ছোটোবেলা থেকে আমরা অনেক কিছু ভেবেছি,চিন্তা করেছি
আমি সামিয়া খন্দকার,মুন্সিগন্জ সদরের মেয়ে। ,,,,,,
জী'ব'ন শব্দটা দেখতে খুবই ছোট কিন্তু তার মহত্বতা বুঝা বড় দায়।জীবন তো এক্টাই, সেই জীবনেই না কত নানা আয়োজন, কত স্বপ্ন, কত ইচ্ছা কত আকাংখা সেই জীবন্টাই যদি একটু ব্যতিক্রম ভাবে সাড়া দেয়, তখন জীবন নামের মালিকানাধীন মানুষ্টার থাকে না কোন অস্তিত্ববোধ,খুঁজে বেড়ায় নীড় হারা পাখির ন্যায়,, আপন নীড়ের সন্ধান। কিন্তু কোথায়....?হ্যা এটাই কি জীবন..! জীবন্টা মনে হয় পূর্ণিমা রাতের চাঁদের ন্যায় কখনো কখনো নিজ ভাবেই আলোকিত করে যায়,আবার কখনো কখনো অমাবস্যা রাতের ন্যায় গভীর অন্ধকার নিয়ে আসে....! বুঝা দুরহ,,,একটা জীবনে কি চাওয়া পাওয়া থাকে...!কিছু আসা,কিছু চাওয়া, কিছু পাওয়ার তার বাহিরে কিছু আছে বলে জানা নেই।সেই সকল না পাওয়া উপক্রমা থেকে হয়ত হতাশার আবির্ভাব ঘটে,, যা চোখের সামনে চলমান। এই ভাবে আর কত দিন....! প্রশ্ন যাকে মনের ভিতর,সকল কিছু অবসান ঘটাতে এমন কি মা, বাবার,ছোট ছোট ইচ্ছে আকাংখা প্রাধান্য দেওয়া,বা নিজের কিছু ইচ্ছে পূরনের প্রত্যয়ে।
______আমার__ ছোটবেলার__ ভাবনা _______
ছোটোবেলা থেকে আমরা অনেক কিছু ভেবেছি,চিন্তা করেছি, আমরা বেরিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমাদের যে সমস্ত সমস্যা আমরা ফেস করেছি ছোটো বেলা থেকে।
সে হতে পারে অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষাগত অবস্থায় অনেক সংগ্রাম, প্রতিযোগিতা করেছি। তারপরও আমরা অনেক মানুষ সে সমস্ত ইকোনমিক ব্যাকগ্রাউন্ড চেঞ্জ করতে পারি নি।অর্থনৈতিক মন্দা আমাদের মধ্যে যেটা থেকে গেছে সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে পারিনি।
একটা সময় এসে আমাদের কাছে অনেক কিছু আসে কিন্তু সেগুলো আমরা গ্রহণ করতে পারি না। আমাদের ভয় লাগে। সেই বড় হাতিটার (যার গল্প নিচে উল্লেখ্য করা হয়েছে) মতো যে সে চাইলে কিন্তু ওখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।কিন্তু তার "মাইন্ডসেট " হয়ে গেছে। সে ঐ সার্কাস থেকে কখনো বেরিয়ে আসতে পারবেনা।
সেরকম আমাদের মধ্যে কিছু কিছু মানুষ আমরা আছি যাদের মধ্যে মাইন্ড সেটআপ তৈরি হয়ে গেছে, নতুন কিছু জানার চেষ্টা করলে নতুন কিছু ইনফরমেশন শেয়ার করার থাকলে আমরা ভাবি, কখনো এখান থেকেই তো বেরুতে পারবোনা। আমরা যত কিছুই জানি না কেনো আর এই ভয়টাই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে দেয়না।
তাই ভয়কে জয় করতে শিখতে হবে।
______আমার__ পরিবার ______
আমার পরিবারের মা,বাবা ভাইবোন সহ সবাই আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছেন আলহামদুলিল্লাহ।
আমি ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ায় বরাবরই ভালো ছিলাম পরিবারের দিক থেকেও অনেক ভালো ছিলাম,, সহ পরিবার নিয়ে অনেক সুখে শান্তিতে আরামে ছিলাম,, আমি ছোটোবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম লেখাপড়া শিখে একজন বড় উকিল হবো,,,বিপথগামী মানুষ টাকার অভাব এ ন্যায় বিচার পায় না,, আমি তাদেরকে ন্যায়-বিচার পাইয়ে দেব,, একজন ভাল মানুষ হয়ে বুক ফুলিয়ে চলবো,জীবনে বড় কিছু হতে পারি নাই, তবে একজন ভাল মানুষ হয়ে বাঁচতে পারব এটাই স্বপ্নের চূড়ায় লিখিত ছিল.
_____কিছু __কথা__ স্মৃতির__ পাতায় _____
একটি মজার ঘটনা বলি,,যা আমার মাঝে মাঝে মনে হয়,,চাইলেই সব পাওয়া হয়না, পাওয়ার জন্য সময় পরিস্থিতির প্রয়োজন হয় যাই হোক আজ আমি আপনাদের সে ঘটনা বলি,,একবার আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি আমার ইংরেজি ম্যাডাম ক্লাসে জিজ্ঞেস করেছিলেন ,My Aim in life " সম্পর্কে আমি বললাম আমি বড়ো হয়ে উকিল হবো
তখন ম্যাডাম প্রশ্ন করেছিলেন, "উকিল হয়ে ঘুষ নিবা না তো"?টাকার জন্য নিজের মনুষ্যত্ব বোধ বিক্রি করে দিবে না তো???তখন তো আমি ছোট ভালো বুঝতাম না,,,বলছিলাম যদি উকিল হয়েই যাই প্রথম ক্লাইন্ট থেকে কোনো টাকাই নিবো না ম্যাডাম !!! স্কুলের টিচাররা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন ।
সেই স্বপ্ন আমার পূরণ হয়নি ,যার কারনে আমি এক সময় অনেক কষ্ট পেতাম
একজন কে অনেক দোষারোপ করতাম
ভাবতাম সে আমাকে বুঝলই না,তবে এখন আমি কাউকে আর দোষ দেই না কারন এটা আমার ভাগ্যে ছিলো না আলহামদুলিল্লাহ , অনেক সুযোগ ছিলো পরে আর চেষ্টা করিনি
কারন সময়ের সাথে সাথে আমি বুঝতে শিখে গেছি আমার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য,,,,,
তা হলো আমি একজন ভালো মানুষ হতে চাই, আল্লাহ তাআলার প্রিয় হতে চাই,,
আমাদের সবারই উচিৎ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যেমন উদ্যোক্তা,সামাজিক, পারিবারিক সব জায়গায় নিজের দ্বীন বা ধর্মীয় বিষয়কে বেশি প্রাধান্য দিয়ে নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বিশেষ করে আপুদের
তাকে শাবক অবস্থায় আনা হয়, একটা বাচ্চা শিশু কিন্তু অনেক দূরন্ত আর চঞ্চল থাকে, সেটা হতে পারে,বাঘের বাচ্চা বা যেকোনো পশুর বাচ্চা তো, সেই ছোট হাতি কে যখন মানুষ কন্ট্রোল করতে চায় তখন দূরন্ত বাচ্চা হাতিটাকে আটকে রেখে, পোষ মানাতে থাকে।আর ছোট হাতিটাও অনেক চেষ্টা করে নিজেকে মুক্ত করতে, তার পূর্বের দূরন্তপনা,স্বাধীনতা ফিরে পেতে, সে প্রতিনিয়তই বেরিয়ে আসতে চায় কিন্তু পারে না।তাকে শেকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় খাবার দেয়া হয়,একটা সময় সে আর বেরিয়ে আসতে চেষ্টাও করে না।তখন সে সার্কাসের মধ্যেই বড় হতে থাকে। এক সময় অনেক বড়ো হাতিতে পরিনত হয় এবং তারপর গলা থেকে শেকলটা খুলে দেয়া হয়,,তারপরে কিন্তু হাতিটা ওখান থেকে আর পালিয়ে যায় না। তাকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সার্কাস দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু সে আর কখনও ওই সার্কাস থেকে বেড়িয়ে যায়না। তার মাথায় এটা সেট হয়ে গেছে যে আমি আর কখনোই এখান থেকে বের হতে পারবো না,,,আমার ক্ষমতা অতোটা নয়।আমাকে চেন দিয়ে বেধে রাখলে মানুষ যেটা বলবে এখনো তা-ই করতে হবে,,,আমি ওই গন্ডিটা থেকে বেরুতে পারবো না,,এরকম হয়তোবা আমাদের জীবনেও অনেক কিছু ঘটেছে,,......... বিভিন্ন পরিস্থিতির কারনে আমরাও একটা গন্ডির ভিতরে আটকা পরে যাই,বের হতে ভয় পাই
_____আমার__ স্বপ্ন__আমার__ লক্ষ্য____
আমি এই ফাউন্ডেশন থেকে যে শিক্ষা নিচ্ছি তা আমার জীবনে প্রতিনিয়ত কাজে লাগাতে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ,,একজন সৎ-এবং নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে দুনিয়াতে বেঁচে থাকবো। আমি অতি শীঘ্রই একটা ব্যাবসা শুরু করবো।
নিজে কিছু শুরু করবো এবং কিছু মানুষের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করবো সেই লক্ষ্যে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ। কষ্ট কাকে বলে তা আমি জানি তাই কষ্টে থাকা অসহায় মানুষদের পাশে থাকতে আমার সামর্থ্য অনুযায়ী সর্বদা চেষ্টা করে যাবো। এবং স্যারের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে সর্বদা কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ।
আমি কখনো কল্পনাও করিনি এইরকম একটা প্লাটফর্ম পাবো যেখানে নিয়মিত ভালো মানুষ হবার চর্চা করানো হয়,সবার জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়, ধন্যবাদ ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আপনাকে।
____প্রবাসীদের___ নিয়ে কিছু কথা __না বললেই নয় ____
আমার কাছে প্রবাসী মানেই অন্য রকম একটা অনুভুতি কারন আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মানুষ গুলো সবাই প্রবাসী আমি বুঝি তাদের ব্যাথা, তারা নিজেদের জীবনের সকল ভোগ বিলাসিতা ত্যাগ করে, সুন্দর মুহূর্ত গুলো কে বিসর্জন দিয়ে পরে থাকে সুদূর প্রবাসে শুধু মাত্র তাদের পরিবারকে ভালো রাখার জন্য আমরা সবাই দোয়া করবো প্রবাসী সকল ভাই বোনদের জন্য যারা আমাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। সত্যি কথা বলতে কি তারা যে কি পরিমাণ পরিশ্রম করে বিদেশের মাটিতে আল্লাহু আকবার না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেননা তবুও দিনশেষে পরিবারের সবার সুখেই তারা অনেক খুশি
সকল প্রবাসী ভাই বোনদের জন্য দোয়া ও শুভকামনা
_____গল্পের__ শেষ __পাতা__গুলো ____
জীবনের গল্প লিখা শুরু করলে আর শেষ হবে না
অনেক ঘটনা, অনেক স্মৃতি আছে, যা আমাকে আনন্দ দেয়, আবার কষ্টও দেয়,,, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি নিয়েই মানুষের জীবন। আমি সজ্ঞানে কখনো কোনো মানুষের জন্য খারাপ চাইনি, আর কখনো চাইবো না,,দোয়া করি আমার জীবনের সাথে জড়িত ও আমার আশেপাশের সকল মানুষ গুলো সব সময় ভালো থাকুক ইনশাআল্লাহ
ছোটো ছোটো আনন্দ, ছোটো ছোটো খুশি নিয়েই ভালো থাকতে চাই, আমার খুব ইচ্ছে আমি নিজে ইনকাম করবো, স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজেকে তৈরি করছি আলহামদুলিল্লাহ। অন্যের জন্য কিছু করতে পারলে খুবই ভালো লাগে।
সবাই আমার বাবা মা, ভাই বোন,প্রিয় মানুষ, বন্ধুবান্ধবী যে যেখানে আছে তাদের জন্য দোয়া করবেন ইনশাআল্লাহ।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৮৪
Date:- ১৫/০৩/২০২১
সামিয়া খন্দকার
ব্যাচঃ১২
রেজিষ্ট্রেশন নংঃ৪৯৮৫২
জেলাঃ নারায়ণগঞ্জ
উপজেলাঃ সোনারগাঁ