আমি নিজে ও প্রবাসি, আমার গল্প ও বাংলাদেশের প্রবাসীদের গল্প বলবো।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহু।
সর্ব প্রথম আল্লাহর নামে শুরু করতেছি,যিনি এই মহামারির সময় আমাকে এখন পযন্ত সুস্থ রেখেছেন,আমার পরিবারের সকলকে সুস্থ রেখেছেন এই জন্য শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ , আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন।
@আজকে প্রবাসিদের কিছু কষ্টের গল্প তুলে ধরাবো।
প্রিয় ফাউন্ডেশনের সকল ভাই বোনদের অনুরোধ করবো কষ্ট করে পড়ার জন্য।
ধন্যবাদ জানাই প্রিয় মেন্টর,প্রিয় শিক্ষক, লক্ষ তরুণ তরুণী আইডল,#ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে, যিনি তার অক্লান্ত পরিশ্রম আর ভালোবাসা দিয়ে আমাদের কে একজন ভালো মানুষ, সফল মানুষ, সফল উদ্যোক্তা তৈরি করে , দোয়া করি প্রিয় স্যার কে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দীর্ঘায়ু দান করুক আমিন।
আমি নিজে ও প্রবাসি, আমার গল্প ও বাংলাদেশের প্রবাসীদের গল্প বলবো।
আমরা প্রবাসে আশি এক বুক স্বপ্ন আশা নিয়ে,
কারো স্বপ্ন পূরণ হয়, কারো হয় না,আমাদের যখন কষ্টের দিন শেষ হয় না, দেখে প্রবাসে যাওয়া চিন্তা করি যদি একটু সুখে থাকা যায় কি না,এই জন্য স্বপ্ন দেখা শুরু করি, কিন্তুু অনেকের স্বপ্ন গুলো কিছু মানুষ রুপি দালালের জন্য শেষ হয়ে যায়,শেষ করেদেন নিরীহ মানুষের জীবন,কেউ স্টোক প্যারালাইসেস হয়ে মানবিক জীবন যাপন করছে।
আমার বাংলাদেশের প্রবাসিদের গল্প বলি শোন, এই গল্পতো কল্পনা নয় তোমরা কি তায় জানো
পল্লি গাঁয়ের দূরত্ব ছেলে বাবা ডাকে খোকায় হঠাৎ ডুকলো মাথায় বিদেশ যাওয়া বোকা, রোগে শোকে কান্ত পিতায় থাকার নাই উপায় বেকার ছেলের এমন কথায় বাবা ও দিলো সাড়া, হ্মেতের জমিন হাড়ের গরু বিক্রিয় করে দিয়ে বাকি টাকা করলো পূরন মায়ের গয়না নিয়ে, অনেক আশায় বুকে বেঁদে নিয়ে ছাড়লো যখন বাড়ি সে যে কি বেদনা বিদুর ছিড়লো যেন নাড়ি, এয়ারপোর্টে পরিবারের স্বজনদের শেষ বিদায়ের সেই মূহুর্তটি শুধুমাত্র প্রবাসী ভাইরা বলতে পারবে কি যে কষ্ট, নিজের অজান্তেই ভিতরে ভিতরে নিজের রুহু চিৎকার করে কাঁদে,এক অদ্ভুত মায়া এক অদ্ভুত ধরনের জাদু যা ত্যাগ করে আসা খুবই কষ্টের তবুও পরিবারের সুঃখের জন্য তাদের খু্ঁশি রাখতে প্রত্যকটি যোদ্ধা যুদ্ধ করতে চলে আসে,
মহান রব্বুল আলামীন প্রত্যেকটি প্রবাসী ভাইকে হেফাজতে রাখুক তাদের মনের আশা পূরণ করুক!
বিমানেতে বসে খোকা জানালেরই পাশে নীল আকাশে তাকিয়ে দেখে মায়ের ছবি বাসে,আচল দিয়ে ছোখ মোচে মায়ে তবু কেঁদে বলে, আল্লাহ তুমি ভালো রেখো আমার কোলের ছেলে, খোকা যে ছিলো মায়ের জননির কলিজার বোটা ভাবতে যে ছোখ বিজে জল পড়ো পোটা পোটা, নদ নদী আর সাগর পাহাড় দিয়ে খোকা পাড়ি পৌঁছালো যে অতি স্বাদের বিদেশের ও বাড়ি, অনেক কষ্টে মিললো খোকার এমন একটা কাজ,হাড়ভাঙ্গা খাটুনি তাতে সকাল দুপুর রাত রোগে শোকে কাজ করে যায় করে না অবহেলা আকাশ সমান স্বপ্ন দেখে কাটিয়ে দেয় বেলা,মা জননির সাথে যখন খোকা কথা কয় বলে বাবা কেমন আছত জানতে ইচ্ছে হয়,মাগো মাগো আমি ভালো আছি দুঃখ নাইতো কোন,হঠাৎ করে বাবা বলে টাকার যে খুব দরকার তোর মায়ের যে বড় অসুখ দেখাবো ডাক্তার, চিন্তা আমার বাড়ছে তোর বোনের এ নিয়ে দিনে দিনে হচ্ছে বড় দিতে হবে বিয়ে,তোর ভাইয়ের লেখা পড়ার খরছ বেড়ে
গেছে,দরকার এখন অনেক টাকার, পাইনি বেতন এখনো খোকা পকেট যে পাকা, তার পরে বলে যে ভেবনা বাবা দেব আমি টাকা,তিন মাস গনে খোকা এখন পৌছালো যে বছরে,করতে হয় যে কাজ দশ তালারই উপরে হঠাৎ করে কি যেন কি হয়ে গেলো দশ তালার উপর থেকে খোকা পড়ে গেল,আকাশ সমান স্বপ্ন গুলো আকাশে গেলে উড়ে,দেহ থেকে প্রান পাখিটা গেলো যে ভাই ছেড়ে,পাঠাতে হবে লাশটা দেশে আপনতো কেউ নাই,প্রবাসিরা সবাই মিলে করে এই কাজটাই,অবশেষে খোকার কপিন
পৌছালো যে বাড়ি, ভাই বোন আর গাঁয়ের স্বজনরা করে সে কি আহজারি, মা জননি কেঁদে বলে ওরে আমার ছেলে বিদেশে থেকে কোন দেশে গেলি আবার চলে, মাগো আমি সুখ আনিতে জীবন দিছি জানো,এই ভাবে হাজার ও প্রবাসি খোকার স্বপ্ন গুলো শেষ হয়ে যায়।
আপনি জানেন কি?!
ঈদের জন্য দেশে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার পাঠানো অধিকাংশ প্রবাসী নিজের জন্য কিছুই কিনেন নি !!😢 🇧🇩
প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়ন করে ও পরিবারের সুখে এনে দেয় নিজে সব সুখ বিসর্জন দিয়ে দেয়,একজন প্রবাসী শুধু মিথ্যেবাদী শত কষ্টেও বলে ভালো আছি, ঈদের দিন কাজ করতে হয়, ভালো কোন খাবার খেতে পারে না,পরিবারের সকলে ঈদের আনন্দ করে,এটা দোখে প্রবাসিরা খুশি।
প্রবাসীরা জীবনে অনেক কিছু বিসর্জন দেয়, না পরে সময় মত বিয়ে করতে,না পারে বাবা মায়ের মন রহ্মা করতে,দেশে গিয়ে বিয়ে করতে গেলে ভালো সুন্দরী মেয়ে পায় না,একেবারে দেশে গেলে বউ বলে সারা জীবন কি করলেন,পরিবারের লোকজন বলে কি করছ সারা জীবন প্রবাসে থেকে
শেষ পযন্ত সকল দুঃখ কষ্ট নিয়ে আবার পাড়ি জামাতে হয় প্রবাসে,আর কিছু দিন যাওয়া পর ভিসা লাগাতে অনেক টাকা লাগে,সে জন্য বাড়িতে টাকা দিতে না পারলে মা বলে সব টাকা বউকে দিয়ে দেয়,আর বউ বলে অন্য কোথাও টাকা নষ্ট করে, কেউ বুঝতে চাই না প্রবাসে কি যে কষ্টে আছে,এই ভুল বুঝাতে না পেরে আত্মাহত্যার পথ বেঁচে নেয় অনেক প্রবাসি,প্রবাসির কষ্ট শুধু প্রবাসিরাই জানে,এই ভাবে হাজার প্রবাসীর ইতিহাস আছে।
একটা প্রবাসী বাংলার ঘরে ঘরে এক একটা মোমবাতি আলোকিত সাজাবো সুখের পৃথিবী সালাম জানাই সকল প্রবাসী সালাম তোমাদের হাজার কোটির,নিজে সুখের মায়া ভুলে থাকো দূর প্রদেশে মনে প্রাণে বাংলার ছবি আঁকো ভালোবেসে, নিজের সুখ বিলিয়ে দেয় সারা বাংলার সুখে তারাই বাংলার যোগ্য সন্তান স্বাধীন বাংলার বুকে,তোমরা সোনার ছেলে মায়ের মুখের হাসি,
প্রবাসীদের জীবন থেকে অনেক মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে যায় সে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে মা-বাবা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন যারা মারা যায় তাদের কে শেষ বারের মত দেখতে পারো না কবরে এক মুঠো মাটি দিতে পারে না এর চেয়ে বড় কষ্ট কি হতে পারে প্রবাসীদের জীবনে,আমি হারিয়েছি অত্যন্ত কাছে একজন মানুষ আমার মেজো কাকা ভালো ছিলেন অনেক কখনো আমাদের কথার অবাধ্য হন নাই যে সময় যা চেয়েছিলাম তার কাছে তখন তাই পেয়েছি, আজকে সেই কাকা পৃথিবীর বুকে নাই তার কথা মনে হলে খুব কষ্ট হয়। কাকার কথা মনে হলে দুই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ে,আল্লাহ তালা যেন আমার কাকাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করে, এই রমজানের উসিলায় তার জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন সবাই আমার কাকার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমাকে মাফ করে দিন, আমিন। আমার কাকা ছিলেন একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী, তিনি তার জীবনের দীর্ঘ ৮ বছর মালয়েশিয়া কাটিয়েছিলেন পরিবারের
সুখের জন্য, ওনি দীর্ঘদিন দেশে না আসায়, আমার ছোট কাকা বিয়ে করে ফেলে , তার কিছুদিন পরে আমার মেজো কাকা দেশে এসে বিয়ে করে,পরে তিনি বেকার হয়ে যান বিয়ে করার পরে এবং সন্তানের
বাবা হন , আমার দাদা দাদী আমার মেজ কাকাকে বলে এতদিন বিদেশ থেকে কি করলি, এখন বেকার থাকিস কেন তোর পরিবারকে কে খাওয়াবে,তার কিছুনদিনের মধ্যে আমার কাকা আবার মালয়েশিয়া চলে যায়, মালয়েশিয়া যাওয়ার পরে উনি অসুস্থ হয়ে পড়েন উনার হার্ট ব্লক হয়ে যায় দেশে আসার পরে আবার বেকার হয়ে যান বেকারত্ব দিন চলতে থাকে তার তার চিকিৎসা খরচ ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ সংসার খরচ চালাতে মিশন খাচ্ছিলেন তিনি, তার পরে, আমার আব্বার সাথে ব্যবসায় যুক্ত হন কোন রকম সংসারটা চলতে থাকে,বড় ছেলে কোরআনে হাফেজ হন মেজো ছেলে মাদ্রাসায় পড়েন এবং মেয়ের বিয়ের জন্য অনেক প্রস্তাব আসে,প্রায় দুইমাস আগে আমার কাকা আব্বাস ব্যবসায়ী কাছ থেকে কর্মস্থল থেকে ফিরে আসেন, আমাদের ঘরে আসে আমার মায়ের সাথে ওনার মেয়ের বিয়ের কথা বলেন তারপর উনি উনার নিজ ঘরে যান পথিমধ্যে ওনার বুকের ব্যথা শুরু হয় এবং উনার ঘরের সামনে পর্যন্ত যাওয়ার পরে বুকের ব্যথায় কথা বলতে পারেন নাই অনেক কাশি হচ্ছিল তখন আমার কাকি ওনাকে তাড়াতাড়ি হসপিটালে নিয়ে যান হসপিটাল, তার পরে ডাক্তাররা বলে আমার কাকা মৃত ঘোষণা করে আমার কাকা তখন দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নিয়ে চলে যা আল্লাহ খুব কষ্ট হচ্ছে কাকার জন্য কষ্ট হচ্ছে, দুটি ছেলে এবং দুটি মেয়ে রেখে যান তাদেরকে এতিম করে রেখে যান আমার কাকা, আমার কাকার বাচ্চাদের বরন পোষণ পড়াশোনার খরচ আমার আব্বা নিজে নিয়েছে এখন আমার আব্বা ওদের সংসারটা চালান আমাদের সংসারটা ও চালান,আল্লাহ আমার আব্বার রোজি রোজগারে বরকত দান করুক এবং নেক হায়াত দান করুক দান
আমার প্রবাস জীবন প্রায় ৬ বছর হতে যাচ্ছে, কিন্তুু এখনো বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি নাই, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারি,কবে জানি প্রবাস নামের জেল খানা থেকে মুক্তি পাবো জানি না,প্রবাসে আশার আগে যদি নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডে পেতাম, তাহলে আজে আমার প্রবাসে আসতে হত না,
আমি একজন মহা মনবের সন্ধান পায়েছি, সেই হলো আমাদের সকলের নয়নের মনি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার,স্যার বলেন প্রবাসিরা হলো বাংলাদেশের অক্সিজেন,জাহিদ স্যার এর জন্য আজকে অনেক প্রবাসী উদ্যোক্তা হয়েছেন এবং সফল হয়েছে, সফল ভাবে ব্যবসা শুরু করেছে, স্যার বলেছেন আপনারা উদ্যেক্তা হন এবং গ্রুপে যদি কারো সাথে আপনার বিজনেস পার্টনার বানাতে চান তাহলে ওই পার্টনারের পুরা ঠিকানা আমাদেরকে দেন আমরা তাদের খোঁজ খবর নিব এবং তার সম্পর্কে আপনাকে ধারণা দিব যদি সে ভালো হয় আমরা আপনাকে বলবো আপনি ওর সাথে ব্যবসায় চালিয়ে যেতে পারেন,
স্যারের সেশন গুলো পোলো করি,বুকে ধারণ করতেছি, তার পর থেকে স্বপ্ন দেখা,স্যার বলেছেন স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন লেগে থাকুন সফলতা আসবেই , আমিও সেই আশা আছি ইনশাআল্লাহ।
স্যার বলেছে আমরা যারা চাকরি করি বা প্রবাসে থাকি,ছোট আকারে যেন ব্যবসায় শুরু করি,যতদিন পযন্ত, সফল না হবো ততদিন যেন চাকরি না ছাড়ি,
*বাংলাদেশের সকল রেমিট্যান্স যুদ্ধাদের জন্য দোয়া করবেন এবং সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন যেন প্রবাস নামের জেল খানা থেকে বের হয়ে একজন ভালো মানুষ হতে পরি,বাবা মায়ের সেবা করতে পারি,দেশ ও জাতির জন্য কিছু করতে পারি, মানবিক কাজের সাথে থাকতে পারি,একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারি, নিজের বলার মত একটি গল্প তৈরি করতে পারি।
সর্বশেষে আমি সকলে কাছে হ্মমা চাচ্ছি, আপনাদের মূলবান সময় নষ্ট করে পড়ার জন্য, আমার লেখা কোন রকম ভুল হলে হ্মামার দৃষ্টিতে দেখবেন।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৩২
Date:- ১৬/০৫/২০২১
ধন্যবাদান্তে
আমি
@মোঃশাহাদাত হোসেন সোহাগ
নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশনের গর্বিত সদস্য
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
ব্যাচঃ১১
রেজিষ্ট্রেশনঃ৩৫৪৫৮
জেলাঃ নোয়াখালী
উপজেলাঃচাটখিল
বর্তমানেঃমরিশাস প্রবাসি
রক্তেরঃ0+
মোবাইলঃ0023059638201
sohagfmt@gmail.com
আমার পেজ লিংক https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=103709151523900&id=100376988523783
যুক্ত আছি মরিশাস টিম ও নোয়াখালী টিমের সাথে।