জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে অদ্যম ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
👍 জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে অদ্যম
ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই।
👍কথায় আছে -- মানুষ তার সপ্নের সমান বড় কিংবা জন্ম হক যথাতথা কর্ম হোক ভালো।
👍যদি কেউ সপ্ন দেখে এবং সেই সপ্ন বাস্তবায়নে
লক্ষ্য স্থির রেখে এগিয়ে য়ায় তবে তিনি একদি না হয় একদিন সফল হবেন--ই।৷ সেক্ষেতে তিনি ধনী কিংবা দরিদ্র পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেছেন কিনা সেটা কোন বিষয় না।
জীবন কাকে কখন কোথায় নিয়ে যায়
তা যানিনা আমরা কেউ-ই।
👍একটু বেঁচে থাকার জন্য জগতের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিরা
যুগে যুগে নজরুলের মতো চায়ের দোকানে কাজ করে জীবন বাঁচিয়েছেন।
👍সত্যি বলতে পায়ের তলার মাটি শক্ত হলে কাঁধে হাত রাখার মানুষের অভাব হয়না,,,,,,,,,,,,
👉 আমি যা পেয়েছি - নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে।
✍️ এক জন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা হলো মনের সুখ ও শান্তি,,যা আমি এই ফাউন্ডেশন থেকে পেয়েছি,,,,,,,,,
👉 বুকের ভিতরে জমে থাকা না বলা কথা লুকিয়ে ছিলো যা কারো কাছে বলা যেতনা,, কারণ কে কি ভাবে কথা গুলো নিবে এই ভয়ে কারো কাছে বলা হতনা। নিজের বুকের ভিতরে জমানো অতীত কষ্ট গুলো যেনো আমাকে কুঁড়ে কুঁড়ে শেষ করে দিচ্ছিলো। যা আমি প্রতিনিয়তে শেষ হচ্ছিলাম,
হয়তো কারো কাছে দুঃখের কথা গুলো বলতে পারলে মনটা একটু হালকা হতো কিন্তু আমার এমন কোন কেউ ছিলনা যাকে আমি বলতে পারি।
আর বলবেন বা কাকে আমাদের আসে পাশে যারা থাকেন তাদে মধ্যেই এমন এমন মানুষ থাকেন যাদের সাথে একটা দুঃখের কথা শেয়ার করলে তারা অন্য দেরকে দুইটা আরো বানিয়ে গিবত করেন।
আমার মনে হয় তাদের থেকে দূরে থাকাই নিজেদের জন্য খুব ভালো হবে।
আমি না পারতাম কারো কাছে বলতে না পারতাম ভালো থাকতে, আমার খুব শ্বাসকষ্ট হতো প্রতিদিন মন থেকে আমার সুখ শান্তি হারিয়ে যেতে লাগতেছিলো।
সব সময় ডিপ্রেশনের ভিতর থাকতাম পেট ভরে খেতে পারতাম না রাতে ঘুমাতে পারতাম না সত্যি বলতে চোখে কোন ঘুম আসতোনা, এমনো অনেক রাত গেছে না ঘুমিয়ে সারা রাত কাঠিয়েছি । আবার এমনো সময় গেছে রাতে ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমাতে হয়েছে আমাকে।
যতো রাত গভীর হতো, বুকের ভিতর জমানো কষ্ঠগুলো বার বার জাগিয়ে তুলতো। চোখের কোনায় জমিয়ে থাকা পানিগুলো ঝরনা হয়ে গরিয়ে পড়তো। মাজে মাঝে খুব অসুস্থ হয়ে পড়তাম,,, সব সময় মন মানুষিক খিটখিটে হয়ে থাকতো আমার,,এমনো সময় গেছে এই রাগগুলো নিজের কলিজার টুকরা সন্তানদের উপর দেখাতাম। মাঝে মাঝে এমনো দিন রাত গেছে রান্না করতে পরতাম না, ঘরে যা খাবার থাকতো তা আমার সন্তানেরা খেয়ে সময় কাটাতো। আমাদের দেখার মতো কেউ নেই কি খাচ্ছে আমার সন্তানেরা না খাচ্ছে কেউ নেই দেখার। সত্যি বলতে খুব অসহায়ের মত সময় গেছে আমাদের। আমার সাথে অনেক অন্যায় হচ্ছিলো অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি বা এখনো হচ্ছি কিন্তু কখনো কাউকে বলতে পারতাম না।
আমার সব কথা শেয়ার করার মত একজনি আছে তাকে তো সব সময় সব কথা বলতে পারতাম না,,,সে আমার অন্ধকারে আলো , বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা শক্তি, মনের শান্তি আমার প্রান প্রিয়❣️ Husband ❣️ তাকে সব কথা বলতামি বা কি করে সে তো থাকে প্রবাসে। সারাটা দিন,রাতের অধেক সময় অক্লান্ত পরিশ্রম শেষে, কাজ থেকে যখন রুমে ফিরে আসে সবার আগে আমাকে কল করতো। তখন আমি একটু রাগের কন্ঠে বলতাম বলো কি বলবা, তখন সে বলতো তুমি কেমন আছো তোমার শরিল এখন কেমন গো, ঔষধ কি খাইছো নিয়ম করে তো। সন্তানেরা কি করে কি খাইছো আরো ইত্যাদি। সারা দিন আর রাতের কিছু সময় পরিশ্রম করার পড় যখন তার মুখে থেকে এসব কথা শুনতাম আমার দু চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়ে পড়তো। একটা মানুষ সারাটা দিন আর রাতে এত পরিশ্রম করার পড় হাসি মুখে কিভাবে নিয়মিত পরিবারের সকলের খোজ খবর নিতে পারে, তখন নিজে নিজেকে জিগাসা করতাম এই মানুষটা কি দিয়ে তৈরি, তার মনটা কি দিয়ে তৈরি তার মনের ভিতরে রাগ, অভিমান, হিংসা বলতে কোন কিছুই নেই। সে এতো পরিশ্রমের পড়ও আমাদের সাথে কত সহজ ও হাসি মুখে কথা বলছে, তাকে কেমন করে আমার সমস্যর কথা বলি, সে অনেক টেনশন করবে বলে তাকেউ সব কথা বলতে পারি না, সে নিজেও সেই ছোট কাল থেকে অনেক দুঃখ আর কষ্ঠের মাঝে জীবন অতিবাহিত করে এতো দুর এসেছে। আজ সে আমাদের সুখের জন্য প্রবাস জীবন বেঁচে নিয়েছে তাকে আমি কিভাবে এসব কথা বলে কষ্ঠ দিয়ে টেনশনের ভিতর রাখবো। সে সব সময় চেষ্টা করতো আমাদেরকে ভাল রাখতে, কিন্তু সে পেরে উঠতে পারেনা যাদের কারনে আজ আমাদের এতো সমস্য। কথাই আছে অভাব ঘরে থাকলে বলেদেয় কে আপন আর কে পর,,,। সে কেমন করে যেনো ধরতে পারতো আমি ভালো নেই আমার কন্ঠের মাঝে সে নাকি শুনতে পেতো আমি খুব কষ্টে আছি তাই সে সব সময় চেষ্টা করতো মজার মজার ফানি কথা বলে আমাকে হাসার। সত্যি আমি অবাক হয়ে যেতাম যার বুকের ভিতরেও হাজারো কষ্ট জমা, হয়ে আছে, সে না কি আমাকে কষ্ট থেকে বের করার জন্য হাসানোর চেষ্টা করছে। আল্লাহ ভালো যানেন তার হৃদয়টা কি দিয়ে তৈরি করেছে। আপনারা বলেন এমন একটা মানুষ কে কি করে আমি বলতে পারতাম আমার সাথে সারাটা দিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো তাকে বলতে।
অমানুষের মতো ব্যবহার করতো তার নিকট আত্তিয়রা আমার সাথে,,
সে আমার কাছে না থাকার কারনে সুযোগটা কাজে লাগাতো। আর সে খুব সাদা মনের মানুষ না পারে কাউকে কিছু বলতে আর না পারে নিজে সইতে । তার এ সরলতার সুযোগগুলো তারা কাজে লাগাতো।
আমি বার বার বলতে চেয়েও ওকে কিছু বলতে পারতামনা,,, কি করে বলতাম যে মানুষটা আমাদের জন্য এতো কঠোর পরিশ্রম করে নিজে সব কিছু ত্যাগ শিকার করে প্রবাসে চলে গেছে আমাদেরকে ভালো রাখবে বলে।
তার প্রবাসে যাওয়ার কয়েকটা কারন ছিল, সে নিজে ছোট বেলা থেকে অনেক কষ্ঠের মাঝে বড় হয়েছে, সে কখনো চাইতো না তার মত আমাদের সন্তানেরাও কষ্ট করুক। সবাই চাই ভালো ভাবে গুছিয়ে মাথা উচু করে বাঁচতে, সেও চাইতো আমাদের অভাবের সংসার টাকে একটু সুখ দিতে ,,,
সন্তানদের কে ভালো ভাবে মানুষ করা,,,
নিজের মাথার উপর একটা ছাদ তৈরি করা,,
বিপদে আপদে অসহাদের পাসে থাকতে ,,
সমাজে মাথা উচু করে চলা,,
দান জাকাত দেওয়া,,।
ঋণ শুধ করা,,,
আরো ইত্যাদি,, তার পরেও আমি বার বার বলবো এমন একটা,,,,, Husband পেয়ে আমি সত্যি নিজেকে ভাগ্যবতি মনে করছি,,৷৷
তার এ সব কিছু পুরন করতে পারে একমাএ টাকা।
এই যুগে টাকা না থাকলে আজ কাল আপন জনেরাও রাস্তা ঘাটে পরিচয় ও দিতে চায়না কথা বলা তো দূরের কথা।
আমাদের সাথে যাই কিছু হোক না কেনো, এই পৃথিবীতে কোন বাবা মা চাইবেনা তার সন্তানেরা কোন রকম কষ্টে থাক।
আমাদের কষ্ট আমরা মানিয়ে নিয়ে চলতে পারি কিন্তু সন্তানদের কষ্ট কোন বাবা মা মানিয়ে নিতে পারেনা।
তাই আমরাও চাইনি আমাদের সন্তানেরা কষ্টের মাঝে অবহেলা আর অজত্নে বড় হোক।
এই সব কিছু পুরুন করতে সে ৩ বছর আগেই প্রবাসে পাড়ি দিয়েছে।
সত্যি বলতে কপালে যদি সমস্যা লেখা থাকে তাহলে কোটি টাকা দিয়েও সেখানে সমস্য সমাধান করতে পারেনা।
আজ ও আমাদের পিছু ছাড়ছেনা ঐ সুযোগ সন্ধানি মানুষ গুলো। ধাপে ধাপে চেষ্টা করছে খতি করার জন্য, কিন্তু আমার মনবল আর ধৈর্য্যর কাছে তারা বার বার হেরে যাচ্ছে, হয়তো আল্লাহ রহমত আছে আমাদের উপর। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন জীবনের বাকিটা পথ যেনো এভাবেই ধৈর্য আর মনবল শক্ত রেখে পাড়ি দিতে পারি।
সত্যি জীবনে কাউকে না বলতে পারা কথা গুলো বুকের ভিতরে জমে থাকা কষ্ঠ গুলো ধিরে ধিরে এই পরিবারের সবাইকে শুনাতে পেরে নিজেকে আজ অনেকটা হালকা লাগছে।
যেখানে কোন আপন জনেরা কেউ কারো দুঃখের কথা শুনতেই চায়না হয়তো একটু শুনার পরও বিরক্ত বোধ হয়। মনে মনে হাসা হাসি করে, কারো দুঃখ শুনে টিটকারি ও করে, আবার কেউ মজা নেওয়ার জন্য ও শুনে।
আমি তো মনে করি যারা সব সময় ডিপ্রেশনের ভিতর থেকে টেনশন করে, নিজের সুন্দর জীবন শেষ করে দিচ্ছেন তাদেরকে একটি কথাই বলবো, হার জিত থাকবেই, অজথায় ডিপ্রেশনের মাঝে থেকে টেনশন না করে আজি নিজের বলার মত একটা গল্প প্লাটফরমের সাথে যুক্ত হয়ে যান। দেখবেন আপনার জীবন পরিবর্তন হয়ে গেছে।
আমি এই ভাল মানুষের পরিবারের এসে নিজেকে আজ বড় ভাগ্যবতী মনে করছি,এই পরিবারের সাথে নিজেকে জড়িয়ে আজ আমি
নিশার মতো ডিপ্রেশন থেকে
,,,,, নিজেকে মুক্ত করতে পরেছি
মনের সুখ খোজে পেয়েছি,,,
,,,,,মনে শান্তি খুজে পেয়েছি
কি ভাবে ভালো রাখতে হয় নিজেকে সেটাও জানতে পেয়েছি,,,,
,,,,,,,নিজেকে কি ভাবে বড় বানাতে হয় সেটা ও শিখেছি
নিজের সম্মান নিজে কি ভাবে রক্ষা করতে হয় সেটাও জেনেছি,,,,,,,
,,,
,,উচু মাথায় কি ভাবে বাঁচতে হয় সেটাও জানলাম
নিজের সফলতা নিজেকে কিভাবে তৈরি করতে হয় সেটাও শিখতেছি,,,,,৷
শিক্ষার কোন শেষ নাই, তাই প্রতিনিয়ত ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের শিক্ষা বুকে ধারন করে এগিয়ে চলছি,,,,,,
👍সবচে বড় কথা এই নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে এসে নিজেকে আজ গুছিয়ে নিতে পেরেছি, এবং আমার ডিপ্রেশন থাকার মনের সুখ ও শান্তি খুজে পেয়েছি এটা সবচে বড় কথা।
❤️ আমি শ্রদ্ধার সংঙ্গে ধন্যবাদ জানাই জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরী করে দেওয়ার জন্য।
যার অবদানে আমাদের মতো ডিপ্রেশন এ থাকা 0 থেকে হিরো হওয়া মানুষ গুলো নিজেকে আজ নতুন করে গুচিয়ে নতুন জীবন শুরু করেছে।
❣️সবশেষে এই পরিবারের সকল ভাই ও বোনদেরকে প্রতি রইলো আমার শ্রুদ্ধা ও ভালবাসা যারা সব সময় আমাকে অনুপ্ররণা দিয়ে পাশে খেকে অনুপ্রেরণিত করেছে।
🔹আজ এ পর্যন্ত একদিনে তো ১৩ বছরে সংসারের জীবন কাহিনি বলে শেষ করা যাবেনা ,,, ধিরে ধিরে সব কিছু বলবো আপনাদেরকে আমার জীবন কাহিনি।🔹
সবাই ভাল থাকবেন আমার জন্য দোয়া করবেন, ধৈর্য্য সহকারে লেখাগুলো পড়ে কমেন্ট করে পরবর্তি লেখার জন্য উৎসাহিত করবেন।
👉 ধন্যবাদন্তে 👈
<<<<<<<>>>>>>
🌹নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত কমিউনিটি ভলান্টিয়ার🌹
স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫৫৮
Date:- ২৫/০৬/২০২১
👉 মোছাঃ মেহেরুন জাকির
👉 কমিউনিটি ভলান্টিয়ার
🌺 ব্যাচ-১১
✍️ রেজিষ্টেশন নং-৩২৮৩৯
💉 ব্লাড গ্রুপ- O+
🇧🇩 জেলা- বগুড়া
📲 আমার ব্যবসায়ীক ফেসবুক পেজ-https://www.facebook.com/Zulfa-Fashion-House-105770957993896/