দেখে শুনে সব ভাই বোনদের বিয়েও দিয়েছে তারা।
৷৷ ❤️কিছু অনুভূতি ❤️
✍️ শুরুতে শুকরিয়া মহান আল্লাহর দরবারে,
যার দেওয়া নিঃশ্বাসে দেহে প্রাণ বয়ে যাচ্ছে এখনও।
✍️ শুকরিয়া পিতা-মাতার প্রতি, যাদের উছিলায় পৃথিবীতে আমার আগমন। যদিও পিতা-মাতা বলতে মাতাই শুধু বর্তমান, কারণ বাবা যে
আমার পারি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে মাত্র আড়াই বছর বয়সেই। এতিমের খাতায় নাম যে আমার অবুঝ শিশুকালেই😪😪
✍️ এবার যার প্রতি শুকরিয়া আদায় করছি, যার কথা আসলে বিশেষভাবে না বললেই নয়, তিনি হলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় প্রিয় শিক্ষক, আমার পথ প্রদর্শক, আমার অনুপ্রেরণা, আমার সামনে চলার দিকনির্দেশনা, আঁধার ঘরে আলোর দিশা, হাজারো তরুণ উদ্যোক্তাদের পিতা, শুভাকাঙ্ক্ষী, অভিভাবক, তরুণ উদ্যোক্তাদের স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি হলেন আমাদেন সবার প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের মত হাজার হাজার তরুণদের এই আইকনের প্রতি। ❤️❤️
✍️ জীবন বহমান। জীবন চালাতে আমরা নানাবিধ ঘটনার সম্মুখীন হই। এদের মধ্যে অনেক কিছু আবার আমাদের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যায়। কারণ সবকিছু আমরা মনে রাখতে পারিনা। তবে এতো সব ঘটনার মধ্যে কিছু বিষয় সারাজীবন অম্লান হয়ে রয়ে যায়, যা কখনো ভোলা সম্ভব না। এদের মধ্যে সুখ এবং দুঃখ দুই ধরনের স্মৃতিই রযেছে।
✍️ দুঃখের স্মৃতি গুলোর মধ্যে যা আমাকে আজও পিরাদেয় তা হলো,,,, প্রিয় দাদীর মৃত্যু😪। কারণ তিনি শুধু আমার দাদী না, আমার মায়ের ভূমিকা পালন করা আরও একজন অভিভাবক এবং আমার লালনপালন কর্তা । বাবা মারা যাবার পর একদিনও আমাকে চোখের আড়াল করেননি। আমি তারই আদর যত্নে লালিত পালিত হয়েছি তারই বাড়িতে। তার ছত্রছায়ায় থাকাকালীন কখনো আমি মায়ের অভাব অনুভব করিনি। আমাকে তার এ অসম্ভব রকম ভালোবাসা পিছনে একটা বিশেষ কারণ হলো, আমি দেখতে তার অকালে চলে যাওয়া, চিরতরে হারিয়ে যাওয়া কলিজার সন্তানের মতো। প্রিয় দাদীর চলে যাওয়া আমার জন্য পৃথিবীর বুকে সব চেয়ে বড় কষ্টের স্মৃতি 😪। দাদীর মৃত্যুর দিন মুখ থেকে শুধু একটা কথাই চিৎকার করে কেঁদে বলেছি, আমার সোনা, আমার সোনা, কোথায় চলে গেলা তুমি😪😪। কথাটা লিখতে দু'চোখ থেকে এখনো গড়ে পরলো পানি😪😪 আমার সোনার দাদী পরপারে ভালো থেকো তুমি। ইয়া আল্লাহ আমার সোনাটাকে তুমি জান্নাতের সর্বচ্চো আরোহণে অধিষ্ঠিত করো। আমীন,,,সুর্মা আমীন।
✍️ সব চেয়ে আনন্দের স্মৃতির কথা যতদূর মনে পড়ে,,,, মা হওয়ার দিনটি 🥰। আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে সার্জারির রুম থেকে বের করে দেবার পর, একটু একটু করে যখন আমার জ্ঞান ফিরছিল, তখন শুধু মেয়ের মুখটাই দেখতে চাচ্ছিলাম। কি অসাধারণ এক আনন্দের অনুভূতি!! যা কোন মায়ের পক্ষেই ভাষায় প্রকাশ করা আসলে সম্ভব না 🥰
✍️ আনন্দের অনুভূতির খাতায় বেশকিছু ঘটনা আরও আছে তবে, আরও একটা দিন যা বিশেষ ভাবে আমাকে আনন্দের স্মুতিতে ভাসিয়ে দেয় তাহলো,,,,, প্রিয় শিক্ষকের সান্নিধ্য 😍 শ্রদ্ধেয় স্যারের যেদিন মেসেজ পেয়েছি ইউটিউব লাইভে সাক্ষাতকারের জন্য। আর যথাসময়ে তার সান্নিধ্য লাভের উদ্যেশে স্যারের অফিসে গমন। কি অবিশ্বাস!! অসাধারণ আনন্দের এক অনুভূতি যে সেদিন অনুভব করেছি যা আমার ভাষায় প্রকাশ করার ক্ষমতা নেই 🥰 সে আনন্দের অনুভূতি আজও চোখ বন্ধ করলে অনুভব করতে পারি।
আর এই আনন্দের দিনটা সারাজীবনই আমার স্মৃতির পাতায় অম্লান হয়ে থাকবে 🥰
✍️ আমি এক সাধারণ মেয়ে, সাধারণ ভাবেই বেড়ে ওঠা । তিন বোনের মধ্যে আমিই সবার ছোট আর আমার ছোট এক ভাই। মা আমার ২৪ বছর বয়সে বিধবা হয়ে, আমাদের মায়ায়, একাকী জীবন পার করেছে। আমাদের মানুষ করাই ছিলো তার একমাত্র উদ্দেশ্য। যথারীতি চার সন্তানকেই তিনি পড়ালেখা করিয়েছেন এবং মানুষ করার সর্বোত্তম প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। আমাদের মানুষ করার প্রচেষ্টায় মায়ের পাশাপাশি আমাদের চাচাদের ভূমিকাও কম ছিলো না। তাদের সন্তান আর আমাদের মধ্যে কখনো কোন তফাৎ দেখিনি। তারা আমাদের জন্য যা করেছেন তা কোন দিন কোন চাচারা করে কিনা আমার জানা নেই। কোন আর্থিক কষ্ট আমরা কখনো অনুভব করিনি। কোন চাওয়াই আমাদের অপূর্ণ রাখেনি। দেখে শুনে সব ভাই বোনদের বিয়েও দিয়েছে তারা।
✍️ বিয়ের পর কন্যা সন্তানের মা হলাম। দায়িত্ব আর কর্তব্যের এক বিশাল সমুদ্রে ডুবে গেলাম। নিজের জন্য আলাদা করে একটু ভাবার কোন অবকাশই যেনো ছিলোনা। তবুও কষ্ট করে অনার্স মাস্টার্স শেষ করলাম। কিন্তু চাকরির জন্য আর নিজেকে প্রস্তুত করা হলো না। একসময় সরকারি চাকরির বয়সটাও চলেগেলো। এসব কিছুতে মা খুব কষ্ট পাচ্ছিল, কারণ তিনি চেয়েছিলেন ছোট হলেও নিজে যেনো কিছু একটা করি। হতাশ হয়ে গেলাম। জীবনের রং গুলো যেনো ফিকে হতে লাগলো। মার চাওয়া পূর্ণ করতে পারলাম না 😪 জীবনে কিছুই তো হতে পারলাম না 😪 নিজের কোন পরিচয়ই তৈরি করতে পারলাম না। এক শুভাকাঙ্ক্ষী পরামর্শ দিলো চাকরিই যে করতে হবে এমন তো নয়। অন্য কিছু করো। নিজের যা ভালো লাগে সেটা নিয়েই কাজ শুরু করলাম।
✍️শ্রদ্ধেয় স্যার বলেন," আমরা যে, যে কাজই করিনা কেনো তার জন্য আসলে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। কাজ সম্পর্কে ধারণা এবং জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।" আমি কাজ শুরু করেছিলাম বিনা অভিজ্ঞতায়, যার ফলোশ্রুতিতে সফল্যের কোঠা একেবারেই শূন্য। এবার কাজে নেমেও আমি হতাশ, ভাবলাম ছেড়ে দিবো সব। কিন্তু কিছু দিন পর হঠাৎই দেখা পেলাম প্রিয় প্লাটফর্মের। পেয়ে গেলাম আলোর দিশা। অনুসরণ আর অনুকরণ করতে শুরু করলাম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের অমৃত সব অসাধারণ বাণী। সুফলও পেতে লাগলাম অল্প সময়েই। নিজের পরিবর্তনে নিজেই অবাক!!! আত্নবিশ্বাসী এক নারী হিসেবে নিজেকে আবিষ্কার করলাম এক অন্য আমি রুপে!! দিন দিন মনোবল দ্বিগুণ হতে লাগলো। কাজের সময় এবং পরিধি বাড়িয়ে দিলাম। এখন ঘড়ি ধরে কাজ করি না, আর কাজ করলেও হাঁপিয়ে উঠি না। কাজের মধ্যে অন্যরকম এক সুখ খুঁজে পেয়েছি।
✍️ আলহামদুলিল্লাহ,,, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা আর শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের উছিলায় তার দিক নির্দেশনায়, ছোট হলেও নিজের একটা পরিচয় তৈরি করতে পেরেছি। মাও এখন চাকরি হয়নি বলে আর দুঃখ প্রকাশ করেনা😃। বলে, কিছু তো একটা করছি 😃সেও এখন আমার এ পরিচয়ে খুশি। আমার পরিচয়, আমি একজন উদ্যোক্তা। শ্রদ্ধেয় স্যার বলেন," আমার চোখে সবচেয়ে বড় পদ হচ্ছে একজন উদ্যোক্তা" আমি নিজেও আমার এ পরিচয়ে অনেক খুশি 😍
✍️ আমি বন্যা পারভেজ। সিরাজগঞ্জ জেলার মেয়ে। কাজ করছি আমাদের সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্য তাঁতের শাড়ি এবং মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক সামগ্রী নিয়ে। অনলাইন এবং অফলাইনের মাধ্যমে হোলসেল এবং খুচরা দুটোই দিয়ে থাকি। নিজ জেলায় আমার একটা ক্যাটারিং সার্ভিসও আছে। আমাদের দেশের ঐতিহ্য সোনালি আঁশ পাটজাত পণ্য নিয়েও কাজ করছি। ২/৩ জন্য মানুষের কর্মসংস্থান করতে পেরেছি। ১৫/১৬ জন্য নারী ট্রেনিং করছে হস্তশিল্পের উপর। ইনশাআল্লাহ তাদেরও কর্মসংস্থান হয়ে যাবে এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে। দোয়া রাখবেন আমি যেন আমার কাজের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারি এবং নিজের পাশাপাশি আরো কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারি।
✍️ পরিশেষে অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি প্রিয় গ্রুপের সকল ভাই-বোনদের প্রতি যাদের প্রতিনিয়ত ভালোবাসায় আমি সিক্ত, আমি অভিভূত। অনেক অনেক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা রইলো সবার প্রতি। ❤️❤️
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"-৫১০
তারিখ :- ১৫.০৪.২০২১
বন্যা পারভেজ
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার এম্বাসেডর।
রেজিষ্ট্রেশন টিম মেম্বার।
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার।
ব্যাচঃ ৮ম।
রেজিঃ১৩৮৬৩।
জেলাঃ সিরাজগঞ্জ