প্রতিটি সন্তানই তাঁর বাবা মায়ের কোল আলো করে পৃথিবীতে আসে সোনার চামচ মুখে নিয়ে।
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ফাউন্ডেশনের প্রাণপ্রিয় ভাইবোনেরা, আশা রাখি সবাই ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ্ আমিও ভালো আছি।
আজকে আমি আমার প্রাণপ্রিয় ভাইবোনদের সাথে শেয়ার করবো আমার এই ছোট্ট জীবনের দুঃখ কষ্টের গল্পটি।
আমার জীবন গল্পঃ-
শুরুতে সেই মহান সৃষ্টিকর্তা যিনি আমাকে শ্রেষ্ঠ জীব "মানুষ" হিসেবে তার গুনগান গাওয়ার জন্য পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ নবী, আখেরির নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) এর উম্মত হিসেবে পাঠিয়েছেন এবং বলতে গেলে পৃথিবী অসুস্থ তার মধ্যে আমাকে ও আমার পরিবার কে সুস্থ রেখেছেন এজন্য মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া। পেয়ারে নবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) এর প্রতি দুরূদ ও সালাম।
প্রতিটি মানুষের জীবনেই নিজের বলার মত একটা গল্প থাকে। আমারও আছে, কিন্তু কেউ কখনো শুনতে চায়নি তাই বলাও হয়নি। সেই মানুষটির প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ যিনি আমাদের নিজের বলার মত একটা গল্প প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন যার দরুন আজকে আমি আমার সেই গল্পটি শোনাতে পারছি আপনাদের।
প্রতিটি সন্তানই তাঁর বাবা মায়ের কোল আলো করে পৃথিবীতে আসে সোনার চামচ মুখে নিয়ে।
সেই সন্তান যখন বড় হতে থাকে তখনই বিভিন্ন দুঃখ- কষ্ট কিঞ্চিৎ বুঝতে শুরু করে। যাইহোক, আমি আমার পরিবারে বড় ছেলে। আমার আগে একটা ভাই ছিলো ৯ মাস বয়সের। ভাইটি হঠাৎ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলো আমাদের ছেড়ে।
মা আমাকে পেয়ে সেই বড় ভাইকে ভুলতে শুরু করে। মায়ের ভালোবাসা সবটুকু আমাকে ঘীরে।
আর আমার খালা ছিলো ছয় জন, ফুপু ছিলো তিন জন, দাদা-দাদী, নানা-নানীর ভালোবাসার কোন কমতি ছিল না আমার জীবনে।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো আমার মা যখন আমার কাছে থাকতো না তখন আমি যদি কান্না করতাম আমার মেজো ফুপু তার জিব্বা আমার মুখে দিয়ে রাখতেন আমাকে থামানোর জন্য, আমাকে খুব ভালোবাসতেন তো। ফুপুর যখন বিয়ে হয় তখন আমি অনেক কান্না করেছিলাম আর ফুপাকে বকা দিয়েছিলাম অনেক।
আমি যখন ছোট, কোলের শিশু ছিলাম তখন থেকেই
সংসারে খুব অভাব ছিলো। একবেলা ভাত আরেকবেলা ভাতের মার এইভাবে চলতে থাকে জীবন। আয়ের উৎস শুধুমাত্র দাদা ভাই ছিলেন। আমার দাদা ভাই খুব ভালো একজন মানুষ ছিলেন। আল্লাহ্ তাকে সর্বোচ জান্নাত দান করুক আমিন। এমনও দিন গেছে আমার দাদা তাঁর নিজের খাবার মাকে দিয়ে দিতো। মা ঠিক মতো না খেতে পারলে আমি কীভাবে খাবো এটা ভেবে।
আসলে আমার বাবা কোন কাজ করতো না।
সে ছিলো খুব অলস টাইপের। বাবা ঢাকা থাকতেন। ঘরের চাল শেষ না করে ঢাকা আসতেন না।
কিন্তু মা অনেক পরিশ্রম করতেন। দাদাকে অনেক সহযোগিতা করতেন। বাড়ির কাজ, ক্ষেতের কাজ সহ সব ধরনের কাজ করতেন। দিনের বেলা কাজ করলে মানুষ দেখে কী ভাববে, কী বলবে এই ভেবে মা আর দাদী রাতের অন্ধকারে ধান মারাতো। এভাবে চলতে থাকে আমাদের সংসার।
এক পর্যায়ে বাবাও কাজ করা শুরু করলো। আমিও বড় হতে থাকলাম। ফুপুদের বিয়ে হয়ে গেলো।
ছোট সংসার হয়ে গেলো আমাদের। কিছুটা হলেও অভাব কেটে গেলো।
আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন বাবা বললেন তোর আর পরাশুনার দরকার নাই। আমিও বলে উঠলাম ঠিক আছে। আমাদের অনেক জমি ছিলো। কিন্তু দাদা একটু সরল টাইপের ছিলেন।
আসে পাশের মানুষ আর দাদার একটা ভাই ছিলো তাঁরা দখল করে খাওয়া শুরু করলো জমিগুলো। পরে বাবা তাঁর চাচার উপর রাগ করে আমাকে বললেন আমার সাথে জমি চাষ করা শুরু কর। মা তো অনেক কান্না করা শুরু করলো। মা কে আমি সান্তনা দিলাম।
আমি যখন ক্লাস ফোরে পড়ি তখন থেকেই উপবৃত্তির টাকা পেতাম। সেই টাকা দিয়েই ব্যাবসা করতাম। ছোট করে দোকান দিয়েছিলাম। চানাচুর, বিস্কুট আরো অনেক কিছু নিয়ে ছিলো আমার দোকানটা। পড়াশোনা ছাড়লাম না বাবাকেও সহযোগিতা করছিলাম। বেশ ভালোই যাচ্ছিলো আমাদের সংসার।
পঞ্চম শ্রেণী শেষ করলাম, ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হলাম। বাবা ঠিকমত টাকা দিতে পারতো না। সময় মত পরীক্ষার ফি, খাতা-কলম কিনতে পারতাম না।
তখন চিন্তা করলাম কি করা যায়।
আমার কাছে বেশ কিছু টাকা ছিলো জমানো,
আমি আর মা একটা গরু কিনলাম। বাবা টাকা না দিতে পাড়ায় আমি তার সাথে খুব খারাপ ব্যাবহার করতাম কিন্তু কোন লাভ হতো না। আমার মা ডিম বিক্রির টাকা দিয়ে আমার পড়ার খরচ চালাতো। বাবাকে সহযোগিতা করতাম আবার ক্লাশও মিস করতাম না।
যখন ক্লাস সেভেনে উঠেছি, তখন আবার মত পরিবর্তন করলাম, আমি পরাশোনা করবো না।
বাবা মাঝে মাঝে বইগুলো ফেলে দিতো। এক বার রাগ করে বই তুললাম না কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি পরা শুরু হলো সব বই ভিজে শেষ হয়ে গেলো। তখন বাহিরের বৃষ্টির মত চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ছিল। সেদিনই মা আমাকে প্রথম মেরেছিলো আর নিজেও কান্না করেছিলো প্রচুর। বাবার কিছু করার ছিলো না বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করেছিলো। সেদিন বুঝিনি যে বাবাদের কান্না পাথর চাপা কান্না, এখণ বুঝি। সেদিন থেকে প্রতিজ্ঞা করলাম আমি বাবার কাছ থেকে টাকা নেওয়া ছাড়া পড়াশোনা করবো।
জীবন সংগ্রামে নেমে গেলাম। মানুষের কাজ করে পরাশোনা আবার শুরু করলাম। নবম শ্রেণীতে উঠলাম। তারপর একটা সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি বাড়ি থাকবো না। লজিনে চলে গেলাম। শুরু হল আরেক অধ্যায়। স্যাররা খুব ভালো জানতো কিন্তু একটু ভেজালও হয়ে গেলো। আমরা তিনজন বন্ধু খুব ক্লোজ ছিলাম। তাঁর মধ্যে এক বন্ধু একটা মেয়েকে পছন্দ করতো। সেই মেয়েকে আবার এক স্যার পছন্দ করতেন। স্যার জানতে পারলেন বিষয়টি।
হঠাৎ স্যার ঘোষণা করলেন, কোন ছাত্র কোন ছাত্রীদের সাথে কথা বলতে পারবে না। এই বিষয়টা নিয়ে আমাদের তিনজনের প্রতি শিক্ষকদের আক্রোশের ফলে আমাদের প্রাইভেট পড়ানো বন্ধ করে দিলো তাঁরা। আমরা বাহিরে পড়া শুরু করলাম।এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলাম ২০০৭ সালের।
টেস্ট পরীক্ষায় স্যারদের বিপক্ষে যারা ছিলেন সবাইকে ফেল করালো। আমার তো চিন্তা বেড়ে গেলো ১৭৭০ টাকা ফর্ম ফিলাপ। মা চাচাতো মামাদের কাছ থেকে টাকাটা ম্যানেজ করে দিলো। পরীক্ষা শুরু হলো। তারপর আমরা ৫ জন মিলে একটা বাসা নেই। পরীক্ষা ভালই হচ্ছিলো হঠাৎ করে বন্ধু আলমগীর একটা মেয়ের সাথে রিলেশন শুরু করে। সেই মেয়ে আর তাঁর দুইটা বান্ধবী আমাদের বাসায় আসে। ওদের ইচ্ছে সিনেমা দেখবে ওরা তিন জন। পরে আমরা দুই জন আর ওরা সিনেমা দেখলাম। ইতিমধ্যেই তাঁদের মধ্যে একজনকে আমার অনেক ভালো লেগে যায়। পরে আমরা সবাই সবার বাসায় চলে গেলাম।
পরীক্ষা ছিল আর তিনটা। শেষ করে বাড়ি চলে আসলাম কিন্তু ভালো লাগতেছিলোনা। খুব মনে পরতে ছিলো সেই মেয়েটির কথা। শেষ পর্যন্ত আর মেয়েটির কাছে প্রস্তাব দেওয়া হলো না।
দেখতে দেখতে রেজাল্টের সময় চলে আসলো।
দীর্ঘ দশটি বছরের ফল কি হয় জানিনা। সবাই দোয়া করা শুরু করলো। সেই সময় সেন্টারে গিয়ে রেজাল্ট আনতে হতো। যখনি আমি আমার রেজাল্ট হাতে পেলাম পাস করেছি তখন এতো কান্না করেছিলাম খুশিতে, আজও মনে পড়লে কান্না চলে আসে।
এরপর কলেজে ভর্তি হলাম। জীবন যুদ্ধ আবার শুরু হলো। আমার দাদার ভাই যিনি আমাদের জমিগুলো সব ভোগ করছিলো, তাঁর কোন সন্তান ছিলো না। একটা মেয়েকে দত্তক এনেছিলো।
তো উনি আমার বাবাকে প্রস্তাব করেন তাঁর মেয়ের সাথে আমার বিবাহ দিবেন। আর যদি আমরা রাজি না হই তাহলে সে সব জমি অন্য কারো কাছে বিক্রি করে দিবেন। কিন্তু অপরদিকে আমার মা মুখের উপর না করে দিলেন। আমরা যে বাড়িতে থাকি সে বাড়ির জমি তো রাখতেই হয়। হাতে কোন টাকা ছিলো না, কি করবো কোন উপায় না পেয়ে
মা বললো রিক্স নিতেই হবে। পরে দুই লক্ষ্য টাকা সুদের ওপরে আনি।
এদিকে কলেজে যাওয়ার জন্য মনটা ভীষণ খারাপ। মানুষের ক্ষেতে তিনদিন কামলা খাটি আর তিনদিন কলেজে যাই তাও আবার ১১ কিলো হেঁটে হেঁটে। এভাবে চলতে থাকে আমার কলেজ জীবন। অপরদিকে সুদের বোঝা!
যাইহোক ইন্টার পরীক্ষা শুরু হলো। খালাদের বাসায় থেকে পরীক্ষা দিতাম। পরীক্ষার মাঝে বাড়িতে আসি। খালাতো বোন ছিলো একজন, ওকে খুব ভালোলাগা শুরু হলো। কিন্তু কিছু করার নেই আমি সংসারের বড় ছেলে। আবার সুদের বোঝা মাথায়। তাই মাথা থেকে আউট সবকিছু বাদ দিলাম।
যাবার সময় হলো, আমি চলে আসলাম পরীক্ষা দিতে। এরপর আমার ছোট ফুপু ঢাকায় একটা চাকরি ঠিক করলো আমার জন্য।
কিছুদিন পর আমি ঢাকা চলে আসলাম।
কোনকিছু না পেয়ে গার্মেন্টসে চাকরি নিলাম, ২,৫০০টাকা বেতনে। কোন রকম চলে, কিছুদিন পর রেজাল্ট দিলো, ইংরেজিতে খারাপ করলাম।
বাবার অনুরোধে দ্বিতীয় বার পরিক্ষা দিয়েও ফেল করলাম। আমরা দুই চাচাতো ভাই এক সাথে বড় হয়েছি। পরীক্ষা এক সাথে দিয়েছি কিন্তু আমি পাস করিনি ও করলো। আমি আবার ফেল করলাম বাবা আবার বললো তুই পরীক্ষা দে। এক বাক্যে বলেছিলাম দেবো না, তখন বাবা কান্না করে বললো তুই যদি মাস্টার্স পাস না করতে পারোস আমি মরে যাবার পর কবর দুই ভাগ হয়ে যাবে। শুরু হলো মনের ভেতরে জিদ। এইবার পরীক্ষা দিয়ে পাস করলাম আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
আমার স্বপ্ন ঢাকা পড়াশুনা করবো। তিতুমীর কলেজে ডিগ্রীতে ভর্তি হলাম। ভালো একটা চাকরী পেলাম। ছোট ভাই-বোনের খরচ, আমার নিজের পরাশোনা, সুদের টাকা দেয়া শুরু করলাম। ভালো চলছিল। হঠাৎ পুলিশে লোক নিবে, আমি দাড়ালাম। আমার বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিলো সেনাবাহিনী বা পুলিশে চাকরি করবো। কিন্তু সেইবার আমার সেই চাচাতো ভাইয়ের চাকরিটা হয় আমারটা হলোনা।
খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তখন ভাবছিলাম আমার জন্য ভালো কিছু আছে হয়তো। ঢাকা আসলাম চাকরীটা হারালাম। বেশকিছু টাকা জমালাম। বাইং হাউজ দিলাম উত্তরায়। বায়ার আসতে থাকলো। তখন শুরু হলো হেফাজত ইসলামের সেই গোলাগুলি। চলে গেলেন আমার বায়ার। যা টাকা ছিলো আমার পার্টনার আত্মসাৎ করলো। আবার পথে বসে গেলাম। খুব কষ্ট শুরু হয়ে গেলো। চার দিন পর একদিন ভাত খেতাম, টাকা ছিলো না চিরা খেতাম তাও শুকনো চিরা। হোটেল যখন বন্ধ করতো তখন খেতে যেতাম। হোটেল মালিক বলতো সব শেষ ভাত আর ডাল আছে। আমি তো এই জন্যই দেরি করে যেতাম। হোটেল মালিক কিছুদিন পর বুঝতে পারে আমার কাছে টাকা নাই। সে ডালের সঙ্গে পিয়াজো দিতো টাকা নিতো না। রাতে ঘুমাতাম এক ভাইয়ের গোডাউনে। মশারী কেনার টাকা ছিলো না। আর ঐ ভাই কয়েলও জালাতে দিতো না। কিছুদিন পর ওখান থেকে চলে যাই।
এসে পরলো রমজান মাস। এক ভাইয়ের সাথে একটা রুমে থাকা শুরু করলাম। সে ভোর রাতের জন্য কোন খাবারে ব্যাবস্থা করতো না। উল্টো আমার কষ্ট করে ম্যানেজ করা খাবার মাঝে মাঝে খেয়ে ফেলতো। হঠাৎ ২১রোজা আমার দাদা মারা যায় খবর পেয়েও যেতে পারলাম না কারণ আমার কাছে টাকা ছিলো না। যেই দাদা আমি খেতে পারবোনা বলে তাঁর খাবার আমার মাকে দিয়ে দিতো, সেই দাদা মারা গেলো কিন্তু চোখের দেখা দেখতে পেলাম না। কষ্টে বুক ফেটে যাচ্ছিলো।
দাদার জন্য তখন দোয়া করা ছাড়া কিছুই করার ছিলো না।
এরপর মার্কেটিংয়ের চাকরীতে ঢুকলাম একটা কোম্পানিতে। পাশাপাশি পড়াশোনা চলছে। বি এ পাস করলাম। মাস্টার্স ভর্তি হলাম তেজগাঁ কলেজে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মাস্টার্স পাস করলাম বাবার আশা পূরণ হলো।
তারপর ব্যাবসা শুরু করলাম ক্রোকারিজ আইটেম নিয়ে। ব্যাবসাটি প্রথমে ঢাকাতে ছিলো। তারপর সারা বাংলাদেশে পাইকারি বিক্রি করতে শুরু করলাম। বেশ টাকা হয়ে গেলো। বাড়িতে দিলাম বিল্ডিং। পার্টনারশীপে কোম্পানি খুললাম, #সেভেন_গোলস_লিঃ নামে। হঠাৎ চলে আসলো করোনা। এখনো কোম্পানি চালু করতে পারিনি।
ক্রোকারিজের ব্যবসাটাও বন্ধ, জীবনে হতাশা নেমে আসলো।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হওয়ার আগে খুব বেশি মনে পরছিলো কবর কবিতার এই অংশটুকু,
তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি।
শত কাফনের, শত কবরের অঙ্ক হৃদয়ে আঁকি,
গণিয়া গণিয়া ভুল করে গণি সারা দিনরাত জাগি।
এই মোর হাতে কোদাল ধরিয়া কঠিন মাটির তলে,
গাড়িয়া দিয়াছি কত সোনামুখ নাওয়ায়ে চোখের জলে।
মাটিরে আমি যে বড় ভালবাসি, মাটিতে মিশায়ে বুক,
আয়-আয় দাদু, গলাগলি ধরি কেঁদে যদি হয় সুখ ।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হতে আমার এক বন্ধু বলে। কিন্তু সে বিষয়টা বুঝিয়ে বলতে পারেনি, সেই সময় নবম ব্যাচ চলে।
যাইহোক কোন একভাবে রেজিষ্ট্রেশন করি এবং
পরিচয় পোস্ট করি, তারপর রুনা আপুর সাথে অ্যাড হই। সে শরিয়তপুরের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের সাথে অ্যাড করে দেয়। অ্যাড হওয়ার কিছুদিন পর শুনি শরিয়তপুরে শীতের সময় কম্বল বিতরণ করা হবে চরে নদীর পারে। সেখানে যাই এবং দেখি মানবতার ফেরিয়ালা #জাহাঙ্গীর খান , জাকির সরদার, রুনা আপু,রুহুল আমিন,সোহেল রানা ,সুকান্ত দাদা ,জাহিদ ,রুবেল, কাওসার হোসেন ভাই সহ আরো অনেককে। সেদিন কী যে ভালো লেগেছিলো বুঝানো যাবে না সেদিনের সেই অনুভূতির কথা। মানুষের জন্য কাজ করলে অনেক শান্তি পাওয়া যায় আমি সেদিনই বুঝেছিলাম।
#ভালো_লাগে স্যারের সেশন যত পড়ি। যত গভীরে যাই ততই ভালোলাগে। নিজেকে ভালোবাসতে জানতাম না। আসলে যে নিজেকে ভালোবাসতে জানে না সে অন্যকে কিভাবে ভালোবাসবে এই ফাউন্ডেশন থেকে সেই শিক্ষা পেয়েছি। স্যারের দেওয়া শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে আজীবন চলতে চাই। প্রিয় শিক্ষকের ছাত্র হয়ে এখন আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমি একজন ভালো মানুষ।
বিনা টাকায় এতো সহজে একজন দক্ষ মানুষ হওয়া, পজিটিভ মানুষ হওয়া, চমৎকারভাবে নিজেকে ব্র্যান্ডিং করার সুযোগ পাচ্ছি প্রাণের প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে। এছাড়াও কথা বলার জড়তা কাটানোর জন্য ভিডিও সেশন করেছি যার মাধ্যমে অনেক উপকার হয়েছে আমার। মূলধন ছাড়া যে ব্যাবসা করা যায় সেই মনমানসিকতা তৈরি করে দিচ্ছে আমাদের সবার প্রিয় শিক্ষক ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।
স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন, লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই।
মানুষের জন্য কাজ করলে জীবিকার জন্য কাজের অভাব হয় না।
সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারে কোন বিজনেস আইডিয়া।
এই উক্তিগুলো আমার কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। আমি আবারো শুরু করতে পুরো উদ্যোমে। এবং ইনশাআল্লাহ্ লেগে থাকবো।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা যারা কষ্ট করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার জীবনের গল্পটি পড়েছেন তাদের দেবার মত কিছুই নেই আমার তবে পৃথিবীর যতো ফুল ফুটেছে সব ফুলের শুভচ্ছা আপনাদের প্রতি। আপনাদের জন্য অজস্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অবিরাম। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই যাতে আমি এবার অন্তত সফল হই।
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৭
Date:- ২৪/০৬/২০২১
মো:ইমাম হোসেন
ব্যাচঃ১২
রেজিস্ট্রেশনঃ ৪৪৫৮৬
জেলাঃ শরিয়তপুর