আমার আব্বুকে দেখতাম কখনোই তিনি কোনো দূর্নীতি পছন্দ করতেন না,
আমার প্রাইমারি বিদ্যালয় "লাল মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়"। এরপর ৬ষ্ঠ-৭ম শ্রেণী অধ্যয়ন করি "বি এম ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়"। ৭ম -১০ম "হাজী সিরাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়" থেকে এস এস সি শেষ করি । এইচ এস সি কদম রসুল সরকারি ডিগ্রী কলেজ এর মধ্যে সমাপ্তি হয়।
___শিক্ষাজীবন এ আমার স্বপ্ন___
আট দশ জনের মতো আমার ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল "ঢাকা ইউনিভার্সিটি" তে পড়ব ।নিজের স্বপ্ন ছিল আবার আমার আব্বু ঢাকা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট ও ছিলেন তাই ঢাকা ইউনিভার্সিটি পড়ার আগ্রহটা বেশি ছিল ।। আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে চান্স পাই নি ।। তখন আমি মানুসিক ভাবে ভেঙ্গে পরি। জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি তে চান্স পেয়েছিলাম। পছন্দের বিষয় ইংলিশ পাইনি তাই মনের কষ্টে পড়া লেখা গ্যাপ না দিয়ে অনিচ্ছায় ডিগ্রীতে "Narayangong university college" ভর্তি হই ।পরে আর পড়া লেখা তে মন দিতে পারি নাই । .
🌿🌿আমার পরিবার___
পরিবারে আমি বড় ও সবচেয়ে আদরের সন্তান ।বাবা, মা, আমি, ভাই, এক বোন নিয়ে আমদের ছোট সংসার ।আলহামদুলিল্লাহ ছোটো বেলা থেকে ভালোভাবেই বড়ো হয়েছি। পড়াশোনা, বন্ধু বান্ধব সব মিলিয়ে আল্লাহ তাআলা খুব ভালো ভাবেই কাটিয়েছেন । আমার শৈশব কৈশোর আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ।
একজন শিশুর জন্মের পরে পরিবার হচ্ছে তার প্রথম শিক্ষা কেন্দ্র, ধীরে ধীরে যখন সে বড় হতে থাকে আর স্বাভাবিক নিয়মে যখন সে পরিবারের বাইরে যেতে শুরু করে তখন সে প্রকৃতি, বন্ধু বান্ধব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা লাভ করতে থাকে আর নিজেকে তৈরি করতে থাকে। আমিও তার বাইরে নই ।😊
🌺🌺🌺আমার জন্য গর্বের যা___🌺🌺🌺
🥰🥰যে পরিচয়টা দিতে আমি সবচেয়ে বেশি গর্ববোধ করি তা হল আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন 🥰🥰 ।তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করেন।
আমার আব্বু আম্মু সব সময় চাইতেন আমিও পড়াশোনা শেষ করে সরকারি কোনো চাকরী বা ভালো কোনো জব করি। কারন আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা যার কারনে আমি গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করলেই আমার জন্য সরকারি বা অন্য জব পাওয়া টা সহজ হয়ে যাবে।
___সৎ ও সাহসি___
আমার আব্বুকে দেখতাম কখনোই তিনি কোনো দূর্নীতি পছন্দ করতেন না, অবৈধ ভাবে উপার্জন করলে তাঁর সন্তান এ্যাবনর্মাল হবে, আল্লাহ তাআলার নিকট জবাব দিতে হবে সেজন্য তিনি রাজউকের চাকরী ছেড়ে দিয়েছিলেন ।আলহামদুল্লিলাহ ...
সেই বাবার সন্তান হয়ে আমি কি করে নিজের যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও কোঠার উপর নির্ভর করে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করি!!!যা আমার বিবেক কে অনেক তাড়া দিতো।আমি ভাবতাম আমার জন্য একজন যোগ্য লোক হয়তোবা চাকরী থেকে বঞ্চিত হবে।
___প্রবাস জীবনের ভাবনা___
আমি সর্বদা আতনিরভরশিলতা পছন্দ করতাম ।। ডিগ্রীতে পরাকালিন সময়ে ওয়ালতন কোম্পানিতে দেড় বছর জব করেসিল্ম । পরবর্তীতে চাকরী করার ভাবনা বাদ দিয়ে বিদেশে যাবার পরিকল্পনা শুরু করলাম। বাসায় কেউ চায়না আমি বিদেশে যাই 🙄🙄 আমার এক ফুফাতো ভাই বিদেশে সিংগাপুর থাকেন, তাকে বললাম বিদেশে নেয়ার ব্যবস্থা করে দিতে, টাকা পয়সা থেকে শুরু করে সমস্ত দায়িত্ব ফুফাতো ভাই নিলেন। আল্লাহ তাআলার রহমতে আমার সকল পেপারস রেডি হয়ে গেলো চলে আসলাম ২০০৭ সালে প্রবাসে।
___অতঃপর প্রবাস জীবন___
আমি পরিবার , বন্দু বান্দব, পাড়াপ্রতিবেশি , চেনা অচেনা ছোট বড় সকল মানুষদের সাথে মিশতে , গল্প করতে পছন্দ করতাম। এলাকার কোন মানুষ আমার অচেনা ছিলনা ।। আমার বাবা মা বলতেন আমি নাকি ৫ দিনও বিদেশে থাকতে পারবোনা । 🙂 সেই আমি একাধারে ৫ টি বছর কাটিয়ে দিলাম প্রবাসে ।। আসলে সবাই ভাবে প্রবাস জীবন টা খুব সুন্দর ।। অনেক টাকা আয় হয় ...আমার ও এই চিন্তার ব্যাতিক্রম ছিল না ।। আলহামদুলিল্লাহ অনেক টাকা আয় করেছি ।। অনেক শারীরিক ,মানসিক, আর্থিক অনেক কষ্ট করছি ।পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমি সব কষ্ট ভুলে যেতাম । তবে আমার পরিবার স্বচ্ছল ছিল তারা আমাকে দেশে চলে আসতে বলে ।। এবং টাকা পাঠাতে চায় কিন্তু আমি কোন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা নিতে রাজি ছিলাম না । কারন আমার মধ্যে জিদ কাজ করত যে যত কস্তই হক না কেন কোন দরনের টাকা নিব না ।। আমার পরিবার খুব কষ্ট পায় ... আমার কষ্ট দেখে আমার আম্মু অনেক কান্না করত...
আর এখন আমার প্রবাস জীবন ১৪ বছর আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাআলার রহমতে আমার আব্বু আম্মু এবং আপনাদের সবার দোয়ায় আমি আমার পরিবারের বড়ো ছেলের দায়িত্ব প্রবাসে থেকে সুন্দর ভাবে পালন করতে পেরেছি । আলহামদুলিল্লাহ আমার বাবা ও মা কে খুশি করতে পেরেছি ...
==ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হওয়া__==
ইউটিউবে মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে দেখতে আমাদের প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ভিডিও সামনে আসলো।। আর সেখান থেকেই ফেসবুকে পেয়ে গেলাম অমূল্য এই "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন "কে, রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললাম আজীবন সদস্য হয়ে গেলাম 🥰🥰 গ্রুপে নিয়মিত পোস্ট, লাইক, কমেন্ট করে নিজের এক্টিভিটি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। নিয়মিত গ্রুপে সময় দিচ্ছি আর নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে এবং সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার আপ্রাণ চেষ্টা করছি ইনশাআল্লাহ ।।
🌼🌼প্রিয় প্লাটফর্ম নিয়ে কিছু কথা 🌼🌼
নিঃসন্দেহে বলা যায় , " নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন " একটি ভালো মানুষের পরিবার । এখান থেকে অনেক কিছু শিখেছি এবং শিখছি। গ্রুপের দায়িত্বশীল ভাই আপুদের থেকে অনেক কিছু শিখছি, নিয়মিত স্যারের সেশনগুলো চর্চা করছি, ইউটিউবে স্যারের ভিডিও গুলো দেখছি।
এই প্লাটফর্ম থেকে কিছু ভাই বোন পেয়েছি যাদের সাথে রক্তের সম্পর্ক নেই তবুও অনেক আপন হয়ে গেছে তারা।তাই আমি সকলের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । নিজেকে ভালো মানুষ আর উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার জন্য আশা করি প্রিয় প্লাটফর্ম এর সবার সহযোগিতা পাবো ইনশাআল্লাহ।
🌷🌷প্রবাসে থেকেও দেশের জন্য কিছু করতে চাই। নিজে উদ্যোক্তা হয়ে আমার দেশের ভাই বোনদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিতে চাই। সবাই আমার জন্য আমার বাবা মা আর আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন সকলে।
পরিশেষে বলব , নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর ফাউন্ডার এবং সবার জন্য আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক দোয়া ও শুভ কামনা রইলো। আমার কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৪৩
Date:- ০৪/০৬/২০২১
----শুভেচ্ছান্তে----
আমি
🍁মোঃ তাশির আহমেদ
🍁ব্যাচ নং - ১৩
🍁রেজি নং - ৫৯৩৫৪
🍁জেলা-নারায়ণগঞ্জ
🍁বর্তমান অবস্থানঃ সিঙ্গাপুর
🍁 মোবাইল নাম্বারঃ +6585157670