যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো। এই শোক কাটিয়ে উঠলাম।
নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য।
-------------------------------
আমার জীবনের গল্প বা উদ্যোগতা হবার গল্প টা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম আমার, ছয় ভাই বোনের মধ্যে আমি ৪ নাম্বার,
বাবা সরকারি চাকুরী করতেন টেলিফোন শিল্প সংস্থায়। পোস্টিং ছিলো টুঙ্গি গাজীপুর, ঢাকা।
তার সুবাদেই যখন এলাকার লোক প্রবাসে কাজ করার জন্য যেতেন, তখন বাবার বাসায় এসে তিন, চারদিন করে থাকতেন, এটা কিন্তু ৩০ বৎসর আগের কথা, তখন মানুষ ঢাকা শহর এতোটা চিনতো না, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও এতোটা ভালো ছিলোনা। বিশ্ব ইজতেমার সময় ও অনেকে আসতেন, থাকতেন। বাবার ও খুব ভালো লাগতো এলাকার লোক আসতো, থাকতো। সে সবসময়ই মানুষের পাশে দাঁড়াতেন, যতটুকু সম্ভব সাহায্য করতেন যে ভাবেই হোক। তারই ধারাবাহিকতায় এই গুনাবলী আমাদের মাঝে রয়েছে, আমার এই ছোট্ট জীবনেও অনেক ভালো কাজ করেছি। আমার জানা মতে কখনো কারো কু পরামর্শ দেইনি এখনো। কারো উপকার না করতে পারলে ক্ষতি করিনি লাইফে।
আমার ছাত্র জীবনের দুই, তিনটা কথা শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
আমি যখন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজে অনার্সে একাউন্টিংয়ে ভর্তি হই। পড়াশোনা খুব ভালো ভাবেই চলছে।
তখন আমাকে খরচের জন্য যে টাকা গুলো দিতেন, সেই টাকা গুলো সেভ করে রাখতাম, তার পর বাসার প্রয়োজনে মার হাতে তুলে দিতাম। টিউশনি ও করে কিছু টাকা আয় করতাম, তবে সেটা মা বাবা ভালো ভাবে নিতেন না। সবসময়ই বলতো যে তুমার কিসের অভাব যে তুমি টিউশনি কর। ভাবতাম যদি নিজের পকেট খরচের টাকা টা যদি নিজে জোগাড় করতে পারি তাহলে সমস্যা কোথায়। বরং বাবার একটু প্রেসার কমবে।
আমার কখনো উচ্চ বিলাশিতা পছন্দ হতোনা। সবসময়ই সাদা মাটা ছিলাম।
(১) একদিন আমার বন্ধু দ্বিপ ফোন দিয়ে বললো, মাসুদ বন্ধু তুমি কোথায় আছো, আমি বললাম একটু টাউনে আছি, কেনো! দ্বিপ বললো জলদি কলেজে আসো দরকার আছে। আমি ভেবে ছিলাম হতো কোন ঝামেলায় জরিয়ে পরছে বা কোন সমস্যার সম্মুখীন হইছে। আমি লেট না করেই চলে যাই কলেজে।
গিয়ে দেখি একটি মেয়ে কান্না করছে।
আমি দ্বিপ কে ঢেকে বললাম কি হইছে বন্ধু, দ্বিপ বলল বন্ধু এই মেয়েটা অনার্সে ভর্তি পরিক্ষা দিয়েছিলো, আজ আসছে খবর নিতে কবে ভর্তি হবে, মেয়েটি এসে দেখে আজ তার ভর্তির লাস্ট ডেট। তার কাছে এই মুহুর্তে বাড়ি যাবার টাকা ছাড়া টাকা নেই। ৫,৬ হাজার টাকা লাগবে,
আমি বললাম সমস্যা নেই চল।
আমি মেয়েকে বললাম তুমার কত টাকা লাগবে বোন, সে বললো ভাই আমার সব মিলিয়ে ছয় হাজার টাকা লাগবে। আমি তাকে ছয় হাজার টাকা দিলাম, পরে বললাম যদি টাকা আরো লাগে বলবে। আরো কোন রকম সমস্যা হলে এই ভাই কে ডাকবে কেমন। যখন চলে আসতে ছিলাম তখন মেয়েটি আমাকে ঢেকে বলছে ভাই দাড়ান একটু। আমি বললাম তোমার কোন সমস্যা? বললো না ভাইয়া। আসলে আপনি আমাকে চিনেন না অথচ ছয় হাজার টাকা দিয়ে হেল্প করলেন। কত কান্না করছি। দ্বিপ ভাইকে নিয়ে কতজনের কাছে গিয়েছি বাট কেউ হেল্প করেনি। আপনি আমার গলার চেনটা রাখেন, আমি টাকা দিয়ে আপনার কাছ থেকে চেনটা নিয়ে যাবো। আমি হেসে বললাম, আরে পাগলী তুমার যায়গায় যদি আমার বোন থাকতো! তবে কেউ না কেউ হেল্প করতো তাইনা। আল্লাহ কাউকে না কাউকে পাঠাতেন হেল্প করতে। যাই হোক তার পর সেখান থেকে চলে আসি।
(২) আমার ম্যাচের বন্ধুরা ছিলাম সব একই ব্যাচের ও একই ডিপার্টমেন্টর, এর কারণ হল, একই ব্যাচের হওয়াতে সবাই ফ্রি ভাবে চলা ফেরা করতাম। কোন সংকোচ ছিলোনা কারো মাজে, এবং সবাই খুব ভালো মনের ও হেল্পফুল ছিলো। এরই মধ্যে আমার পরিচিত এলাকার বড় ভাই তার এক ছেলে ও তার ভাতিজাকে আমার কাছে নিয়ে এসে বলেন ছেলে আর ভাতিজা দিয়ে গেলাম, দেখা শোনা ও মানুষ করে দিবা তুমি। তখন খুব চিন্তায় পরে গেলাম।
কিছুক্ষণ পর ভাই কে বললাম ইনশাআল্লাহ ভাই দিয়ে জান। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, আমি চেষ্টা করবো আমার সবটুকু দিয়ে।
এই ভাতিজাটা টা একটু টাকা পয়সা হিসাব ছাড়া খরচ করতো, অনেক বুঝাতাম তবে কোন কাজ হয়নি।
একদিন কলেজ থেকে এসে দেখি ছেলেটা চুপ করে বসে আছে রুমের এক কোনায়। জিজ্ঞাসা করলে কিছু বলেনা। অনেক রিকোয়েস্ট করার পরে বলে, কাকা বাবার কাছ থেকে পরিক্ষার জন্য ও ফ্রমফিলাপের জন্য যে টাকা টা এনেছিলাম সে টাকা খরচ করে ফেলছি।
এখন আবার টাকা চাইলে বাবা মেরেফেলবে। আমি বললাম চিন্তা করোনা। দেখা যাক কি করতে পারি। আমি তখন একটা অডিও, ভিডিও প্লেয়ার কিনেছিলাম সখ করে। সেইটা ম্যাচের সবার অজান্তে সেল করে, সেই ভাতিজাকে টাকা দেই ফ্রমফিলাম করার জন্য।
(৩) আমাদের পরিচিত এক বড় আপু বাংলায় অনার্স করে মাস্টার্স ফাইনাল এক্সাম দিবেন। তার বাড়ি শিবালয় থানায়। একদিন আপু আমার ম্যাচে আসলেন এসে বললেন, মাসুদ ভাই তোমার কাছে একটু হেল্প চাইতে আসলাম, জানি তুমি আপুকে নিরাস করবেনা। আমি বললাম কি হেল্প আপু।
সে খুব বিনয়ের সহিত বললেন, ভাই আমার বাবা ২য় বিয়ে করছেন, আমাদের কোন খরচ বন করেনা। আমার মাস্টার্স ফাইনাল পরিক্ষার জন্য কিছু টাকা লাগবে ফ্রমফিলাপের জন্য। আমি তাকে বললাম আপু কত লাগবে।
সে বললো আমার কাছে কিছু টাকা আছে। আর তিন হাজার টাকা হলেই হবে। তাকে আমি তিন হাজার টাকা দিয়ে দেই। আজ সেই আপু প্রাইমারি ইস্কুলের টিচার্স। আর ভাতিজা ইঞ্জিনিয়ার। আরেক আপুর কথা জানা নেই। হয়তো সেও পড়াশোনা শেষ করে কোন জব করছেন। দোয়া করি সকলে ভালো থাকুক।
বাবা চাকরি শেষে তার পেনশনের টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন, তবে অভিজ্ঞতা না থাকলে যা হয় আর কি! বাবা বড় ধরনের লস খান ব্যবসায়। তখন সংসারে অভাব দেখা দেয়। তখন বাবার পরিবারের খরচ চালাতে কষ্ট হয়ে পরে।ইতিমধ্যে বড় ভাই বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। সে এক পর্যায়ে সৌদি চলে জান। সেখানে গিয়ে ভাই কোন সুবিধা করতে পারেননি, কম্পানি তাকে রিসিভ করেনি, ভাষা ও জানেন না, কাজ করবে কি ভাবে। হঠাৎ করে ভাইয়ের সাথে পরিচয় হয় সিলেটি এক লোকের সাথে। সে ভাই কে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কি কাজ জানো। বড় ভাই বললেন আমি ইলেকট্রিশিয়ান, সেই লোক বললো কাল থেকে তুমি আমার সাথে কাজ করবে,
যা ইনকাম করবো তার ৩০% তোমাকে দিবো। তখন ভাই কোন দিশা না পেয়ে রাজি হয়ে জান। আল্লাহ সেই সিলেটি ভাইকে নেক হায়াৎ দান করুন। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন। কারণ তাকে এখন জীবন যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। দুই মাস পর বড় ভাই বাবাকে ফোন দিয়ে, কেঁদে কেঁদে বলেন বাবা আজ দুই মাস ধরে এক বেলা খাই আর পানি খাই,আর দেশে থেকে আসার সময় যে শুকনো খাবার এনেছিলাম সেই গুলি খাই। দেশে থেকে আসার সময় তুমি যে টাকা দিয়ে ছিলে সেটা প্রায় শেষ। বাবা জানো আজ দুই মাস হয় সৌদি আসছি, এখনো এক রিয়াল দিয়ে একটা কোল্ড ড্রিংস কিনে খেতে পারিনি।
বাবা ও চোখের জল ফেলে বলতে লাগলেন যে ছেলে আমার দিনে চার, পাঁচশত টাকা খরচ করতো সে এতো কষ্ট করছে। বড় ভাইয়ের কথা শুনে পরিবারের সকলে খুব চিন্তার মধ্যে পরে যাই। আমি বাবাকে নিয়ে মিরপুর ১ এ আলমাছের ট্রাভেলস অফিসে এসে বলি সব ঘটনা। তারা আমাদের কথা শুনে আসসস্ত করলেন। বললেন আমরা দেখছি বিষয়টা। এই করতে করতে এক বৎসর চলে যায়।
হঠাৎ একদিন মা আমাকে ফোন করে আর্জেন্ট বাসায় আসতে বলেন। আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছিনা, হঠাৎ মা ফোন করে আমাকে বাসায় যেতে বলছেন কেন। আমি বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
বাড়িতে গিয়ে মাকে বললাম কি হইছে মা। আর্জেন্ট আসতে বললে।
মা বললো দেখো ফ্যামিলির যে অবস্থা এখন, তাতে মনে হয় না খেয়ে মরতে হবে। তুমার বাবা এতো টাকা ধরা খেয়ে বসে আছে। বড় ছেলে বিদেশে না খেয়ে খুব কষ্টে আছে। আমি তো সব জানি মা। তবে আমি এখন কি করতে পারি মা। মা বললেন তুমিও বাবা বিদেশে গিয়ে ফ্যামিলির হাল ধর। তখন আমি হতবম্ব হয়ে গেলাম। কি করবো আমি, আমি কিছুই বুঝতেছিনা। মা আমার তো সামনে অনার্স ২য় বর্ষের ফাইনাল পরিক্ষা। আমি মাকে বললাম মা আমি আমার সিদ্ধান্ত তোমাকে একটু ভেবে জানাই। মা বললেন অকে বাবা তুমি একটু ভেবে চিন্তেই বল। তখন আমি একা একা ভাবছি বসে, খুব ইচ্ছে ছিলো অনার্স, মাস্টার্স শেষ করে ভালো একটা জব করবো। মা বাবার মুখে হাসি ফোটাবো। যাই হোক বিদেশে গিয়ে তো টাকা কামিয়ে সেই মা বাবা কেই দেখবো তাদের মুখে হাশি ফোটাবো। এমনও দেখেছি যে বাবা মা ছেলে মেয়েকে তার উপার্জনের সব টাকা সন্তানের পড়াশোনা পিছনে খরচ করছেন। সে ছেলে এখন বড় জব করে মা বাবা কে দেখেন না। আমিও সিদ্ধান্ত নিলাম। ফ্যামিলির জন্য একটু ত্যাগ শিকার করি। মা, বাবা সুখী হলেই আমার সুখ।
আমিও চলে গেলাম কাতার।
আলহামদুলিল্লাহ, আমার কম্পানি খুবই ভালো, সব দিক দিয়ে খুবই শান্তি। আমি প্রথম মাসের বেতন ওভার টাইম মিলিয়ে ৫০ হাজার টাকা পাঠাই বাবাকে। তারাও একটু শান্তি পেলেন, যাক এবার একটু কষ্ট কমবে। এই ভাবে দেখতে দেখতে সময় পার হচ্ছে, একটা সময়ে ভাইয়ের কম্পানি ভাইকে রিসিভ করেন। দুই ভাই মিলে বাবার ঋনের টাকা পরিশোধ করতে থাকি। প্রায় বিশ লক্ষ্য টাকার মতো ঋন পরিশোধন করি দুই ভাই মিলে।
যখন একটু সুখের দেখা মিললো পরিবারে। আমার অফডে ছিলো শুক্রবার ও শনিবার। আমি অফডে তে ঘুমাচ্ছিল, হঠাৎ এক বড় ভাই আমার পাশের গ্রামের, আমাকে ঘুম থেকে উঠালেন। শক্ত করে বসতে বললেন, আমি কিছু বুঝতেছিনা, সে কেন এমন করছেন আমার সাথে। তবে বুঝতে বাকি নেই তার চেহারা দেখে। ভাবলাম কোন দুর - সংবাদ আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
আমি ভাইকে বললাম কি হইছে ভাই বলেন। আপনাকে এতো বিচলিত লাগছে কেন।
ভাই বললেন আংকেল আর আমাদের মাঝে নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন।
আল্লাহ বাবাকে জান্নাত বাসি করুন।
যেনো আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পরলো। এই শোক কাটিয়ে উঠলাম।
এক পর্যায়ে বাবার সব ঋন পরিশোধ করি দু ভাই।
এক পর্যায়ে ভাই দেশে ছুটিতে আসেন বিয়ে করেন। তার একটু সুন্দর ছেলে আছে।
আমিও দেশে আসি, এসে বিয়ে করি। আমার বউ আই এফ আই সি ব্যাংকে জব করে।
হঠাৎ একদিন আমার দেশে আসতে হয় পারিবারিক সমস্যা জন্য। আর বিদেশ যাওয়া হয়না।
যখন বিদেশ ছিলাম দু হাত ভরে টাকা কামাই করতাম, তখন দেশ বিদেশের অনেক বন্ধু ছিলো। সবার খুব প্রিয় ছিলাম, মা বাবা, ভাই, বোন, আত্মীয় সজন, বউ, শালা, শালী। কারণ তখন সবার চাহিদা পূর্ণ করতে পারতাম।
দেশে চলে আসার পর কেউ আর আগের মত ভালোবাসেনা, আমি মনে হয় সবার কাছে বিষে পরিনত হলাম। কি করবো বুঝতেছিনা। যে বড় ভাই আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু ছিলো, সেও আমার সাথে অভিমান করে কথা বলা বন্ধ করে দেন। আস্তে আস্তে সবাই আমাকে দুরে ঢেলে দেন।
কেউ আমাকে একটু সাহস দেননা। কেউ পাশে এসে বলেনা কিছু একটা হবে ইনশাআল্লাহ চিন্তা করনো।
শুধু পাশে ছিলো আমার বউ, আমাকে আমার এই দুর দিনে সে সাহস যুগিয়েছে। সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। কত যায়গায় চাকরির জন্য ঘুরেছি যে ছোট্ট একটা জব হোক, হোক সেটা নাইট গার্ডের চাকরি। আমি কোন কাজ কে ছোট করে দেখিনি। তখন আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমার বউ আত্মীয় সজন ও অফিস কলিগদের কিছু বলতে পারেনা জিজ্ঞাসা করলে, কারন তার স্বামী বেকার। আমাকে কিছু একটা করতে হবে। সবাই শুধু আসার বানী শুনিয়েই শেষ।
একবার বিপদে পরে দেখেন, এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া কাওকে পাশে পাবেন না। বন্ধু, বান্ধব, আত্মীয়, সজন সবাই ভুলে যাবে। এই দুনিয়া টা খুবই স্বার্থপর, কেউ কারোনা।
মাঝে, মাঝে খুব ইচ্ছে করতো আত্ম হত্যা করি। আত্ম হত্যা মহাপাপ বলেই করতে পারিনি কারো কাছে কিছুই শেয়ার করতে পারিনি। একেক টা দিন আমার কি ভাবে কেটেছে সেটা শুধু আমি জানি। নির্ঘুম কত শত রাত কাটিয়েছি চোখের জলে, শুধু আল্লাহ জানেন। দেখতে দেখতে আমার বড় মেয়ের বয়স তখন দুই বৎসর পাঁচ মাস শেষের দিকে। আমার মেয়েটা যখন মিস্টি করে বলে বাবা আমার জন্য মজা আনছো, তখন নির্বাক হয়ে বসে থাকতাম, মেয়ে কেউ উত্তর দিতে পারতাম না। পারিনি মেয়ের জন্য একটা চকলেট বা ললিপপ কিনে দিতে। ভাবতাম আমি কেমন বাবা, ছোট্ট মেয়েটার এই চাওয়াটা পূর্ণ করতে পারিনা।
তবে আমি হাল ছাড়িনি, হয়তো আল্লাহ আমাকে খুব কঠিন পরিক্ষায় ফেলছেন।
হঠাৎ একদিন চোখে পরে নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের পেজ।
সেখানে বেকার দের নিয়ে কি সুন্দর, সুন্দর কথা বলছেন আমাদের প্রিয় অভিবাবক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। তার কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখি। আমি উৎসাহ হলাম। একদিন সারা রাত দেখতে থাকি, যতোই দেখি আর স্যারের প্রেমে পরে যাই আমি। আমার ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা monir mon ভাই add আছেন।
আমি ভাইকে ফোন দিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে পারি। তার পর মনির ভাইয়ের মাধ্যমে আমি রেজিস্ট্রেশন করি। তার পর আস্তে, আস্তে শুরু হয় আমার পথ চলা।
স্যার আমার জন্য দেবদুধ হয়ে আসছেন।
আল্লাহর কাছে লাখ, লাখ শুকরিয়া করছি। আল্লাহ স্যার কে নেক হায়াৎ দান করুন।
আজ আমার একটা শোরুম আছে রেডিমেড গার্মেন্টস আইটেমের।
ফেইজবুক পেজ :
ফেইথ হাব বিডি অনলাইন শপ,
আর, আর ফ্যাশন হাউজ
আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,
আপনাদের দোয়ায় এখন আমি খুব ভালো আছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। পাশে থাকবেন সবসময়।
শুভেচ্ছান্তে,_________তারুণ্যের মানিকগঞ্জ নিজের বলার মতো গল্প টিম।
"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৪৪
Date:- ০৫/০৬/২০২১
নাম, মো : মাসুদ আলনুর
জেলা :মানিকগঞ্জ
উপজেলা : সিংগাইর,
ব্যাচ নং : ১১
রেজিস্ট্রেশন নং : ২৫৮৮৪
ব্লাড গ্রুপ :বি পজিটিভ।
বর্তমান অবস্থান, উত্তরা ঢাকা।