আমি যখন পড়ালেখা করতাম আমাকে ভাই কোন টিউশনি করতে দেননি
অনেক দিন ধরে ভাবছি কিছু লিখব আমার জীবনের পথচলা নিয়ে কিন্তু কিভাবে লিখব কি দিয়ে শুরু করবো বুঝে উঠতে পারিনা।আমার এলোমেলো অগোছালো লেখা যদি ভালো না লাগে তার জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।আমি মানুষ আর মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারে এটাই স্বাভাবিক, তাই ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল।
🍂🍂🍂🍂 আমার ছেলেবেলা 🍂🍂🍂🍂
মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে আমি। সাত ভাই-বোনের মাঝে সবার ছোট। স্বভাবতই সবার আদরের।বাবা ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার। চাকরির কারণে উনি খুলনা চলে গিয়েছিলেন।যদিও আমাদের হোম ডিস্ট্রিক্ট ঢাকা। খুলনায়ই আমাদের সব ভাই বোনের জন্ম, বেড়ে ওঠা, বড় হয়ে ওঠা।আমাদের বাড়ি ছিল বিশাল বড়। বড় পুকুর, পুকুরে অনেক মাছ।পুকুরের চারপাশে অনেক গাছ গাছালি আম গাছ,নাড়কেল গাছ,বড়ই গাছ বাবলা গাছ একটা না কয়েকটা করে।একপাশে ছিল বেতঝার।মোটামুটি সব ধরনের দেশী ফলের গাছ ছিল।পেয়ারা গাছ ছিল তেরটা।শখ করে গুনেছিলাম এখনো মনে আছে।আমগাছ কাঠাল গাছ ছিল অনেক। আমাদের অনেক গুলো নাড়কেল গাছ ছিল। প্রতি বছর আমরা নিজেরাই নাড়কেল ভাংগিয়ে তেল করে আনতাম। অনেক খেজুর গাছ ছিল। শীতের সকালে গাছি(যিনি খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের ব্যবস্থা করেন) যখন গাছ থেকে রসের হাড়ি নামিয়ে নিয়ে আসতেন সেটা দেখার জন্য খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়তাম। শীতে কাপতাম তারপরও সেই দৃশ্য গুলো এত ভালো লাগতো যে মিস করতে মন চাইতো না।সেই ছেলেবেলা কোথায় হারিয়ে গিয়েছে!
সমবয়সী ছেলে মেয়েদের সাথে কানামাছি, গোল্লাছুট খেলা,দৌড়াদৌড়ি এখন এসব স্বপ্ন মনে হবে আমাদের সন্তানদের কাছে।কেন জানিনা চোখের পানি আটকাতে পারছিনা এসব লিখতে যেয়ে। আরো বেশি কষ্ট হয় কারণ আমার সেই ছোট বেলাতেই সব ছেড়ে চলে আসতে হয়েছিল বাবার পৈত্রিক ভূমি ঢাকাতে।
আর এ কারণেই ছেলেবেলার কথা লেখা।কারণ একটা পরিবেশে, স্থানে জন্মে বড় হয়ে যদি সে জায়গা ছেড়ে আসতে হয় তবে সেটা যে কত কষ্টের তা যার জীবনে ঘটেছে সেই জানে।ওখানে আমাদের যারা পাড়া-প্রতিবেশী ছিল তারা যে কতটা ভালো মনের মানুষ ছিল সেটা লেখার ভাষা পাচ্ছিনা।আমরা ওখান থেকে চলে এসেছি আজ ২৭ বছর কিন্তু এখনো মনে হয় তারা আমাদের খুব কাছের খুব আপনজন। আমি খুলনা যাইনা আজ ২১ বছর কিন্তু ওখানের মানুষের কথা এখনো যখন একা বসে ভাবি খুব কাদি।এখনো লিখছি আর চোখের পানি মুচছি।উনারা সবাই যেতে বলে কিন্তু যাওয়া হয়না।আমার ভাইয়েরা মাঝে মাঝে যায়।ওদের ব্যবহার এত ভালো এত ভালো। আমরা যেন খুব কাছের কেউ।সবার বাড়িতেই একবেলা করে খেতে খেতে দু চারদিন চলে যায়।এই ভালোবাসা কি কখনো ভোলার?ওখান থেকে চলে আসার পর এখানে আর সেই রকম নিজের মনে হয়না। সব কেমন পর পর মনে হয়।আমার ভাইদের ইচ্ছায় আমরা ঢাকা চলে আসি।বাবার ইচ্ছা ছিল না।তাই উনি যখন ওখান থেকে চলে আসেন যত জমি জমা বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়ে আসেন।কারণ যেহেতু এখানে থাকা হলনা তাহলে এখানে আর কিছু রাখার দরকার নেই।কিন্তু ঢাকা আসার পর আমার বাবা বেশিদিন বেচে ছিলেন না।একবছর পর লিভার ক্যান্সারে উনি মারা যান।আল্লাহ আমার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা হিসেবে কবুল করুন। সবাই দোয়া করবেন আমার বাবার জন্য। আমরা খুলনা থাকা অবস্থায় আমার বড় ভাই মারা যান।উনি চাকরি করতেন বরিশালের বানরিপাড়া।ওখানেই মারা যান।তখন উনার বয়স ২৭/২৮ বছর হবে।আমি তখন খুব ছোট। কিন্তু এখনো আমার প্রতি ভাইয়ের ভালোবাসা ভুলতে পারিনা। মনে হলেই দু'চোখ পানিতে ভরে যায়।আমার বড় ভাই খুব ভালো মানুষ ছিলেন। সবাই খুব ভালোবাসতো ভাইকে।আল্লাহ আমার বড় ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন। দোয়া করবেন সবাই।
🌺🌺🌺🌺 আমার লেখা-পড়া 🌺🌺🌺🌺
আমার পড়া-লেখার জীবন শুরু হয় খুলনা চন্দনী মহল গ্রামের বগদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।এটা খালিশপুরের অপর পাড়ের গ্রাম। গ্রাম এখন কেমন হয়েছে জানিনা তবে যখন ছিলাম খুব ভালো লাগতো।আমি দ্বিতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হই।ভর্তি রোল ছিল ৭৪. এরপর তৃতীয় শ্রেণিতে প্রথম হই।এরপর এরকমই রেজাল্ট হয়।পঞ্চম শ্রেণীতে সরকারি বৃত্তি পাই।অনেক বছর পর ঐ বিদ্যালয়ে আমি বৃত্তি পাওয়াতে শ্রদ্ধেয় স্যারগণ মহাখুশি।সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত খুলনা সেনহাটি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ার পর ঢাকা চলে আসি।এখানে কেরানীগঞ্জ এর ইস্পাহানি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই।অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি এরপর স্টার মার্কস নিয়ে এস এস সি পাস।ভাইয়ের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হব।ভর্তি হলাম বেগম বদরুন্নেসা সরকারি কলেজে।প্রথম বছর বাসা থেকে আসা যাওয়া করার কারণে রেজাল্ট তেমন ভালো হয়নি।নরমাল ফার্স্ট ডিভিশন।
এরপর শুরু করলাম বিভিন্ন জাগায় ভর্তি পরীক্ষা। একাডেমিক সার্টিফিকেট অর্জনের জন্য যেভাবে পড়াশোনা করতাম ভর্তি পরীক্ষার জন্য অত পড়তাম না।ফলশ্রুতিতে মেডিকেলে চান্স হলোনা।
এরপর ভর্তি হলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন কলেজ ছিল।ইংরেজি বিভাগে অনার্সে ভর্তি হলাম। দ্বিতীয় বিভাগ নিয়ে অনার্স পাশ করলাম। এরপর ওখান থেকেই মাস্টার্স কমপ্লিট করলাম। তখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আমরাই ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স এর প্রথম ব্যাচ।ষষ্ঠ স্থান অধিকার করে ইংলিশ সাহিত্য নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হই।
আমি যখন পড়ালেখা করতাম আমাকে ভাই কোন টিউশনি করতে দেননি।অন্য কোনো চাকরিতো প্রশ্নই আসেনা। ভাইয়ের কথা আগে পড়ালেখা শেষ করো পরে অন্যকিছু। যাইহোক অনেক ইচ্ছা থাকা সত্বেও ভাইয়ের আদেশ পালনের জন্য শুধু পড়ালেখাই করেছি।অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য আর কিছু করা হয়নি।আমি আমার ভাইদের অনেক ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি।বাবা যখন মারা যান তখন আমি দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।ঢাকা আসার পর থেকেই আমার যাবতীয় দায়িত্ব আমার ভাইয়েরা পালন করেছেন। তাদের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। আল্লাহ আমার ভাইদের ভালো রাখুন এবং নেক হায়াত দিন, দোয়া করি।
পাশ করে বের হওয়ার পর শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকে এপ্লাই করার অনুমতি ছিল।বিভিন্ন জাগায় এপ্লাই করি পরীক্ষা দেই কিন্তু এই পরীক্ষার জন্যও তেমন পড়ালেখা করতে মন চাইতো না।কয়েক জাগায় রিটেনে টিকলেও ভাইবাতে হতোনা।অনেক ক্ষেত্রে টাকা পয়সা চাইতো কিন্তু এভাবে টাকা দিয়ে আমার চাকরি করার ইচ্ছে ছিল না।যাইহোক এখন আমি প্রাইমারী বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। ইংলিশে অনার্স-মাস্টার্স করে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করবো এটা কখনো ইচ্ছা ছিলনা।তাই খোঁজও রাখতাম না সার্কুলারের।কিন্তু আমার পরিচিত একজন আমাকে বললেন চাকরি না করি এপ্লাই করতে দোষ কি।তাইতো লাস্ট ডেটের তিন দিন আগে এপ্লাই করলাম। রিটেনে ভাইবায় টিকে গেলাম এমনি এমনিই।কেউ কেউ বলেছিল যোগদান না করার জন্য কারণ এতে আর ওখান থেকে বের হয়ে অন্য চাকরি করা হবেনা। আবার অনেকে বলল জয়েন করলে সমস্যা কি,চাকরি করতে থাকি এবং অন্যটা চেষ্টা করি।শেষে যোগদান করলাম।সেই যে ঢুকলাম সত্যিই আর বের হতে পারিনি।
❣️❣️❣️নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এর সন্ধান❣️❣️❣️
মনের মতো চাকরি না হওয়াতে সবসময় ইচ্ছে করতো কিছু একটা করবো চাকরির পাশাপাশি। বিয়ের পর অনেকের কাছে শুনতাম "যেই না দুই পয়সার চাকরি "।কথাটা শুনতে আমার ভালো লাগতো না।আমার কখনো টাকা পয়সার প্রতি লোভ ছিল না।কিন্তু দেখিয়ে দিতে মন চাইতো আমিও অনেক টাকা আর্ন করতে পারি। তাছাড়া কারো কষ্ট দুঃখ দেখলে আমার অনেক কষ্ট লাগে, মন চায় পাশে যেয়ে দাঁড়াই।কেউ আমার কাছে কিছু চাইলে তাকে ফিরিয়ে দিতে আমার সত্যি বলতে লজ্জা লাগে।এতে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় আমার নিজের জন্য যেটা খরচ করবো বলে ভাবি তা অন্যকে দিয়ে দেই।আমার নিজে না খেয়ে অন্যকে খাওয়াতে বেশি ভালো লাগে।নিজের জন্য কিছু খরচ করলে মনে হয় শুধু খরচই করলাম কিন্তু কাউকে দিলে মনে হয় আমার জিনিসটা কাজে লেগেছে। যাইহোক কারো পাশে দাড়াতে গেলেও তো অর্থের প্রয়োজন। আল্লাহ আমাকে যে মেধা দিয়েছেন, সুযোগ দিয়েছেন যোগ্যতা দিয়েছেন তাতো অনেক কে দেননি তাহলে আমার এসবের সৎ ব্যবহার করে যাদের নেই তাদের জন্য কিছু করা উচিত। তাই সবসময় চাইতাম চাকরির পাশাপাশি কিছু একটা করতে।এজন্য অনেক মোবাইল ঘাটতাম কি করা যায়।একসময় ফ্রি-ল্যান্সার নাসিমের কিছু ভিডিও চোখে পড়ে। ভাবলাম ফ্রি ল্যান্সিং করবো।ভিডিও দেখতাম, শেখার চেষ্টা করতাম। একদিন উনার একটা ভিডিওতে শাফিন আর উনি একসাথে ভিডিও করেন। শাফিন ভাই ইংরেজি শেখান।নাসিম ভাই বললেন ফ্রি ল্যান্সিং করতে ইংরেজি জানাটা মাস্ট।আমিতো আল্লাহর রহমতে ভালোই পারি শুধু প্রাক্টিসের অভাবে ভুলে যাচ্ছি।তখন থেকে আরো ভালো প্রাক্টিসের জন্য শাফিন ভাইয়ের ভিডিও দেখা শুরু করি।উনার ভিডিও দেখতে দেখতে ইন্সপায়ার্ড হই অন্যকে ইংরেজি শেখাবো।শুরু করলাম আমার বিদ্যালয় থেকে। শ্রেনি কক্ষে বাচ্চাদের ইংরেজিতে কথা বলা শেখানোর জন্য ওদের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতাম।এতে ওরা অনুপ্রাণিত হত আমার মত ইংরেজিতে কথা বলতে চাইতো।আমি প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে একটু একটু করে ক্লাস টাইমেই শেখানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলাম। কারণ আমার ও প্রাক্টিসের প্রয়োজন ছিল। ওদের শেখাতে যেয়ে সেটা করতাম। চলে এলো করোনা।
করোনার কারণে ১৬ই মার্চ ২০২০ থেকে বিদ্যালয় বন্ধ। শাফিন ভাইয়ের ভিডিও রেগুলার দেখতাম।একটা ভিডিও ও মিস করতাম না। এছাড়াও অনেক মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতাম। খুব ভালো লাগতো। অনুপ্রেরণা পেতাম।একদিন শাফিন ভাইকে আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার নিজের বলার মত গল্প গ্রুপের utv live আমন্ত্রণ জানালেন। সেই ভিডিও ও পুরোটা দেখলাম।স্যারের কথা গুলো এত ভালো লাগলো যে আমি পুরোপুরি বিমোহিত। এরপর মাঝে মাঝেই স্যারের ভিডিও দেখতাম। অনেকে দেখতাম কমেন্ট করে ব্যাচ নাম্বার দেয়,রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দেয়।এখানে একটা গ্রুপ আছে যেখানে অনেক স্কিলস শেখানো হয়।উদ্যোক্তা তৈরি করার যাবতীয় কলাকৌশল শেখানো হয়।আমি কমেন্ট করলাম আমি গ্রুপে যুক্ত হতে চাই,সেশন করতে চাই কিন্তু কোনো রিপ্লাই পাইনি।কিন্তু আমার অনুসন্ধান চালিয়ে গিয়েছি।গুগলে যেয়ে সার্চ দেই গ্রুপ সম্পর্কে লিখে।এভাবে একদিন দুদিন করতে করতে গ্রুপের সন্ধান পাই।ক্লিক করি।লেখা আসে কিভাবে কি করতে হবে।তখন ছিল সকাল। ভাবলাম এখন ঘরের কাজ সেরে বিকেলে নিরিবিলি আবার চেষ্টা করবো। কিন্তু সেই দিন দুপুর বেলাই আমার মোবাইলটা চুরি হয়ে যায়।আমার ঘর থেকেই উধাও। বিকেলে মোবাইল নিতে যাই দেখি পাইনা। অন্য মোবাইল দিয়ে ফোন দেই বন্ধ। বোঝার বাকি রইলো না আমি আমার ফোন টা হারিয়ে ফেলেছি।
যাহোক আমি নিজে আর মোবাইল কিনিনি।কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু হাসব্যান্ড নিষেধ করে, এক মাস পর উনিই মোবাইল কিনে দিয়েছে। এটা নাকি শাস্তিস্বরূপ।
এই শাস্তির দরকার ছিল। কারণ আমার কাছ থেকে দামি মোবাইল খালি হারিয়ে যায়।এইটা নিয়ে চারটা হারিয়েছে।
আবার নতুন মোবাইল পাওয়ার পর আবার খুজতে থাকলাম। পেয়ে গেলাম জয়েন গ্রুপ। সাথে সাথে জয়েন্ট হলাম। এরপর অনেকের পোস্ট পড়ি, নিয়মিত পড়তে থাকি এখন আর অন্য কোনো ভিডিও দেখতে ভালো লাগেনা। সারাক্ষণ এই গ্রুপ নিয়েই পড়ে থাকি।সবার ব্যাচ নাম্বার, রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দেখে আমারও ইচ্ছে করে রেজিষ্ট্রেশন করতে। কমেন্ট করি।সারা পাইনা। একদিন নয়ন দাস ভাই উনার একটি পোস্টে রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত পোস্ট করেন। ওখানে রেজিষ্ট্রেশন লিংক দেয়া আছে।ভাইয়ের পোস্টটা সেভ করে রাখি।পরে ধীরে সুস্থে নিজে নিজেই চেষ্টা করি।রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলি।কিন্তু কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার পাব জানিনা।কমেন্ট করলাম কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার পাব। উত্তর পেলাম না।আবার ঘাটতে থাকলাম।পেয়ে গেলাম কিভাবে দেখতে হয় সেই লিংক। ব্যাস এভাবেই হয়ে গেলাম এত ভালো একটি ভালোবাসার পরিবারের আজীবন সদস্য।
🌿🌿প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে আমার পাওয়া🌿🌿
এখানে এসে এতকিছু পেয়েছি যা বলার ভাষা খুজে পাচ্ছিনা।শিখেছি অনেক গুলো স্কিলস যা আমার ব্যক্তি জীবনে চাকরি জীবনে সর্বক্ষেত্রে কাজে লাগবে।পেয়েছি অনেক অনেক গুলো ভাইবোন, পেয়েছি অনেক ভালো মানুষ। যে মানুষ গুলো অন্যের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বিন্দু মাত্র দ্বিধা করেনা।আপন আত্বীয়-স্বজন,ভাই-বোনও এভাবে পাশে থাকবেনা যেভাবে থাকে প্রিয় এই পরিবারের ভাই-বোনেরা। কিভাবে দ্বিধাহীনচিত্তে অন্যের জন্য কাজ করে যেতে হয়।সর্বোপরি পেয়েছি আমাদের দিকনির্দেশক,হাজার তরুণের অন্ধকার থেকে আলোর দিকের পথপ্রদর্শক শ্রদ্ধেয় স্যার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে।যিনি প্রতিনিয়ত আছেন আমাদের পাশে উনার বিশাল উদার বুদ্ধিদীপ্ত হৃদয়কে নিয়ে।
🍁🍁🍁🍁🍁 আমার স্বপ্ন 🍁🍁🍁🍁🍁
আমার শখ আমার খুব সুন্দর এবং বড় একটি সুপার শপ হবে।যেটা আমি পরিচালনা করবো। ইনশাআল্লাহ সেই স্বপ্নকে লালন করে একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি স্যারের দিকনির্দেশনাকে বুকে ধারণ করে।সবার কাছে দোয়া চাই যেন আল্লাহ আমার মনের আশা পূরণ করেন এবং আমি আরো কিছু মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারি।
সকলের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন কামনায়❣️❣️❣️
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫১
Date:- ১৬/০৬/২০২১
🌿রোজিয়া ফেরদৌসী
🌿ব্যাচঃ ১১
🌿রেজিষ্ট্রেশন ঃ৩৫৫৭৮
🌿কেরানীগঞ্জ, ঢাকা।