ইচ্ছে বা স্বপ্ন মানুষকে পথ দেখায়!
ইচ্ছে বা স্বপ্ন মানুষকে পথ দেখায়!
Where there is a will There is a way.
ইনশাআল্লাহ উপরে দেয়া শিরোনামের আলোকে নিজের জীবনে ঘঠে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি এখন প্রিয় ফ্লাটফর্মে।
👉আপনি কি স্বপ্ন দেখেন অবশ্যই ঘুমিয়ে নয় সজাগ থেকে যে স্বপ্ন সারাক্ষণ আপনার মস্তিষ্কে বিরাজ করে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করে, আপনাকে পথ দেখায় আমি সেই স্বপ্নের কথা বলছি।
উত্তরে যদি বলেন হ্যাঁ, আলহামদুলিল্লাহ্ আর যদি বলেন না তাহলে আজ থেকে স্বপ্ন দেখা শুরু করুন এবং তা পূরণের তাগিদে ধৈর্য্য নিয়ে কাজ করা শুরু করুন সফল হবেন ইনশাআল্লাহ।
👉আপনি জানেন কি মাঝি ছাড়া নৌকা কিংবা চালকবিহীন গাড়ি আর স্বপ্নবিহীন মানুষের মধ্যে বিস্তর কোন পার্থক্য নেই।
তার কারণটা আমি লিখছি অবশ্যই, যে নৌকার মাঝি থাকেনা যে গাড়ির চালক থাকে না সেই নৌকা, সেই গাড়ি আদৌ কি চলতে পারে কিংবা চলার ক্ষমতা রাখে অবশ্যই না।
👉🧔 এবার আসুন আলোচনা করি কেন বললাম স্বপ্নবিহীন মানুষ,মাঝি ছাড়া নৌকা কিংবা চালকবিহীন গাড়ির মত!! নৌকা অথবা গাড়ির বডি বা দেহ কিন্তু বিশালাকার কিন্ত সেগুলোকে নিয়ন্ত্রন এবং পরিচালনা করে সৃষ্টির সেরা জীব ক্ষুদ্রাকার প্রাণী মানুষ তেমনি করে মানুষ নামক যে ছোট, বড়, সুন্দর দেহ রয়েছে সেসব দেহগুলোকে পরিচালিত করে তাঁর ইচ্ছে কিংবা স্বপ্ন নামক মহামূল্যবান বস্তু যা দেখাও যায়না ছোঁয়াও যায়না কেবল উপলব্দি করা যায়।
💯📢 আমরা সবাই একটি মহামূল্যবান উক্তি জানি যে প্রত্যেক কাজ নিয়্যতের উপর বা ইচ্ছের উপর নির্ভরশীল। উদাহরণস্বরূপ আপনি আজ রাত ঘুমানোর আগে নিয়্যত করেছেন বা ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন আজ যে কোন ভাবেই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত আদায় করবেন, দেখবেন সত্যি সত্যিই মহান প্রভু আপনাকে ফজরের নামাজের আগে তাঁর বিশেষ মহিমায় আপনাকে জাগিয়ে দিবেন যা আমার ক্ষেত্রে বাস্তবে দেখেছি আলহামদুলিল্লাহ্।
এ থেকে শিক্ষা নেয়া যায় যে আপনি যে পথে চলতে যান,যে ভাবে জীবন পরিচালনা করতে চান সেই পথে এবং সে ভাবেই সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাআলা আপনাকে পরিচালিত করবেন। তাই তকদিরের উপর বিশ্বাস রেখে এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে তা তদবির করে অর্জন করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
✅🆒 আশা করি ইতিমধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট করতে পেরেছি যে কেন স্বপ্ন দেখবেন কেন নিয়্যত করবেন।
🧔💎এবার ছোট বেলা থেকে শুরু করে এখন পযর্ন্ত আমার স্বপ্নের কথাগুলো আলোচনা করব আপনাদের সাথে ইনশাআল্লাহ।
🧔আমি যখন মফস্বল এলাকার গ্রামের এক প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম তখন থেকে স্বপ্ন দেখতাম ভালো ছাত্র হবো শহরের স্কুল কলেজে পড়ালেখা শেষ করে প্রফেসর হব। সেই স্বপ্নকে বুকে লালন করে প্রাইমারি স্কুল শেষ করে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই ২০০১ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে। বরাবরের মতোই আমার ইচ্ছে ছিল আমি বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করবো কিন্তু পারি নাই হলাম ২য়।
মনে কষ্ট পেলাম এবং প্রতিজ্ঞা করলাম ৭ম শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীতে অবশ্যই ১ম হব।
শুরু করলাম ১ স্থান অর্জন করার মীশন মনোযোগ দিয়ে শুরু করলাম পড়ালেখা স্বপ্ন আমার আমি ১ম হব। সময়ের পরিক্রমায় বার্ষিক পরীক্ষা সামনে হাজির মনে বিশাল বড় আশা নিয়ে পরীক্ষা দিলাম এবং রেজাল্টের অপেক্ষা করতে লাগলাম।
অবশেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষন আসলো এবং স্যারেরা রেজাল্ট ঘোষণা করলেন আমি আবার ২য় তখন আরেকবার আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়মাড় হলো। আমি কষ্ট পেয়ে নোটিশ বোর্ডে গিয়ে দেখলাম সামন্য মার্কস এর ব্যাবধানে আমি ২য় হয়েছি।
কিছুটা স্বস্তি পেলাম এবং নতুন উধ্যমে আবার শুরু করলাম ১ম স্থান অর্জন করার যাত্রা। বিকেলে খেলাধুলা করার পর রাতে যখন পড়তে বসতাম মা তখন মাঝেমধ্যে বলতেন আর পড়া লাগবেনা ঘুমিয়ে যাও কিন্তু আমি পড়া শেষ না করে ঘুমাতাম না কারণ স্বপ্ন আমার ১ম হতেই হবে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলাম ১ম হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে, পরীক্ষা শেষ করে তীর্থের কাকের মত অপেক্ষার প্রহর গোনছিলাম কবে রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে তখন এক একটা দিন আর রাত আমার কাছে একেক মাসের মত মনে হচ্ছিলো। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সেই কাঙ্খিত দিনটি আসলো সকালে কোনরকম দু-চারটা ভাত খেয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলাম যাওআর পথে অনেকেই জিঞ্জাসা করছিলো এবার কি ১ ম হতে পারবে উত্তরে বলেছিলাম ইনশাআল্লাহ।
যাইহোক বিদ্যালয়ে পৌঁছলাম এবং স্যারদের মুখের দিকে তাকাচ্ছিলাম লুকিয়ে তখন স্যারদের চাওনি দেখে মনে হচ্ছিলো যে আমি প্রথম হব এইবার।
অপেক্ষার পালা শেষ দুপুরের দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে সবাই যখন একত্রিত হয়ে অপেক্ষা করছিলো তখন অফিস থেকে হেড স্যার সহ সব স্যারেরা এসে চেয়ারে বসলেন এবং ৬ষ্ঠ শ্রণী থেকে শুরু করে রেজাল্ট ঘোষনা করতে লাগলেন পর্যায়ক্রমে ৮ম শ্রণীর রেজাল্ট ঘোষনা যখন স্যার দিচ্ছিলেন তখন ভয়ে বুক থড়পর করে কাঁপছিল।হেড স্যার যখন আমার নাম ঘোষণা করলেন ১ম হিসেবে তখন যতটুকু খুশী হয়েছিলাম আমার মনে হয় এখন পযর্ন্ত কোন ক্ষেত্রে এত খুশী হইনি।
এরপর থেকে আর পিছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি দশম শ্রণীতেও প্রথম হলাম
💎 এস এস সি পরীক্ষা : ২০০৭ সালের এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কৃতিত্ত্বের সহিত GPA 4.19 নিয়ে উত্তীর্ণ হলাম এবং বিদ্যালয়ের পক্ষে ২য় রেজাল্ট ছিলো ২.৭৫।
👉 শহরের কলেজে পড়ালেখা করার স্বপ্ন পূরণ: আলহামদুলিল্লাহ্ এস এস সি পরীক্ষার রেজাল্ট এর কথা শুনে আমার গর্বিত বাবা সৌদিআরব থেকে আমাকে কল দিয়ে আনন্দ অশ্রুতে ভেঁজা কণ্ঠে জিঙ্গাসা করলেন খুর্শেদ তুমি এবার বালাগঞ্জ কলেজে পড়বা না সিলেট শহরে পড়বা তখন আমি বলেছিলাম সিলেট শহরে পড়বো আব্বা।
✅ সিলেট সরকারি কলেজে ভর্তি এপ্রিল,২০০৭ : জীবনের প্রথম স্বপ্ন ছিলো পরীক্ষায় ১ম হব সেটা পূরণ করার পর ২য় স্বপ্ন পূরণ হলো " ঐতিহ্যবাহী সিলেট সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার মাধ্যমে।
❤💖প্রেম,ভালোবাসা: সবার জীবনে প্রেম আসে সেটা চিরন্তন সত্য আমার ক্ষেত্রেও ব্যাতিক্রম ছিলনা। যখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম তখন থেকেই আমার বোনের ননদ " সালমা আক্তার "এর সাথে ভালোলাগা শুরু হয় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ছিল। বোনেকে বিয়ে দেয়া হয়েছিলো নেত্রকোনা জেলায় তাই বছরে মাত্র দু একবার যাওয়ার সুযোগ হত সেখানে ভালো লাগার,ভালোবাসার মানুষটিকে দেখার জন্য। ও আমাকে ভাইয়া বলে ডাকতো আমি সালমা বলে ডাকতাম।ধীরে ধীরে আমাদের সম্পর্ক গভীর হতে লাগলো।
💥প্রেমে বাঁধা : ২০০৮ সালে আমার বতর্মান স্ত্রী সালমা যখন এস এস সি পাস করলো তখন ওর বিয়ের প্রস্তাব আশা শুরু করলো এবং ও আমাকে বলতে লাগলো কিছু একটা করতে তাড়াতাড়ি। আমি যখন শুনতে পেলাম ওর বিয়ের প্রস্তাব আসছে তখন সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়লাম এবং ভাবতে লাগলাম কি করা যায়। তখন সালমাকে বললাম বিয়েতে রাজি না হয়ে সময় নেয়ার জন্য যা করতে ওর এবং আমার অনেক কষ্ট হয়।সেই সময় আমার পড়ালেখার কিছুটা বিঘ্ন ঘটে এবং আমার যে স্বপ্ন ছিল প্রফেসর হওয়ার তা ভঙ্গ হয়ে যায় কারণ বেশী সময় নিলে ওকে নিজের করে পাব না তাই। তখন ভাবতে লাগলাম কিভাবে অল্প সময়ে কিছু একটা করে ওকে নিজের করে পাওয়া যায় সে জন্য প্রাইভেট পড়াবো বলে চিন্তা করলাম পাশাপাশি যদি এস এস এসি পাশের কোন চাকুরী পাওয়া যায় তা করবো সিদ্ধান্ত কিন্তু কোনটাই হলো না,ইতিমধ্যে এইচ এস সি পরীক্ষা এসে হাজির।
✅২০০৯ সাল এইচ এস সি পরীক্ষা : সারাক্ষণ খেলাধুলায় ব্যাস্ত থাকা এবং দুরন্তমনা ছেলেটি প্রেমিকাকে হারানোর ভয়ে মোটামুটি প্রস্তুতি নিয়ে ২০০৯ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৩.৮০ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হয়।
🧔🧕 বিয়ে এবং বিলেতে (লন্ডন ) যাত্রা: এইচ এস সি পাস করার পর যখন ভাবছিলাম কোন চাকুরী নিবো তখন ভাগ্যক্রমে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ইংল্যান্ড যাওয়ার সুযোগ আসে। মনে মনে খুশী হলাম এবার প্রেমিকাকে নিজের করে পাওয়ার একটা ব্যাবস্থা হবে বলে আশাবাদী হলাম। আম্মা এবং আব্বাকে বললাম আমি লন্ডন যাবো যা একজন সিলেটি হিসেবে আমার ৩য় স্বপ্ন ছিল আর আসল উদ্দেশ্য ছিলো সালমাকে নিজের করে পাওয়ার।
আব্বা রাজি হয়ে গেলেন শুরু হলো ভিসা প্রসেসিং এর কাজ,অপেক্ষা করতে লাগলাম ভিসা পাওয়ার দু এক মাসের মধ্যে ভিসা পেয়ে গেলাম।
📴ভিসা পাওয়ার পর বাবা চাচ্ছিলেন আমাকে দ্রুত ইংল্যান্ড পাঠিয়ে দিতে কারণ পরিবারের সবাই আঁচ করতে পারছিলেন যে আমি বিয়ে করতে চাবো। কিন্তু বিদেশ যাওয়ার আসল উদ্দেশ্যই ছিলো যাতে প্রিয়তমাকে নিজের করে পাই। ভিসা পাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে বাবা মাকে রাজি করে ২০০৯ সালের ২২ শে ডিসেম্বর মনের মানুষটাকে নিজের করে পেলাম কিন্তু তাকে পাওয়ার সেই সুখের স্থায়ীত্ব ছিলো মাত্র এক দিন এক রাত কারণ আমার ফ্লাইট ছিল ২৪ শে ডিসেম্বর বিকেল বেলা ঢাকা থেকে।
ঢাকা বিমানবন্দর যখন ত্যাগ করছিলাম তখন কতটুকু কষ্ট যে পেয়েছিলাম তা ভাষায় প্রকাশ করে শেষ করা যাবে না।
💥🧔 লন্ডনে কর্মজীবন: নতুন জীবনসঙ্গীনীকে রেখে লন্ডন পৌঁছার পর কখনও ভালো ছিলাম না তার পাশাপাপাশি যে কলেজে গিয়েছিলাম পড়ালেখা করার জন্য সেটির পরিস্থিতি ভালো ছিলো না আবার অন্যদিকে টাকা পয়সার সমস্যা। তাই বাধ্য হয়ে কলেজ বাদ দিয়ে ইন্ডিয়ান এক রেস্টুরেন্টে কাজ করতে লাগলাম।
👉🚝২০১২ সালে বাংলাদেশে ফিরে আসা: বিদেশে থাকা অবস্থায় প্রায় সময়ই পরিবারের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে খুব খারাপ লাগতো আমার এক দিকে স্ত্রীকে ছাড়া থাকার কষ্ট আবার অন্য দিকে পরিবারের আভ্যন্তরীণ সমস্যা এগুলো চিন্তা করে আল্লাহর কাছে চাচ্ছিলাম দেশে যাতে ফিরে যাই। ২০১২ সালের অক্টোবর মাসের সম্ভবত ১২ তারিখ কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় ঐ দেশের পুলিশ ইমিগ্র্যান্ট চেক করতে যেয়ে আমার স্টুডেন্ট ভিসা দেখে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয় আমাকে।
🙎♂️অবহেলিত জীবন এবং নিজের বোকামির ফল: লন্ডন থেকে আসার পর পরিবারের সবার চোখে আমি এক বিশাল অপরাধী হিসেবে গণ্য হলাম এবং অবহেলিত হতে লাগলাম পরিবার,আত্নীয়স্বজন এবং সমাজের কাছে। লন্ডন থাকা অবস্থায় প্রায় ৯ লক্ষ টাকা জমিয়েছিলাম আমার স্ত্রীর কাছে যে টাকা দিয়ে আমাকে ভালোভাবে জীবনযাপন করার কথা ছিলো কিন্তু তখন আমি যতেষ্ট বোকা ছিলাম। লোকে কি বলবে এই কথা ভেবে আমি না করি কোন চাকুরি না করি কোন ব্যাবসা,সারাক্ষন সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগছিলাম কি করবো কি করবো এভাবে চলতে লাগলো প্রায় ৪-৬ মাস এবং আমার প্রায় ২ লক্ষ টাকা শেষ হয়ে গেলো।
🚌 গাড়ি ক্রয়: মানুষের কথা ভেবে বোকার মত কোন কিছু না করে একটা সিএনজি কিনে দেই পরিচিত এক ভাইকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়ে এবং গাড়ি থেকে প্রতিদিন ৬০০ টাকা ইনকাম আসতো যা থেকে আমার সংসার চলতো।
এভাবেই এক বছর চলছিলো আমি সেই বোকার মত কিছু না করে বসে বসে খাচ্ছিলাম আর ক্যাশ টাকা শেষ হচ্ছিলো ক্রমশই।
🧕❤ বাবা হওয়ার অনুভূতি :২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর মহান আল্লাহ কতৃক শ্রেষ্ঠ উপহার, আমার জীবনের সেরা অর্জন মা আয়েশা সিদ্দিকা আসে আমাদের কোলে। ছোট্ট মা-মনি কে নিয়ে আমাদের সংসার ভালোই যাচ্ছিলো কিন্তু এদিকে নিজের ভুলে টাকা পয়সা ক্যাশ যা ছিলো প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিলো।
👉গতানোগতিক ব্যাবসা: অবশেষে যখন খুব সামান্য টাকা ছিলো তা দিয়ে ব্যাবসা শুরু করি কিন্তু কোন অভিজ্ঞতা এবং লক্ষ না থাকায় ব্যাবসায় লস খেলাম অন্যদিকে গাড়ির ইনকাম কমতে লাগলো কারণ বিভিন্ন সময়ে ইঞ্জিনে সমস্যা হত তাই ইনকামের অর্ধেক টাকা শেষ হয়ে যেত।
🚝 মালয়েশিয়া আসা জুন ২০১৬-এখন পর্যন্ত : ২০১২-২০১৫ এই তিন বছরের মধ্যে ক্যাশ সব টাকা শেষ হয়ে যায় এবং ব্যাবসায় লস করে খুব হতাশাগ্রস্ত হয়ে যাই আমার স্ত্রীর ওর মামার কাছ থেকে ৫০০০০ টাকা এবং আমার এক বন্ধু আর আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে সব মিলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে অনেক কষ্ট নিয়ে মালয়েশিয়া আসি সেখানে এসে প্রথম দিকে বিশাল সমস্যায় পরি যা প্রবাসীরা ভালোভাবে বুঝতে পারবেন আশা করি। এদেশে আসার পর ভাত খাওয়ার টাকা ছিল না কত যে কষ্টে প্রথম এক মাস কাঠিয়েছি তা বলে বা লিখে বুঝাতে পারবনা।
🚚শেষ সম্বল গাড়ি বিক্রি : মালয়েশিয়া আসতে সব টাকাই প্রায় ১৮০০০০ টাকা ঝৃণ হয়। সেই টাকা অল্প সময়ের মধ্যে দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না তাই খুব অল্প টাকায় ১৬০০০০ টাকায় গাড়িটি বিক্রি করে দেই এবং মানুষের ঝৃণ পরিশোধ করি। এদেশে আসার এক মাসের মধ্যে একটি রেষ্টুরেন্টে কাজ শুরু করা এবং ৬ মাস পর Homes Harmony Malaysia নামে একটি সুনামধন্য কোম্পানিতে salesman হিসেবে যোগদান করে এখন পযর্ন্ত আছি ইনশাআল্লাহ।
❤👉 নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এ যোগদান এবং জীবনর সেরা প্রাপ্তি ইকবাল বাহার স্যার: ২০২০ সালের মার্চ মাসে যখন করোনা মহামারির কারণে সারা বিশ্বের মানুষ লকডাউনে ঘরে বন্ধী তখন আমি অন্যদের মত সিনেমা না দেখে ব্যাবসা সংক্রান্ত এবং মোটিভেশনাল ভিডিও দেখতে লাগলাম তখন এপ্রিল মাসের কোন এক দিন ইকবাল বাহার স্যারের ভিডিও দেখে খুব অনুপ্রাণিত হলাম এবং নিজে নিজে উনার কথা মত ফেইসবুক গ্রুপ নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে কারও সাহায্য ছাড়াই ১২ তম ব্যাচ (রেজি ৩৬৭১৯( রেজিষ্ট্রেশন করে লেগে আছি যার শেষ হবে না। ইনশাআল্লাহ মৃত্যুর আগ পযর্ন্ত লেগে থাকবো ভালোবাসার এই প্লাটফর্মে যা আমার কাছে পরিবার মনে হয়।
🛍💎উদ্যোক্তা হিসেবে আত্নপ্রকাশ (কেনাকাটা ষ্টোর) : ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে প্রিয় স্যারের অনুপ্রেরণা নিয়ে প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে যাতে করে তারা বিদেশে থেকেও পরিবারের সদস্যদের জন্যে কেনাকাটা করতে পারেন সেই লক্ষ্যে মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে " কেনাকাটা অনলাইন ষ্টোর" নামে অনলাইন ভিত্তিক ব্যাবসা শুরু করি পরবর্তীকালে ডিসেম্বর মাস থেকে আউটলেট হিসেব আত্নপ্রকাশ করে আলহামদুলিল্লাহ্।
মহান আল্লাহর দয়ায় এবং আপনাদের দোয়ায় কেনাকাটা ষ্টোর মাত্র ৭ মাসের ব্যাবধানে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা মূল্যের প্রতিষ্টান। আপনারা জেনে খুশী হবেন যে কেনাকাটা ষ্টোরের মাসিক সেল ৫০০০০ হাজারের উপরে থাকে ইনশাআল্লাহ এবং জানুয়ারি,এপ্রিল, মে মাসে এক লক্ষ টাকার উপরে সেল হয় আলহামদুলিল্লাহ্।
বতর্মানে অনলাইনের ৮০% সেল হয় প্রিয় প্লাটফর্মে যা আমার জন্য বিশাল পাওয়া।
👉🧔 কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা: আল্লাহর রহমতে কেনাকাটা ষ্টোরে দু জন সহযোগী রয়েছেন ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে ২০০ জনের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করার স্বপ্ন দেখছি।
📢💎বতর্মান সময়ে ইচ্ছে : আমার স্বপ্ন হচ্ছে কেনাকাটা ষ্টোরের নিজস্ব একটা ব্রান্ড হবে এবং এর গার্মেন্টস আইঠেম বাংলাদেশ অতিক্রম করে বিশ্বের দরবারে পৌঁছবে ইনশাআল্লাহ।
📢utv live চ্যানেল এর স্পনসর শীঘ্রই নিবো ইনশাআল্লাহ।
📢 উপসংহারে বলতে চাই প্রতিদিনের ১৪৪০ মিনিট সময় থেকে মাত্র ১৪ মিনিট সময় " নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনে " ব্যয় করেন দেখবেন আপনার নিজের গল্প তৈরী হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৪
Date:- ২১/০৬/২০২১
🙏ধন্যবাদ সবাইকে 🙏
মোঃখুর্শেদ আলম।
ব্যাচ ১২,রেজি ৩৬৭১৯.
উপজেলা : বালাগঞ্জ।
জেলা: সিলেট।
স্বত্বাধিকারী : কেনাকাটা ষ্টোর।
https://www.facebook.com/letsdobuyatkenakata/
বতর্মান অবস্থান : মালয়েশিয়া।