশ ১৯৯৬সালে যখন মোবাইল আসে তখন আমি চিন্তা করলাম যে আমি একটি মোবাইল ফোন ফ্যাক্সের দোকান দিব আমি পার্টটাইম কাজ করব পাশাপাশি একজন কে রেখে দিব উনি যেন আমি যখন স্কুলে থাকি তখন আমার পরিবর্তে যদি কোন ফোন আসে সেখানে রিসিভ করে বার্তা টি গ্রাহকের কাছে পৌছে দিতে পারে আমি সকাল ৭টা থেকে ৯ পর্যন্ত আমার দোকানে দোকানদারি করি পরবর্তীতে আমি চলে যাই স্কুলে স্কুল থেকে চলে এসে খাওয়া-দাওয়া করে আবার সাথে করে বই হাতে করে আমার নিজ প্রতিষ্ঠানে আমি এসে বসে পড়ি সেখান থেকে আমি শুরু করি আমার উদ্যোক্তা জীবন আলহামদুলিল্লাহ আমি অতি সফলভাবে আমি ব্যবসা পরিচালনা করি
😭😭পুরনায় বাধার সম্মুখীন যেখানে
আমি যখন আয় করা শুরু করেছি তখন আমার বড় ভাই বলল তোমাকে দিয়ে এটা হবেনা তুমি এই প্রতিষ্ঠানে আমাকে ছেড়ে দাও আমি এটাকে দেখছি তুমি ঠিকমত ব্যবসা চালাতে পারোনা তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না তখন অনেক দুঃখ নিয়ে বেদনা নিয়ে আমি ওই প্রতিষ্ঠানটি উনার উপরে ছেড়ে দিয়ে আমি রাগ😢 অভিমান করে বাবা-মায়ের কাছে না বলে আমি চলে যাই আমার নানার বাড়িতে নানার বাড়িতে গিয়ে সেখান থেকে আমি আমার নিজ গ্রামে এসে পড়াশোনা করি কিন্তু আমার নিজ বাড়িতে আমি থাকি নাই কারন আমার একটা অভিমান ছিল যে আমি এত কষ্ট করে আমার প্রতিষ্ঠান গড়েছি সেই প্রতিষ্ঠানটি আরেকজনে নিয়ে গেল এটা আমার মেনে নেওয়া সম্ভব না।
আমি আবার চিন্তা করলাম আমি ssc পরীক্ষা দিব sscপরীক্ষা দেওয়ার পর 3 মাস আমি আরো একটি কাজ শুরু করব যেটা আমার গ্রামে এখনো কেউ শুরু করে নাই।
💪💪নতুন স্বপ্নের পথে হাটা
আমি সেই চিন্তা চেতনা নিয়ে আমি আমার মামার কাছে চলে গেলাম মামাকে বললাম মামা আপনি আমাকে 20 হাজার টাকা ধার দিবেন মামা বলল যে তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না তুমি টাকা গুলো নষ্ট করে ফেলবে আমি বললাম মামা আমি তোমার টাকা তিন মাসের মধ্যে ফেরত দিব অনেক কাকুতি-মিনতি করে মামা আমাকে ফিরিয়ে দিলেন আমি আবার আমার বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে বললাম আম্মু আমাকে কিছু টাকা দাও আমি আবার নিজ উদ্যোগে কিছু করতে চাই।
মাকে অনেক কিছু বলার পর মা রাজি হলো তোমার বাবা আসুক আমার বাবা একজন ডাক্তার ছিলেন এবং জনগণের সেবা করতেন খুব পছন্দ করতেন বাবা যখন রাত্রে ১২টার সময় বাসায় ফিরে এসে দেখে আমি বাসায় আমাকে দেখে বাবা বলল বাবা তুমি এসেছো তোমার পড়াশোনা কেমন চলছে আমি মন খারাপ করে বসে আছি মা বলল তোমার ছেলে নতুন কিছু করতে যাচ্ছে ওকে কিছু টাকা ধার দাও ও তোমাকে কিছু দিনের মধ্যে টাকা ফেরত দিবে। পাশের রুমে আমার বড় ভাই ছিল উনি বললো ওকে কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া যাবে না ওসব নষ্ট করে ফেলবে তখন আমার বাবা উঠে বলল তুমি বর্তমান যে প্রতিষ্ঠান আস সেটা ওর নিজের গড়া অতয়েব তোমরা আমার দুই সন্তান দু'জনকেই আমি সমান চোখে দেখবো আমি ওকে টাকা দিব তুমি কিছু বলবা না পরে আমার বাবার কাছ থেকে আমি বিশ হাজার টাকা ধার নিয়ে আমি শুরু করে দিলাম আরেকটি উদ্যেক্তা জীবন সেটা হলো কিছু বয়লার মুরগি এবং কিছু লেয়ার মুরগি নিয়ে আমি কাজ শুরু করি সেখানে আলহামদুলিল্লাহ ছয় মাস পর আমি আমার বাবার 20 হাজার টাকা ফেরত দিয়ে দিলাম।
😥😥😥পুনরায় বাধার সম্মুখীন
হঠাৎ করে আমার জীবনে আরেকটা অন্ধকার চলে আসে কালবৈশাখী ঝড় আমার মুরগির ফার্ম ছিল রাস্তার পাশে হঠাৎ করে কাল বৈশাখী ঝরে সে আমার মুরগির ফার্ম টি লন্ডফন্ড করে দিল খালের ভিতরে পড়ে গেল আমার অনেক মুরগি নষ্ট হয়ে আমার পুরো চালান টাই চোলে গেল তখন হঠাত করেই আমার বড় ভাই বলল তোমাকে দিয়ে কিছুই হবে না আমি আগেই বলেছিলাম তখন আমাকে আসলে সান্তনা না দিয়ে আমাকে আরো চাপ প্রয়োগ করা হল তখন চিন্তা করলাম যে আসলে আমি যদি এটা না করতাম তাহলে লস হত না আমি হাল ছেড়ে দিয়েছি আমাকে সান্তনা দেওয়ার মতো কেউ নেই। কিন্তু আছে শুধু উস্কানিমূলক কথা বলা সে সাথেই আমি আবারো চিন্তা করলাম যে আমি কি করবো কি করতে চাই তখন আমার বাবা বলল বাবা তুমি ধৈর্য ধারণ করো রিজিকের মালিক আল্লাহ তুমি পড়াশোনা করো তোমাকে আমি দোয়া করে গেলাম তোমার জন্য আমার দোয়া সব সময় থাকবে তুমি মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করো পড়াশোনার পাশাপাশি তুমি আমার ডাক্তারের চেম্বারে বসবে। সেখান থেকে আমি তোমাকে সহযোগিতা করে কিছু অর্থ দিব তুমি সেই অর্থ নিয়ে বিজনেস আবার শুরু করবা
💪💪💪শোক থেকে শক্তি
বাবার সেই কথা শুনে আমি আবারও মনোযোগ দিয়ে শুরু করলাম পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু অর্থের জোগান দেওয়ার জন্য আমি আবারো অর্থ নিয়ে আমার মুরগির খামার টি নির্মাণ করে আমি চলে আসি আমার নানার বাড়িতে সেখান থেকে আমি কিছু টাকা সংগ্রহ করি সংগ্রহ করে আবার শুরু করি উদ্যোক্তা জীবন সেই উদ্যোক্তা জীবনে অনেক সফল হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ মহান রব্বুল আলামিন আমাকে অনেক রিজিক দিয়েছেন আমি 20 হাজার টাকা থেকে এক বছরে আমি এক লক্ষ দশ হাজার টাকা ইনকাম করেছি যখনই আমার এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট বাহির হল তখন আমি c গ্রেট নিয়ে ভর্তি হলাম চাঁদপুর হাসান আলী
💞💞আমি আমার আরেকটু শিশুকালের কথা বলি
আমার বয়স যখন এক বছর তখন আমার বাবা ডাক্তারি করতেন সকালবেলা রোগী দেখতেন আমাকে পাশে বসিয়ে রাখবেন আমি খুব চঞ্চল ছিলাম ছোটবেলায় আমার মা বলতো আমার মানিক অনেকেই বলতো সুন্দরী আমার মা কারো কোলে আমাকে দিতেন না বলতো আমার ছেলের উপরে মানুষের নজর লাগবে সেজন্য বাবা নিজেই বাবার কাছে রেখে দিতেন আমার মা সকালের নাস্তা তৈরি করতেন এবং বাবা রোগী দেখবেন আমার হাতে একটি বল দিয়ে বাবা আমাকে মেঝের উপরে বসে রাখলেন আমি হঠাৎ করে বলটি নিয়ে খেলা করতে করতে বলটি পড়ে যায় ম্যাচ থেকে আমিও ম্যাচ থেকে বলটি ধরার জন্য পড়ে যায় তখন আমার মুখে চারটি দাঁত উঠেছে নিচে দুটো উপরে দুটো আমার উপর থেকে পড়ে যে আমার জিব্বায় দুই দাতের মাঝখানে পড়ে কেটে যায় কেটে যাওয়ার পর আমার জিব্বা টা থেকে অনেক রক্তক্ষরণ হয় আমার বাবা এবং মা অনেক কান্নাকাটি করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান ডাক্তার বলল উনাকে আমরা সেলাই করে দিব কিন্তু উনি কথা বলতে পারবেন কিনা সেটা আমরা বলতে পারব কিনা আমার মা অনেক চিৎকার দিয়ে কাঁদতে লাগলেন বললেন ডাক্তার আমার সন্তানকে যেভাবেই হোক না কেন আপনারা ভালো করে চিকিৎসা দেন আমার বাবা নিজেও হতাশ হয়ে গেলেন আমার সন্তানকে যেকোন মূল্যেই হোক না কেনভালো চিকিৎসা দিতে হবে তখন চাঁদপুর জেনারেল হসপিটালে আমার বাবা নিয়ে গেলেন আমাকে সেলাই করে নিয়ে আসলেন আমি খুব চঞ্চল ছিলাম যখন শিলাই করে বাসে করে নিয়ে আসে তখন হঠাৎ করে বাসের মধ্যে একজন চকলেট বিক্রেতা চকলেট নিয়ে এসেছেন আমি একটা চকলেট নিয়ে মুখে দেওয়ার অনেক চেষ্টা করি বাবা বললেন এই চকলেট তুমি খেতে পারবে না বাবা আমি তো তখন খুব ছোট ছিলাম আমি তোরে টা বুঝতাম না অনেক কান্নাকাটি করে ও একটি চকলেট খাওয়ার চেষ্টা করি তখন আমার মা বললেন আমার ছেলে মরে যাক সমস্যা নেই ও একটা খাবার খেতে চাচ্ছে তুমি খাবার টা দাও আল্লাহ যদি রক্ষা করেন রক্ষা করবেন যখন সেলাই করে বাসে বসে আমার মুখে এখনো রক্ত ক্ষরণ হয় তখন ও বাবা অনেক চোখের পানি ফেলে বললেন আল্লাহ আমারে সন্তান যদি সঠিকভাবে কথা বলতে পারে তাহলে আমি মাদ্রাসায় তাকে পরাবো আল্লাহর কোরআন পড়াবো আমার বাবার একটা আসা ছিলেন কিন্তু হঠাৎ করে আমি বাবার ওই আশাকে নইরাশা করে দিলাম আমি কোন কিছুতেই মানতে পারি নাই যে বাবা আমি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করব বাবার কথা অমান্য করে মাদ্রাসা থেকে চলে গেলাম ইস্কুলে ইস্কুলে পড়াশোনা করে চিন্তা করছিলাম যে আমি একজন ডাক্তার হবো
😭😭অজানার পথে যাত্রা ও চরম কষ্ঠের দিনগুলো
hsc পড়াশোনা শেষ করে মালয়েশিয়াতে পাড়ি দিলাম মালয়েশিয়াতে আসার পর 2005 সালে সবকিছু ত্যাগ করে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়াতে ভর্তি হলাম ৩ তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ করে আমার জীবনে কাল এক অন্ধকারের দুঃসংবাদ এসে পড়েছেন আমার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আমার পড়াশোনার খরচ দিতে পারে নাই খাওয়া-দাওয়া অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমার বাবা অসুস্থ হয়ে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন আমার দুঃখের বিষয় এত কান্না এতো কান্না চোখের জলে বেশে গেল সবকিছু আমার স্বপ্ন আশা আকাঙ্খার অন্তত দুই সপ্তাহ ধরে আমার চোখের পানি নিরবে পড়ে যেত আমি একমাস ইউনিভার্সিটিতে যাই নাই আমার খাওয়ার টাকা যোগাইতে অনেক কষ্ট হয়ে যেত সে সাথে মালয়েশিয়া bandar sunway pj's 7 একটি সেল পেট্রল স্টেশন পার্টটাইম কাজে সংগ্রহ করে দিলেন আমার এক প্রিয় ভাই জনাব কামরুল ইসলাম ভাই আমি এখানে কাজ করা অবস্থায় চোখের জল অনার্সে পড়ে যেত হঠাৎ করে কোনো কথাই বলতে পারতাম না তখন মালাই ভাষা বলার কোন স্তূপ ছিল না কারণ আমি শিখার জন্য অতটা আগ্রহী হয় নাই কারন আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল আমি একজন কেমিস্ট হব পেট্রোলিয়াম নিয়ে কাজ করব এবং শিল্প রসায়ন নিয়ে কাজ করব।
🌺🌺🌺🌺আলোর দেখা পাওয়া
হঠাৎ করে আবার আমার কাছে এমন একজন ব্যক্তি ধরা দিলেন মালয়েশিয়া একজন চাইনিজ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল তুমি কেন কাঁদছো তোমার চোখের জল কেন আমি আমার গল্প বোনের কাছে শেয়ার করলাম ওই ব্যক্তি ও আমার গল্প শুনে হতাশ হয়ে গেলেন উনি বললো তোমার নাম্বারটা আমাকে দাও আমি তোমাকে ফোন করবো আমার এমন একটা মোবাইল ছিল যে মোবাইলে চার্জ থাকত না রাবার দিয়ে পেচিয়ে মোবাইলটি ব্যবহার করতাম অনেক সময় পকেটের চাপ খেয়ে মোবাইল বন্ধ হয়ে যেত এবং পেট্রলপাম এ মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধ আমি মোবাইল বার করতাম না যদিও রাবার সরে যে মোবাইল বন্ধ হয়ে যেত আবার যখন বাসায় অথবা দুপুরের খাবারের সময় হতো তখন মোবাইল দেখতে পেতাম ওই ভদ্রলোক আমাকে অনেকবার ফোন দিয়েছে ওই চাইনিজ বস এসে উনার সিঙ্গাপুরের যেই কেমিস্ট উনার সাথে জিনিসটি শেয়ার করলেন যেমন একটা স্টুডেন্ট আছে আমরা যদি আমাদের কোম্পানি থেকে নিয়োগ দেই আমরা যদি ওর পড়ালেখার খরচ চালাই তাহলে আমাদের অনেক উপকৃত হব এবং ফিউচারে আমরা ভালো কিছু করতে পারবো তোমাকে সহযোগিতা করতে পারবে হঠাৎ করে আমার ওই চাইনিজ বস আমাকে নিয়ে আসলো আমাকে বলল তুমি এখানে সাইন করো তুমি যদি আমাদের এখানে জব করতে চাও আমরা তোমার পড়ালেখার সম্পূর্ণ খরচ দিব কিন্তু বিনিময়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানে তোমার কাজ করতে হবে অন্তত 10 থেকে 12 বছর এখানে কোন সালারি ইনক্রিজ করা হবে না তুমি মালয়েশিয়ার অন্য কোথাও শিল্প রসায়ন নিয়ে কাজ করতে পারবা না যেহেতু তুমি একজন স্টুডেন্ট আমাদের এখান থেকে সম্পূর্ণ পড়ালেখার খরচ দেওয়া হবে তোমার সার্টিফিকেট ও অন্যান্য যেকোনো ডকুমেন্টেশন আমাদের কাছে জমা রাখতে হবে এবং তুমি অন্য কোথাও এর থেকে ভালো কিছু পাইলেও জব অফার পেলেও আমাদের এখান থেকে যেতে পারবা না আমি চিন্তা করলাম এটাই তো আমার ভালো সফল নর্দিক আমি এখানেই থাকব এখানেই কাজ করব সেই সাথে সেই প্রতিষ্ঠানে আমি কাটিয়ে দিলাম আজকে 16 বছর
💞💞💞আমার উদ্যোক্তা জীবনে সফলতার ছোয়া।
আমি বাংলাদেশ 2012 সাল থেকেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি আমার প্রতিষ্ঠান নাম ছিল অল কেমিক্যাল টেকনোলজি আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে আমি শুরু করি আমি এখান থেকেই দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকি এবং কিছু অর্থ দিয়ে থাকি আমার ঐ বন্ধু আমারে ওই অর্থ কি তো টাকা দিয়ে বিজনেস শুরু করে এবং পাশাপাশি আমি ফর্মুলেশন এখান থেকেই দেই এবং পরামর্শ দিয়ে থাকি আমার ঐ বন্ধু আমার কাছ থেকে ওই টাকাগুলো নিয়ে হঠাৎ করে পালিয়ে যায় আমার সাথে কোন ডকুমেন্টেশন ছিলনা আমি দেশে ও যেতে পারি নাই আমি এখান থেকে ছুটি চাইলেও পাই নাই সেজন্য আমার ঐ বন্ধু টাকাগুলো নিয়ে আমার সাথে এক রকমের প্রতারণা করে চলে গেলেনতারপর আমি আবার ভেঙে পড়ি হঠাৎ করেই আমাকে আমার মা বললেন বাবা তুমি ভেঙ্গে পড়না টাকা গেছে তা কি হয়েছে তোমার কপাল তো আর যায় নাই আমি আবার নিজের নামে একটা প্রতিষ্ঠান শুরু করি অল কেমিক্যাল টেকনোলজি লিমিটেড আলহামদুলিল্লাহ এই প্রতিষ্ঠানটি আমি 3500 টাকা দিয়ে শুরু করি এখন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি অতি সুনামের সাথে বাংলাদেশে মানুষের পাশে আছেন অল কেমিক্যাল টেকনোলজি লিমিটেড নামের এই প্রতিষ্ঠান থেকে আমি শুধু ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে শুরু করি আমার এক ছোট ভাইকে দিয়ে আমার ছোট ভাই অনেক কষ্ট করে শুরু করেন 35শ টাকা দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ এখন আমাদের কোম্পানি লিমিটেড কোম্পানি paid for কেপিটেল50 লক্ষ টাকা বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ আছেন প্রায় 60 লক্ষ টাকা এবং ওই প্রতিষ্ঠান 15 জন শ্রমিক এবং দশজন মার্কেটিং শ্রমিক নিয়ে কাজ চলছে সারা বাংলাদেশে বর্তমানে আমাদের ডিলার 20 জন এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে 10 জনের অধিক এ কন্ত্রাক্ট মানুফাকচারিং করে নিয়ে এবং আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানে 147 টি পণ্য এখন উৎপাদন করে থাকি আমাদের পণ্য প্রসাধনী পণ্য শিল্প রসায়ন ও হাইজিন প্রোডাক্ট এবং মৎস্য ছেমিক্যালস
তারপর আমার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে আমার নিজ গ্রামে সেখানেই একটু কিছু যোগ করি
প্রথমেই নিজ এলাকার অনেক মানুষ হাসাহাসি করত বলত এই ব্যবসা দেশ গ্রামে কখনোই হবে না কারণ এটা শহর না এটা গ্রাম গ্রামের মানুষের ক্ষতি করবো এসিড দিয়ে মানুষের চুলকানি হবে অনেক ভয় দেখিয়ে আমাকে অনেক বাধা দিলেন গ্রামবাসীর কিছু লোকজন তখন আমি বললাম আমি পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্স নিয়ে এসেছি আমি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র শিল্প ও ও মাঝারি শিল্প থেকে লাইসেন্স নিয়ে এসেছি এবং বাংলাদেশ শিল্প মন্ত্রণালয়ের থেকে আমি জয়েন স্টক করে এসেছি এবং বিএসটিআই এর অনুমোদন নিয়ে এসেছি সবাই এখানে অবজারভেশন করে আমাকে অনুমোদন দিয়েছে করার জন্য দয়া করে আমাকে সহযোগিতা করুন সেই সাথে গ্রামবাসী আমাকে সহযোগিতা না করে কিছু সাংবাদিক নিয়ে এসেছে বলল এখানে অবৈধ প্রোডাক্ট উৎপাদন হয় তো আমি কি করলাম যখন সাংবাদিক এসেছে তখন আমি বলেছি আমি আমার গভমেন্ট রোলস মেনে আমি কাজ শুরু করেছি আপনাদের যদি কিছু বলার থাকে হাইকোর্টে আমার জন্য আপনারা নোটিশ করতে পারেন আমি সেখানে জবাবদিহি দিব আপনাদেরকে জবাব দেয় দিতে বাধ্য থাকিব না কারণ আমি জানি আমার প্রোডাক্ট সর্বোচ্চ কোয়ালিটি দিয়ে আমি নিজে উৎপাদন করে থাকি কখনো আমি কোয়ালিটির মধ্যে কোন কম্প্রোমাইজ করিনা আমি এমন প্রোডাক্ট তৈরি করি সম্পন্ন প্রোডাক্ট বাংলাদেশে সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে টেস্ট করে এবং নিজের ল্যাবরেটরী থেকে টেস্ট করে এবং নিজের টেস্ট করে আমি দীর্ঘ তিন মাস প্রোডাক্টটি অবজারভেশন করে মার্কেটিং করি এবং আমার প্রত্যেকটা প্রোডাক্ট gmp(good manufacturing process) এবং MSDS(material safety data sheet), SDS (safety data sheet)করে থাকিযখন আমার নামে কমপ্লেইন করলো হাইকোর্টে আমি আমার উকিল দিয়ে আমি এই ডকুমেন্টেশন গুলো সাবমিট করি আলহামদুলিল্লাহ কোড আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন অতি চমৎকার করে বললেন আপনারা প্রোডাকশন চালিয়ে যান আপনাদের প্রোডাক্ট এখানে কোন জল দূষণ বায়ু দূষণ করবে না এবং পরিবেশকে দূষণ করবে না তবে বললে আপনারা অবশ্যই আপনাদের গ্রামের মানুষের সুদৃষ্টিতে দেখবেন এবং তাদেরকে সহযোগিতা করবেন যেন কোন প্রকার রসায়ন থেকে প্রতিক্রিয়া না হয়।
💓💓💓💓ভালবাসার গ্রুপের সন্ধান যেভাবে ও প্রাপ্তি
আর নিজের বলার মত একটা গল্প প্লাটফর্মে আমি কিভাবে আসলাম সেই গল্পটি আপনাদের কাছে একটু শেয়ার করি?
2019 সালের ডিসেম্বর মাস আমি বাংলাদেশ অবস্থান করি হঠাৎ করে আমি আমার অফিসে বসে ফেসবুকে একটু ঘুরাঘুরি করলাম ঘুরাঘুরি করে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন আমি দেখতে পেলাম রেজিস্ট্রেশন করা হয় আমি সেখানে যেয়ে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললাম আমি জানি নাই কিভাবে এটা ব্যাচ নাম্বার এবং রেজিস্ট্রেশন নাম্বার পাব অনেক চেষ্টা করি কিন্তু বুঝি নাই সে জন্য কিছু করতে পারি নাই হঠাৎ করে জানুয়ারিতে চলে আসি পরবর্তীতে আমি নতুন করে একটা আইডি খুলি আব্দুর রহমান নাম দিয়ে সেই নাম দিয়ে আমি আবার রেজিস্ট্রেশন করি এবং 11 তম ব্যাচ থেকে যুক্ত হই আমার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার 29717 সেই প্লাটফর্মে যুক্ত হতে পেরে আমি অনেক আনন্দ লাগলো কিন্তু গ্রুপে নিয়মিত পোস্ট দিতাম না আমি জানতাম না যে গ্রুপে কত ভালো মানুষ আছে এবং এই গ্রুপে এত ভালো মানুষের কথা বলার জড়তা কাটানোর এবং তাদের সাথে বন্ধুত্ব করা আমি এগুলো কিছুই বুঝতাম না হঠাৎ করে আমি আমার চাঁদপুরের এক ভাইকে পেয়ে গেলাম বলল চাঁদপুর মেসেঞ্জার গ্রুপে কারা কারা যুক্ত আছেন আমি মেজবা ভাইকে দিয়ে আমি আমার চাঁদপুর গ্রুপে যুক্ত হলাম আলহামদুলিল্লাহ সেখান থেকেই আমি অনেক ভালো মানুষের দেখা পেয়েছি এই গ্রুপে সবাই ভাল মানুষ এই গ্রুপটাকে এত আপন করে নিয়েছি এই গ্রুপ থেকে এত কিছু শিখার আছে যা আমি কোথাও এরকম শিক্ষা পাই নি নম্রতা ভদ্রতা শিক্ষনীয় কথা এবং ভালো মানুষের চর্চা উদ্যোক্তা করার কারিগরি এবং সেলফ পোস্ট দেওয়া প্রত্যেক মঙ্গলবার হাটবার হাটবার পোস্টে আমি আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাইয়ের সারা পাই
এখন নিয়মিত প্রত্যেকদিন আমাদের প্রিয় স্যারের সেশন নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করতে পারি আমি তিনটা মেসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত আছি চাঁদপুর মেসেঞ্জার গ্রুপ মালয়েশিয়া মেসেঞ্জার গ্রুপ এবং কাতার মেসেঞ্জার গ্রুপ সেখান থেকেই কত ভালো মানুষের সাথে কথা হয়েছে পরিচয় হয়েছে আজকে আমাদের প্রিয় স্যার যদি এই প্লাটফর্ম কি আমাদেরকে না দিতেন তাহলে আমরা এত ভালো মানুষের দেখা পেতেন না যাহোক সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই অগোচালু কথাগুলো আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ আবারো কোন একদিন আপনাদের মাঝে নিজের বলার একটি গল্প নিয়ে উপস্থিত হব
পরিশেষে
পরিশেষে আমি বলতে চাই আমি আরো শিখতে চাই জানতে চাই একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পেরেছি সেজন্য মহান আল্লাহর কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আমাদের এই প্রিয় প্লাটফর্মে যদি কোনো ভাই উদ্যোক্তা হতে চান ইনশাআল্লাহ আমি সকলকেই সহযোগিতা করব এবং দেশ ও জাতির সেবা করব দেশে পণ্য বিশ্বের দরবারে তুলে ধরব নিজের বলার মত একটা গল্প তৈরি করব এবং হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব প্রিয় স্যারের স্লোগান লেগে থাকুন সাহস করুন সফলতা ইনশাআল্লাহ আসবেই সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এবং আবারও আমাদের প্রিয় স্যারের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি
👉চাকরি করব না
👉চাকরি দেবো
🧑🍼স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন ও লেগে থাকুন
🧑🍼সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ
প্রিয় প্ল্যাটফর্মের ভালোবাসার ভাই ভালোবাসার বোন সবাইকে ভালোবেসে একটি মেসেজ দিতেছি
🙏🙏🗣️❌😷✅🦠🦠❌
#পরিশেষে সবাইকে একটি মেসেজ দিতে চাই
বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি সারা বিশ্বে যখন থমথমে অবস্থা বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছেন যা বলে বোঝানো যাবে না বলে শেষ করা যাবে না এই বৈশ্বিক মহামারী মধ্যে সবাই সচেতন থাকবেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন লকডাউন মেনে চলবেন হতদরিদ্র মানুষ এর পাশে দাঁড়াবেন অন্তত দু কেজি চাউল অথবা খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করবেন মাক্স ব্যবহার করবেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করবেন বাসায় অন্তত প্রত্যেকদিন জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করবেন যদি কোন অসহায় পরিবারের হ্যান্ড স্যানিটাইজার জীবাণুনাশক স্প্রে ও হ্যান্ডওয়াশ প্রয়োজন হয় অবশ্যই আমাকে নক দিবেন হতদরিদ্র মানুষের জন্য আমার প্রতিষ্ঠান থেকে সম্পন্ন foc
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"-৫০৭
তারিখ :- ১১.০৪.২০২১
🙇আমি মোহাম্মদ নয়ন হোসাইন (আব্দুর রহমান খান)
১১ তম ব্যাচ
রেজিস্ট্রেশন নং ২৯৭১৭
🏠জেলা চাঁদপুর
🏠উপজেলা মতলব দক্ষিণ
✅ব্লাড গ্রুপ বি পজেটিভ
বর্তমান মালয়েশিয়া রেমিট্যান্স যোদ্ধা।
বাংলাদেশ নিজ প্রতিষ্ঠানের অল কেমিক্যাল টেকনোলজি লিমিটেড