আমি কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবো, কিভাবে সামাজিক কাজ করব
-আমরা নির্ভীক------------------------আমরা মানবিক
-------------আসসালামু আলাইকুম-----------
------------------------ ওয়া রাহমাতুল্লাহি --------------
----------------------------ওয়াবারকাতুহু।-------------
যিনি আজও আমাকে এইসুনদর ধরণীতে সুস্থ সুন্দর ও কর্মক্ষম রেখেছেন সেই মহান রবের নিকট শুরুতেই শুকরিয়া আদায় করছি।
শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জ্ঞাপন করছি সেই মহান প্রাণপ্রিয় ব্যক্তির নিকট, যিনি লাখো তরুন-তরুনীর নয়নের মনি, সমাজের নিপীড়িত মানুষের বন্ধু এবং বেকার অসংখ্য তরুণ তরুনীর অন্ধকার জীবনের আলোকবর্তিকা, যার সুকোমল মেধার পরশে সমাজ এবং বর্তমান তরুণ প্রজন্ম এক আলোকোজ্জ্বল ধারায় সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে, সেই প্রাণপ্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।
সাথে সাথে হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি এই প্রিয় প্লাটফর্মের ভাই ও বোনদেরকে। যারা প্রতিনিয়ত গঠনমূলক কমেন্ট করে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন ভালো মানুষ হওয়ার জন্য।
#আজ_আমি_লিখব:-----#ভালো_মানুষ_হয়ে_থাকার #ব্যাপারে_নিজেকে_ফাকি_দিবেন_না_মনে_রাখবেন #আপনার_জবাবদিহিতা_আপনার_কাছে.
প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের উপরোক্ত উক্তিটি
ভালো মানুষ এবং সফল হওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা যদি আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজে স্যারের এই উক্তিটি হৃদয়ে ধারণ করে জীবনে বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করি তাহলে আমরা সমাজে ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো সাথে সাথে আমাদের সফলতা এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে এবং এক সময় নিজের অজান্তেই আমরা সফলতার স্বর্ণময় চূড়ান্ত চূড়ায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।
নিজেকে ফাঁকি দেওয়া মানে কি ? যেমন প্রিয় স্যার যখন এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার কথা অন্যদের সাথে আলাপ করে ছিলেন তারা নিষেধ করার পরেও স্যার দৃঢ় চিত্ত নিয়ে সাহস করে শুরু করেছিলেন খুব অল্প সংখ্যক লোক নিয়ে, আজ তার ফলাফল আমরা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করছি এবং উপভোগ করছি।
এই জায়গাটায় স্যার কিন্তু ভয়ে , বা অবহেলা করে বা ক্লান্তিময় কাজ মনে করে নিজেকে এড়িয়ে রাখেননি।
তিনি শুরু করে লেগে থেকে ছিলেন, তাই তার সুফল আজ সমাজ দেশ এবং তরুণ প্রজন্ম চমৎকার ভাবে উপভোগ করছে।
তিনি নিজেকে হয়তো প্রশ্ন করেছিলেন এটা একটা ভাল কাজ, এ কাজ থেকে আমি আমার নিজেকে সরিয়ে নিব না, শরীয়ে যদি নেই তাহলে এটা হবে নিজেকে ফাঁকি দেওয়া।
আমাদের সমাজে পাড়া-প্রতিবেশী তথা আশেপাশের লোক গুলোর সুবিধা-অসুবিধা হাসিখুশি সুখ দুঃখ
নিয়ে ভাববার লোক সংখ্যায় খুবই নগণ্য।
যেমন ধরুন আপনারা পাশের একটি লোক অসুবিধা আছে, যেকোনো ধরনের অসুবিধা থাকতে পারে, কিন্তু আপনার সামর্থ থাকা সত্বেও তা দেখেও না দেখার ভান করলেন মানে এড়িয়ে চললেন, তাহলে তখনই আপনার বিবেককে আপনি প্রশ্ন করুন এই কাজটা ঠিক কিনা?
এটা একটা ভাল কাজ, ভালো কাজটা থেকে নিজেকে কেন ফাঁকি দিবেন। একা কখনোই ভালো থাকার আনন্দ উপভোগ করা যায় না। যেমন ধরুন আপনি মাঠে বল খেলতে গিয়েছেন অন্য কোন প্লেয়ার নাই শুধু আপনি একাই ,দর্শক ও নাই, আপনার খেলাটা কেমন মজাদার হবে একটু ভেবে দেখুন তো? আমার মতে কোনো আনন্দই হবে না। ঠিক তেমনি আপনার আশেপাশের লোকজনের মুখে যদি হাসি না থাকে আপনি একা একা হাসলে সেই হাসিতে আপনি তেমন কোনো আনন্দ তৃপ্তি পাবেন না।
আশেপাশের লোক গুলো নিয়ে ভালো থাকার সামর্থ্য সবারই আছে, ইচ্ছে করলেই আমরা আশেপাশের লোক গুলো নিয়ে ভালো থাকতে পারি। এই ভালো কাজটা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখাই হচ্ছে নিজেকে ফাঁকি দেওয়া। আমি যদি আরো পরিষ্কারভাবে বলি,
যেমন ধরুন আপনার এক প্রতিবেশী অসুস্থ তাকে এখনো হসপিটালে নেওয়া দরকার, কিন্তু আপনি এগিয়ে গেলেন না, আপনি আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন এটা কি আপনার ভালো কাজ করলেন? এটাই জবাবদিহিতা।
আমাদের প্রিয় স্যার বলেন আমরা হাশিখুশি থাকলে এবং সফল হলে এটাই স্যারের বিশাল প্রাপ্তি। তাহলে আমরা স্যারের ছাত্র হয়ে স্যারের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমরা কেন পাশের মানুষগুলোর হাসি এবং সফলতাকে আমাদের প্রাপ্তি মনে করতে পারবোনা।
কি ভাবছেন? ভাবছেন আমি তো বড় রাজনৈতিক নেতা না, আমি কিভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবো, কিভাবে সামাজিক কাজ করব,, কিভাবে দেশের জন্য কাজ করবো। সেটাও আমাদের স্যার দেখিয়ে দিয়েছেন, বড় রাজনৈতিক নেতা না হয়েও সমাজ দেশ ও মানুষের জন্য কিভাবে কাজ করা যায়, তার জ্বলন্ত প্রমাণ নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন।
জবাবদিহিতা বলতে আমরা মনে করি এই রকম যে, আমাদের একজন কর্তা থাকবে, সেই কর্তার ভয়ে আমরা কাজ করব, কাজের ভালো-মন্দের জবাব তার কাছে আমরা সবাই দিব এবং এমনকি যেকোন সময় সে আমাদেরকে জবাবদিহির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারবে। এটা যে কোন একটা সুনির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাপার।এটা একটু ভিন্ন আলোচনার বিষয়।
প্রতিটা কাজের ক্ষেত্রে যদি আমরা আমাদের বিবেককের কাছে জবাবদিহিতার কথা চিন্তা করি তাহলে কখনই আমাদের দ্বারা কোন খারাপ কাজ করা সম্ভব হবে না, তেমনি প্রতিটা ভালো কাজেই আমরা নিজেদেরকে জড়িয়ে রাখতে পারব। আর তখনই আমরা হয়ে উঠব একজন ভালো মানুষ।
তাই পরিশেষে বলতে চাই, দারোগা পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের ভয়ে নয়, আপনার বিবেকের ভয়ে খারাপ কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন এবংভালো কাজে নিজেকে জড়িয়ে রাখুন।
মনে রাখবেন আপনার বিবেক- ই-শ্রেষ্ঠ আদালত। এই কথাটা হৃদয়ে ধারণ করতে পারলেই আমাদের সমাজ তথা দেশের পুরো চেহারা পাল্টে যাবে, আমরা গড়ে তুলতে পারব একটি সুন্দর সমাজ, হাসি খুশিতে থাকবে সমাজের সকল স্তরের মানুষ, আমরা পাব দুনিয়ার পরম আনন্দের স্বাদ।
পরিশেষে মহান আল্লাহ তাআলার নিকট এই কামনা করি যে, আমরা যেন আমাদের নিজের বিবেককে শ্রেষ্ঠ আদালত মনে করে আমাদের বাস্তব জীবনে রূপায়িত করতে পারি সেই তৌফিক যেন আল্লাহ আমাদের সবাইকে দান করেন। সাথে সাথে আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সুস্থ সুন্দর ও নিরাপদে রাখেন। আমিন
বিশেষ দ্রষ্টব্য:---আমার লেখাটিতে কোন ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য সকল পাঠকদের কাছে সবিনয় অনুরোধ রইল। যেসব ভাই-বোনেরা তাদের ব্যস্ততম জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার লেখাটি পড়বেন এবং গঠনমূলক কমেন্ট করবেন তাদের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৪৩
Date:- ০৪/০৬/২০২১
আমি
মোহাম্মদ দুলাল
কান্ট্রি অ্যাম্বাসাডার সৌদি আরব মক্কা
সদস্য সাপ্তাহিক হাট মনিটরিং টিম
সদস্য ব্লাড ডোনার ম্যানেজমেন্ট টিম
নবম ব্যাচ
রেজিস্ট্রেশন----১১২৫৫
জেলা----শরীয়তপুর/টঙ্গী গাজীপুর
সৌদি আরব প্রবাসী
পর্ন---+৯৬৬-০৫৫৯৩৬৯৯২৪